বগুড়া-ফরিদপুরে ২ সাংবাদিক আটক, বিএফইউজের উদ্বেগ

বগুড়া ও ফরিদপুরে দুই সাংবাদিককে মধ্যরাতে তাদের বাড়ি থেকে পুলিশ তুলে নেয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে নেতারা। একইসাথে আটকের প্রায় ২০ ঘণ্টা পর সাংবাদিক আক্তারুজ্জমানের বিরুদ্ধে বগুড়ার পরিবার পরিকল্পনা দফতরের অফিস সহকারী শামীমা আক্তার ডিজিটাল আইনে মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে সাংবাদিকদ্বয়ের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়েছে।

রোববার বিএফইউজে সভাপতি এম আবদুল্লাহ ও মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন এক বিবৃতিতে উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের মুক্তির দাবি জানান।

সাংবাদিক নেতারা বলেন, বগুড়ায় পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সামীর হোসেন মিশু ও তার অফিস সহকারী শামিমাকে সাথে নিয়ে শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে একটি জাতীয় দৈনিকের জেলা প্রতিনিধি আখতারুজ্জামানকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের একটি প্রকল্পে কর্মরতদের ভাতা বিতরণে দুর্নীতি নিয়ে লেখার কারণে মামলা ও ওয়ারেন্ট ছাড়াই তাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

অভিযানের সময় সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে ডা: মিশু ও তার অফিস সহকারী পুলিশের সাথে ছিলেন। এমনকি ওই নারী আটক সাংবাদিকের ওপর চড়াও হওয়ার চেষ্টা চালান বলেও জানা গেছে। দিনভর বগুড়ার সাংবাদিক নেতারা ও পরিবারের সদস্যরা সাংবাদিক আক্তারের মুক্তির চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন। প্রায় ২০ ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় বগুড়া সদর থানায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়।

সংগঠনের দফতর সম্পাদক তোফায়েল হোসেন সাক্ষরিত বিবৃতিতে বিএফইউজে নেতারা আরো বলেন, আমরা আগেই বলেছিলাম যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দুর্নীতিবাজরা তাদের রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহার করবে। বগুড়ার ঘটনায় তা আবারো প্রমাণিত হলো।

এদিকে একই রাতে দেড়টার দিকে ফরিদপুরের সালথায় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকাটাইমস২৪ ডটকমের প্রতিনিধি নুরুল ইসলাম নাহিদকে তার গ্রামের বাড়ি থেকে পুলিশ তুলে নিয়ে যায়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাকে থানায় রেখে একটি সহিংসতার মামলা জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। নাহিদ দীর্ঘদিন দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিনিধি হিসেবেও কাজ করেছেন।

এভাবে মধ্যরাতে বাড়ি থেকে সাংবাদিক তুলে নেয়ার ঘটনাকে সভ্যতাবিবর্জিত উল্লেখ করে বিএফইউজে নেতারা বলেন, এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা আইনের শাসনের পরিপন্থী ও স্বৈরাচারী আচরণের বহিঃপ্রকাশ। তারা অবিলম্বে আটক দুই সাংবাদিকের নিঃশর্ত মুক্তি ও ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।