সোনার দেশ- এটিই হবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩০
‘আমি আমার রাসূলগণকে কেবলমাত্র এ উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছি এবং তাদের ওপর কিতাব ও মানদণ্ড নাজিল করেছি, যাতে মানবজাতি ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়।' (সূরা হাদীদ : ২৫) এ কথা পবিত্র কুরআনে দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলে দেয়া হয়েছে। ইনসাফ ও ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে একটি সমাজ গড়ে তুলতে হলে এবং সমাজব্যবস্থায় কার্যকরভাবে ভারসাম্য ও ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠা করতে হলে মানুষের সৃষ্টিকর্তার চেয়ে আর কাউকে প্রাধান্য দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এই প্রমাণপত্রের স্বাক্ষর রেখেছেন বিশ্বনবী সা. তাঁর বর্ণিল জীবনের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। এজন্য তিনি যে নীতিগুলো গ্রহণ করেছেন তা মানবজাতির কল্যাণের জন্য আজীবন হাতছানি দিয়ে ডাকতে থাকবে। তাঁর নীতিগুলো ছিল- সহজ ও সম্ভব কাজ করা। এতেই সমাজের মধ্যে থেকে অশান্তির দাবানলকে বিদায় করে শান্তি শৃঙ্খলা ও সমাজ রাষ্ট্রের বিনির্মাণে অন্তরায় সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়া সম্ভব বলে মনে করেন 'শাহাদাত এর ক্ষুদ্র ভাবনা' সংগঠন আয়োজিত অনুষ্ঠানের বক্তারা।
শুক্রবার ২২ নভেম্বর সকালে রাজধানীর উত্তরা, হাউজ বিল্ডিং এলাকায় সামাজিক অরাজনৈতিক সেবামূলক সংগঠন ক্ষুদ্র ভাবনার পক্ষ থেকে দুই শতাধিক অসহায় মানুষের মাঝে খাবার ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংগঠনের প্রচার সম্পাদক ইমরান আহমেদের সঞ্চালনায় ও সংগঠনের সভাপতি শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে কার্যক্রম উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও আইনজীবী, জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব যোবায়ের। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান ও সংগঠক, মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ গণমাধ্যম উন্নয়ন সংস্থা ও জাতীয় জনতা ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার, কবি ও সাংবাদিক আল মায়ামী, মারুফ সরকার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট এহসানুল মাহবুব যোবায়ের বলেন, এ সমাজ যে পরিবর্তনযোগ্য নয়, আমি তা বিশ্বাস করি না। আমাদের এ ছাত্রসমাজকে দিয়ে দেশ ও সমাজ উন্নয়নের অনেক কিছু করার আশা আবার জেগেছে। প্রয়োজন সুস্থ ও সাবলীল উদ্দেশ্যভিত্তিক জবাবদিহি নেতৃত্ব। এই ছাত্রদেরকেই রামদা, কিরিচ, চাপাতি হাতে দিয়ে, কখনো পিটিয়ে অন্য ভাইকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে হত্যা করার অনেক বাস্তব ঘটনা আমরা দেখেছি। আবার এদেরই একটা বড় অংশকে দেশের প্রয়োজনে, মানুষের প্রয়োজনে সাহায্যের ডালি হাতে নিয়ে এগিয়ে আসতে দেখেছি।
তিনি বলেন, আমরা দেশ ও সমাজের পরিবর্তন চাই। দেশ ও সমাজ রাষ্ট্রব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। তাই আগে রাষ্ট্রপরিচালনার নীতি পরিবর্তনের ও সংস্কারের কথা আমাদের ভাবতে হবে। সংস্কারের এ সুযোগ এবার হাতছাড়া হয়ে গেলে দেশের স্থিতিশীলতা, উন্নতি ও স্বাধীনতা ভবিষ্যতে হুমকির মুখে পড়বে।
তিনি আরোও বলেন, ২৪-এর বিপ্লবোত্তর আগামী বাংলাদেশকে আমরা এমন এক সমাজের স্বপ্ন দেখি- যেখানে অজ্ঞতা থাকবে না, কুসংস্কার থাকবে না; সমাজের কোনো জনগোষ্ঠী ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গভেদে বৈষম্যের শিকার হবে না, থাকবে না ক্ষুধা; দারিদ্র্যমুক্ত একটি অসাম্প্র্রদায়িক প্রগতিশীল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক আধুনিক গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। যেখানে চোখ বন্ধ করলে মানসপটে ভেসে উঠবে সুজলা, সুফলা, শস্য-শ্যমলা সোনার দেশ- এটিই হবে ভবিষ্যতের বাংলাদেশ।
জাতীয় মানবাধিকার সমিতি চেয়ারম্যান মো : মঞ্জুর হোসেন ঈসা বলেন, রাষ্ট্রের বড় বড় পদে দলবাজ, সুবিধাভোগী ও তোষামোদকারীরা বসে আছেন, দেশ লুটে খাচ্ছেন; তাদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে। অপরাধীর বিচারে আপন-পর বিবেচনা এবং কোনোরকম দলীয় পক্ষপাতিত্ব আমরা কেউ দেখতে চাই না, যদিও আইনহীনতা ও পক্ষপাতিত্ব এদেশের প্রতিষ্ঠিত সংস্কৃতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যৎ জনকল্যাণকর রাষ্ট্র গড়ার জন্য এ ধরনের অপবাদ থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতেই হবে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা