ঢাবিতে পরীক্ষা ছাড়া ভর্তি মেধাভিত্তিক সমাজ প্রত্যাশার অশনি সংকেত : টিআইবি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৮:২৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা ছাড়াই ছাত্র ভর্তির অভিযোগের প্রেক্ষিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। উত্থাপিত অভিযোগের ফলে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে আস্থার সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে উল্লেখ করে এর মোকাবিলার জন্য সৎসাহসের সাথে অভিযোগ আমলে নিয়ে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।
সংস্থাটি মনে করে উত্থাপিত অভিযোগ বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষার ভবিষ্যৎ তথা মেধাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সকল প্রত্যাশার জন্য অশনি সংকেত।
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে তাদের অনেকে ডাকসু নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্র ধরে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, অভিযোগ সঠিক হলে তা হবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার শামিল। তিনি বলছেন, উত্থাপিত অভিযোগ বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষার ভবিষ্যৎ তথা মেধাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সকল প্রত্যাশার জন্য অশনি সংকেত। একদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ও সুনাম অক্ষুন্ন রাখার জন্য অপরিহার্য।
অন্যদিকে নিয়মনীতি অনুসরণ করে সমান প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র নিশ্চিত করে স্বচ্ছতা ও শুদ্ধাচার চর্চার মাধ্যমে ভর্তি প্রত্যাশী সকল শিক্ষার্থীদের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার বাস্তব দৃষ্টান্ত স্থাপন করাও তেমন কর্তৃপক্ষের গুরু দায়িত্ব। এক্ষেত্রে কোন প্রকার ব্যত্যয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট গ্রহণযোগ্য হবেনা বলে আমরা বিশ্বাস করতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রত্বের অবস্থাকে রাজনৈতিক বা অন্যকোন সুবিধা অর্জনের মাধ্যম হিসেবে পরিণত করার যে কোন প্রয়াসকে কর্তৃপক্ষ প্রতিহত করবেন, আমরা এই প্রত্যাশা করি।
অন্যথায় গুণগত শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে যুগোপযোগী বৈশ্বিক প্রেক্ষিতে যোগ্য মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য যুব সমাজের যে স্বপ্ন তা ধূলিস্যাৎ হবে। রাজনৈতিক বিবেচনায় বা অন্যকোন সাময়িক সুবিধা অন্বেষী স্বার্থান্বেষী চক্রান্তের কাছে জিম্মি হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের আত্মঘাতী অবস্থান প্রতিরোধের আহ্বান জানায় টিআইবি।
উত্থাপিত অভিযোগের নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্ত মূলক জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হলে একদিকে যেমন এই অনিয়ম প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করবে, অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে গভীরতর আস্থাহীনতার শিকার হবে।