মানবপাচার আইন সংশোধনের দাবি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে জনশক্তি ব্যবসায়ীদের সাক্ষাৎ
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১০ অক্টোবর ২০২১, ১৬:৪৮, আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২১, ১৮:০০
বৈধভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শ্রমিক পাঠানো জনশক্তি ব্যবসায়ীদের মানবপাচার আইনে গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা। ব্যবসায়ীরা কোনো অপরাধ করলে তাদের ২০১৩ সালের অভিবাসন আইনে ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানান তারা। প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও বিএমইটির ছাড়পত্র নিয়ে যারা বৈধপথে শ্রমিক পাঠাচ্ছেন তাদের ২০১২ সালের মানবপাচার আইনে যাতে মামলা বা গ্রেফতার করা না হয় এজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে দাবি জানিয়েছেন জনশক্তি রফতানিকারকরা।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন শেষে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎকালে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় তারা মন্ত্রীর কাছে ২০১২ সালের মানবপাচার আইনে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকদের বিরুদ্ধে মামলা না নেয়া ও আইনটি সংশোধনের কথা জানান।
জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী ২১ অক্টোবর আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভা হবে। সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা হবে। এম টিপু সুলতানের নেতৃত্বে রিক্রুটিং এজেন্সির একটি প্রতিনিধি দল দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন। এর আগে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
মানবপাচার আইনে জনশক্তি ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বৈধ প্রক্রিয়ায় বিদেশে কর্মী পাঠানোর পরও তারা নানাভাবে প্রশাসনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কোনো এজেন্সির মালিক দোষ করলে বা আইন অমান্য করলে অবশ্যই তার শাস্তি হওয়া উচিত। এজন্য অভিবাসী আইন ২০১৩ রয়েছে। কিন্তু কোনো কিছু হলেই মানবপাচার আইনে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এই আইনটি তাদের জন্য প্রযোজ্য না হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিনের পর দিন জনশক্তি ব্যবসায়ীদের হয়রানি করে যাচ্ছে।
বক্তারা আলো বলেন, মূলত যারা সাগরপথে বা অবৈধ পন্থায় লোক পাঠায় বা পাঠাচ্ছে, মানবপাচার আইনটি তাদের জন্য। জনশক্তি ব্যবসায়ীরা তো বিএমইটির স্মার্ট কার্ড নিয়ে সরকারের সকল নিয়ম মেনেই লোক পাঠাচ্ছে। তবে কেন গ্রেফতার হয়রানির শিকার হবেন? অবিলম্বে এই হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়ে মানবপাচার আইনে সংশোধন আনার দাবি জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে জনশক্তি ব্যবসায়ী এম টিপু সুলতান, লিমা বেগম, আরিফুর রহমান, আবুল বারাকাত ভুইয়া প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জনশক্তি ব্যবসায়ীদের মানবপাচার আইনে গ্রেফতার বন্ধ এবং আইনটি সংশোধনের জন্য বেশ কিছু দিন ধরে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিকরা মানববন্ধন, সংবাদ সম্মেলনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।