১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`
যাত্রী কল্যাণ সমিতির অভিযোগ

ঈদযাত্রায় সড়ক নৌ ও আকাশপথে ভাড়া নৈরাজ্য চলছে

ঈদযাত্রায় সড়ক নৌ ও আকাশপথে ভাড়া নৈরাজ্য চলছে - সংগৃহীত

ঈদযাত্রায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চলছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। ট্রেনের সিডিউল লন্ডভন্ড হওয়ায় রেলপথের যাত্রীসাধারণ অবর্ণনীয় দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রী অধিকার সংরক্ষণকারী এই সংগঠনটি।

গত কয়েদিনের ঈদযাত্রা পর্যবেক্ষণ শেষে শনিবার সকালে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এই অভিযোগ করে সংগঠনটি।

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সড়ক পথে হতেগুনা কয়েকটি রুট ছাড়া প্রায় সবকটি রুটে ঈদযাত্রার যাত্রীসাধারণ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের শিকার হচ্ছে। নৌ-পথে লঞ্চের কর্মচারীরা ডেকে তাদের চাঁদর বিছিয়ে রেখে ডেকশ্রেণীর যাত্রীদের কাছ থেকে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে। আবার টিকিটেও বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে। লঞ্চঘাট ও খেয়াঘাট গুলোতে নিয়োজিত ইজারাদাররা ঘাট ইজারার নামে, খেয়া পারাপারের নাম অতিরিক্ত টোল আদায়ের মহোৎসবে মেতে উঠেছে। সরকারের পক্ষ থেকে নানা ধরণের উদ্যোগ থাকার সত্বেও যাত্রীরা এহেন নৈরাজ্যের শিকার হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সংগঠনটি আরো দাবী করেন, রেলপথে বেশিরভাগ ট্রেনের শিডিউল লন্ডভন্ড থাকায় রেলপথের যাত্রীসাধারণ পরিবার-পরিজন নিয়ে স্টেশনে এসে অবর্নণীয় দূর্ভোগের শিকার হচ্ছে। আকাশপথে কোন কোন রুটে ঈদযাত্রার টিকিট ৩ থেকে ৪ গুণ বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে। সড়ক, নৌ ও রেল-পথে বিভিন্ন সংস্থার তৎপরতা থাকলেও আকাশপথে ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বা অন্য কোন সংস্থার তৎপরতা দেখা যায়নি।

সংগঠনের মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরীর অভিযোগ, এহেন ভাড়া নৈরাজ্য ও টিকিট কালোবাজারী বন্ধ করা না গেলে ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও পণ্যবাহী পরিবহনে নিম্ন আয়ের লোকজনের যাতায়াত কোনভাবেই ঠেকানো যাবেনা। এতে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানী বাড়বে। গণপরিবহন সংকটের কারণে ও কম ভাড়ায় যাতায়াতের আশায় নিন্মআয়ের লোকজন ফিটনেসবিহীন যানবাহন, পণ্যবাহী যানবাহন, বাস-ট্রেন ও লঞ্চের ছাদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হচ্ছে। তিনি অনতিবিলম্বে ঈদযাত্রায় এহেন ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানী বন্ধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানান।

সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরো বলেন, বিগত ঈদের চেয়ে এবার রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি ভালো থাকায় বাসের ট্রিপ সংখ্যা বেড়েছে, নৌ-পথে বেশকটি নৌরুটের ড্রেজিং সম্পন্ন হওয়ায় নৌরুটেও এর সুফল মিলেছে। এহেন সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পরও ভাড়া নৈরাজ্য ও যাত্রী হয়রানী মেনে নেওয়া যায় না বিবৃতিতে দাবী করেন তিনি।।


আরো সংবাদ



premium cement