সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতিকে কারাগারে পাঠানোয় যা বলল ছাত্রশিবির
- বিজ্ঞপ্তি
- ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১৭:০৮
ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, সাবেক সংসদ সদস্য, চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগড়া) আসনের জামায়াত মনোনিত প্রার্থী আ ন ম শামসুল ইসলামকে কারাগারে প্রেরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
এক যৌথ প্রতিবাদ বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত ও সেক্রেটারি জেনারেল মোবারক হোসাইন বলেন, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে অবৈধ সরকারের ফ্যাসিবাদি আচরণ দানবীয় রুপ ধারণ করেছে। নির্বাচন নিয়ে অশুভ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে জামায়াত প্রার্থীদের বাছাই করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। যা সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিপন্থি কাজ। আজ তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে সরকারের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন নিতে যান। সবাই আশা করেছিল মিথ্যা ও হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলায় আদালত তাকে জামিন দিবেন। কিন্তু আদালতে তাকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ও প্রতিহিংসামূলক মামলায় কারাগারে প্রেরণের মাধ্যমে তাকে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বায়বীয় মামলায় তাকে কারাগারে প্রেরণে কোন যৌক্তিকতা নেই এবং এর মাধ্যমে মূলত সরকারের ইচ্ছারই প্রতিফলন হয়েছে। স্বৈরাচারী এ সরকার এর আগেও বিনা কারণে তার উপর জেল জুলুম ও নির্যাতন চালিয়েছে। কোন কারণ ছাড়াই একটি বৈধ ও গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের নির্বিচারে গ্রেপ্তার নির্যাতন সরকারের অপরাজনীতিরই বিকৃত রুপ। গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ভীত সরকার একের পর নির্যাতনের ষ্টিম রোলার চালাচ্ছে। এই ভীতি থেকেই একটি নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে গ্রেপ্তার ও কারারুদ্ধ করতে কুণ্ঠবোধ করছে না। পুলিশী নির্যাতনের মাধ্যমে সরকার অপকর্ম আড়াল করে ক্ষুন্ন ইমেজ উদ্ধারের ব্যর্থ চেষ্টা চালাচ্ছে। ভয়াবহ পরিণতির আশঙ্কায় সরকার রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করে দমন নিপীড়ণের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। আ ন ম শামসুল ইসলাম শুধু সাবেক এমপি’ই নন বরং তিনি শিক্ষানুরাগি ও সমাজ সেবক। তিনি চট্টগ্রাম ১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগড়া) আসনের গণমানুষের প্রিয় নেতা। তার উপর জুলুম জনগণ সহ্য করবে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশ এখন সার্বিক ভাবে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। তার উপর এমন অগণতান্ত্রিক আচরণ সংকট আরো বৃদ্ধি করবে। সুতরাং অবিলম্বে অন্যায় জুলুম বন্ধ করতে হবে। গণতন্ত্র ধ্বংস ও একদলীয় শাসন কায়েমের মাধ্যমে অকার্যকার রাষ্ট্র বানানো অশুভ প্রক্রিয়া থেকে সরকারকে ফিরে আসতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া উন্মোক্ত করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশ এখন সার্বিক ভাবে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। তার উপর এমন অগণতান্ত্রিক আচরণ সংকট আরো বৃদ্ধি করবে। সুতরাং অবিলম্বে অন্যায় জুলুম বন্ধ করতে হবে। গণতন্ত্র ধ্বংস ও একদলীয় শাসন কায়েমের মাধ্যমে অকার্যকার রাষ্ট্র বানানো অশুভ প্রক্রিয়া থেকে সরকারকে ফিরে আসতে হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া উন্মোক্ত করতে হবে।
নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃত আ ন ম শামসুল ইসলামকে মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।