গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলাকারীদের শাস্তির দাবি করেছে সাদা দল
- বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক
- ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ২১:২১
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে সন্ত্রাসী হামলা, ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট, ছাত্রী হলে হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াত সমর্থক শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। এ ঘটনায় চিহ্নিত দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তারা। এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়।
বিবৃতিতে সাদা দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। গত চার দশকের বেশি সময় ধরে আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে তার প্রতিষ্ঠানটি । আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ করছি যে, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সরকার বিরোধী জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনে নেতৃত্ব দেওয়ার পরপরই তাঁর ও তাঁর প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র শুরু করা হয়েছে। গত দু’সপ্তাহের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে একটি রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলাসহ জমি দখলের চেষ্টা, ভাঙচুর এবং গাছ, মাছ ও ফল চুরির অভিযোগে পাঁচটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সর্বশেষ গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ ভবনে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাট চালিয়ে তা দখলের অপচেষ্টা করা হচ্ছে। পুলিশের উপস্থিতিতে এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা মনে করি চলমান সরকার বিরোধী অন্দোলন থেকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে নিস্ক্রিয় করার জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। তারা এসকল ন্যাক্কারজনক ঘটনার জড়িতদের কঠোর আইনানুগ শাস্তি দাবি করেন। সেই সাথে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর বিরুদ্ধে সকল হয়রাণিমূলক মামলা প্রত্যাহরের জোর দাবি জানান।
সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও যুগ্ম আহ্বায়কদ্বয় অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক ড. মোঃ মোর্শেদ হাসান খান ছাড়াও বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ড. মো. আবুল কালাম সরকার, মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, ড. মো. শহিদুল ইসলাম, ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, মুক্তার আলি, মো. আল আমিন, ড. এএসএম আমানুল্লাহ, ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ড. মামুন আহমেদ, ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, ড. মোঃ মেহেদী মাসুদ, ড. নূরুল আমিন, ইসরাফিল প্রামাণিক রতন, ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ড. মোঃ মহিউদ্দিন, ড. মোঃ গোলাম রব্বানী, ড. সদরুল আমিন, ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, ড. মোঃ আখতার হোসেন খান, ড. মো: আবদুর রশীদ, অধ্যাপক আহমেদ জামাল আনোয়ার, ড. লায়লা নূর ইসলাম, ড. কামরুজ্জামান, ড. মোঃ এমরান কাইয়ুম, ড. হায়দার আলী, ড. মো. এনামুল হক, ড. দিলীপ কুমার বড়–য়া, ড. মো. মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া, ড. আবদুল আজিজ, অধ্যাপক তাহমিনা আখতার টফি, ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, হোসনে আরা বেগম, ড. মোঃ আবুল বাশার, ড. শেখ নজরুল ইসলাম, ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, ড. মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী, ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, ড. মোঃ হাসান উজ্জামান, ড. মহব্বত আলী, ড. মুহাম্মদ শামছুল আলম, ড. গোলাম রব্বানী, মোহাম্মদ দাউদ খান, মোঃ মেহেদী হাসান খান শহ দুই শতাধিক শিক্ষক।