১৮ নভেম্বর ২০২৪, ৩ অগ্রহায়ন ১৪৩০, ১৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

হামলা ও গ্রেফতারে ছাত্রশিবিরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

- ফাইল ছবি

ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ সভাপতি ইয়াকুব হোসাইনসহ সারাদেশে ছাত্র নেতৃবৃন্দের উপর হামলা ও গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।

এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, আসন্ন নির্বাচনে নিজেদের করুন পরাজয় হবে বুঝতে পেরে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েছে অবৈধ সরকার। দেশের মুক্তিকামী জনতাকে দমন করতে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে সারাদেশে গণগ্রেপ্তার ও নির্যাতন চালাচ্ছে।

আজ কোন কারণ ছাড়াই ছাত্রশিবির নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ সভাপতি ইয়াকুব, জেলা ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক ইয়াছিন রাশেদ, কোম্পানিগঞ্জ সাথী শাখা সভাপতি টিপুসহ জামায়াত শিবির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। রংপুরে ছাত্রশিবিরের ইউনিয়ন সভাপতির উপর বর্বর হামলা চালিয়েছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে তিনি এখন হাসপাতালে আছেন।

একইভাবে সারাদেশে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের উপর নির্বিচার গণগ্রেপ্তার চালাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। যা গত কয়েকদিন যাবত চলছে। পরিকল্পিত ভাবে সারাদেশে জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের উপর ধরপাকড় চালাচ্ছে সরকার। সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ ছাড়া গণগ্রেপ্তার করে অবৈধ সরকার তার বিকৃত বাকশালী রুপ প্রকাশ করছে। অবৈধ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার যে জনগণের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা তাদের আচরণে স্পষ্ট ফুটে উঠেছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরী করার নিশ্চয়তা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু প্রতিদিন জামায়াত শিবির নেতাকর্মীসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের উপর গ্রেপ্তার, হামলা মামলা নির্যাতন হলেও নির্বাচন কমিশন অস্বাভাবিক নীরব ভূমিকা পালন করছে। এতে প্রমাণ হয় নির্বাচন কমিশনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের ঘোষণা প্রতারণা ছাড়া কিছু নয়।

রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাস্তবায়ন করতে অবৈধ সরকার চূড়ান্ত অগণতান্ত্রিক আচরণ করছে। সরকার সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার নামে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা জামায়াত শিবির নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন নিপীড়ণ চালাচ্ছে। এসব কর্মকান্ডে নির্বাচন কমিশনের নিস্ক্রিয়তায় প্রমাণ হয় এসব অরাজকতায় তাদের পরোক্ষ মদদ রয়েছে। নির্বাচন কমিশন এমন একপেশে দায়িত্বহীন ভূমিকা পালন করলে কোন ভাবেই একটি সুষ্ঠ নির্বাচন সম্ভব নয়।

অবৈধ সরকারের সর্বগ্রাসী কর্মকান্ড ও নির্বাচন কমিশনের লজ্জাজনক ভূমিকায় মনে হচ্ছে দেশে আরেকবার ভোটাধিকার হরণের আয়োজন হচ্ছে। আমরা হুশিয়ার করে বলতে চাই, জনগণের ধর্য্যরে বাধ ভেঙ্গে যাচ্ছে। মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছে। জনগণের ভোটাধিকার নিয়ে আবারো ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করা হলে এর পরণতি শুভ হবে না।

অবিলম্বে গ্রেপ্তার নির্যাতন বন্ধ করে নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে। নির্বাচন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় দেশে যে কোন সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার জন্য অবৈধ সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে দায়ী থাকতে হবে।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল