রাজনৈতিক-রাষ্ট্র পরিচালনায় পরিবর্তন আনলে বিপ্লবের কাঙ্ক্ষিত ফল মিলবে না
- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:১৪
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, ‘রাজনৈতিক এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় পরিবর্তন আনতে না পারলে বিপ্লবের কাঙ্ক্ষিত ফল মিলবে না।‘
তিনি বলেছেন, ‘শিশু ও গণহত্যাকারী দানব সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে হাজারো শহীদের রক্তে রঞ্জিত বিপ্লবের প্রথম ধাপ সফল হয়েছে। এই বিপ্লবের চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে একটি বৈষম্যহীন মানবিক বাংলাদেশ।’
বৃহস্পতিবার রাতে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।
কাদের গনি চৌধুরীর যুক্তরাষ্ট্রে আগমন উপলক্ষে প্রবাসী বাংলাদেশীরা এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ওয়াশিংটন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ জে এম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাবেক সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট নয়ন বাঙালী, কবিতা দেলোয়ার, মেজর (অব.) আলম, মাসুদুর রহমান মাসুদ, ইঞ্জিনিয়ার নুরুজ্জামান, নেছার আহমেদ, মিজানুর রহমান, কবিরুল ইসলাম, শামসুদ্দীন মাহমুদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জাকির আহমেদ ও নুর মুহাম্মদ লিটন।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ‘বিপ্লবের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য দরকার নির্বাচিত সরকার। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশের মালিকানা জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেয়া অত্যন্ত জরুরি।’
পেশাজীবীদের এ নেতা বলেন, ‘দেশ সংস্কারের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের। একটি দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধিশালী করতে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। জনগণের উন্নয়ন জনগণের নির্বাচিত সরকার দ্বারাই সম্ভব। কারণ জনগণের সরকার হলে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকে। জনগণের সরকারের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় ভোটের মাধ্যমে। তাই যেদিন বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে, সেদিনই মানুষ তার পূর্ণ স্বাধীনতা ফিরে পাবে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণকে ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘আজকে আমরা মুক্ত পরিবেশে, ভয়হীন পরিবেশে কথা বলতে পারছি। এই পরিবেশের জন্য দীর্ঘ ১৭ বছর অনেক নির্যাতন সহ্য করতে হয়েছে। গত জুলাই-আগস্ট মাসে হাজারো মানুষ নিহত ও অনেক মানুষ আহত হয়েছেন। গত ১৭ বছরে শুধু বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেকে মারা গেছেন। অনেকে গুম হয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এত মানুষের আত্মত্যাগের কারণ একটাই, তারা তাদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পেতে চান। দেশের জন্য ১৯৭১ সালে যেভাবে মুক্তিযোদ্ধারা আত্মত্যাগ করেছিলেন, ঠিক এভাবেই ২৪-এর আন্দোলনে অনেকেই জীবন উৎসর্গ করেছেন। তবে মনে রাখতে হবে, এই বাংলাদেশে স্বৈরাচারের পতন হলেও স্বৈরাচারের দোসররা এখনো রয়ে গেছে। তারা সব সময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই বর্তমান সরকার কাজ করতে গিয়ে এমন কিছু যেন না করে, যাতে স্বৈরাচাররা আবারো মাথাচাড়া দিতে পারে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের সমস্ত মানুষ প্রত্যাশা করছেন, তাদের প্রিয় দল বিএনপি জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করবে। সে জন্য ১৭ বছর ধরে আমরাও সংগ্রাম করেছি। তাই বিএনপির নেতাকর্মীদের বলব, এ দেশ থেকে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে বলেই সব বিপদ কেটে যায়নি। আমাদের সবাইকে সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধভাবে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে। শুধু রাজনৈতিক মুক্তি পেলেই হবে না, বাংলাদেশের মানুষদের অর্থনৈতিক মুক্তি পেতে হবে। তা না হলে মানুষের সফলতা আসবে না।’
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা