নির্বাচনী ইশতেহার : বিএফইউজে’র ১৪ দফা প্রস্তাব
- প্রেস বিজ্ঞপ্তি
- ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ১৭:৩৮, আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:০০
সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে’র নির্বাহী পরিষদ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতিহারে গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিল, বন্ধ সব গণমাধ্যম খুলে দেওয়া, সাগর-রুনীসহ সকল সাংবাদিক হত্যা নির্যাতনের বিচার, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারসহ ১৪ দফা অঙ্গীকার অন্তর্ভূক্ত করার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতি আহবান জানিয়েছে।
শুক্রবার অনুষ্ঠিত বিএফইউজে নির্বাহী পরিষদের সভায় গৃহীত প্রস্তাবে এ আহবান জানানো হয়। এ ছাড়া সভায় গণমাধ্যমের ওপর প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সব ধরণের চাপ ও হুমকি বন্ধ, নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং বিধিনিষেধ প্রত্যাহার, সারাদেশে ভিন্নমতের সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুতি ও হয়রানি বন্ধের আহবান জানানো হয়েছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবে অবস্থিত বিএফইউজে’র নিজস্ব কার্যালয়ে এ সভা অনুর্ষ্ঠিত হয়। বিএফইউজে’র সভাপতি রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভা পরিচালনা করেন মহাসচিব এম আবদুল্লাহ। সভায় নির্বাহী পরিষদের কর্মকর্তা ছাড়াও সারাদেশ থেকে বিভিন্ন অঙ্গ ইউনিয়নের নেতারা অংশগ্রহণ করেন।
প্রস্তাবিত ১৪ দফা
১. সাগর-রুনীসহ সকল সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতনের বিচার করতে হবে।
২. মুক্ত সাংবাদিকতা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাবিরোধী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশনেই বাতিল করতে হবে।
৩. জাতীয় সম্প্রচার আইন ও অনলাইন নীতিমালার গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী ধারা বাতিল করতে হবে।
৪. দৈনিক আমার দেশ, দিগন্ত টিভি, ইসলামিক টিভি, চ্যানেল ওয়ান, ৩৫টি অনলাইনসহ বন্ধ করে দেওয়া সংবাদ মাধ্যম খুলে দিতে হবে।
৫. সরকারি আদেশে বন্ধ হওয়া গণমাধ্যমের বেকার সাংবাদিকদের বেকার ভাতাসহ উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করতে হবে।
৬. আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জ্যেষ্ঠ সম্পাদক শফিক রেহমান, বিএফইউজে ও জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বিএফইউজে মহাসচিব এম আবদুল্লাহসহ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৭. জাতীয় বেতন স্কেলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাংবাদিকদের জন্য স্থায়ী ওয়েজবোর্ড গঠন করতে হবে। নবম ওয়েজবোর্ড পুনর্গঠন করে অবিলম্বে বেসরকারি টেলিভিশনসহ সব গণমাধ্য নতুন বেতন কাঠামো কার্যকর করতে হবে।
৮. ভিন্নমতের সংবাদপত্রে সরকারি বিজ্ঞাপন বৈষম্য দূর এবং সরকারি বিজ্ঞাপনের মূল্যহার অন্ততঃ ১০০% বৃদ্ধি এবং সংবাদপেত্রর নিউজপ্রিন্টের আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক প্রত্যাহার করতে হবে।
৯. বেসরকারি টেলিভিনের টকশো’ ও সংবাদের ওপর দৃশ্য-অদৃশ্য চাপ ও খবরদারি বন্ধ করতে হবে ।
১০. নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচারে সাংবাদিক ও গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্বাচন কমিশন এবং সরকারের আরোপ করা বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করতে হবে।
১১. সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ন্যায় সাংবাদিকদের জন্য প্রতিকী সুদে আবাসন ও গাড়ির ঋণ সুবিধা প্রদান করতে হবে।
১২. সাংবাদিক কল্যাণ তহবিল পরিচালনার দায়িত্ব নিরপেক্ষ কর্তৃপক্ষের কাছে ন্যস্ত করে ওই তহবিলে প্রতি বছর বাজেট থেকে এক হাজার কোটি টাকার থোক বরাদ্দ দিতে হবে।
১৩. অবসরের পর সাংবাদিকদের কল্যাণ তহবিল থেকে আজীবন পেনশন প্রদান করতে হবে।
১৪. পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আহত ও গুরুতর অসুস্থ সাংবাদিকদের সরকারি খরচে উন্নত চিকিৎসার স্থায়ী ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সহ সভাপতি নুরুল আমিন রোকন, মোদাব্বের হোসেন ও শামসুদ্দিন হারুন, সহকারি মহাসচিব আহমদ মতিউর রহমান, শফিউল আলম দোলন ও জিএএম আশেক উল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী মাসুদ, দফতর সম্পাদক আবু ইউসূফ, প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জমান আসাদ, নির্বাহী সদস্য সাদ বিন রাবি, নাসির আল মামুন, সৈয়দ ফজলে রাব্বি ডলার, শাহ আলম শফি, শফিকুল ইসলাম স্বপন, রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবদুল আউয়াল, মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন খুলনার সহসভাপতি এহতেশামুল হক শাওন, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সাধারণ সম্পাদক আকরামুজ্জমান, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি মীর্জা সেলিম রেজা, সাংবাদিক ইউনিয়ন কক্সবাজারের সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রমিজ খান ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক, কুষ্টিয়া জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবদুর রাজ্জাক বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আবু বকর, সাংবাদিক ইউনিয়ন দিনাজপুরের সাধারণ সম্পাদক মাহফিজুল ইসলাম রিপন, সাংবাদিক ইউনিয়ন ময়মনসিংহের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম. সাংবাদিক ইউনিয়ন গাজীপুরের সভাপতি এইচ এম দেলওয়ার প্রমুখ।