২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

মানবতার স্বার্থে এগিয়ে আসুন

মানবতার স্বার্থে এগিয়ে আসুন - ছবি : সংগৃহীত

এই মুহূর্তে সারা দেশ বন্যায় ভাসছে। বানভাসী লাখো মানুষ বন্যার পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে। দেখা দিয়েছে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্য। একমাত্র মহান আল্লাহর করুণা এবং জাতীয় সংহতির মাধ্যমেই সম্ভব এই প্রাকৃতিক, রাজনৈতিক ও মানব সৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবেলা করা। তাই সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে আমাদের এখন উচিত সবাই মিলে ত্রাণ তৎপরতায় সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করা। মানুষ মানুষেরই জন্য। তাই ত্রাণ তৎপরতার সুবিধার্থে এবং বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাঙ্গনে সৃষ্ট অচলাবস্থা দূরীকরণে নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাই।

১. দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কমপক্ষে এক দিনের বেতন জরুরি ভিত্তিতে বন্যার্তের সহযোগিতায় দান করা।

২. বন্যার্ত মানুষের ত্রাণকাজে সহযোগিতার লক্ষ্যে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কমপক্ষে এক দিনের বেতন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ত্রাণ তহবিলে জমা দেয়া।

৩. বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী সমন্বয়কদের উদ্যোগে সারা দেশের সব কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ত্রাণকাজ পরিচালনায় এলাকাভিত্তিক বিশেষ টিম গঠন করা এবং স্থানীয় সামরিক-বেসামরিক প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে স্থানীয় জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিতভাবে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করা।

৪. ছাত্র সংগঠনগুলোর বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে একযোগে কাজ করা।

৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষক বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী-জনতার আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে সরাসরি অবস্থান নিয়েছিলেন তাদের অনেকেই এখন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মন জুগিয়ে নিজেদের পাপমোচনের চেষ্টা করছেন। শিক্ষার্থী-শিক্ষক সম্পর্ক স্বাভাবিক করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের কৃত অপরাধের জন্য স্ব স্ব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কোনো বিকল্প নেই। না হলে আমরা শিক্ষক সমাজ শিক্ষার্থীদের কাছে চির অপরাধীই থেকে যাবো।

৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রশাসনগুলোরও উচিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন নিজেদের কৃত অপরাধ স্বীকার করে নিয়ে অনুশোচনা করা। দায়িত্বহীন কার্যকলাপের জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া।

৭. সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা করা। জাতির ক্রান্তিলগ্নে মানবতার স্বার্থে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই।

৮. গৃহবধূরাও নিজেদের সঞ্চিত ও গচ্ছিত অর্থ ব্যয় করে বন্যার্তদের জন্য খাবার তৈরি এবং স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে সরবরাহের মাধ্যমে অনবদ্য ভূমিকা রাখতে পারেন।

পরিশেষে বিপদ-আপদে শোকার্ত না হয়ে এটিকে পরিণত করতে হবে শক্তিতে। দুঃখের আগুনে পুড়েই মনুষ্য জীবন সোনা হয়।

লেখক : অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
[email protected]


আরো সংবাদ



premium cement
সংস্কারের কাজ দৃশ্যমান হলেই নির্বাচন হবে : মাহফুজ আলম সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার প্রাথমিক দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের : ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ‘রাষ্ট্রের কোনো প্রতিষ্ঠান কোনো দল বা গোষ্ঠির নয়’ রোহিঙ্গারা এনআইডি নেয়ার অপচেষ্টা চালালে ইসিকে জানানোর আহ্বান আলিফের পরিবারকে এক কোটি টাকা দেবে শামসুল হক ফাউন্ডেশন জাতীয় স্বার্থের বিরুদ্ধে যারাই যাবে, তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে : জামায়াত আমির এক সপ্তাহ পর বেনাপোল থেকে দূরপাল্লার পরিবহন চলাচলের সিদ্ধান্ত সমন্বয়কদের ওপর হামলা হালকাভাবে দেখছে না সরকার কমছে ৪৭তম বিসিএসের আবেদন ফি গাজীপুরে কোরআন অবমাননার অভিযোগে কলেজছাত্র গ্রেফতার অযাচিত অস্থিরতা নয়, দায়িত্বশীল হোন

সকল