১৭ নভেম্বর ২০২৪, ২ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ইউনানী চিকিৎসক ডা: মিজানকে গ্রেফতারের নিন্দা ও মুক্তি দাবি

-

ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, মতিঝিলের ইউনানী চিকিৎসক ডা: মো: মিজানুর রহমানকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত গ্রেফতার করায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (বুয়ামা) এবং একইসাথে তার মুক্তিও দাবি করেছে সংগঠনটি।

সোমবার বুয়ামার মহাসচিব ডা. তাওহীদ আল বেরুনী স্বাক্ষরিত প্রতিবাদে বলা হয়, যে অভিযোগে ডা: মো: মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা অসত্য। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ডা: মো: মিজানুর রহমানকে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে অবহিত করে যে বক্তব্য প্রদান করেন তাও সঠিক নয়।

তিনি বলেন, ডা: মো: মিজানুর রহমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি ইউনানী এন্ড আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৯১-১৯৯২ সেশনে ‘ব্যাচেলর অব ইউনানী মেডিসিন এন্ড সার্জারি’ (বিইউএমএস) পাস করেন (১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত পরীক্ষা) এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে স্থায়ী সনদপ্রাপ্ত (সনদনং: ইউ-৪১) হয়ে ইউনানী গ্রাজুয়েট হন। এছাড়া ডা. মিজানুর রহমান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লিভার রোগে এমফিল ফেলো এবং হৃদরোগে পিএইচডি করেন। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা সনদ থাকা সত্ত্বেও তাকে ভুয়া ডাক্তার হিসেবে আখ্যায়িত করায় বিষ্ময়ের সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশ ইউনানী এন্ড আয়ুর্বেদিক মেডিকেল এসোসিয়েশন ইউনানী ও আয়ুর্বেদের বিশিষ্ট এই চিকিৎসককে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবী করছে।

হোমিও ও অ্যালোপেথিক ওষুধ লেখার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডা. তাওহীদ আল বেরুনী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের হোমিও ও দেশজ চিকিৎসা, অল্টারনেটিভ মেডিক্যাল কেয়ার (এএমসি) বিভাগের পরিচালকের স্বাক্ষরিত আদেশ রয়েছে এ ব্যাপারে। সে আদেশে বলা হয়েছে, বিএএমএস এবং বিইউএমএস পাশকৃতরা তাদের নামের পূর্বে ডাক্তার (সংক্ষেপে ডা:) লিখতে পারবেন। এ ব্যাপারে এএমসি’র পরিচালক আইন শৃংখলা প্রয়োগকারী সংস্থাকে হয়রানী না করার অনুরোধ সম্বলিত অফিস আদেশও রয়েছে।

ডা. তাওহীদ আল বেরুনী বলেন, নামের পাশে ডাক্তার লেখা এবং প্রয়োজনে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ লেখার ব্যাপারে মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন রয়েছে (রিট পিটিশন নং : ৭০৪৩ অব ২০১২)। হাইকোর্টের রুলে বলা হয়েছে, ‘জারিকৃত রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিএএমএস ও বিইউএমএস ডিগ্রিধারী ডাক্তারদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে অর্থাৎ নামের আগে ডাক্তার লিখতে ও প্রয়োজনে অ্যালোপ্যাথি ওষুধ লেখার বিরুদ্ধে কোনো প্রকার গ্রেফতার, হয়রানি বা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ না করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।’

ডা. তাওহীদ আল বেরুনী বলেন, ডা. মো: মিজানুর রহমান হাইকোর্ট ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের আদেশ মেনেই চিকিৎসা করছিলেন এবং তিনি আইন অমান্য করেননি।


আরো সংবাদ



premium cement