বদরের চেতনা ধারণ করে কোরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে-শিবির সভাপতি
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ০৩ জুন ২০১৮, ২০:২১, আপডেট: ০৩ জুন ২০১৮, ২০:২৮
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত বলেন, মাহে রমজান কোরআনের নাজিলের মাস, একই সাথে কোরআনের বিরোধীদের রুখে দেয়ার প্রত্যয়েরও মাস। বাতিল শক্তির কালো থাবা থেকে ইসলামকে রক্ষা করতে বদরের চেতনাকে ধারণ করতে হবে। একই সাথে কোরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে।
তিনি রোববার রাজধানীতে ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগরী পশ্চিম শাখা আয়োজিত ঐতিহাসিক বদর দিবসের আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মহানগরী সভাপতি আব্দুল আলিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি যোবায়ের হোসেন রাজনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে মহানগরীর ছাত্রআন্দোলন সম্পাদক এনামুল হক,অফিস সম্পাদক আশরাফুল আলম ফেরদৌস, অর্থ সম্পাদক বোরহান উদ্দিনসহ মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শিবির সভাপতি বলেন, মাহে রমজান আল্লাহ তায়ালার এক বিরাট নেয়ামত। মুসলমানদের জন্য রমজান মাস যেসব কারণে গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে বদরের যুদ্ধ। এ যুদ্ধ ছিল সত্য ও মিথ্যার পার্থক্যকারী যুদ্ধ। এই যুদ্ধ শক্তি নয় বরং আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা রেখে বাতিলের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ার প্রেরণা যুগায়। ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের জন্য এই ইতিহাস অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বদর প্রান্তরে বাতিল পরাজিত হয়েছিল। কিন্তু সত্য মিথ্যার এই সংঘাত শেষ হয়ে যায়নি। বরং নব্য জাহিলিয়াতের রুপ ধারণ করেছে। তাই বর্তমান জুলুম নির্যাতনের সময়েও ইসলামী আন্দোনলের কর্মীরা বাতিলের মোকাবেলায় দৃঢ়তার সাথে এগিয়ে যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এই যুদ্ধের সবচেয়ে বড় শিক্ষণীয় বিষয় হচ্ছে সব কিছুর জন্য সবার উপরে মহান আল্লাহর ওপর ভরসা বা তাওয়াক্কুল করতে হবে। এই যুদ্ধ প্রমাণ করে সংখ্যা ও যুদ্ধ সরঞ্জামের কমবেশী বিজয়ের মাপকাঠি নয়, বরং আল্লাহর উপরে দৃঢ় ঈমান ও তাওয়াক্কুল হলো বিজয়ের মূল হাতিয়ার। এই যুদ্ধ আমাদের শিখিয়েছে জাগতিক সকল প্রস্ততির পরেও সাফল্যের জন্য র্নিভর করতে হবে একমাত্র মহান আল্লাহর ওপর। তবেই মহান আল্লাহর সাহায্য আসবে এবং বিজয়লাভ বা সফল হওয়া সম্ভব হবে। তাই নব্য জাহিলিয়াতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বদর যুদ্ধের শিক্ষাকে কাজে লাগানোর বিকল্প নাই। এক্ষেত্রে মাহে রমজানকে নিজেকে গঠনের জন্য সর্বোচ্চ কাজে লাগাতে হবে।