পোশাক শ্রমিকদের সুরক্ষায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করছে জেটিআই
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৬ ডিসেম্বর ২০২০, ১৭:০৫
২০২৫ সালের মধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ১ মিলিয়ন মানুষকে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে জেটিআই ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ‘ওয়াশ’ কার্যক্রমের অধীনে পরিচালিত একটি বিশেষ প্রকল্প ‘সুজলা’। প্রকল্পটি সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশের বাস্তবায়নে প্রাথমিকভাবে পোশাক শ্রমিকদের আবাসস্থলে বিশুদ্ধ খাবার পানি সরবরাহের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। প্রথম পর্যায়ে প্রকল্পের নিজস্ব অর্থায়নে পাঁচ জন উদ্যোক্তার জন্য পাঁচটি ওয়াটার বুথ স্থাপন করে দেওয়া হচ্ছে, যা দেখে উদ্যোক্তারা সরাসরি উপকৃত হবেন এবং ব্যবসা সম্প্রসারণে সক্ষম হবেন।
২০২০ সালের নভেম্বরের ৫ তারিখ বন্দরনগরী চট্টগ্রামে অবস্থিত সিইপিজেড (চট্টগ্রাম এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন)-এ ফ্লোওয়াটার সল্যুশন্স লিমিটেডের প্রযুক্তি ব্যবহার করে ‘রেশমি ড্রিংকিং ওয়াটার’ নামে প্রথম ওয়াটার বুথটি স্থাপন করা হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন-এর প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন বুথটি উদ্বোধন করেন। এসময় বিজিএমইএ পরিচালক মোহাম্মদ আতিক এবং বিকেএমইএ পরিচালক মির্জা আকবর আলী চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
একই মাসের ১৫ তারিখে ড্রিংকওয়েলের প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাজীপুরের লক্ষ্মীপুরা এলাকায় ‘শুদ্ধ ড্রিংকিং ওয়াটার’ নামে দ্বিতীয় ওয়াটার বুথ স্থাপন করা হয়। বুথটি যৌথভাবে উদ্বোধন করেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জাবেল আলী; সেক্রেটারি মুস্তাফিজুর রহমান এবং বিজিএমইএ হেলথ সেন্টারের চেয়ারম্যান হানিফুর রহমান লোটাস। এই বুথটিতে এটিএম কার্ড সুবিধা রয়েছে। এই এলাকার পোশাক শ্রমিকরা কার্ড ব্যবহার করে নিজের এবং কমিউনিটির অন্যান্য সদস্যদের জন্য বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে কার্ড রিচার্জ করে নিতে পারবেন।
ওয়াটার বুথগুলো উদ্বোধনের সময় জেটিআই ফাউন্ডেশনের প্রকল্পের অনুদান দাতাদের পক্ষ থেকে জেটিআই বাংলাদেশের সদস্যবৃন্দ এবং সুইসকন্ট্যাক্ট বাংলাদেশের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শুদ্ধ ড্রিংকিং ওয়াটার এবং রেশমি ড্রিংকিং দুটি ওয়াটার বুথই প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ১ হাজার লিটার বিশুদ্ধ পানি তৈরি করতে পারে। কর্মদিবসে ৮ কর্মঘণ্টা বিবেচনায় প্রতিদিন ৮ হাজার লিটার পানি সরবরাহ করবে। সুজলা প্রকল্পের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য বলছে, একজন পোশাক শ্রমিকের দৈনিক দুই লিটার পানির প্রয়োজন হয়। এই হিসাব অনুযায়ী একটি স্বাভাবিক কর্মদিবসে প্রতিটা বুথ দৈনিক ৪ হাজার পোশাক শ্রমিকের প্রয়োজনীয় পানির সরবরাহ করতে পারবে।
দুটি ওয়াটার বুথের সফল উদ্বোধনের পর সুজলা প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক ধাপে আরও একাধিক ওয়াটার বুথ স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।