‘ইস্টার্ন রিফাইনারি ইউনিট-২ বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা
- মোহাম্মদ আজিজুল হক
- ০৬ আগস্ট ২০২৪, ০৫:৫৭
দেশে জ্বালানি তেল পরিশোধনের সক্ষমতা না বাড়ায়, বেশি পরিমাণে ডিজেল আমদানি করতে হয়। অথচ দেশ স্বাধীন হওয়ার প্রায় ৫৫ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও দেশে পরিশোধনের সক্ষমতা কিছুমাত্র বাড়েনি। প্রায় এক যুগ আগে সক্ষমতা বাড়ানোর একটি প্রকল্প নেয়া হলেও আজও তা অনুমোদন পায়নি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে, বছরে ২৩ কোটি ডলারেরও বেশি সাশ্রয় হবে।
ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড (ইআরএল) বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) অঙ্গ প্রতিষ্ঠান এবং দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোলিয়াম অয়েল রিফাইনারি। ইআরএল বিগত ৭ মে ১৯৬৮ সালে বাণিজ্যিকভাবে বার্ষিক ১৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন তথা ১৫ লাখ মেট্রিক টন পরিশোধন ক্ষমতা নিয়ে তার কার্যক্রম শুরু করে।
বর্তমানে দেশের পরিশোধিত জ্বালানি তেলের চাহিদার মাত্র ২০ শতাংশ ইআরএলের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে। অবশিষ্ট ৮০ শতাংশ তথা জ্বালানি তেলের বেশির ভাগ আমদানি এবং সামান্য কিছু অংশ দেশীয় উৎস থেকে সংগ্রহ করে চাহিদা পূরণ করা হয়। তাই পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি বাবদ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। অপরিশোধিত তেল ইআরএলে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে প্রাপ্ত পরিশোধিত জ্বালানি তেলের তুলনায় আমদানিকৃত পরিশোধিত জ্বালানি তেলের ব্যয় প্রতি ব্যারেলে ৯-১০ মার্কিন ডলার সাশ্রয়কর। সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি তেলের চাহিদা পূরণ, পরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি-নির্ভরতা হ্রাস, জ্বালানি নিরাপত্তা আরো সুদৃঢ়করণ, সর্বোপরী দেশে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল প্রক্রিয়াকরণ করে তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী মূল্যে পরিশোধিত জ্বালানি তেল উৎপাদনের উদ্দেশ্যেই বিপিসি কর্তৃক ‘ইন্সটলেশন অব ইআরএল-২’ নামে প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়।
প্রস্তাবিত প্রকল্পের আওতায় তিন মিলিয়ন মেট্রিক টন তথা ৩০ লাখ টন ক্ষমতাসম্পন্ন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট স্থাপনের কথা। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে ইআরএলের বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১৫ লাখ টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪৫ লাখ টনে উন্নীত হবে। এছাড়া এটি স্থাপন করার পর পরিশোধিত জ্বালানি তেলের গুণগত মান অনেক বৃদ্ধি পাবে এবং অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-সমৃদ্ধ ইউনিট স্থাপিত হবে বিধায় অপারেশনাল ব্যয় অনেক হ্রাস পাবে। বর্তমান পরিশোধনাগারটি নির্মাণ করেছিল ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠান ‘টেকনিপ’। এ কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লক্ষ্য ছিল এবারো তাদের দিয়ে কাজটি করানোর । এ জন্য নতুন পরিশোধনাগার তাদের মাধ্যমে স্থাপন করার নীতিগত অনুমোদন দেয় সরকার। কারিগরি নকশা তৈরি করতে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে ফ্রান্সের অন্যতম প্রতিষ্ঠান টেকনিপের সাথে চুক্তি করে বিপিসি। এক পর্যায়ে টেকনিপ অনেক বেশি সুবিধা চাওয়ায় দেশীয় স্বার্থরক্ষায় তাদের সব দাবি পূরণ করা যায়নি।
পরবর্তীতে ১০ দফা ডিপিপি সংশোধনের পটভূমিতে ইআরএল-২ বাস্তবায়নের সর্বশেষ খরচ দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৯৬৯ কোটি টাকা। শুরুতে এটি ছিল সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। তবে শুরু থেকে বিনিয়োগ নিয়ে দীর্ঘসূত্রতা দেখা দেয়। বিদেশী অর্থায়নের চেষ্টা করেও তখন পাওয়া যায়নি। বর্তমানে এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবেচনাধীন রয়েছে।
গত অর্থ বছরে ৬৫ লাখ টন জ্বালানি তেল বিক্রি করেছে বিপিসি। এর মধ্যে ৪৬ লাখ টন ডিজেল। দেশের একমাত্র শোধনাগারটি থেকে পাওয়া গেছে ছয় লাখ টন ডিজেল; বাকিটা আমদানি করতে হয়েছে। অপরিশোধিত তেল এনে ডিজেল উৎপাদন করা হলে প্রতি ব্যারেলে কমবেশি ১১ ডলার সাশ্রয় হতো; এমনকি বর্তমান বিশ্ববাজারে ডিজেলের যে দাম, এ অবস্থায় দেশে পরিশোধন করা হলে লিটার ভিত্তিক প্রচুর অর্থের সাশ্রয় সম্ভব ছিল।
দেশে প্রতি বছর জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়ছে। আসছে ২০২৬-২৭ অর্থবছরে (বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের কার্যকরী বছর) দেশের জ্বালানি চাহিদা ৮০ লাখ টন ছাড়াতে পারে বলে ধারণা করা হয়। আমদানি করা জ্বালানি তেলের মাধ্যমে এ চাহিদা পূরণ করতে হলে দেশের অর্থনীতির উপর চাপ বাড়বে। তাই ইআরএল-২ প্রকল্পটির দ্রুত বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
গ্যসের বাড়তি উপজাত হিসেবে দেশী গ্যাস ক্ষেত্রে পাওয়া কনডেনসেট ও আমদানি করা ক্রুড অয়েল (অপরিশোধিত তেল) পরিশোধন করে জ্বালানি তেল উৎপাদন করা হয়। শোধনক্ষমতা না বাড়ায় ডিজেল ও ফার্নেস তেলের মতো পরিশোধিত জ্বালানি তেলের আমদানি বাড়ছে প্রতি বছর। এতে বছরে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকা বাড়তি দিতে হচ্ছে সরকারকে। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরেই চাপে আছে বিপিসি।
বর্তমানে পেট্রোলের চাহিদা দেশেই পূরণ করা হয়। অকটেন ৪০ শতাংশ দেশে উৎপাদন হয়, বাকিটা আমদানি করতে হয়। সবচেয়ে বেশি আমদানি করতে হয় ডিজেল ও বিদু্যুতকেন্দ্রের জন্য ফার্নেস তেল। ইআরএল-২ প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন হলে ডিজেলের বড় চাহিদা দেশেই পূরণ করা যাবে এবং পেট্রোল রফতানি করার সুযোগ তৈরি হবে। অভিজ্ঞ মহলের অনেকের ধারণা, বর্তমানে বেসরকারি পর্যায়ে জ্বালানি তেল পরিশোধনাগার নির্মাণে আগ্রহীদের মধ্যে প্রভাবশালী অনেকেই সরকারি সক্ষমতা না বাড়ানোর পেছনে তাদের নিজ নিজ প্রভাব রাখছে।
এ ক্ষেত্রে লক্ষণীয়, গত ১ নভেম্বর-২০২৩ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় রিফাইনারি খাতে বেসরকারি বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিশেষ এক পলিসি ঘোষণার ধারাবাহিকতায় এর মাত্র চার মাসেরও কম সময়ের মধ্যে অর্থাৎ জানুয়ারি-২০২৪ মাসে দেশের প্রখ্যাত একটি গ্রুপ অব কোম্পানি সরকারের সাথে এতদবিষয়ক একটি যৌথ বিনিয়োগ প্রস্তাব ‘এনার্জি ডিভিশন’-এ জমা দেয়। ওই প্রস্তাব বিপিসির যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠানো হলে তারা ৮ জুলাই ২০২৪-এর মধ্যে সংশ্লিষ্ট আ্যসেসম্যান্ট রিপোর্ট তৈরির লক্ষ্যে সাত সদস্যবিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে। এনার্জি ডিভিশনে তা পৌঁছার পর সংশ্লিষ্ট প্রতিমন্ত্রী এবং সর্বশেষ মন্ত্রী (এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী) কর্তৃক অনুমোদন সাপেক্ষে উভয় পক্ষের মধ্যে MOU (Memorandum of Understanding) স্বাক্ষর হওয়ার কথা। বর্ণিত ক্ষেত্রে (সম্ভাব্য বিনিয়োগ PPP (Public-Privet Partnership) পদ্ধতিতে হবে? না সম্পূর্ণ বেসরকারি পদ্ধতিতে হবে, তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।
প্রস্তাবিত ৩.০০ মিলিয়ন মেট্রিক টন ক্ষমতাসম্পন্ন ইআরএল-২ প্রকল্পের আওতায় ২১টি প্রসেসিং ইউনিট, ১৮টি ইউটিলিটি ও অফসাইট ইউনিটসহ মোট ৩৯টি ইউনিট স্থাপিত হবে। এটি বাস্তবায়িত হলে ইউরো-৫ মানের গ্যাসোলিন ও ডিজেলসহ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন নিম্নোক্ত পেট্রোলিয়াম পণ্যসমূহ উৎপাদিত হবে।
প্রকল্পের জন্য মোট ৬৪.১২৭ একর জমি লিজ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পে বিপিসি মোট ১০৫৪ কোটি টাকা খরচ করেছে।
বর্তমানে বিদেশ থেকে বড় বড় ট্যাংকারে করে প্রতি মাসে লাখ লাখ টন পরিশোধিত ও অপরিশোধিত তেল বাংলাদেশে আমদানি করা হয়। চট্টগ্রাম বন্দর এলাকায় গভীরতা কম হওয়ার কারণে সাড়ে নয় মিটারের বেশি ড্রাফটসম্পন্ন কোনো ট্যাংকার বন্দরে প্রবেশ করতে পারে না বলে সংশ্লিষ্ট তেলবাহী ট্যাংকারগুলো কুতুবদিয়া বা সমুদ্রের আরো গভীরে অবস্থান করে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে বিভিন্ন ছোট ছোট জাহাজ (লাইটারেজ) দিয়ে ট্যাংকার থেকে তেল বন্দরে নিয়ে আসা হয়। এতে অনেক সময় ১০-১১ দিন ব্যয় হয়। একই সাথে লাইটারেজ জাহাজের ভাড়াও গুনতে হয়।
প্রাসঙ্গিক এসপিএম বাস্তবায়ন হওয়া সাপেক্ষে গভীর সমুদ্র থেকে দু’টি পাইপের মাধ্যমে বর্ণিত ক্রুড অয়েল ও ফিনিশড অয়েল সরাসরি মহেশখালীতে গিয়ে জমা করা হবে। পরে মহেশখালী থেকে ওই পাইপ দু’টি, মাটির নিচ দিয়ে টেনে নিয়ে এসে বর্তমানে বিদ্যমান ইস্টার্ন রিফাইনারিতে উঠানো হবে। ফলে দু-তিন দিনের মধ্যেই বিদেশ থেকে আমদানি করা তেল লাইটারেজ জাহাজের খরচসহ অন্যান্য অনেক খরচ বাদ (কমবেশি বার্ষিক আট কোটি টাকা) দিয়ে বন্দরে পৌঁছে যাবে। এটি বাস্তবায়িত হলে বর্তমানে যেখানে ইস্টার্ন রিফাইনারি কর্তৃক আমদানির মাধ্যমে মাত্র ২০ শতাংশ দেশীয় চাহিদা মেঠানো হচ্ছে, সেখানে এর মাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৮০ শতাংশে দাঁড়াবে। চলমান এ প্রজেক্টটি ইতোমধ্যে তার ২২০ কিলোমিটার পাইপলাইনের মধ্যে ২১৪ কিলোমিটার লাইন স্থাপন করে ফেলেছে। অবশিষ্ট রয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ কাজ।
ইআরএল, ইউনিট-২ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত না হলে এসপিএম প্রকল্পের সম্পূর্ণ সক্ষমতা ব্যবহার করা সম্ভব হবে না। এতে এসপিএম প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে এবং দেশ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ইআরএল ইউনিট-২ প্রকল্পটি এসপিএম প্রকল্পের জন্য ‘Forward Linkage’ হিসেবে কাজ করবে বিধায় এ প্রকল্পটি এসপিএম প্রকল্পের পাশাপাশি বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন বলে ধারণা পাওয়া যায়।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, বিগত ১৫ ডিসেম্বর-২০২১ অর্থ মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং সেল থেকে এ প্রকল্পের অনুকূলে লিক্যুইডিটি সার্টিফিকেট দেয়া হয়। ২৬ মে-২০২২ প্রাসঙ্গিক ‘টেকনিপ’ থেকে পত্র মারফত জানানো হয় যে, ইআরএল কর্তৃক CPTU (Central Procurement Technical Unit) নেগোসিয়েশন প্রস্তাবনা সত্ত্বেও তারা এ প্রকল্পের ইসিপি নেগোসিয়েশন এবং প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে অপারগ।
প্রকল্পটির ইপিসি কন্ট্রাক্টর নিয়োগের বিষয়ে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা বিগত ১ আগস্ট ২০২২ বিপিসির সাথে ঊওখ EIL (Engineers India Limited) এবং আইনি পরামর্শকের অনলাইন সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় এক ধাপ, দুই খাম পদ্ধতিতে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ইপিসি ঠিকাদার নিয়োগ, প্রশাসনিক, আবাসিক ও অন্যান্য ভবন নির্মাণ ও ভূমি উন্নয়নের জন্য ইপিসি থেকে পৃথক দরপত্র আহ্বান করা এবং CPTU-এর স্ট্যান্ডার্ড ফরম্যাট ‘PGSA’-এর আলোকে ‘বিড’ ডকুমেন্টস প্রস্তুত করার বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপিত হয়।
প্রকল্পের ডিপিপির উপর ২৪ আগস্ট ২০২২ বিপিসি থেকে এতদবিষয়ক পত্র প্রেরণ করা হয়। ৬ অক্টোবর-২০২২ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে প্রকল্পের সামগ্রিক অগ্রগতি-বিষয়ক এক সভায় প্রকল্পের ইপিসি কাজের জন্য ঠিকাদার নিয়োগের লক্ষ্যে CPTU-এর স্ট্যান্ডার্ড ফরম্যাট ‘PGSA’-এর আলোকে প্রস্তুতকৃত ‘বিড’ ডকুমেন্টস সংশোধন ও পরিমার্জন এবং ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০’-এর আলোকে এক ধাপ, দুই খাম দরপত্র পদ্ধতিতে, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এ ছাড়াও, এ সভায় প্রকল্পটি ৭০:৩০ অনুপাতে যথাক্রমে জিওবি (GOV:BPC) : বিপিসির অর্থায়নে বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত হয়। প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়টি অনুমোদনের জন্য ২৪ অক্টোবর-২০২২ বিপিসি থেকে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে তা পাঠানো হয়।
দেশের জন্য এ অত্যাবশ্যকীয় প্রকল্প বাস্তবায়নে মৌলিক সমস্যা হলো- বর্তমানে বিশ্বব্যাপী চলমান আর্থিক মন্দাভাব; যার প্রভাবে বাংলাদেশের ব্যবহার উপযোগী ফরেন রিজার্ভ বিপজ্জনক পর্যায়ে এসেছে। উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য সময়টা কোনোভাবেই অনুকূল না হলেও দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত রাখার লক্ষ্যে আলোচ্য প্রকল্পটি অতি অবশ্যই বাস্তবায়ন করা জরুরি বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহল মনে করে। তাই এ প্রকল্পটি (ইস্টার্ন রিফাইনারি, ইউনিট-২) অতি দ্রুত অনুমোদনের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ের (পাঁচ বছর) মধ্যে তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মপন্থা গ্রহণ করা যেতে পারে; প্রয়োজনে জ্বালানি নিরাপত্তা-সংক্রান্ত কার্যক্রমের আওতায় বর্ণিত প্রকল্পের বিপরীতে সৌদি বিনিয়োগ নিশ্চিতে, দু’দেশের মধ্যে ইতোমধ্যে সম্পাদিত বিবিধ যোগাযোগ/সভার ধারাবাহিকতায়, প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করার বিদ্যমান সুযোগ কাজে লাগানো হলে ইস্পিত ফল লাভ করা সম্ভব।
লেখক : নিরাপত্তা গবেষক
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা