নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন ও খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৪ অক্টোবর ২০২১, ১৭:৪৬, আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২১, ১৮:৪১
দেশে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ (বিএসপিপি)। সকল রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনেরও দাবি করেছে পরিষদ।
এ সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আক্রোশ ও প্রতিহিংসামূলক মামলা এবং সাজা বাতিল ও অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে দেশে-বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ অবারিত করার জোর দাবি জানিয়েছে বিএসপিপি।
রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে (বিএফইউজে-ডিইউজে কার্যালয়ে) অনুষ্ঠিত সংগঠনের নির্বাহী পরিষদের সভায় গৃহীত প্রস্তাবে এসব দাবি জানানো হয়েছে।
পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ডা: অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় পেশাজীবী নেতাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সকল হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং শীর্ষ সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীসহ কারাবন্দী সকল পেশাজীবীর অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
এসব দাবি আদায়ে শিগগিরই ঢাকায় একটি পেশাজীবী সমাবেশ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় গৃহীত অপর এক প্রস্তাবে ১১ জন শীর্ষ সাংবাদিক নেতার ব্যাংক হিসাব তলবের নামে সাংবাদিক সমাজের প্রতিধিত্বশীল প্রধান প্রধান সংগঠন ও নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়।
সভায় পেশাজীবী নেতা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক খন্দকার মুস্তাহিদুর রহমান ও জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভানেত্রী এবং প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব চাষী নজরুল ইসলামের সহধর্মিনী জোৎস্না কাজীর ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করা হয়।
সভায় পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) সভাপতি অধ্যাপক ডা: হারুন আল রশীদ, শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি এম আবদুল্লাহ, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক প্রফেসর ডা: ফরহাদ হালিম ডোনার, আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল জব্বার ভূঁইয়া, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (এ্যাব) সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো: লুৎফর রহমান, ড্যাবের মহাসচিব ডা: মো: আবদুস সালাম, ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম ও আল-আমিন, বিএফইউজে’র মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রীম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম, এগ্রিকালচারিস্ট’স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (অ্যাব) অধ্যাপক গোলাম হাফিজ কেনেডী, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম ও কৃষিবিদ চৌধুরী আবদুল্লাহ আল হাসান, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের অতিরিক্ত মহাসচিব জাকির হোসেন, ডিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক মো: শহিদুল ইসলাম, মাদরাসা শিক্ষক সমিতির সভাপতি মাওলানা দেলোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো: কামরুল আহসান ও সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো: নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
পত্রিকা অফিসে ঢুকে সম্পাদক-সাংবাদিকের ওপর হামলা, বিএফইউজের উদ্বেগ
বরিশালে একটি দৈনিক পত্রিকা অফিসে ঢুকে সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা পত্রিকাটির সম্পাদক আলম রায়হানসহ তিন সাংবাদিককে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র নেতৃবৃন্দ।
বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন সোমবার এক বিবৃতিতে অবিলম্বে দুর্বৃত্তদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
শনিবার রাতে নগরীর বটতলা এলাকায় অবস্থিত জেলা পরিষদের মার্কেটের পেছনে স্থানীয় ‘দৈনিক দখিনের সময়’ পত্রিকা কার্যালয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত আলম রায়হান বরিশাল শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় আরো আহত হয়েছেন পত্রিকাটির দুই রিপোর্টার হাফিজ উদ্দিন ও মশিউর রহমান।
বিবৃতিতে বিএফইউজে নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তাহীনতা এখন চরমে। বিএফইউজে’র মিডিয়া মনিটরিং রিপোর্ট অনুযায়ী বিগত সেপ্টেম্বর মাসে সারাদেশে রেকর্ড ২০ জন সাংবাদিক দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয়েছেন। বরিশালের ঘটনা তারই ধারাবাহিকতা। ক্ষমতাধররা এতটাই অসহিষ্ণু হয়ে উঠেছে যে এখন কোনো সংবাদে ক্ষুব্ধ হলে প্রতিবাদ না করে সরাসরি পেশিশক্তির প্রয়োগ করে। বিচারহীনতা ও আইনের শাসনের সঙ্কটের কারণেই এমনটা হচ্ছে। নেতৃবৃন্দ বরিশালের ঘটনাসহ প্রতিটি সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।