১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

শহীদদের রক্তভেজা বিজয়কে অর্থপূর্ণ করতে নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে : শিবির সভাপতি

শহীদদের রক্তভেজা বিজয়কে অর্থপূর্ণ করতে নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে : শিবির সভাপতি - নয়া দিগন্ত

জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন বিজয় দিবস উদযাপনে রাজধানীসহ সারাদেশে বর্ণাঢ্য র‌্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে ছাত্রশিবিরের বিভিন্ন শাখা। ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাহউদ্দিন আইউবী বলেন, জাতির বীর সন্তানদের আত্মত্যাগ ও বীরত্বের মধ্য দিয়ে স্বপ্নের বিজয় অর্জিত হয়েছিল ১৯৭১ সালে। বীর সন্তানরা জাতিকে উপহার দিয়েছিলো একটি স্বাধীন-সার্বভৌম ভূখন্ড, একটি মানচিত্র, একটি পতাকা। শুরু হয়েছিল গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকঅধিকার সমৃদ্ধ স্বাধীন-সার্বভৌম আত্মমর্যাদা সম্পন্ন স্বপ্নযাত্রার। রক্ত সাগরে অর্জিত প্রিয় মাতৃভূমি আজ ৫০বছর পূর্ণ করেছে। কিন্তু, ওই স্বপ্ন আজও বাস্তবায়িত হয়নি। বৃহস্পতিবার তিনি এসব কথা বলেন।

নেতৃবৃন্দ বলেন, বিনা রক্তপাতে বহু দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জন করতে জাতির বীর সন্তানদের রক্ত সাগর পাড়ি দিতে হয়েছে। ঐক্যবদ্ধ ও মর্যাদাপূর্ণ সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দূর্বার প্রত্যাশা নিয়ে মহান বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়িত হয়নি শহীদদের রক্তে ভেজা স্বপ্ন। এ ব্যর্থতার গ্লানি বয়ে বেড়াতে হচ্ছে যুগের পর যুগ। অথচ, আমাদের সমসাময়িক যেসব দেশ স্বাধীন হয়েছিল তাদের অনেকেই আজ উন্নতির শিখরে আরোহন করেছে। মুক্তিযুদ্ধের মূল উদ্দ্যেশ্যে ছিল গণতন্ত্র। যে গণতন্ত্রে ন্যায়পরায়ণতা, নাগরিকদের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক স্বাধীনতা, অধিকারের সমতা, পরমতসহিষ্ণুতা থাকবে। কিন্তু ৫০ বছরের পর স্বাধীন বাংলার চিত্র হলো গণতন্ত্র এখন অনিশ্চিত ও ভঙ্গুর। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করে ফেলা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও আজ সীমাবদ্ধ। এমনকি জনগণের ভোটাধিকার পর্যন্ত কেড়ে নেয়া হয়েছে। ফলে বিজয়ের ৫০ বছর পরেও জাতীয় ঐক্য, গণতন্ত্র, সুশাসন ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা পায়নি।

শিবির সভাপতি বলেন, মহান বিজয়ের স্বপ্ন কোনো হানাদার বাহিনী ব্যর্থ করে দেয়নি। বরং মহান বিজয়কে পুঁজি করেছে এদেশেরই আত্মমর্যাদাহীন গোষ্ঠী। জাতি দেখছে একটি মহল স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষের ধোঁয়া তুলে প্রকৃত পক্ষে দেশকে এক গভীর অনিশ্চিয়তার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ক্ষমতার মসনদকে পাকাপোক্ত করতে বারবার জাতীয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে যাচ্ছে। স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্য জাতীয় ঐক্য, গণতন্ত্র, সুশাসন ও সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা আজও স্বপ্নই রয়ে গেছে।

শিবির নেতৃবৃন্দ দৃঢ়তার সাথে বলেন, শত ব্যর্থতা, হতাশার পরেও আমরা হতাশ নই। বরং রক্তে অর্জিত পবিত্র আমানত মহান বিজয়কে অর্থবহ করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। জাতির বীর সন্তানদের আত্মত্যাগকে অর্থবহ করতে সৎ, দক্ষ ও যোগ্যতা সম্পন্ন নাগরিক ও নেতৃত্ব তৈরি করতে আমরা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জাতির প্রত্যাশা পূরণে ছাত্রশিবির প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এ লক্ষ্যে ছাত্রশিবিরের পথচলা যেকোনো মূল্যে অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।

উল্লেখ্য, সারাদেশে কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে র‌্যালি, আলোচনা সভা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের কবর যিয়ারত, যুদ্ধাহত অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারকে সহযোগিতা, বীরমুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের সংবর্ধনা, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, ফ্রি চিকিৎসা প্রদান, দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা, পথশিশুদের মাঝে খাবার বিতরণ, ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ও ডোনেশন, মেডিকেল ক্যাম্প, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিজয় সঙ্গীত ও ডকুমেন্টারি প্রকাশসহ নানান অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।


আরো সংবাদ



premium cement
নামছে তাপমাত্রার পারদ, কুয়াশার চাদরে ঢাকা উত্তরাঞ্চল রাঙামাটিতে আন্দোলনের সর্বশেষ শহীদ আব্দুল্লাহর গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত লেবাননের যুদ্ধবিরতিতে সমর্থনের সিদ্ধান্ত ইরানের সাবেক প্রধান বিচারপতি ফজলুল করিম আর নেই আজ ঢাকায় আসছেন ব্রিটিশ আন্ডার সেক্রেটারি ক্যাথরিন ওয়েস্ট ‘এমন কাজ করবো, একদিন গর্ব করবে’ : বাবাকে শহীদ জাবের অস্ট্রেলিয়ায় শিশুদের জন্য নিষিদ্ধ হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম আজিমপুরে ডাকাতির সময় অপহরণ করা শিশু উদ্ধার 'ইসরাইলের কারণে গাজায় যুদ্ধবিরতি হচ্ছে না' মানসিক সমস্যায় ভুগছেন এমবাপ্পে! দূষণের দিল্লিতে শ্বাস নেয়া দিনে ২৫টি সিগারেট খাওয়ার সমান!

সকল