০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জিলহজ ১৪৪৫
`

আওয়ামী লীগ বনাম জনগণের লড়াই

আওয়ামী লীগ বনাম জনগণের লড়াই - প্রতীকী ছবি

এক.
বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ তার অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে কখনো পরাজয় মেনে নেয়নি, আত্মসমর্পণও করেনি। প্রতিটি লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত এ মাটির সাহসী সন্তানরা জয়ী হয়েছে। বিএনপির চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনও ব্যর্থ হয়নি, থেমে যায়নি। আন্দোলন একটি পর্যায় থেকে আরেকটি পর্যায়ে ধাপে ধাপে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার আগে বিএনপি গত আন্দোলন-সংগ্রামের ব্যর্থতা-সফলতা পর্যালোচনা করেছে। বিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে এক মঞ্চে আনতে এবং দল পুনর্গঠন ও দলের চূড়ান্ত রণকৌশল ঠিক করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। ভবিষ্যৎ আন্দোলনে সফলতা অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে বিএনপি অতীতের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করছে।

গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মধ্যে বিশেষ করে এক-এগারোর ঘটনাকালের তথ্য-উপাত্তে দেখা যায়, সে সময় ক্ষমতাসীন বিএনপি ছিল বিপুল জনপ্রিয়। তৎকালীন সময়ের একাধিক সরকারি-বেসরকারি জনমত মূল্যায়ন রিপোর্টের মতামত সারাংশে উল্লেখ আছে যে, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তখন বিএনপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ক্ষমতায় যেত। তখনকার জনমত রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ ওই নির্বাচন ভণ্ডুল করার চক্রান্ত শুরু করে। একই সাথে ভারত ভূরাজনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নিশানা নিয়ে আওয়ামী লীগের সাথে সম্পর্ক গভীর করে। এরপর সেই নকশা অনুযায়ী ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি যৌথভাবে বাংলাদেশে ‘ওয়ান-ইলেভেনের’ ঘটনা ঘটায়।

ওয়ান-ইলেভেনের ফলে বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র ও জনগণের ভোটাধিকার নির্বাসিত হয়। ওয়ান-ইলেভেনের পর থেকে আজ প্রায় ১৮ বছর ধরে বিএনপির শীর্ষ থেকে তৃণমূল পর্যন্ত নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচারের স্টিমরোলার চলছে। ওয়ান-ইলেভেন ঘটনার ফাঁস হওয়া তথ্য-উপাত্তে দেখা যায়, বাংলাদেশকে কব্জায় রাখার জন্য ভারত আগে থেকেই ছক তৈরি করেছিল। ভারত পরিকল্পিতভাবে দেশে-বিদেশে বানোয়াট খবর প্রচার করে পশ্চিমা বিশ্ব এবং বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছিল। সামরিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের চক্রান্তের জালে পশ্চিমা দেশের গোয়েন্দাদের পাশাপাশি বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের জড়িয়ে পড়ার কারণে ওয়ান-ইলেভেনে সামরিক ক্যু সংঘটিত হতে পেরেছিল।

দুই.
ওয়ান-ইলেভেন ক্যুর মাধ্যমে বাংলাদেশে যে নষ্ট রাজনীতির খেলা শুরু হয় তা আজো চলছে। ওয়ান-ইলেভেনের পরিকল্পনা ছকে ঘোষিত ২০০৮, ২০১৪, ২০১৮, ২০২৪-এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ফলাফলে তার দৃষ্টান্ত দেখা যায়। ২০১৪, ২০২৪ সালে বিএনপি পাতানো জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন করে তুমুল আন্দোলন গড়ে তোলে এবং ২০০৮, ২০১৮ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। নির্বাচন বর্জন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ উভয় পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগ ওয়ান-ইলেভেনের পরিকল্পনা ছকে ভুয়া ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে রেখেছে।

ওয়ান-ইলেভেনের ক্যু ঘটিয়ে বিএনপির মতো জনপ্রিয় একটি রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতাচ্যুত করার ধারাবাহিক চক্রান্তে বাংলাদেশে গণতন্ত্রের পরাজয় ঘটানো হয়। ওয়ান-ইলেভেনের সেই কলঙ্কিত অধ্যায় এবং তারই ধারাবাহিকতায় চলে আসা দুঃশাসন থেকে জনগণ এখন মুক্তি চায়। এ কারণে সীমাহীন নির্যাতন-নিপীড়ন, গুম-খুন-হত্যা, জেল-জুলুমের পরও জনগণ গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার আদায়ের লড়াইটা চালিয়ে যাচ্ছে।

সম্প্রতি নানামুখী ব্যর্থতার কারণে সরকার প্রধানের থলের বিড়াল বের হতে শুরু করেছে। সাবেক পুলিশ ও র্যাবের প্রধান বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, সেনাপ্রধান আব্দুল আজিজ, রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউরের পিলে চমকানো দুর্নীতি, কুকীর্তির পাশাপাশি ভারতের মাটিতে এমপি আনারের করুণ পরিণতি ও প্রধান বিচারপতি সিনহাকে লাঞ্ছিত করে দেশ থেকে বিতাড়িত করার ঘটনা ভাইরাল হয়েছে। এখন তার অপরাধের অপ্রকাশিত আরো কাহিনী মানুষ দেখতে চায়। দেশের মানুষ জানতে চায় ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান কিভাবে জুডিশিয়াল কিলিং করেছে, কিভাবে অগণিত মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে। কিভাবে হাজার হাজার মানুষকে মিথ্যা মামলার জালে জড়িয়েছে, কিভাবে নিরীহ মানুষকে গুম করেছে। কিভাবে জনগণের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা পাচার করছে, কিভাবে ব্যাংকগুলো লুট করেছে, কিভাবে রিজার্ভ শূন্য করেছে। কিভাবে দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে!

দাম্ভিকতা, অহঙ্কার ও ক্ষমতার মদমত্ততায় তিনি এখনও সব কিছুতেই বেপরোয়া। তার পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়েছে। এখন ধীরে ধীরে তার ক্ষমতার বাঁধন শিথিল হতে শুরু করেছে। সাধারণ মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে শেষ পরিণতি দেখার জন্য।

তিন.
অবৈধভাবে ক্ষমতায় জেঁকে বসা এ সরকারের ফ্যাসিবাদী অপশাসনকে চূড়ান্তভাবে পরাজিত করতে না পারার ব্যর্থতার পাশাপাশি অতীতের আন্দোলন-সংগ্রামে বিজয়ী হওয়ার দৃষ্টান্ত এখানে প্রাসঙ্গিক হওয়ায় ব্যর্থতা ও সফলতার কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করা হলো। ব্যর্থতার মধ্যে অন্যতম হলো- অবৈধভাবে ক্ষমতায় জেঁকে বসা ফ্যাসিবাদী সরকারকে এখন পর্যন্ত পরাজিত করতে না পারা। অন্যদিকে সফলতার মধ্যে অন্যতম হলো- একাত্তরে সশস্ত্র বিদ্রোহের মাধ্যমে শহীদ জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা এবং সম্মুখসমরের যুদ্ধের মাধ্যমে বিজয় ছিনিয়ে আনা যেমন আমাদের গৌরবান্বিত করে, তেমনিভাবে জনমতের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা শ্রেণী-পেশার মানুষের আন্দোলন এবং রাজনৈতিক দলের ঐক্যের ভিত্তিতে সামরিক শাসক আইয়ুব খান এবং এরশাদের পতনের জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত আমাদের সামনে রয়েছে।

সফলতার ঘটনার মধ্যে মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে সামরিক শাসক আইয়ুব খানের পতন প্রণিধানযোগ্য। দ্বিতীয়টি- পঁচাত্তরে সিপাহী জনতার মিলিত বিপ্লবের মাধ্যমে একদলীয় বাকশালের পতন। তৃতীয়টি হলো, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বে ১৯৯০ সালে সামরিক শাসক এরশাদের পতন।

ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী বিশ্ব রাজনীতির নয়া মেরুকরণের পাশাপাশি আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতে জটিল পরিস্থিতি এবং শেখ হাসিনার মতো ক্ষমতালোভী প্রতারক শাসকের চারিত্রিক বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কথা মাথায় রেখে বিএনপি পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করছে। ওয়ান-ইলেভেন পূর্বাপর আওয়ামী লীগ ও তাদের কথিত বন্ধুরাষ্ট্রের সম্মিলিত ষড়যন্ত্রের অনেক তথ্য ইতোমধ্যে ফাঁস হয়েছে। সম্প্রতি হাসিনার ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ তার নাগালের বাইরে যেতে শুরু করেছে। পরিস্থিতি দিন দিন জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠছে। ঘরে-বাইরে পথে-ঘাটে এখন একটিই প্রশ্ন, হাসিনা কিভাবে বিদায় নেবে।

আওয়ামী লীগ ও তার প্রভুরা এখন মহা আতঙ্কে রয়েছে। জনগণ যেকোনো সময়ে বিনা নোটিশে তুমুল গণআন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী সরকারের পতন ‘ঘটিয়ে’ বসতে পারে এমন আতঙ্ক ও ভয় থেকে আওয়ামী লীগ ও তার বন্ধুরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। ক্ষমতা কব্জায় রাখার জন্য আওয়ামী লীগ ও তার প্রভু এখন আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্রের সাথে সংযুক্ত হয়েছে।
হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসন কার্যকরভাবে মোকাবেলা করার জন্য জনগণের দল বিএনপি জাতীয়তাবাদী ও অন্যান্য সব ডান-বাম গণতান্ত্রিক শক্তির মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। নিজ দলের এবং অন্য মিত্রদলের নেতাকর্মীদের সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য প্রস্তুত করছে।

চার.
অতীতের আন্দোলন সংগ্রামের ব্যর্থতা ও সফলতা বিবেচনায় নিয়ে ভবিষ্যতে বিজয় অর্জনের লক্ষ্যে দলের সব পর্যায়ে শৃঙ্খলার উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বিএনপি চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ তৃণমূলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মী এখন চরমভাবে নির্যাতিত। দল ও দেশের এমন দুর্যোগপূর্ণ সময়ে সব স্তরে ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। দলের হাইকমান্ড উচ্চপর্যায় থেকে কেন্দ্র, জেলা, থানা ও ইউনিট পর্যন্ত প্রতিটি কমিটির কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করবে। যেসব থানা, জেলা, ইউনিট পর্যায়ে দলীয় কর্মসূচি পালন করা যাচ্ছে না অথবা হচ্ছে না সেসব এলাকার দায়ী ব্যক্তিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।

নেতাকর্মীদের মনোবল বিনষ্ট করা, দলের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি করা ও আন্দোলনের কর্মসূচিতে জনগণকে সম্পৃক্ত করার পথে সব বাধা দূর করার উপর গুরুত্ব দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। সভা-সমাবেশ, মিছিল-মিটিং ও দল পুনর্গঠনের পাশাপাশি দলীয় নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে কি-না তাও মনিটরিং করা হচ্ছে। দলের মধ্যে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দলের গঠনতন্ত্র ও আদর্শের ভিত্তিতে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করার জন্য বিএনপি দেশব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করছে। দলের সব পর্যায়ে কেন্দ্রীয় কমান্ড প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি তৃণমূল নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্য বিএনপি কাজ করছে।

পাঁচ.
সর্বশেষ ২৮ অক্টোবর-২০২৩ সরেজমিন উপস্থিত থেকে এত বড় বিশাল জনসমাবেশ বানচালের দৃশ্য দেখে বারবার মনে হয়েছে ‘হাজার কাকের জন্য এক বাটুল’ গল্পের কথা। বিরাজমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য ‘প্রশিক্ষিত কর্মীই দলের প্রাণ’ শহীদ জিয়ার নির্দেশিত এই সাংগঠনিক রণকৌশল নিয়ে বিএনপি কাজ শুরু করছে। বিপুল কর্মীবাহিনীকে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনীতে পরিণত করার জন্য দেশব্যাপী বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।

শহীদ জিয়ার নির্দেশিত সাংগাঠনিক রণকৌশলের পথ ধরেই চলমান ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের কাণ্ডারি দেশনায়ক তারেক রহমানের জনপ্রিয় স্লোগান ‘বাংলাদেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে’ স্লোগান বাস্তবায়িত হবে।

চলমান লড়াই এখন বিএনপি বনাম আওয়ামী লীগ নয়। আওয়ামী লীগ এখন সম্পূর্ণভাবে জনগণের বিরুদ্ধে চলে গেছে। অন্য দিকে স্বাধীনতার ঘোষণা ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার’ প্রতিষ্ঠার জন্য লাখ লাখ বিএনপির নেতাকর্মী জীবন-মরণ লড়াই করছে। পদে পদে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিপদ ধাওয়া করে ফিরছে। তার উপর গায়েবি মামলা, কারাগার এমনকি মৃত্যুঝুঁকি মাথায় নিয়ে লাখ লাখ নেতাকর্মী যাযাবরের মতো ঘুরছে। এত ঝুঁকি ও এত বিপদের মধ্যেও ঝাঁকে ঝাঁকে তরুণ ছাত্র বুদ্ধিজীবী ও শ্রমজীবী মানুষ বিএনপির চলার পথে এখনো শক্তি জুগিয়ে আসছে। ছাত্রসমাজ, যুবশক্তি ও মেহনতি মানুষ বিএনপির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি হাইকমান্ডের অনুপ্রেরণায় তৃনমূল নেতাকর্মীরা রাজনীতিকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় নিয়ে যেতে কাজ করছে। দুর্নীতির রাহুগ্রাস থেকে রাষ্ট্র, সমাজ ও রাজনীতিকে মুক্ত করার জন্য বিএনপি কর্মসূচি পালন করছে। রাজনীতিসহ সব পর্যায়ের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে বিএনপি কাজ করছে। বিএনপির প্রতিটি নেতাকর্মীকে অনেক ঝড় তুফান ও জুলুম-নির্যাতন সহ্য করে কাজ করতে হচ্ছে।

ওয়ান-ইলেভেন বাংলাদেশের রাজনীতির অনেক সর্বনাশ করে গেছে। ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ন্যায়বিচার নেই। এখন দক্ষতা, সততা ও নৈতিকতার কোনো মূল্য নেই। শিক্ষাক্ষেত্রে ভয়াবহ অবক্ষয়, প্রশাসন এমনকি বিচারালয় পর্যন্ত দলীয়করণ হয়ে গেছে। লুটেরাদের দখলে ব্যাংকিং সেক্টর, দেশের সার্বভৌমত্ব বেহাত হওয়ার পথে। সব চেয়ে বড় অবক্ষয় ঘটেছে মানুষের আস্থা বিশ্বাস ও নৈতিক মূল্যবোধে।

পরিকল্পিতভাবে দেশকে খাদের কিনারায় এনে দাঁড় করানো হয়েছে। আইনের শাসন, ভোটের অধিকার, মৌলিক অধিকার, সম্পদের অধিকার ও জীবনের নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার সুরক্ষার জন্য গণতন্ত্রে বিশ্বাসী সব ডান-বাম ও মধ্যপন্থী রাজনৈতিক দল ও শ্রেণী-পেশার মানুষ বাঁচার জন্য লড়াই সংগ্রাম করে বিজয় ছিনিয়ে আনবে ইনশা আল্লাহ।

লেখক : রাজনীতিক


আরো সংবাদ



premium cement