ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের আল্টিমেটাম
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ১৪ মে ২০১৯, ১৪:৫১
৪৮ ঘন্টার মধ্যে সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি বাতিল না করা হলে অনশন করার হুমকি দিয়েছে ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতরা। পাশাপাশি তারা বলছে, সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশেই মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগ নেত্রীদের উপর হামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তারা। এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিও পক্ষপাতদুষ্টু বলে জানিয়েছে তারা।
এর আগে ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে তারা। এ সময় ‘কমিটি মানি না’ বলে স্লোগান দেয় সংগঠনটির পদ বঞ্চিতরা।
সাংবাদিক সম্মেলনে রোকেয়া হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি বিএম লিপি আক্তার বলেন, ‘আমি রোকেয়া হলের সভাপতি ও ডাকসুর কমনরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা অবস্থায় আমাকে ছাত্রলীগের উপ সম্পাদক পদ দেওয়া হয়েছে। আমি ছাত্রলীগের সেক্রেটারিকে জিজ্ঞেস করেছি যে, কোন ক্রাইটেরিয়ার ভিত্তিতে আপনি আমাকে ছাত্রলীগের উপ-সম্পাদক পদ দিয়েছেন। তিনি উত্তর দিয়েছেন, ডাকসুর গুরুত্বপূর্ণ পদে আছি বলে আমাকে এই পদ দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমার প্রশ্ন হলো- আপনি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে থেকেও তাহলে কেন ডাকসু নির্বাচন করলেন।’
এসময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছে তারা শোভন-রাব্বানী কমিটির ৮-১০ মাস রাজনীতি করেছে, তাদের পেছনে-পেছনে ঘুরেছে। তাদের মেকানিজমে যারা তাদেরকেই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে। আগের দুই কমিটির ত্যাগী কাউকে রাখা হয়নি।’
এসময় তিনি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কমিটি বাতিল করা না হলে সবাই মিলে অনশন করার হুশিয়ারি দেন তিনি।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক সাইফ বাবু বলেন, ‘আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি বিগত সময়গুলোতে যারা সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিল, তাদের একটি বৃহৎ অংশকে বাদ কিংবা সঠিক পদে মূল্যায়ন না করে ছাত্রলীগে নিষ্ক্রিয়, সাবেক চাকরীজীবী, বিবাহিত, অছাত্র, গঠনতন্ত্রের অধিক বয়স্ক, বিভিন্ন মামলার আসামি, মাদকসেবী, মাদক ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন অপকর্মের দায়ে ছাত্রলীগ থেকে বহিস্কৃতসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের পদায়ন করা হয়েছে। এমন ব্যক্তিদের পদায়ন দেখে ছাত্রলীগের একজন নিবেদিত প্রাণকর্মী হিসেবে আমাদের বঞ্চিত করেছে।’
এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘অধিকাংশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীকে বাদ দিয়ে যে কমিটি করা হয়েছে তা ভেঙে দিতে হবে।’ এছাড়া অধিক তদন্তের মাধ্যমে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু ও অর্থবহ কমিটি করার দাবি জানান তিনি।