‘ছেলে-মেয়েদের কাজ প্রতিটি পরিবারকে খেয়াল রাখতে হবে’
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ২৩:১৬
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, কিশোর ছেলে-মেয়েরা কী করছে, কোথায় যাচ্ছে, প্রতিটা পরিবারকে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। বাচ্চারা কোথায় যায়, কার সাথে মেশে এবং কী করে এগুলো দেখার বিষয়ে প্যারেন্টাল কন্ট্রোলের বিষয়টাও রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশ প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে। সেই অনুসারে দেশের উপযোগী একটা জেনারেশন আমাদের তৈরি করতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মধুবাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খান কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
কিশোর অপরাধ দমনে জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ডের আওতায় ‘সবার হোক একটাই পণ, কিশোর অপরাধ করব দমন’ শীর্ষক টিভিসি উদ্বোধন উপলক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, একসময় আট বছর পর্যন্ত বয়সীদের শিশু ধরা হতো। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কিশোর আইন হালনাগাদ করা হয়েছে, এখন ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত শিশু ধরা হয়। আইন পরিবর্তনের ফলে যখন একজন পূর্ণ যুবকের পর্যায়ে পৌঁছে যায় তাকেও শিশু ধরা হয়। এর ফলে কিশোর অপরাধের বিরুদ্ধে যেভাবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া দরকার সেভাবে হচ্ছে না। তাদের ক্ষেত্রে বিচার পদ্ধতি, গ্রেফতার পদ্ধতি সবকিছুই আলাদা।
তিনি বলেন, তাদের গ্রেফতারের সাথে সাথে প্রফেশন অফিসারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু প্রফেশন অফিসাররা কাজ করেন সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায়, আর আমরা কাজ করি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায়। আমরা তাদের সঙ্গে সমন্বয়ের চেষ্টা করে যাচ্ছি। এছাড়া, প্রয়োজনীয় সংখ্যক প্রফেশন অফিসার না থাকার বিষয়টিও রয়েছে। বললেই সেই সংখ্যক কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে দেওয়া যায় না, এটি দীর্ঘমেয়াদী একটা প্রক্রিয়া। কিশোর অপরাধীদের গ্রেফতারের পর জেলে পাঠানো যাবে না, সংশোধনাগারে পাঠাতে হয়। সেই সংশোধনাগারের সংখ্যাও পর্যাপ্ত নয়। যেসব গ্যাপ রয়েছে সেগুলো পূর্ণ করতে কাজ করতে হবে। নয়তো বাড়বাড়ন্ত কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দীন বলেন, কারা কিশোরদের অপরাধী বানাচ্ছে, তাদের হাতে কারা মাদক তুলে দিচ্ছে, তাদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। অপরাধ শুধু নিয়ন্ত্রণ নয়, প্রতিরোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে আমাদের সমাজ বিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে ছোটদের সঙ্গে বড়রাও থাকে। ছোট-বড় মিলে বিরোধ হয়, পরে আলাদা গ্রুপ সৃষ্টি হয়। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারির মতো ঘটনা ঘটে। কিশোর অপরাধ দমনে সচেতনতা কার্যক্রম শুরু হয়েছে মানে এই নয়, আভিযানিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। যদি কেউ সচেতনতা কর্মসূচির মাধ্যমে সুপথে না আসে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা চলমান থাকবে।