সিরাতুন্নবী সা: উপলক্ষে রাজধানীতে যুব উন্নয়ন সংসদের র্যালি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৬ অক্টোবর ২০২১, ১৬:৫৪
পবিত্র সিরাতুন্নবী সা: উদযাপন উপলক্ষে যুব উন্নয়ন সংসদ ঢাকার আয়োজনে মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
র্যালিপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন দেশের প্রবীণ সাংবাদিক দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকার সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন। বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও নর্দার্ন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ডা: মোয়াজ্জেম হোসেনের সভাপতিত্বে র্যালিটি পরিচালনায় ছিলেন যুব উন্নয়ন সংসদের চিফ কো-অর্ডিনেটর মুহাম্মদ কামাল হোসাইন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলমগীর মহিউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থে সকল প্রকার ভেদাভেদ দূর করতে হবে। নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে হিন্দু মুসলিম জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ সা: ছিলেন মানবতার মূর্ত প্রতীক এবং মানবতার কল্যাণে র জন্যই তিনি প্রেরিত হয়েছিলেন। প্রত্যেক মানুষকে প্রিয়নবী মুহাম্মদ সা:-এর জীবনী সঠিকভাবে জানতে হবে। এজন্য পড়াশুনার প্রয়োজন রয়েছে।
নয়া দিগন্তের সম্পাদক বলেন, আমাদের বাংলাদেশসহ গোটা পৃথিবী আজ যেসব সমস্যায় নিমজ্জিত, তার একমাত্র সমাধান দিতে পারে ইসলাম ও রাসূলের সা: সিরাত। বিশ্ব মানবতার মুক্তির জন্য সবাইকে ইসলাম ও রাসূল সা:-এর সুমহান আদর্শের দিকে ফিরে আসার আহ্বান জানাই।
সভাপতির বক্তব্যে ডা: মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমরা আজ প্রিয় নবী সা:-এর জীবনাদর্শ থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছি। অথচ তার জীবনেই রয়েছে আমাদের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ আদর্শ। ফলে আমাদের সবাইকে তার জীবনী থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। বিশ্বের নানা প্রান্তে হানাহানি যুদ্ধ সংঘাতের ফলে সাধারণ মানুষ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমতাবস্থায় ইসলামী আদর্শের প্রকৃত অনুসরণের মাধ্যমেই কেবল মানুষের কল্যাণ আসতে পারে।
তিনি আরো বলেন, ‘ইসলামী সংস্কৃতির মূলভিত্তি কুরআন ও সুন্নাহ পৃথিবীর বাস্তবতা ও মানবিকতার মানদণ্ডে উত্তীর্ণ। বিশ্বে একমাত্র সার্বজনীন, বিশুদ্ধ, পরিমার্জিত, পরিশীলিত, ও মর্যাদাসম্পন্ন কল্যাণকর সংস্কৃতি হচ্ছে ইসলামী সংস্কৃতি। ইসলামী সংস্কৃতি মানুষকে ইহজাগতিক সফলতা ও পরোজাগতিক মুক্তির পথকে সুগম করে। আসুন সকলে সেই শান্তির বার্তা প্রচার করি।’
অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ সা: ছিলেন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানব ও বিশ্বনেতা। রাসুলের সিরাতকে অনুসরণ করে তার আদর্শকে বাংলার এই সবুজ ভূখণ্ডে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান বলেন, হজরত মুহাম্মদ সা:-এর জীবনচরিতকে চর্চার মাধ্যমে ও তার আদর্শকে ব্যক্তিজীবনে বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিজেদেরকে প্রকৃত মুসলিম হিসেবে উপস্থাপন করতে হবে।
মু: শহিদুল ইসলাম বলেন, বিশ্বের আদর্শ মহামানব ছিলেন মুহাম্মদ সা:। তমসাচ্ছন্ন আরবে এক অভাবনীয় বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন তিনি। তাই নিজেদেরকে ভালো মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসুল সা:-এর আদর্শ অনুসরণ করতে হবে।