প্রশাসনের উপর ইসির কোন কর্তৃত্ব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না : জামায়াত
- বিজ্ঞপ্তি
- ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮, ২১:৩৯
নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার সদর ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি খাইরুল বাসার জুয়েলসহ ৬জন এবং সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় জামায়াত নেতা গোলজার হোসেন গিয়াসসহ ৩জন নেতা-কর্মী উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করে নাটোর কারাগার থেকে গত ৩ ডিসেম্বর মুক্তি লাভ করার পর লালপুর থানা ও সিংড়া থানা পুলিশ তাদেরকে পুন:রায় জেলগেট থেকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে নতুন মিথ্যা মামলা দেয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছে দলটি।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, নেতা-কর্মীরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করে মুক্তি লাভ করার পরে পুন:রায় লালপুর ও সিংড়া থানা পুলিশ তাদের জেলগেট থেকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে তারা দেশের উচ্চ আদালতের প্রতি অবজ্ঞা ও অসম্মান প্রদর্শন করেছেন। আমি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, আইনানুগত নাগরিক হিসাবে লালপুর ও সিংড়া উপজেলা জামায়াতের নেতা-কর্মীরা উচ্চ-আদালত থেকে জামিন গ্রহণ করেছেন। তার পরেও পুলিশ তাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুলিশ আইন লংঘন করেছে। আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তব্য হলো আইনের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে আইন মেনে চলা। তারাই যদি আইন-লংঘণ করেন এবং আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করেন তাহলে দেশের অসহায় মানুষ কার কাছে নিরাপত্তা চাইবে?
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসীল ঘোষণার পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী ও প্রশাসনের উপর পুর্ণকর্র্তৃত্ব থাকা উচিত নির্বাচন কমিশনের, কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের উপর নির্বাচন কমিশনের কোন কর্তৃত্বই তো লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। এই অবস্থায় অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করা কিভাবে সম্ভব?
অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থেই নাটোর জেলার লালপুর ও সিংড়াসহ সারা দেশে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের এবং অন্যান্য বিরোধী দলের গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান এ জামায়াত নেতা।