দেশব্যাপী নেতাকর্মীদের গ্রেফতার নিয়ে যা বলল জামায়াত
- বিজ্ঞপ্তি
- ২৫ নভেম্বর ২০১৮, ২১:১৮, আপডেট: ২৫ নভেম্বর ২০১৮, ২১:৩২
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সিলেট মহানগরী শাখার সেক্রেটারী মাওলানা সোহেল আহমাদকে, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী ও মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান মাওলানা মাহবুব উল আলম এবং মেহেরপুর সদর উপজেলা শাখা জামায়াতের আমীর ডা. জামাল উদ্দিনকে, ঝিনাইদহ জেলা শাখার বায়তুলমাল সেক্রেটারী মাষ্টার মোঃ আলাউদ্দিন ও লিগ্যাল এইড সেক্রেটারী মাওলানা মফিজুল হককে গত ২৪ নভেম্বর এবং ঝিনাইদহ শহর শাখা জামায়াতের সদস্য (রুকন) অ্যাডভোকেট শফিউল আলম ও হরিণাকুণ্ডু পৌরসভা শাখা জামায়াতের সদস্য (রুকন) জনাব মোঃ বদরউদ্দীনকে ২৫ নভেম্বর পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
আজ ২৫ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন, “সরকার ও সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় না বলেই তফসিল ঘোষণার পরও সিলেট, মেহেরপুর, ঝিনাইদহসহ সারা দেশে বেছে বেছে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের অব্যাহতভাবে গ্রেফতর করে নির্বাচনের পরিবেশ ধ্বংস করছে। আমি সরকার ও আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের পক্ষপাত দুষ্ট ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
নির্বাচন কমিশন একদিকে বলছে যে, ‘গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না।’ অথচ গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়াই জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের পুলিশ অবাধে গ্রেফতার করে মিথ্যা মামলা দায়ের করে কারাগারে পাঠাচ্ছে।
আবার গত ২৪ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার জনাব কেএম নূরুল হুদা বলেছেন, ‘ইসির নির্দেশ ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। প্রশাসন ইসির নির্দেশ মেনে চলছে। সকল দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড রয়েছে।’ তার এ বক্তব্যের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর যে সব লোকদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের গ্রেফতারের দায়ভার তিনি নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।
এভাবে নির্বাচন কমিশন যদি নিজেরাই আইন ও আচরণবিধি লংঘন করে তাহলে সকল দলের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হলো কিভাবে? তার নিজের কথাতেই প্রমাণিত হচ্ছে যে, তিনি সরকারের সাথে সুর মিলিয়ে একইভাবে মিথ্যাচার করছেন। তার এ দ্বিমুখী ভূমিকার কারণে অবাধ, সুষ্ঠু’, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কা দেশবাসীর মনে আরো প্রকট হচ্ছে।
এ অবস্থা চলতে থাকলে তাদের দ্বারা অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা কিছুতেই সম্ভব হবে না। সরকার ও নির্বাচন কমিশনের পক্ষপাতমূলক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বাথে অবিলম্বে গ্রেফতার অভিযান বন্ধ করে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ অন্যান্য বিরোধী দলের সারা দেশে গ্রেফতারকৃত সকল নেতা-কর্মীকে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”