১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১, ১৪ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরি
`

অন্তর্বর্তী সরকারের অগ্রাধিকার ইস্যু

- ফাইল ছবি

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে এ মুহূর্তটি দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামল নানা বিতর্ক, ব্যাপক অসন্তোষ এবং উল্লেখযোগ্য সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ ছিল। অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে, যাতে দেশকে স্থিতিশীল করা যায়, জনগণের বিশ্বাস পুনরুদ্ধার করা যায় এবং একটি ন্যায়সঙ্গত ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের পথ তৈরি করা যায়। নিচে উল্লিখিত অগ্রাধিকারমূলক ইস্যুগুলো অবিলম্বে সমাধান করা উচিত :
১. আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা : আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ববর্তী সরকার প্রায়ই বিরোধী মত ও বিরোধী দল দমনে রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহারের অভিযোগে সমালোচিত হয়েছে, যা জনগণের আস্থা নষ্ট করেছে এবং রাজনৈতিক সহিংসতা বেড়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে। শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রতিষ্ঠানগুলোতে আস্থার পুনর্নির্মাণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

২. নির্বাচনী সংস্কার : বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ভোটার দমন, কারচুপি ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগের কারণে। অন্তর্বর্তী সরকারকে অবশ্যই একটি মুক্ত, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে ব্যাপক নির্বাচনী সংস্কার করতে হবে। এর মধ্যে ভোটার তালিকা পুনর্গঠন, নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং নির্বাচনী জালিয়াতি প্রতিরোধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এসব সংস্কারে রাজনৈতিক সব অংশীদারের সাথে সংলাপ জরুরি।

৩. অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা : অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, যা আওয়ামী লীগ প্রশাসনের সময়কালীন অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারণে আরো খারাপ হয়েছে। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে হবে এবং আর্থিক শাসনে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো বিশেষত যেগুলোতে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান রয়েছে, সেগুলোর পুনরুজ্জীবনে অগ্রাধিকার দেয়া উচিত। মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলা এবং সবচেয়ে দুর্বল জনগোষ্ঠীকে সহায়তা দেয়া অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের উদ্যোগগুলোর (এসএমই) প্রতি সহায়তা এবং দারিদ্র্যবিমোচনের ওপর গুরুত্ব দেয়া উচিত। আগের সরকারের অবহেলিত সবচেয়ে দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক সেবা প্রদানে উন্নতি করা জরুরি।

৪. দুর্নীতি নির্মূল : দুর্নীতি ছিল পূর্ববর্তী সরকারের সময়কালীন ব্যাপক একটি সমস্যা, যেখানে জনসাধারণের অর্থের অপব্যবহার এবং দুর্নীতির অভিযোগ প্রচলিত ছিল। নতুন সরকারকে এসব অভিযোগের ব্যাপক তদন্ত শুরু করতে হবে এবং দোষীদের রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব বিবেচনা না করে দায়িত্বশীলদের জবাবদিহি করতে হবে। দুর্নীতি দমন সংস্থাগুলোকে শক্তিশালী করা, তাদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা এবং কঠোর নজরদারি ব্যবস্থা প্রয়োগ করা সরকারের প্রতিষ্ঠানগুলোতে জনগণের বিশ্বাস পুনরুদ্ধারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে।

৫. মতপ্রকাশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পুনঃপ্রতিষ্ঠা : আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে মতপ্রকাশ ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা উল্লেখযোগ্যভাবে সীমাবদ্ধ করা হয়েছিল, যেখানে সাংবাদিক ও সংবাদমাধ্যম প্রায়ই হয়রানি, হুমকি ও সেন্সরশিপের সম্মুখীন হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই কঠোর আইনগুলো বাতিল বা সংশোধনে অগ্রাধিকার দিতে হবে, যা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করা একটি কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য অপরিহার্য। একটি স্বাধীন ও প্রাণবন্ত সংবাদমাধ্যম সরকারকে জবাবদিহি করতে এবং জনগণকে সঠিক তথ্য সরবরাহ করতে সহায়ক।

৬. বিচার বিভাগের সংস্কার : পূর্ববর্তী প্রশাসনের সময় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল, যেখানে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত নিয়োগ ও বিচারপ্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ ছিল। বিচার বিভাগের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা আইনের শাসন এবং নাগরিক অধিকার রক্ষার জন্য অপরিহার্য। বিচার বিভাগকে অরাজনৈতিককরণ করতে হবে, ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে এবং রাজনৈতিক বিবেচনায় প্রভাবিত মামলার ব্যাকলগ মোকাবেলা করতে হবে।

৭. মানবাধিকার সুরক্ষা : আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে মানবাধিকার লঙ্ঘন, বিশেষ করে রাজনৈতিক দমন, গুম ও বিচারবহিভর্‚ত হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে উদ্বেগ ছিল। সরকারকে এসব নিপীড়নের তদন্ত ও প্রতিকারে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এ ছাড়াও সংখ্যালঘু ও দুর্বল জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষা করতে হবে, যাতে সব নাগরিক আইনে সমান আচরণ পায়। মানবাধিকার রক্ষা শুধু একটি নৈতিক বাধ্যবাধকতা নয়; বরং দেশের আন্তর্জাতিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।

৮. সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতা : আওয়ামী সরকারের অর্থনৈতিক নীতিগুলো প্রায়ই বৈষম্য বাড়িয়েছে, বিশেষ করে শহর ও গ্রামের মধ্যে। অন্তর্বর্তী সরকারকে এমন নীতিগুলোর ওপর মনোযোগ দিতে হবে, যা সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমতা প্রচার করে এবং প্রান্তিক সম্প্রদায়গুলোকে সম্পদ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও সুযোগপ্রাপ্তির সুযোগ দেয়। এটি সামাজিক সম্প্রীতি ও দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য অপরিহার্য।

৯. প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠা : আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ঢ়বৎপবরাবফ দুর্নীতি, অদক্ষতা ও পক্ষপাতিত্বের কারণে সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর জনগণের আস্থা বিনষ্ট হয়েছে। সরকারকে অবশ্যই স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও জনগণের সেবার প্রতি অঙ্গীকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এজেন্ডার শীর্ষে জনগণের স্বার্থের সেবা করা এবং স্বচ্ছ যোগাযোগ নিশ্চিত করা উচিত।

১০. কূটনৈতিক পুনর্নির্মাণ : পূর্ববর্তী প্রশাসনের বৈদেশিক নীতিতে প্রায়ই কিছু আঞ্চলিক শক্তির সাথে অতিরিক্ত সমন্বয়ের অভিযোগ উঠেছে, যা জাতীয় স্বার্থ ক্ষুণœ করেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উচিত বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করা, সার্বভৌমত্বকে অগ্রাধিকার দেয়া এবং আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব পারস্পরিক সুবিধাজনকভাবে নিশ্চিত করা উচিত।

১১. নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সংস্কার : আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নিরাপত্তাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রায়ই রাজনৈতিক দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা ও সততা পুনরুদ্ধার করতে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নিম্নলিখিত সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে :

অরাজনৈতিকীকরণ : প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত বাহিনীগুলোকে অরাজনৈতিককরণ করা। যারা রাজনৈতিক কার্যকলাপে জড়িত ছিলেন তাদের সরিয়ে দেয়া এবং পদোন্নতি মেধা ও সেবার ভিত্তিতে হওয়া উচিত।
প্রশিক্ষণ ও আচরণবিধি : আইন, মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক নীতিমালা মেনে চলার ওপর জোর দিয়ে প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামগুলো পুনর্গঠন করা জরুরি। নতুন আচরণবিধি প্রয়োগ করা উচিত, যাতে তাদের কার্যক্রমে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হয়।

নজরদারি ব্যবস্থা : নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থার কার্যক্রম মনিটর করার জন্য স্বাধীন নজরদারি সংস্থাগুলো গঠন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এসব সংস্থার অপব্যবহার তদন্ত ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা সুপারিশ করার ক্ষমতা দেয়া উচিত।

১২. শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যসূচি পর্যালোচনা : আওয়ামী লীগ সরকার জাতীয় শিক্ষাক্রমে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এনেছে, যা প্রায়ই রাজনৈতিক প্রভাবে পরিচালিত। অন্তর্বর্তী সরকারকে যেসব বিষয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে :
শিক্ষাক্রম পর্যালোচনা : বিদ্যমান শিক্ষাক্রমের অবিলম্বে পর্যালোচনা প্রয়োজন, যাতে পক্ষপাতমূলক আদর্শ প্রচার করে বা ইতিহাসকে বিকৃত করে এমন বিষয়বস্তু চিহ্নিত ও অপসারণ করা যায়। লক্ষ্য হওয়া উচিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা, জাতীয় ঐক্য ও ইতিহাসের সঠিক বোঝাপড়া তৈরি করা।
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা : শিক্ষাক্রমে বাংলাদেশের বৈচিত্র্যময় সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় পরিবেশ প্রতিফলিত হওয়া উচিত, যা সব সম্প্রদায়ের প্রতি সহনশীলতা ও সম্মানের প্রচার করে।

দক্ষতা উন্নয়ন : পাঠ্যসূচিতে বৃত্তিমূলক ও প্রযুক্তিগত শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করা উচিত, যাতে শিক্ষার্থীরা আধুনিক কর্মক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারে।

১৩. সংবিধানের পুনর্মূল্যায়ন ও পুনর্লিখন : আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধানে বেশ কয়েকটি সংশোধনী করেছে, যেগুলো প্রায়ই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াগুলোকে দুর্বল করার এবং ক্ষমতা কেন্দ্রীভ‚ত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবশ্যই :

সংবিধান পুনর্মূল্যায়ন কমিশন : একটি অরাজনৈতিক কমিশন গঠন করা উচিত, যেখানে আইন বিশেষজ্ঞ, সুশীলসমাজের সদস্য ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যাতে গত দশকে গৃহীত সংশোধনীগুলো পর্যালোচনা করা যায়।

নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য পুনঃপ্রতিষ্ঠা : বিচার বিভাগের স্বাধীনতা দুর্বল করার, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সঙ্কুচিত করার বা নির্বাহী ক্ষমতা বৃদ্ধির সংশোধনীগুলো বাতিল করা উচিত। লক্ষ্য হওয়া উচিত সংবিধানের মূল চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা, যা সরকারের শাখাগুলোর মধ্যে নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য নিশ্চিত করে।

জনগণের গণভোট : প্রধান সংবিধানিক পরিবর্তনগুলো জনগণের গণভোটের মাধ্যমে করা উচিত, যাতে সেগুলো জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটে।

১৪. ক্ষতিকারক আইন ও চুক্তি বাতিল : পূর্ববর্তী সরকার বেশ কয়েকটি আইন প্রণয়ন করেছে এবং চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, যা জাতীয় স্বার্থের জন্য ক্ষতিকর হিসেবে গণ্য হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে :
আইনি পর্যালোচনা : আওয়ামী লীগের শাসনামলে পাস হওয়া সব আইন, বিশেষ করে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও নাগরিক স্বাধীনতার সাথে সম্পর্কিত আইনগুলোতে একটি ব্যাপক পর্যালোচনা করা উচিত। যেসব আইন অত্যাচারী বা অন্যায় বলে প্রমাণিত হবে, সেগুলো অবিলম্বে বাতিল করা উচিত।

দ্বিপাক্ষিক চুক্তি : ভারতের সাথে সব চুক্তির পুনর্মূল্যায়ন করা উচিত, বিশেষ করে যেগুলো জাতীয় সার্বভৌমত্ব বা অর্থনৈতিক স্বার্থের ক্ষতি করে বলে বিবেচিত হয়েছে। যেসব চুক্তি বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, সেগুলো আবার আলোচনার জন্য বা বাতিল করতে বিবেচনা করা উচিত।

১৫. ছাত্র রাজনীতির তাৎক্ষণিক স্থগিতাদেশ : রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাবাধীন ছাত্র রাজনীতি প্রায়ই সহিংসতা, দুর্নীতি ও শিক্ষাগত ব্যাঘাতের উৎস হয়ে থাকে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে :
ছাত্র রাজনীতির নিষেধাজ্ঞা : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সব ধরনের সংগঠিত ছাত্র রাজনীতি অবিলম্বে স্থগিত করা উচিত। এই স্থগিতাদেশটি নতুন একটি কাঠামো প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকা উচিত, যা নিশ্চিত করে যে ছাত্র সংগঠনগুলো রাজনৈতিক দলের প্রভাবমুক্তভাবে পরিচালিত হবে।

শিক্ষাগত ঔৎকর্ষ : শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে অবশ্যই শিক্ষাগত ঔৎকর্ষ এবং গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। পরে ছাত্র পরিষদগুলো পুনঃপ্রবর্তন করা যেতে পারে, তবে সেগুলোকে অবশ্যই কঠোরভাবে অরাজনৈতিক ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থের প্রতিনিধিত্বকারী হতে হবে, রাজনৈতিক এজেন্ডার নয়।

উপসংহার : অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি নবায়নের সুযোগও রয়েছে। এই অগ্রাধিকারমূলক ইস্যুগুলো দৃঢ়তা ও সততার সাথে সমাধান করার মাধ্যমে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি স্থিতিশীল, ন্যায়বিচারপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের ভিত্তি স্থাপন করতে পারে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কূটনীতিক,
গবেষক ও লেখক


আরো সংবাদ



premium cement
শামীম ওসমানের ক্যাডারদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের দাবি রাবির মনোবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষিকাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা শাবিপ্রবির ভিসি, প্রো-ভিসি ও ট্রেজারার হলেন যারা সেন্সরবোর্ড পুনর্গঠন করে হচ্ছে চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড গণহত্যায় উসকানিদাতা কবি-সাংবাদিকদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে : নাহিদ ইসলাম সাভারে হাসিনার বিরুদ্ধে একই দিন ২টি হত্যা মামলা গাজাবাসীর পাশে দাঁড়াল রোহিঙ্গা শরণার্থীরা মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি পড়ছে টেকনাফে, স্থলবন্দরের কার্যক্রম বন্ধ আমরা সরকারকে সময় দিতে চাই : মির্জা ফখরুল গত ৫ আগস্ট দেশ স্বৈরাচার, ফ্যাসীবাদ ও অপশাসন-দুঃশাসন মুক্ত হয়েছে : মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন অনুমতি ছাড়া ঢাবি ভিসিসহ শীর্ষ ব্যক্তিদের নাম ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা

সকল