উচ্চশিক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার
- ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক
- ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৪৩
দেশ ও সমাজের উন্নয়নে শিক্ষার বিকল্প নেই। যে দেশের জনগণ যত শিক্ষিত সে দেশের উন্নয়নের মাত্রাও তত বেশি। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় দক্ষ ও শিক্ষিত মানবসম্পদ অত্যাবশ্যক। সুতরাং নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষা-সঙ্কোচন নীতির পরিবর্তে শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির জন্য উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার প্রয়োজন। আমি এ প্রসঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদকে নিয়োগ করায় ধন্যবাদার্হ। কারণ তিনি এ পদে সর্বজনবিদিত যোগ্যতম ব্যক্তিদের অন্যতম। ওই নিয়োগের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা সংস্কারের প্রথম শর্তটি পূরণ হলো। এরপর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (বিমক) সংস্কার।
এ প্রেক্ষাপটে কয়েকটি বিশেষ সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হলো। প্রথমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে সংস্কার প্রসঙ্গ; কারণ দেশে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ও শিক্ষার্থী সংখ্যা অনেক বেশি।
প্রথমে দরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ পদে নিয়োগপ্রক্রিয়া সংস্কার করা। এ ক্ষেত্রে বর্তমানে বিদ্যমান সমস্যাগুলো উপস্থাপন করা যেতে পারে : ক. ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০’-এর ধারা ৩১(১)-এ লেখা আছে : ‘চ্যান্সেলর কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ কর্তৃক প্রস্তাবিত কোনো ব্যক্তিকে চার বছর মেয়াদের জন্য ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর নিযুক্ত করবেন।’ এই নিয়ম প্রোভিসি ও ট্রেজারার নিয়োগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এ ক্ষেত্রে একটি সমস্যা হলো এই যে, সংশ্লিষ্ট পদে কোনো প্রার্থীর প্রস্তাবের কথা আইনে বলা থাকলেও বাস্তবে প্রতিটি পদের বিপরীতে নির্ধারিত যোগ্যতাসম্পন্ন তিন জনের প্যানেল দাখিল করতে বলা হয়। এভাবে প্রতিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি পদের প্রতিটির বিপরীতে তিনজন করে মোট ৯ জনের নাম প্রস্তাব করতে হয়। এভাবে দেশে বিদ্যমান সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একত্রে প্রায় এক হাজার যোগ্য প্রার্থী অনুসন্ধান করতে হয়। নির্ধারিত যোগ্যতাসম্পন্ন এত সংখ্যক প্রার্থী খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। উল্লেখযোগ্য যে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে তিনজনের প্যানেল দেয়ার শর্ত নেই।
খ. এ অবস্থায় অনেক চেষ্টা করে কোনো পদে তিনজন যোগ্য প্রার্থীর প্যানেল জমা দেয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের পছন্দমতো প্রার্থী না হলে (অর্থাৎ দলীয় প্রার্থী না হলে অথবা কোনো একটি ‘বিশেষ জেলা’র প্রার্থী না হলে) বছরের পর বছর নিয়োগ দেয়া হয় না। এভাবে নিয়োগ ঝুলিয়ে রাখা হয়। এমনও নজির আছে যে, একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সাতবার যোগ্য প্রার্থীর প্যানেল জমা দেয়ার পরও দীর্ঘ আট বছর পর্যন্ত নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়নি। উল্টো মঞ্জুরি কমিশনের ওয়েবসাইটে ওই বিশ্ববিদ্যালয়কে লাল চিহ্নিত করে ছাত্রছাত্রীদেরকে সেখানে ভর্তির ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করা হয়। অষ্টমবারে উল্লিখিত বিশ্ববিদ্যালয় আরেকটি নতুন প্যানেল জমা দেয়, যাতে সেই ‘বিশেষ জেলা’র একজন প্রার্থীর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ফলে সেই ‘বিশেষ জেলা’র প্রার্থীকে নিয়োগ দেয়া হয় যিনি ছিলেন প্রস্তাবিত প্যানেলের তৃতীয় ব্যক্তি।
উপরে উল্লিখিত বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ড আট বছর অবধি সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করা সদ্য সাবেক উপাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালনার অনুরোধ করে। তিনি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যান। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (বিমক) ও মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয় এবং তাকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে সম্বোধন করে বিমক এবং মন্ত্রণালয় থেকে চিঠিপত্র লেখা হয়। কিন্তু আট বছর পর হঠাৎ করে বিমক সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালকে চিঠি লিখে জানিয়ে দেয় যে, এই আট বছরের সব কার্যক্রম অবৈধ এবং এই দীর্ঘ সময়ের সব বেতন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যকে ফেরত দিতে হবে। অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা-বাণিজ্য ও দলীয়করণের উদ্দেশ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে এ ধরনের আচরণ করা হয়।
সম্ভাব্য সংস্কার : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপরে উল্লিখিত তিনটি পদে নিয়োগ একান্তভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অধিকার। তারাই নিয়োগ দেবে এবং নিয়োগের পর তারা বিমক এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে। বিশ্বের যেসব দেশে বেসরকারি পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয় আছে, সেখানে এমন নিয়মই বিদ্যমান। অথবা ওই তিনটি উচ্চ পদে নিয়োগের বেলায় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একজন করে প্রার্থী প্রস্তাব করবে, মাননীয় চ্যান্সেলর নিয়োগ দেবেন এবং ৬০ দিনের মধ্যে নিয়োগ দেয়া না হলে নিয়োগ হয়ে গেছে বলে ধরে নেয়া হবে। উপরে উল্লিখিত তিনটি পদে এ ধরনের সংস্কার না হলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা কঠিন হবে।
দ্বিতীয়ত, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বাধীনভাবে উন্নয়নের সুযোগ দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। কয়েকটি হস্তক্ষেপের উদাহরণ এখানে দেয়া হলো, যা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্য সম্পাদনে বাধা সৃষ্টি করে :
১. বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধিকল্পে নতুন পদ সৃষ্টিতে বাধা হয় এমন হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে। কারণ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব অর্থায়নে চলে।
২. সিন্ডিকেটসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য পরিচালনা কমিটিতে বিমক বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধির কোনো প্রয়োজন নেই; বরং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বাধীনভাবে নিজ গতিতে চলতে দেয়া উচিত।
৩. আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে যে, একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় একটি নামকরা বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডিধারীকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয় এবং তার অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর জন্য তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টে অন্তর্ভুক্ত করে। এই অপরাধে তাকে শিক্ষকতা থেকে বাদ দেয়ার জন্য বিমক থেকে নির্দেশ দেয়া হয়। এ ধরনের আরো অনেক অনাকাক্সিক্ষত হস্তক্ষেপের উদাহরণ দেয়া যায়। শিক্ষা সংস্কারের জন্য এ ধরনের হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে।
তৃতীয়ত, বিশ্ববিদ্যালয় দখলের সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গঠন একান্তভাবেই প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতাদের অধিকার। দলীয়করণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল তছরুফ বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে ট্রাস্ট দখল করা যাবে না এবং ট্রাস্ট পরিবর্তন করা যাবে না। ইতঃপূর্বে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এমন নির্যাতনের শিকার হয়েছে এবং আরো কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এমন নির্যাতনের পরিকল্পনা হচ্ছিল বলে শোনা যায়।
চতুর্থত, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাধা দেয়া যাবে না এবং সমাবর্তন বাণিজ্য বন্ধ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সমাপনীতে সার্টিফিকেট প্রদানের জন্য সমাবর্তন অনুষ্ঠান একান্তভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অধিকার। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তনের দিন-তারিখ ঠিক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং চ্যান্সেলরকে অবহিত করবে। দেশের উচ্চশিক্ষা কর্তৃপক্ষের কেউ সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় সমাবর্তন অনুষ্ঠান করবে।
পঞ্চমত, দেশে শিক্ষা সঙ্কোচন নীতির পরিবর্তে শিক্ষাবান্ধব ও শিক্ষা সম্প্রসারণ নীতি অনুসরণ করা দরকার : ১. শিক্ষা সম্প্রসারণের সক্ষমতা থাকলে কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন নতুন বিষয় ও বিভাগ খুলতে বাধা দেয়া ঠিক নয়। ২. যেসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন করে একটি যৌক্তিক সময় পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে, তাদের স্থায়ী সনদ দেয়ার ব্যাপারে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ঠিক নয়।
ষষ্ঠত, একাডেমিক ও অন্যান্য ব্যাপারে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পার্থক্য থাকা ঠিক নয়। যেসব যোগ্য অধ্যাপক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত অবস্থায় এমফিল এবং পিএইচডি দিয়েছেন, তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের পর তাদেরকে পিএইচডি পর্যায়ে শিক্ষাদানের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি দানের সুযোগ দিতে হবে।
সপ্তমত, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিয়ন্ত্রণের একটি হাতিয়ার। এ আইনের যথাযোগ্য পরিবর্তন প্রয়োজন।
অষ্টমত, বিমকের প্রাতিষ্ঠানিক গঠনে আমূল পরিবর্তন আনা দরকার : ১. নির্দলীয়, নিঃস্বার্থ, সৎ, নিষ্ঠাবান ও যোগ্য শিক্ষাবিদদের দিয়ে এর নেতৃত্ব গঠন করতে হবে। ২. যারা কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে দক্ষতা অর্জন করেছেন তাদের মধ্য থেকে বিমকের চেয়ারম্যান ও সদস্য নিয়োগ করা উচিত। ৩. সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংখ্যার আনুপাতিক হার অনুযায়ী বিমকের সদস্যপদ নির্ধারণ করা উচিত।
নবমত, শিক্ষার সব পর্যায়ে নৈতিকতা ও মূল্যবোধের সমন্বয় প্রয়োজন। আজকাল উন্নত দেশগুলোর শিক্ষা কার্যক্রমেও নৈতিকতার সমন্বয় ঘটানো রয়েছে।
দশমত, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় তত্ত্বাবধানের জন্য বিমকের পরিবর্তে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিতপূর্বক একটি আলাদা ও স্বতন্ত্র কমিশন প্রতিষ্ঠা করা যেতে পারে, যা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার মান তদারকি করবে।
এ ছাড়াও আরো অনেক প্রয়োজনীয সংস্কারের মধ্যে একটি এই যে, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বৈষম্য দূর করার জন্য এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা স্বল্প আয়ের মানুষের কাছে সহজলভ্য করার লক্ষ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়ের ওপর ধার্যকৃত ট্যাক্স রহিত করা উচিত।
এবার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কারের বিষয়ে কিছু কথা। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত সংস্কারগুলো বিশেষ প্রয়োজন :
প্রথমত, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও গবেষণায় উৎসাহিত করার লক্ষ্যে শিক্ষকদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে রাজনীতির গুরুত্ব কমাতে হবে। এ জন্য শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করা উচিত। পদোন্নতির মাপকাঠি হবে মানসম্মত গবেষণা ও শিক্ষাদান।
দ্বিতীয়ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের উচ্চ পদে যোগ্য ব্যক্তির সুযোগের জন্য ক্ষমতাসীনদের প্রভাব বন্ধ করতে হবে এবং উচ্চপদে রাজনীতির পরিবর্তে যোগ্যতার গুরুত্ব দিতে হবে।
তৃতীয়ত, ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা উচিত। কোনো উন্নত দেশে ছাত্র রাজনীতির সুযোগ নেই। দলীয় লেজুড়ভিত্তিক ছাত্র রাজনীতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হয়।
চতুর্থত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স-১৯৭৩-কে রাজনীতিভিত্তিক অর্ডিন্যান্সের পরিবর্তে একটি শিক্ষাবান্ধব অর্ডিন্যান্স হিসেবে সংস্কার করা উচিত।
লেখক : প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর, এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ
[email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা