২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ভারতের নির্বাচন কমিশন কোন পথ অনুসরণ করছে

ভারতের নির্বাচন কমিশন কোন পথ অনুসরণ করছে - ফাইল ছবি

ভারতের লোকসভা নির্বাচন হচ্ছে সাত দফায়। ষষ্ঠ দফার ভোট হয়েছে গত ২৫ মে। এ দিনের ভোটেও হতাশ বিজেপি। পাঞ্জাবে ভালো ফলের আশা আগেই ছেড়ে দিয়েছে শাসক দল। ষষ্ঠ দফা ভোটের পরে হরিয়ানা ও দিল্লিতে দল বড় সংখ্যক আসন হারাতে চলেছে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা। সপ্তম দফা অর্থাৎ শেষ দফা ভোট আজ পয়লা জুন। ফল ঘোষণা ৪ জুন।
এবারের ভারতের লোকসভা নির্বাচন নানা কারণে আলোচিত। ২০১৪ সালে দিল্লিতে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর লোকসভা নির্বাচন নিয়ে এত নানামুখী আলোচনা আর হয়নি। নির্বাচনের মাস ছয়েক আগেও মনে হচ্ছিল সব কিছু একপেশে হবে। সব কিছু প্রধানমন্ত্রী মোদির নিয়ন্ত্রণে। বিজেপির কব্জায়। মোদির জনপ্রিয়তা ও ভাবমর্যাদাতেও তার কাছাকাছি কেউ নেই।

এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট চার শতাধিক আসন পাবে বলে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন মোদি। প্রায় প্রতিটি জনসভা থেকে তিনি স্লোগান দিয়েছেন, ‘অব কি বার ৪০০ পার।’ তার মতো অন্য বিজেপি নেতারাও সেই ধ্বনি তুলছেন সভা থেকে রোড-শোতে। এ ঘোষণা আত্মম্ভরী মনে হয়নি। কারণ বিজেপি সরকার যেভাবে ভারতের রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করছে তা একচেটিয়া ও অপ্রতিরোধ্য। বিরোধী দলের নেতাদের জেলে ঢুকিয়েছে। জব্দ করা হয় কংগ্রেসের সব ব্যাংক হিসাব। মোট কথা, সব কিছু ছিল মোদির নিয়ন্ত্রণে।

কিন্তু হঠাৎ নির্বাচন শুরুর সপ্তাহ দুয়েক আগের থেকে দৃশ্যপট পাল্টে যায়। কেমন করে যেন মোদির হাত ফসকে সব কিছু বেরিয়ে যেতে থাকে। ২০১৪ সালে জনগণ মোদিকে একমাত্র ত্রাণকর্তা মনে করেছে। ২০১৯-তে তুঙ্গে ছিল পাকিস্তানবিরোধী প্রচারণা। আর মুসলিম বিদ্বেষের কৌশলটি তো ছিলই। কিন্তু বাবরি মসজিদ ভেঙে রামমন্দির করার পর এবার কেন জানি মোদি ব্র্যান্ড ফিকে। আগের জৌলুশ আর নেই। সেই পুরোনো মুসলিমবিদ্বেষ আর আগের মতো কাজ করছে না।

ভারতের মূলধারার গণমাধ্যম মোদির পক্ষে নগ্ন হয়ে কাজ করার পরও সেটি মানুষের মধ্যে আছর করছে না। বরং সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যম ‘মোদির ব্র্যান্ড’কে রীতিমতো ধসিয়ে দিয়েছে। বলা হচ্ছে, এ মুহূর্তে ভারতের ৫০ শতাংশ সোশ্যাল মিডিয়া মোদির বিপক্ষে। মোদির মিডিয়া গ্যাং ভুল তথ্য আর খাওয়াতে পারছে না। এবার কেমন জানি মিইয়ে গেছে।

নিজেকে ঈশ্বরের দূত দাবি মোদির
পুরোনো অস্ত্র মুসলিমবিদ্বেষ যখন আর কাজে লাগছে না তখন মোদি বেছে নিয়েছেন অন্য পথ। যা অসম্ভব, অলীক, উদ্ভট। নরেন্দ্র মোদি দিন কয়েক আগে নিজের সম্পর্কে অম্লানবদনে যে ‘গোপন খবরটি’ ফাঁস করেছেন, তা শুনলে কল্পলেখকদেরও পিলে চমকে যাবে। সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধির প্রশ্নের জবাবে মোদি জানিয়েছেন, মাতৃবিয়োগের পরবর্তীকালে নিজের কর্মকাণ্ড ভালো করে দেখেশুনে ইদানীং তিনি এ বিষয়ে ‘নিশ্চিত’ হয়েছেন যে, সাধারণ মনুষ্যজন্মের নিয়মকানুন দিয়ে তার আবির্ভাবকে ব্যাখ্যা করা যাবে না, ‘পরমাত্মা’ই আপন অভিপ্রেত কাজ করে যেতে তাকে ধরাধামে পাঠিয়েছেন। ২০৪৭ সাল অবধি ওই কাজ সম্পন্ন করতে বিরাজমান থাকবেন তিনি। প্রসঙ্গত, তখন তার জৈব শরীরের বয়স হবে ৯৬ বছর। পরমাত্মার অবশ্য বয়সের ঝঞ্ঝাট নেই!

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিজেকে পরমাত্মার প্রেরিত অলৌকিক প্রাণী বলে দাবি জানালে সুস্থবুদ্ধি এবং শুভবোধসম্পন্ন নাগরিকের মনে যে অনুভূতি জাগ্রত হয় তা কৌতুকের নয়, যুগপৎ বিবমিষা এবং উদ্বেগের। এ কথা এখন বহুচর্চিত যে, নির্বাচনপর্ব যত এগিয়েছে, তার প্রচারের ভাষা ও ভঙ্গি তত উগ্র এবং আগ্রাসী হয়ে উঠেছে। দিকে দিকে রব উঠেছে, ভোটের হাওয়া যথেষ্ট অনুকূল নয় বুঝে, অর্থাৎ বেগতিক দেখে দলনায়ক এখন বেপরোয়া। এখন, ভোটের শেষ পর্বে এসে তার নতুন জন্মরহস্য শ্রবণ করে প্রশ্ন জাগতে পারে- মর্তলোকের যাবতীয় অস্ত্রশস্ত্রে কাজ দিচ্ছে না ভেবে এবার কি তা হলে পরমাত্মাকেও প্রচারে নামাতে হলো?

ভারতের একটি দৈনিক লিখেছে, নিজের ভাবমর্যাদা ক্রমাগত উচ্চ থেকে উচ্চতর স্তরে তুলে নিয়ে যাওয়ার তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর আচরণে বহুদিন ধরে প্রকট। এক অর্থে ২০১৪ সালের নির্বাচনী প্রচারের প্রকরণ হিসেবে তার ‘হলোগ্রাম’টি ছিল সে কৌশলের অগ্রদূত। তারপর এক দশক ধরে দল এবং সরকারের সব অপদার্থতা, সব দুঃশাসন এক দিকে অস্বীকার করে এবং অন্য দিকে তার দায়দায়িত্ব অন্যদের ওপর চাপিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মূর্তিকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে রাখার প্রকল্পটি অব্যাহত থেকেছে। এখন, ১০ বছরের অভিজ্ঞতায় মূর্তির খড় মাটি উত্তরোত্তর বেরিয়ে পড়ার সাথে সাথে সেই তাগিদ যদি তাড়নায় পরিণত হয়ে থাকে, বিস্ময়ের কিছু নেই।

কংগ্রেসের তরফে সংবাদ সম্মেলন করে বলা হয়েছে, ‘বিজেপি নেতারা ঠাণ্ডা মাথায় প্রচার করে মোদিকে ঈশ্বরের অবতার হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। মোদি নিজেও বলছেন, তিনি পরমাত্মার দূত। একইভাবে হিটলারের প্রচারযন্ত্র তাকে ঈশ্বরের দূত বলত। এটিই স্বৈরাচারীদের লক্ষণ।’
পাঞ্জাবে এক জনসভায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী বলেন, ‘যে ব্যক্তির সরাসরি পরমাত্মার সাথে যোগাযোগ, তার সংবিধানের কী প্রয়োজন? তিনি তো সরাসরি ভগবানের সাথে কথা বলছেন।’

নির্বাচন কমিশনকে ঘিরে ঘোরতর সন্দেহ
এবার লোকসভা ভোটপর্বের একেবারে শুরু থেকে নির্বাচন কমিশন তীব্রভাবে সমালোচনায় বিদ্ধ। তিন সদস্যের কমিশনে একটি পদ শূন্য ছিল। তফসিল ঘোষণার ঠিক আগে গত ১১ মার্চ অন্যতম কমিশনার অরুন গোয়েল পদত্যাগ করেন। কোনো কারণ না জানিয়ে তার পদত্যাগ নানা প্রশ্নের জন্ম দেয়। সে চমক ছাপিয়ে যায় সরকারের সিদ্ধান্ত। চার দিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকার দুই কমিশনারের নাম ঘোষণা করে। ১৬ মার্চ নতুন ইসি জানিয়ে দেয় সাত দফা ভোটের তফসিল। ১৯৫২ সালের প্রথম সাধারণ নির্বাচন বাদ দিলে এতদিন ধরে এতগুলো পর্যায়ে ভারতের লোকসভা ভোট আর কখনো হয়নি।

এবারে ভারতের নির্বাচন কমিশন যে নিরপেক্ষ আচরণ করতে পারবে না, সে ইঙ্গিত ও ধারণার জন্মও তখন থেকে। এতদিন ধরে তিন সদস্যের কমিশনের নিযুক্তির দায়িত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী, লোকসভার বিরোধী নেতা ও দেশের প্রধান বিচারপতি। সেই প্রথা থেকে সরে আসতে মোদি সরকার নতুন আইন প্রণয়ন করে, যেখানে নিযুক্তির দায়িত্ব থেকে বাদ দেয়া হয় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। সে জায়গায় আনা হয় প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের কোনো এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। ফলে নতুন দুই কমিশনারকে দ্রুত নিযুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিরোধী নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। ওই নিযুক্তির প্রক্রিয়া কতখানি হাস্যকর ও আগে থাকতে স্থির করা ছিল, সে কথা অধীর চৌধুরী বর্ণনা করেছেন।

প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের দুই আমলাকে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ করার পর থেকে নির্বাচন কমিশনের কাজকর্ম নিয়ে অবিশ্বাস, সন্দেহ এবং অসন্তোষের পাল্লা ক্রমাগত ভারী হয়। ভারতের নাগরিক সমাজের চোখে নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক দায়িত্ব ও কর্তব্য নিষ্ঠার সাথে পালন করছে বলে ধরা পড়ছে না। এমনকি কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও গুরুতর প্রশ্ন উঠছে নানা মহল থেকে। বিরোধী দলগুলোর পক্ষ থেকে অভিযোগ জানানো হলেও তৎপরতার সাথে পদক্ষেপ গ্রহণের কোনো ঘটনা ঘটছে না। সব ক্ষেত্রে সীমাহীন নিষ্ক্রিয়তা ও নীরবতা। অর্থাৎ কমিশন বেশির ভাগ ক্ষেত্রে দায় এড়িয়ে যাচ্ছে। এটি কি কোনো গোপন সত্য বা ষড়যন্ত্র আড়ালের কৌশল? জোরেশোরে উঠেছে প্রশ্নটি।

যেকোনো নির্বাচনে বিরোধী পক্ষের তরফে সাধারণভাবে অভিযোগ জমা পড়ে বেশি। এবারো অন্যথা হয়নি। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এবার বিজেপি তরফে অভিযোগ নেই বললে চলে। তার দু’টি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, বিরোধীরা আদর্শ আচরণবিধি অনুসরণ করছে বলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার সুযোগ পাচ্ছে না বিজেপি। দ্বিতীয়ত, নির্বাচন কমিশনের কাজে তারা তৃপ্ত ও সন্তুষ্ট বলে অভিযোগ করার কোনো প্রয়োজনবোধ করছে না। ধরে নেয়া যায়, মোদির প্রত্যাশা মতো নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।

বিজেপি নেতারা, বিশেষ করে স্বয়ং মোদি প্রতিদিন যেভাবে আদর্শ আচরণবিধির গোষ্ঠী উদ্ধার করে চলেছেন তা কমিশন দেখেও দেখে না, শুনেও শোনে না। প্রতিদিন ধর্ম, জাতপাত নিয়ে বিষাক্ত ভাষণ দিচ্ছেন মোদি। কংগ্রেস ও বামপন্থীরা মোদির সাম্প্রদায়িক ভাষণের প্রতিবাদ জানিয়ে ইসিতে নালিশ করেছে। অথচ এক মাস কেটে গেল, প্রধানমন্ত্রী মোদি দোষী না নির্দোষ, ইসি জানাতে পারেনি। পক্ষপাতের অভিযোগের জন্য ইসি যে দায়ী, তাদের আচরণ তা বুঝিয়ে দিচ্ছে। মোদি মনে করছেন, তিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। যা খুশি করার এবং বলার অধিকার তার আছে। কমিশনও সম্ভবত ওই মনোভাবের স্বীকৃতি দিচ্ছে। তাই মোদির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে রাজি নয়।

এবার আর একটি নজিরবিহীন লুকোচুরি খেলা শুরু করা হয়েছে ভোট পড়ার হার নিয়ে। ভারতে অতীতে কোনো দিন এমন রহস্যে মোড়া আচরণ কমিশন করেনি। সাত পর্বে ভোট হচ্ছে। একটি করে পর্বের ভোট গ্রহণের পর সেদিন রাতে ভোট পড়ার প্রাথমিক হার বা সংখ্যা কমিশনের তরফে সরকারিভাবে ঘোষণা করা হয়। এটি বরাবরের নিয়ম, এবারো হয়েছে। কিন্তু সন্দেহ দানা বাঁধছে চূড়ান্ত তথ্য জানানোর থেকে অস্বাভাবিক বিলম্বের কারণে। তা ছাড়া তার চেয়ে বড় রহস্য ঘনীভূত হচ্ছে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত তথ্যের মধ্যে অস্বাভাবিক বেশি ব্যবধানে। সাধারণত ভোট গ্রহণের দু-এক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত ভোটের হার প্রকাশ করে কমিশন। এবার চার-পাঁচ দিন থেকে ১১ দিন পর চূড়ান্ত হার প্রকাশ করা হয়। তা ছাড়া প্রাথমিক ও চূড়ান্তের মধ্যে আসমান-জমিন পার্থক্যেরও কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি কমিশন। প্রতি বুথের প্রিজাইডিং অফিসারের দেয়া ভোট পড়ার সংখ্যা যোগ করে মোট প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা হয়। ছয়-সাত দিন ধরে তাহলে কমিশন তথ্য আড়াল করে রাখছে কেন? শাসক দলের পক্ষে ভোটের ফল পরিবর্তনে বাড়তি ভোট মজুদ করে রাখার আগাম ব্যবস্থা নয় তো? স্বচ্ছতা না থাকলে, সঙ্গত প্রশ্নের সঙ্গত উত্তর না মিললে, যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা না পেলে মানুষের মনে সন্দেহ জাগবে। ইভিএম নিয়ে বিরোধীদের সন্দেহ আগে থেকে রয়েছে।

‘তানাশাহি নেহি চলেগা’
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ও আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বিশেষ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। তার সাক্ষাৎকারটি ২৪ মে প্রকাশিত হয়। সাক্ষাৎকারে তিনি তার কারাগারে যাওয়া, ভারতের গণতন্ত্র, নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছেন। তার সাক্ষাৎকারের একটি অংশ বাংলাদেশের মিডিয়াতেও প্রকাশিত হয়েছে।

কেজরিওয়ালকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোদির তৃতীয় মেয়াদ কেমন হতে পারে বলে আপনার মনে হয়? উত্তরে কেজরিওয়াল বলেন, ‘তারা সংবিধান পরিবর্তন করবে এবং দেশ স্বৈরাচারের দিকে যাবে। হয় দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, নয়তো রাশিয়ার মতো নির্বাচন হবে, যেখানে পুতিন হয় সব বিরোধীকে কারাগারে পুরে রেখেছেন বা তাদের হত্যা করেছেন। এরপর নির্বাচন হয় এবং তিনি ৮৭ শতাংশ ভোট পান। বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সবাইকে কারাগারে রেখে বিপুল ব্যবধানে জিতেছেন। পাকিস্তানে তারা (সেনাবাহিনী) ইমরান খানকে কারাগারে পুরেছে। তার দল, দলীয় প্রতীক কেড়ে নেয়া হয়েছে। তারপর তারা জয়ী হয়েছে। আমাদের দেশেও এ ধরনের নির্বাচন হবে। বিরোধীরা কারাগারে থাকবে আর তারা (ক্ষমতাসীন) ভোট পেতে থাকবে।’

কারাগার থেকে বের হয়ে প্রথম দিন কেজরিওয়াল বক্তৃতায় বলেন, ‘তানাশাহি নেহি চলেগা’। ‘তানাশাহি’ অর্থ স্বৈরশাসন। মোদিকে ‘তানাশাহ’ নামে আখ্যায়িত করেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।

লেখক : সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন


আরো সংবাদ



premium cement
বাহাদুর শাহ পার্ক : ইতিহাসের নীরব সাক্ষী পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ভারতের ১৬ বছরের কম বয়সীদের জন্য ফেসবুক, টিকটক নিষিদ্ধ অস্ট্রেলিয়ায় ‘হাইব্রিড মডেল’ মানবে না পাকিস্তান, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে জটিলতা বাড়ল উগান্ডায় ভূমিধসে ৪০ বাড়ি চাপা, নিহত ১৫ দেশে বিশৃঙ্খলার পেছনে রয়েছে ইন্ধনদাতারা জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জামায়াত আমিরের দুর্নীতিবাজদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে না পারলে কিসের বিপ্লব, প্রশ্ন দেবপ্রিয়ের নৈরাজ্য সৃষ্টি জাতিকে বিপর্যয়ে ঠেলে দেবে গাজায় যুদ্ধবিরতির নতুন উদ্যোগ নেবে যুক্তরাষ্ট্র জনগণ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা রুখে দিয়েছে

সকল