২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

গণ-অভ্যুত্থান ও জাতীয়তাবাদী দলের ভূমিকা

গণ-অভ্যুত্থান ও জাতীয়তাবাদী দলের ভূমিকা - নয়া দিগন্ত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের উৎসব পালন সবসময়ই আনন্দ ও গৌরবের। রক্তাক্ত জুলাই-আগস্ট, ক্ষত-বিক্ষত বাংলাদেশ; শত শত ছাত্র-জনতার সাহসী আত্মদান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও পুরো বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণকে একই সাথে গভীরভাবে শোকার্ত ও ফ্যাসিবাদমুক্ত স্বাধীনতার অবিমিশ্র আনন্দের অনুভূতি দিচ্ছে। গণতান্ত্রিক বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র হিসেবে কায়েম করতে অজস্র ভয়াবহ-ভয়ঙ্কর নির্মমতার মধ্য দিয়ে গণদুশমন শেখ হাসিনা বেছে নিয়েছিল ‘নৈরাজ্যবাদ’। আইনবহির্ভূত গানবোট ডিপ্লোম্যাসি প্রয়োগ করে গড়ে তুলেছিল রাষ্ট্রনীতিহীন এক বৈকল্যের সিন্ডিকেট। নৃশংস ফ্যাসিবাদ ও নিষ্ঠুর স্বৈরতন্ত্রের বুলেটের আঘাতে জর্জরিত হলো দেশের মানুষ।

দীর্ঘ ১৬ বছরের ভয়াবহ দুঃশাসন-হত্যা, গুম, নির্যাতন-নিপীড়ন, জেল-জুলুম, দিনে দিনে চাপা কান্নায় বিস্ফোরণোন্মুখ হয়ে উঠল জনতা। দানবীয় ফ্যাসিস্ট হাসিনার একক সিদ্ধান্তের কাছে পরাজিত হলো দেশের সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলো। রাষ্ট্র কাঠামোকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে হয়ে উঠল মরিয়া। জন্ম হলো দলদাস শ্রেণীর। তার এরূপ নিকৃষ্ট মনোভাব মানুষের মানবিক অধিকার, স্বাধীন জীবনযাপন, মুক্তবাক হরণ ও প্রাতিষ্ঠানিক গণতন্ত্রের কবর রচনা করে তার পিতার পদাঙ্ক অনুসরণে এক অঘোষিত একদলীয় বাকশালের নব্যরূপ দিয়েছিল। বিপন্ন ও হুমকির সম্মুখীন হলো দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব। সীমাহীন লুটপাটের বিরুদ্ধে বৃহত্তর গণমানুষকে যুক্ত করে ক্রমেই গণ-আন্দোলন গড়ে তুলে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। ‘ব্যক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়’- এই বিবেচনায় ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সরকার বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে একত্রে সংগঠিত করার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। এ আন্দোলন একসময় ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পরিণত হয়- ভয়াবহ পতন হয় রক্তপিপাসু সাইকোপ্যাথ শেখ হাসিনার। পুরো জাতি স্বাধীন মুক্তবাতাসে নিঃশ্বাস নেয় অশ্রুভরা আনন্দে।

১৯৭১ এরপরে ৭ নভেম্বর ১৯৭৫-এ সিপাহি জনতার বিপ্লব ঘটলে রাষ্ট্রের অনিবার্য প্রয়োজনে দেশের স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এগিয়ে আসেন। জিয়ার বিচক্ষণ নেতৃত্ব পাল্টে দিতে থাকে জাতীয় জীবনের ভ্রান্তপথ। দেশপ্রেম তথা জাতীয়তাবাদের ব্যবহারিক প্রয়োগের মাধ্যমে নতুন ধারণায় দেশ গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করেন সবাইকে। অসাধারণ দৃষ্টিভঙ্গি ও সাহসী পদক্ষেপে বাংলাদেশের ইতিহাসে বারবার জিয়াউর রহমান হয়ে ওঠেন অনবদ্য ও অনন্য।

বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ দর্শন আপামর জনগণের অন্তরে জাগরূক রয়েছে। দেশপ্রেমিকদের হৃদয়ের মর্মমূলে নিহিত উৎসাহ, উদ্যোগ ও প্রেরণার উৎস এই দর্শন। এই দর্শন বাস্তবে একটি আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মসূচি- যা দেশের ঐক্যবদ্ধ জনগণকে সমকালীন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির উপযোগী, বাস্তবমুখী ও সময়োচিত শান্তিপূর্ণ বিপ্লবের কর্মসূচি বাস্তবায়নে উদ্বুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করবে, জাতিকে নিশ্চিতভাবে অগ্রগতির ও সমৃদ্ধির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেবে এবং বিশ্বজাতির দরবারে বাংলাদেশকে মর্যাদা ও গুরুত্বের আসনে সুপ্রতিষ্ঠিত করবে। (বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, জিয়াউর রহমান, মাহমুদ শফিক সম্পাদিত, মহান জিয়া, পৃষ্ঠা-১৫)

রাষ্ট্রপতি জিয়ার ব্যক্ত দূরদর্শী নীতি ‘ইতিবাচক নমনীয়তা একটি স্থায়ী অপরিহার্য নিয়ামক। এতে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির কোনো স্থান নেই।’ পরিকল্পিত পদ্ধতিতে জনগণের সম্মিলিত অংশগ্রহণে গঠিত হবে শোষণ ও বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা। তিনি পদক্ষেপ নিলেন হাজার বছর ধরে ঔপনিবেশিক শোষণের ফলে পর্যুদস্ত অর্থনীতি, লুণ্ঠিত জাতীয় ও মানবসম্পদ উদ্ধারের প্রকল্প। বহুমাত্রিক শিক্ষা বিস্তারের মাধ্যমে অপাঙ্ক্তেয়, অবহেলিত ও বঞ্চনার শিকার মানুষকে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদে পরিণত করেন। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার লক্ষ্যে গ্রহণ করেন খালখনন কর্মসূচি। এই কর্মসূচি বাংলাদেশের কৃষক-জনতা সর্বোপরি সব মানুষের কাছে অসম্ভব জনপ্রিয় করে তোলে জিয়াউর রহমানকে। জিয়া হয়ে ওঠেন বাংলার রাখাল রাজা। ইতিহাস পর্যবেক্ষণ করলে স্বাধীনতা-পরবর্তী ও শেখ মুজিবের অদূরদর্শী বাকশালীয় ধ্বংসস্তূপ থেকে দেশকে সব ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে নিতে থাকেন। অপ্রতিরোধ্য ও অমিতশক্তির মিথষ্ক্রিয়ায় শহীদ জিয়া একের পর এক গণ-উন্নয়নমুখী সিদ্ধান্ত নিতে থাকেন। জনশক্তি রফতানি, পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠা ও বাজার নির্মাণসহ মানুষের মৌলিক চাহিদা (খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা) ইত্যাদিতে এক অনন্য নজির স্থাপনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেন অল্প সময়ে। জিয়াউর রহমান যে মুহূর্তে বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা হয়ে উঠলেন ঠিক সেই সময়েই হঠাৎ শুরু হয় ইতিহাসের জঘন্যতম অধ্যায়- ঘাতকের বুলেটে তিনি শাহাদতবরণ করলেন। রক্তাক্ত হলো বীর চট্টলার মাটি- রক্তক্ষরণ হলো টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়ার সব মানুষের হৃদয়। শহীদ জিয়ার পরে স্বৈরাচার এরশাদ সরকার ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র সিংহাসন দখল করে- আবারো খর্ব হয় মানুষের মৌলিক অধিকার। জিয়া মানুষকে যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন তা তিমিরে হয় পর্যবসিত। দীর্ঘ ৯ বছর আন্দোলন-সংগ্রামে বহু শহীদের রক্ত ঝরল; ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে পতন হলো স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের। ১৯৯১ সালে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আয়োজিত স্বচ্ছ নির্বাচনের মাধ্যমে বিপুল জয় নিয়ে সরকার গঠন করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল।

গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী বেগম জিয়ার সততা, সঠিক দেশ পরিচালনা প্রকৃতপক্ষে তাকে জিয়ার প্রতিচ্ছবি করে তোলে। দেশের প্রতি ভালোবাসার কমিটমেন্ট গণতান্ত্রিক পদ্ধতি সমুন্নত রাখার প্রশ্নে তিনি কখনো কোথাও আপস করেননি। এক-এগারোর সরকার ও পরবর্তীতে ফ্যাস্টিস স্বৈরাচারী হাসিনার অত্যাচার-অনাচারের বিরুদ্ধে তিনি কখনো রাজপথ ছাড়েননি। তিনি তার ন্যায়নীতি ও বাংলাদেশের মানুষের প্রতি বিশ্বাস-ভালোবাসায় পেয়েছেন আপসহীন নেত্রীর অভিধা।

রাজনীতি মহাবিপদসঙ্কুল ও বন্ধুর পিচ্ছিল কণ্টাকাকীর্ণ পথ- পথের বাঁকে বাঁকে লোভ, ভীতি, ভ্রান্তি, হুজুগ, গুজব প্রতিটি বিষয়ে বিশেষ সাবধানতায় ভয়ঙ্কর চড়াই-উতরাই তাকে অতিক্রম করতে হয়েছে। কর্তব্যে অটল, দীপ্ত সাহস, অক্লান্ত সংগ্রামে এগিয়ে গিয়েছেন বেগম জিয়া। বানোয়াট, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় তাকে বছরের পর বছর জেলে রেখেও মুছে দেয়া যায়নি।

দাম্ভিক শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার ও ভয়াবহ ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে নিঃশেষ করতে চাইল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নাম ও নিশানা। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে; এমনকি সাধারণ মানুষদেরকেও যখন তখন ইচ্ছামাফিক নির্বিচারে জেল-জুলুম, হত্যা, গুম-খুন প্রভৃতি করতে বিন্দু পরিমাণে দ্বিধাবোধ করেনি কাণ্ডজ্ঞানহীন অবৈধ সরকার। তারেক রহমান বাংলাদেশ থেকে প্রায় ছয় হাজার মাইল দূরে অবস্থান করেও সাহস, মেধা ও দৃঢ়-দীপ্ততায় দল পরিচালনার নেতৃত্ব দেন; দলের কাণ্ডারি হয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছেন। তার নির্ভরযোগ্য নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে গণ-আন্দোলন। মানুষের সাংবিধানিক ভোটাধিকারের জন্য বছরের পর বছর অনড় থেকেছেন; কোনো আপসকামিতা তাকে বিন্দু পরিমাণ স্পর্শ করেনি। আন্দোলনকে বারবার ভূলুণ্ঠিত করেছে স্বৈরাচারী হাসিনার অবৈধ সরকার। অব্যাহতভাবে জাতীয়তাবাদী দলের নেতাকর্মীদের মনোবল ভাঙার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারেক রহমানসহ দলের নেতারা আন্দোলন এগিয়ে নিয়েছেন, গণ-আন্দোলন থেকে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের দিকে। আন্দোলনটি প্রথমে ছাত্রছাত্রীদের; ক্রমেই হয়ে ওঠে গণমানুষের। জাতীয়তাবাদী দল শুরু থেকেই পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা করার ঘোষণা দেয়। পরিপ্রেক্ষিতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে কূটকৌশলে কোটা প্রথা বাতিল ঘোষণা করে। এ অনুরাগ প্রধানমন্ত্রী শপথের পরিপন্থী। এরপর আজ্ঞাবহ কোর্ট পূর্বসিদ্ধান্ত বাতিল করলে তাৎক্ষণিকভাবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়সহ বাংলাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করতে থাকে। ঠিক সেই মুহূর্তে ভোটারবিহীন ফ্যাসিস্ট সরকার চরম তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ও ঔদ্ধত্য ভাষায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদেরকে রাজাকার বলে অভিহিত করে। একই সাথে ফ্যাস্টিস দলের সাধারণ সম্পাদক ছাত্র ‘আন্দোলন দমানোর জন্য তার ছাত্রলীগই যথেষ্ট’ বলে মন্তব্য করে। শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আরো বেশি- শুরু হয় ইতিহাসের নতুন পর্ব।

সারা বাংলাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্রলীগ বিতাড়িত হলে পুলিশি নির্যাতন মারাত্মক রূপ নেয়। একসময় পুলিশও ছাত্র-জনতার প্রতিরোধের মুখে পালাতে বাধ্য হয়। এসব ঘটনায় আছে রাজনৈতিক আন্দোলনের আরো ধারাবাহিকতা। প্রতিটি ঘটনায় তারেক রহমান বাংলাদেশের সর্বসাধারণকে ছাত্র-জনতার পাশে থেকে গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অবৈধ সরকারের পতন নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিতে থাকেন। তারেক রহমানের নির্দেশনা হাসিনা পতনের গণ-আন্দোলন বেগবান করে। এ পর্যায়ে মানুষের দীর্ঘদিনের পুঞ্জীভূত ক্ষোভ গণরোষে বিস্ফোরিত হয় ২০২৪-এর ৫ আগস্টে। এক অভূতপূর্ব গণ-অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়- খুনি হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। ছাত্র-জনতা ও সারা দেশের মানুষ ফ্যাসিস্ট হাসিনার চরম পতন শুনে আনন্দ-উল্লাসে ফেটে পড়েন। ১৯৭১ সালে হাসিনার পিতা পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে স্বেচ্ছায় ধরা দিয়ে এবং বাংলার নিরীহ নিরস্ত্র মানুষকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সম্মুখে ঠেলে দেয়। এর মধ্য দিয়ে বারবার প্রমাণিত হয়- শেখ পরিবার ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কখনোই দেশের মানুষকে ভালোবাসে না এমনকি তাদের নেতাকর্মীদের সাথেও বিশ্বাসঘাতকতা করে নিজেরা পালিয়ে যেতে দ্বিধাবোধ করে না।

বর্তমানে Doctrine of necessity বা বিপ্লবোত্তর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছে। জাতীয়তাবাদী দল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে স্বাগত জানিয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রেখেছে। রাষ্ট্র দখলের ষড়যন্ত্র এখনো থেমে নেই। ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসররা কখনো জুডিশিয়াল ক্যু, কখনো আমলানির্ভর ক্যু, বিশেষত মানবসৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র জাতীয়তাবাদী দলসহ বাংলাদেশের পুরো মানুষ একত্রিত হয়ে বারবার রুখে দিচ্ছে। ইতিহাসের শিক্ষা হলো ‘ইতিহাস থেকে কেউ শিক্ষা নেয় না’। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ইতিহাসের শিক্ষাকে গ্রহণ করেই জনগণের স্বপ্ন, আশা-আকাক্সক্ষা বাস্তবায়নে অতন্দ্র প্রহরীর মতো ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা- অন্তর্বর্তী সরকার জনপ্রতিনিধিত্বমূলক রাজনৈতিক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার রোডম্যাপ ঘোষণা করবে। জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক শক্তিতে বাংলাদেশে বর্তমানে জাতীয়তাবাদী দলের সমতুল্য বা বিকল্প কোনো রাজনৈতিক দল দৃশ্যমান নয়। দলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের সবার শপথ হোক ‘শত শহীদের রক্তস্নাত এই বাংলাদেশে মৌলিক মানবাধিকার, ন্যায়বিচার, সাম্য ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পুনর্গঠন এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়া।’ জিয়াউর রহমানের গড়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী সমর্থকদের বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই তৈরি হবে এক বৃহত্তর সোনালি সম্ভাবনা। যার নেতৃত্ব দেবেন বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান।

লেখক : সাবেক চেয়ারম্যান ও অধ্যাপক থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়


আরো সংবাদ



premium cement