নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার পদক্ষেপ নিন : শামসুল ইসলাম
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৮ মার্চ ২০২১, ২২:৩০
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি আ ন ম শামসুল ইসলাম বলেছেন, প্রতি বছর রমজানের পূর্বে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে শ্রমজীবী মানুষসহ দেশবাসীকে বিপাকে ফেলেন।
তিনি বলেন, সরকারের অসৎ কর্মকর্তাদের যোগসাজসে এ কাজ করা হয়ে থাকে। এতে শ্রমজীবী মানুষের রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যায়। এ অবস্থা থেকে শ্রমজীবী মানুষদের মুক্তি দিতে হবে। সরকারকে এখনই নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য শ্রমজীবী মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার পদক্ষেপ নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমানের পরিচালনায় এই সময় উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক হারুনুর রশিদ খান, গোলাম রাব্বানীসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সকল সদস্য।
শামসুল ইসলাম বলেন, মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে বিশ্বের অমুসলিম দেশগুলি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য হ্রাস করে আর মুসলিম অধ্যুষিত বাংলাদেশে তার ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটে। প্রতিবছর রমজান আসার পূর্বে সুকৌশলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে শ্রমজীবীসহ সাধারণ মানুষদের বিপাকে ফেলা হয়। ফলশ্রুতিতে শ্রমজীবী মানুষ রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
তিনি বলেন, শ্রমজীবী মানুষ রমজানে একটু ভালো খাবার কিনতে পারে না। ইতোমধ্যে আমরা লক্ষ্য করেছি মানুষের অতীব নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম সুকৌশলে বৃদ্ধি শুরু হয়েছে। সারাদেশে দলীয় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত অধিক মুনাফার জন্য মানুষদের জিম্মি করছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারের কোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ আমরা দেখতে পাচ্ছি না। প্রতিদিনের পত্রিকায় এই সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হয়। কিন্তু সরকারের দায়িত্বশীল মহল এখনো নিশ্চুপ। এই অবস্থা থেকে শ্রমজীবী মানুষদের মুক্তি দিতে সরকারকে এখনই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় প্রতি বছরের মতো এই বছরও শ্রমজীবী মানুষদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হবে।
তিনি আরো বলেন, রমজান মাসে শ্রমজীবী মানুষদের কর্মঘণ্টা কমিয়ে দিয়ে তাদেরকে মাহে রমজানের যথাযথ হক আদায়ের সুযোগ দিতে হবে। বিশেষত কল-কারখানা ও গার্মেন্টে কর্মজীবী ভাই ও বোনদের কর্মঘণ্টা হ্রাসসহ তাদের পূর্ববর্তী মাসের মজুরী নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।-বিজ্ঞপ্তি