২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬ হিজরি
`

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনায় অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের নিন্দা

নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন - ছবি : সংগৃহীত

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ড. মো: আনোয়ার উল্ল্যাহ ও মহাসচিব মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, গত বুধবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের গুরুত্বপূর্ণ চারটি মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন ঘটনা। বড় দিনের ছুটির পর রাতে জনমানবহীন অবস্থায় সংঘটিত ঘটনাটি সুপরিকল্পিত মর্মে বিশেষজ্ঞদের মতামত থেকে প্রতীয়মান হয়েছে। কারো কারো মতে, এরূপ নাশকতামূলক কাজের পেছনে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে শেখ হাসিনার মদদপুষ্ট তথা স্বৈরাচারের দোসররা এখরো কর্মরত রয়েছে এবং ওই সরকারের দোসরদের অনেকের কাছে এখনো সচিবালয়ে প্রবেশের পাস থাকায় তারা সচিবালয়ে অবৈধভাবে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে। স্বৈরাচারের দোসরদের প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ সহযোগিতা ও প্রবেশের ফলে সংঘটিত ঘটনাটির সাথে ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠীর কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ ঘটনার পেছনে দেশবিরোধী সেই চক্র জড়িত কিনা সেটিও গভীরভাবে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সচিবালয়কে স্বৈরাচারের দোসরমুক্ত করাও এখন জরুরি বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

অ্যাসোসিয়েশন আরো লক্ষ্য করছে যে, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে অপরিণামদর্শী ও অযৌক্তিক লেখালেখির মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা ক্ষেত্রে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য একটি বিরূপ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশকে অস্থিতিশীল করার অপপ্রয়াসও চলছে। আমরা এ অপচেষ্টার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এহেন কাজ থেকে বিরত থাকাসহ জড়িতদের শিগগিরই চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাই।

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা দেশের তৃণমূল প্রশাসন থেকে সচিবালয় পর্যন্ত সরকারের নীতি ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকেন। জুলাই গণঅভ্যুথান পরবর্তী সময়ে ক্রান্তিলগ্নে যখন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল তখন থেকেই বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা মাঠ প্রশাসন ও সচিবালয়ে বিপ্লবী সরকারের অ্যাজেন্ডা এবং পলিসি বাস্তবায়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতেও সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নসহ সরকারকে স্থিতিশীল রাখতে এবং সর্বত্র সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একটি বৈষম্যহীন ও জনমুখী রাষ্ট্র বিনির্মাণে সকল কার্যক্রম বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালনে বন্ধপরিকর। অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন প্রত্যাশা করছে, আগুনের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তসহ স্বৈরাচার দোসরমুক্ত সচিবালয়ের কার্যক্রম সক্রিয় রাখার সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সফল হবে।


আরো সংবাদ



premium cement