অতর্কিত উচ্ছেদে ১১ হাজার বস্তিবাসী গৃহহীন হয়ে পড়েছে
- নিজস্ব প্রতিবেদক
- ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ১৪:৪৮
অতর্কিতভাবে ধামালকোটের সৌখিন রোড, নারব রোডসহ ধামালকোট এলাকায় উচ্ছেদে এগার হাজার বস্তিবাসী গৃহহীন হয়ে পড়েছে। তারা এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে, যা মানবাধিকার লংঘন।
জাতীয় প্রেসক্লাবে আব্দুস সালাম অডিটরিযামে আজ মঙ্গলবার এনবাস, ইন্ডিবাস, বস্তিবাসি সুরক্ষা কমিটি, বস্তিবাসী ইউনিয়নের উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ তুলে ধরা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, এনবাস সাধারণ সম্পাদক ফাতেমা আক্তার।
কাপ-এর সহ-সভাপতি কাজী বেবীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আব্দুল বারেক, হোসনে আরা রাফেজা, হান্নান আকান্দ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয় গত, ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে কোনো নোটিশ ছাড়াই অতর্কিতভাবে ধামালকোটের সৌখিন রোড, নারব রোডসহ ধামালকোট এলাকায় উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলে। এতে ১১ হাজার বস্তিবাসীরা গৃহহীন হয়ে পড়েছে। সার্বজনীন মানবাধিকার সনদ, জাতীয় গৃহায়ন নীতিমালা ও হ্যাবিটাট (১ ও ২) সনদ অনুযায়ী গৃহহীন নগর দরিদ্রদের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত বাসস্থান নিশ্চিত করতে হবে।
বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী গৃহহীনদের পুনর্বাসনের অঙ্গীকার করেছেন। কিন্তু জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ পূনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের সাথে আলোচনা না করে বস্তি উচ্ছেদ করেছে।
উল্লেখ্য, স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের নিকট বিক্রয়ের জন্য আটটি ১৫তলা বিশিষ্ট আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। এতে দেখা যাবে যে, মধ্যম আয়ের মানুষ ফ্ল্যাট বরাদ্দ পাবেন। নি¤œ আয়ের বস্তিবাসীরা এতে বঞ্চিত হবেন।
পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় বস্তিবাসীদের তালিকা করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়ার দাবি জানানো হয়।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বস্তিবাসীদের বাদ দিয়ে নগর সচল রাখা যাবে না। নি¤œ আয়ের মানুষদের আবাসনের সুবিধা না থাকলে ঢাকা সবার জন্য হবে না এবং নগর অচল হয়ে পড়বে।