১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
পরিবেশবাদীদের দাবি

‘মশা নিধনে সরকার পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে না’

- নয়া দিগন্ত

সরকারের অবহেলার কারণে ডেঙ্গু আজ সারাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সরকার এখনও মশা নিধনে সুপরিকল্পিত ও পূর্ণ শক্তিতে কাজ করছে না। সরকার মশার বংশ বিস্তার রোধে ব্যর্থ হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক গণসমাবেশে পরিবেশবাদীরা এ অভিযোগ করেন। ঢাকাসহ সারাদেশের মশার জন্ম ও আবাসস্থল ধ্বংস করা ও স্থানীয় সরকার, পৌরসভা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড, জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়া, শিল্প, ব্যবসা, নির্মাণ, সামাজিক প্রতিষ্ঠানকে পরিচ্ছন্নতা কাজে যুক্ত করার দাবিতে আয়োজিত গণসমাবেশ বক্তারা একথা বলেন।

বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মোঃ আব্দুল মতিনের সভাপতিত্বে এবং বাপা’র যুগ্ম-সম্পাদক ও গ্রীনভয়েসের প্রতিষ্ঠাতা সমন্বয়ক আলমগীর কবিরের সঞ্চালনায় গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন- ডক্টরস ফর হেলথ এন্ড এনভায়রনমেন্ট’র সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহমান, বাপা’র যুগ্ম-সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, শরীফ জামিল, বাপার নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. মাহবুব হোসেন, পিএইচএম-বাংলাদেশ’র সমন্বয়ক আমিনুর রসুল, স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি’র পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহম্মেদ কামরুজ্জামান মজুমদার, নিরাপদ ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন’র প্রধান নির্বাহী ইবনুল সাঈদ রানা, প্রকৃতি ও নগর সৌন্দর্যবিদ রাফেয়া আবেদীন, কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আমিন, গবেষক একরাম হোসেন, পুরান ঢাকা নাগরিক উদ্যোগ’র সভাপতি নাজিম উদ্দিন, আদি ঢাকাবাসী ফোরাম’র সভাপতি জাভেদ জাহান প্রমূখ।
এছাড়াও এতে উপস্থিত ছিলেন- বাপা’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিদুল হক খান, বাপা’র নির্বাহী সদস্য ও বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী জাকির হোসেন, সিডিপি’র খোকন সিকদার, পরিবেশ রক্ষা এখনই’র সমন্বয়ক জহুরুল ইসলাম, ঢাকা ইয়ুথ ক্লাব ইন্টারন্যাশনাল’র সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মহাজন প্রমূখ।

সভাপতির বক্তব্যে বাপা’র সাধারণ সম্পাদক ডা. মোঃ আব্দুল মতিন বলেন, দেশে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে। সরকার এখনও মশা নিধনে সুপরিকল্পিত ও পূর্ণ শক্তিতে কাজ করছে বলে আমার মনে হয় না। সরকার মশার বংশ বিস্তার রোধে ব্যর্থ হয়েছে। বিদেশ থেকে মশা নিধনের আনা ওষুধ পরীক্ষা ছাড়াই ব্যবহার করছে বলে পত্রিকান্তরে জানা গেছে, তাই এ ওষুধের কার্যক্ষমতা নিয়েও জনমনে সংশয় দেখা দিয়েছে। এডিস মশার বিস্তার শুধু বাংলাদেশেই নয় বরং সারাবিশ্বে, কিন্তু সেখানে তারা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে মশার বিস্তাররোধে সক্ষম হয়েছে। এতে সরকারের পাশাপাশি সমাজের প্রতিটি ব্যক্তি ও সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানকে, এ কাজে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহনের আহবান জানানো হয়।

অধ্যাপক ডা. ফজলুর রহমান বলেন, সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থা ও ব্যক্তি ডেঙ্গু নির্মূলে তাদের দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে।

মিহির বিশ্বাস বলেন, বর্তমানে ডেঙ্গু একটি আতঙ্কের নাম। সারাদেশে এটা ছড়িয়ে গেছে।

শরীফ জামিল বলেন, সরকারের কতিপয় লোকের কাছে আজ সাধারণ মানুষ উপহাসের পাত্র। সারাদেশে ডেঙ্গুতে মানুষ মরছে আর সরকারী আমলা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উদাসীন। তিনি বলেন, এর সঙ্গে জড়িত সবাইকে একদিন মানুষের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।

অধ্যাপক ড. আহম্মেদ কামরুজ্জামান মজুমদার বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও জীববৈচিত্রের প্রভাবে মশার বংশ বিস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের অতিলোভের কারণে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রা চরমে উঠেছে, যার ফলে মশার বিস্তার বৃদ্ধি পেয়েছে।

আমিনুর রসুল বলেন, সরকারী ও বেসরকারী বড় বড় নির্মাণ প্রতিষ্ঠান বিআরটিসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের রাখা পরিত্যক্ত গাড়ীর ভাগাড়গুলো এডিস মশার আবাসস্থল।


আরো সংবাদ



premium cement