ইসি সাংবাদিকদের ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ৩১ আগস্ট ২০২১, ১৮:১৮
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে পুলিশ ও ইসির কর্মকর্তাদের অসৌজন্যমূলক আচরণসহ সকল প্রকার হয়রানিমূলক ঘটনার আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিকরা। ঘটনার তদন্তে তদন্ত কমিটিতে সাংবাদিক প্রতিনিধি রাখা, সকল প্রকার তথ্য পাওয়া নিশ্চিত করা, মুক্তভাবে নির্বাচন কমিশনের সংবাদ সংগ্রহ করার অধিকারসহ চার দফা দাবিও পেশ করেছেন তারা।
রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনের সামনে মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত ‘মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ’ থেকে এই দাবি জানানো হয়েছে। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন প্রতিদিনের সংবাদ সম্পাদক ও ইসি বিটের সিনিয়র সাংবাদিক শেখ নজরুল ইসলাম। পরিচালনা করেন প্রতিদিনের সংবাদের সিনিয়র রিপোর্টার গাজী শাহ নেওয়াজ। ঘণ্টাব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সামাবেশ থেকে ইসি বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে চার দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- (১) গত ২৯ আগস্ট ইসির গেটে সাংবাদিক হয়রানির ঘটনা তদন্তে নিরপেক্ষ কমিটি করতে হবে, সেখানে সাংবাদিক প্রতিনিধি রাখতে হবে। হয়রানির ঘটনায় জড়িত ইসির কর্মকর্তা-কর্মচারি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদস্যদের প্রত্যাহার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। (২) নির্বাচন কমিশনে বিটে কর্মরত সব গণমাধ্যমকর্মীকে মুক্তভাবে নির্বাচন কমিশনের সংবাদ সংগ্রহ করার নিশ্চয়তা দিতে হবে। তাদের কোনো ধরনের হয়রানি করা যাবে না। নির্বাচনী ভবনের সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে। (৩) সকল প্রকার তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শুধু ঢাকার নির্বাচন ভবন নয়, ইসির জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারাও সাংবাদিকদের হয়রানি করেন। নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহে সারাদেশে সাংবাদিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে। (৪) গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য ইসির ভবনে অবাধ প্রবেশের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।
এই মানববন্ধনের আয়োজন করে ইসি বিটে কর্মরত বিভিন্ন টেলিভিশন, পত্রিকা, সংবাদসংস্থা ও অনলাইনের গণমাধ্যমকর্মীরা। এই মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) বর্তমান এবং সাবেক নেতারা।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাধারণ সম্পাদক ও ইসি বিটে কর্মরত সাংবাদিক নেতা মসিউর রহমান খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুক্কর আলী শুভ, বিএফইউজে কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান, ডিআরইউর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব, সাবেক ডিআরইউ নেত্রী শাহনাজ শারমিন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশের) সহ-সভাপতি রাশেদুল হক প্রমুখ।