জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত
- জবি প্রতিবেদক
- ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ২০:৫৬
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজোয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রব্বানী সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের এক জরুরী সিদ্ধান্ত মোতাবেক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের স্থগিত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলো এবং একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের সকল কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ প্রদান করা হলো। অনতিবিলম্বে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছে গ্রহণযোগ্য, মেধাবী, সৃজনশীল ও মানবিক নেতৃত্ব উপহার দিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বদ্ধপরিকর।
বিশ্ববিদ্যালয় সুত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে তরিকুল ইসলামকে সভাপতি ও শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৯ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। নতুন কমিটি গঠনের পরে শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা নিজ কর্মীদের মারধর, সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিত্যদিন মারধর, চাঁদাবাজি, প্রশ্নফাঁস, যৌন হয়রানি সহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হতে শুরু করে।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি প্রেমকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তরিকুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ জয়নুল আবেদিন রাসেলের কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ শাখা ছাত্রলীগের সকল সাংগঠনিক কার্যক্রম স্থগিত করে। কেন্দ্রের নিদের্শনা অমান্য করে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যান্য পদধারী নেতারা ক্যাম্পাসে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে মহড়া দিতে থাকে।
গত সোমবার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবার দিনভর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুগ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সংঘর্ষে দৈনিক সমকালের ক্যাম্পাস প্রতিনিধি লতিফুল ইসলাম, দৈনিক সংবাদের রাকিব ইসলাম, খবরপত্রের সোহাগ রাসিফ সহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়।
সংঘর্ষের সময় সাত-আটটি ককটেল বিষ্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এসময় তাদের হাতে ককটেল, চাইনিজ কুড়াল, চাপাতি, রামদা, বটি, হকি স্টিক সহ দেশীও ধারালা অস্ত্র দেখা যায়। পরে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এর আগে কমিটি স্থগিত করে তাদের (বাতিল কমিটি) সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু চলমান বিবাদ থামাতে তারা ব্যর্থ হয়।