বিকৃত বয়ানের মধ্যদিয়ে শেষ হচ্ছে ইতিহাসের তাৎপর্যপুর্ণ মাস : জেএসডি
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ১৮ মার্চ ২০১৯, ১৭:৪২
জেএসডি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন বলেছেন, খণ্ডিত ও বিকৃত বয়ানের মধ্যদিয়ে শেষ হতে যাচ্ছে বাঙ্গালীর ইতিহাসের তাৎপর্যপুর্ণ মাস। এক বিবৃতিতে রোববার জেএসডি নেতৃবৃন্দ একথা বলেন।
তারা আরো বলেন, এ মাসেই বাঙ্গালীর স্বাধিকার সংগ্রাম স্বাধীনতার চেতনা লাভ করে। যার প্রথম পদক্ষেপ সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে গঠিত নিউক্লিয়াসের উদ্যোগে ১লা মার্চ স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন, ২ মার্চ পতাকা উত্তোলন ও ৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ এর মত ঘটনা সংঘটিত হয়। এর পর আসে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ।
বিবৃতিতে বলা হয়, তবে প্রকৃত ইতিহাস হলো বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণে এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম-এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম এ বাক্য দুটি সংযুক্ত করার ক্ষেত্রে স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াস ও বিএলএফ এর অগ্রণী ভূমিকা ছিলো। পুর্ণ ভাষণটিও নিউক্লিয়াস, বিএলএফ ও ৫ সদস্য বিশিষ্ট আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড বারবার দেখেছেন, পর্যালোচনা করেছেন, উন্নত করার চেষ্টা করেছেন। অথচ কোন পত্রিকার লেখা, টেলিভিশনের প্রচার, সরকারী কর্তা ব্যক্তিদের বক্তব্যে এ সত্য বেরিয়ে আসেনি। কেউ উদ্ধৃত করেননি যে, বঙ্গবন্ধু অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়ার পর নিউক্লিয়াস, স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ও বিএলএফ দেশে বিকল্প একটি গণ প্রশাসন গড়ে তুলেছিল। এই প্রশাসন পরিচালিত হয়েছে ছাত্র ব্রিগেড, যুব ব্রিগেড, শ্রমিক ব্রিগেড ও কর্মচারী ব্রিগেডের দ্বারা। তারা লঞ্চ, ষ্টিমার থেকে শুরু করে ল্যান্ড ট্রাফিক, এয়ার পোর্ট, রেলওয়ে সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করেছেন। রক্ষা করেছেন আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি। স্বাধীনতার পর ১৬ দিন মুক্তি বাহিনীর প্রশাসন অব্যাহত থাকা অবস্থায় দেশে যেমন কোন চুরি-ডাকাতি, অন্যায়-অনাচার হয়নি, তেমনি মার্চে সেই ব্রিগেড সমুহের দ্বারা যখন সবকিছু পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ হয়েছে তখনও দেশে কোন অপরাধ সংঘটিত হয়নি। এ সকল ঘটনা আমাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয় স্বাধীন দেশে জনগণের অংশীদারিত্বমূলক রাষ্ট্র-প্রশাসন কেমন হওয়া উচিত। এই শিক্ষাকে জনমনে দৃঢ় করার স্বার্থেই মার্চের প্রকৃত ও পুর্ণাঙ্গ ইতিহাস জনসম্মুখে তুলে ধরা উচিত।