জিয়ার রাজনৈতিক রাখাল রাজত্ব
- হাবিবুর রহমান হাবিব
- ৩০ মে ২০২৪, ১৩:০৬
কেবল মৃত্যু বা জন্মদিন উপলক্ষে স্মরণ-আলোচনায় জিয়াউর রহমানকে নিয়ে রাজনীতি করা যাবে। কিন্তু, তাকে আবিষ্কার করা যাবে না। এক দিন-দুদিনের ব্যক্তিত্ব ছিলেন না এই গ্রেট স্টেটসম্যান। সততার আইকন বছরের ৩৬৫ দিনই কর্মমুখর থাকার এক অনন্য দৃষ্টান্ত জিয়াউর রহমানের ব্যাটারি কিভাবে রিচার্জ হতো তা তার আশপাশের মানুষের জন্যও ছিল রহস্যঘেরা। মৃত্যুর পরও যা জিয়াকে রাজনীতির রাখাল রাজত্ব দিয়ে রেখেছে।
গুণীর কদর দেয়া ছিল রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের একটি মহৎ গুণ। তিনি চিন্তাশীল ও কাজের মানুষদের তার পাশে জড়ো করতে চাইতেন। দূরদর্শী চিন্তাভাবনার লোকের খোঁজ পেলেই তাকে আমন্ত্রণ করতেন। কোনো না কোনোভাবে কাজে লাগাতেন। অধ্যাপক মুহম্মদ শামসউল হক, ড. এমএন হুদা, সাইফুর রহমান, শাহ আজিজুর রহমান, ড. ফসিহউদ্দিন মাহতাবের মতো অনেককে পাশে এনেছিলেন এই গুণ দিয়ে। অকৃত্রিম ভালোবাসায় তাদের দিয়ে দেশকে স্বনির্ভর করার স্বপ্ন দেখতেন। দেশের বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ অনুসন্ধান, আহরণ এবং তা দিয়ে দেশের চাহিদা পূরণের উপর জোর দিতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, আমাদের গ্যাস যখন আছে, তখন তেলও পাওয়া যাবে অবশ্যই- শুধু খুঁজে বের করার অপেক্ষা। বড়পুকুরিয়ার কয়লা ও মধ্যপাড়ার কঠিন শিলা তার সময়েই আবিষ্কৃত হয়। স্বনির্ভর হতে হলে খাদ্যে স্বনির্ভরতা অর্জন করতে হবে। ফসল ফলাতে হবে। কৃষকদের সেচের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। সেচের জন্য খাল কাটতে হবে।
খরার সময় সেচের জন্য যথেষ্ট পানি ধরে রাখা আর বর্ষায় বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ার পথ করে দেয়া ছিল খাল খনন কর্মসূচির উদ্দেশ্য। এ কর্মসূচিতে দেশজোড়া অবর্ণনীয় উৎসাহ দেখা দিয়েছিল। জেলায় জেলায় প্রকল্প তৈরি করে ওই প্রকল্প জিয়া নিজে উদ্বোধন করতেন। কোদাল হাতে প্রথম ঝুড়ি মাটি কাটতেন জিয়া নিজ হাতে। এ কাজে চষে বেড়িয়েছেন সারাদেশ। আজ চট্টগ্রাম তো কাল সিলেট। দুর্গম এলাকাগুলোও বাদ যায়নি। ঢাকার বাইরে প্রতি মাসে আট- দশ দিন কাটিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় মাইলের পর মাইল হাঁটতেন। হাঁটতে হাঁটতে তার সঙ্গীদের ঘামতে ঘামতে জিভ শুকিয়ে যেত। তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. মাহতাবউল ইসলাম ডিহাইড্রেশন থেকে বাঁচাতে সবাইকে লেবু দিয়ে লবণ পানি খাইয়েছেন। কিন্তু জিয়াউর রহমানের ডিহাইড্রেশনের বালাই নেই। তাকেও ডা. মাহতাব উল ইসলাম ওই শরবত খেতে পরামর্শ দিতেন। কিন্তু তিনি বলতেন, ওইসব আমার লাগবে না।
একেই বলে গণসংযোগ।
স্বজনপ্রীতি শব্দটা রাষ্ট্রপতি জিয়ার অভিধানে ছিল না। দুর্নীতি-সংক্রান্ত কোনো কাজকে তিনি কখনো প্রশ্রয় দেননি। কৃচ্ছ্র সাধন করার দৃষ্টান্ত বিরল। নিজের পরিবারের জন্য তিনি কিছুই করেননি। নিজের জন্য তো করেনইনি। আত্মীয়স্বজনদের কেউ কোনো তদবিরের জন্য বঙ্গভবনে বা তার বাসভবনে সাক্ষাৎ করতে আসবেন, সেটা ছিল অকল্পনীয় ব্যাপার। তেমন সাহস কারো ছিল না। মাসিক বেতন থেকে ১৫০ টাকা রাষ্ট্রপতির রিলিফ ফান্ডে জমা দিতেন। বাকিটা দিয়ে সংসার চালাতেন। খেতেন খুব পরিমিত। তার বাড়ির হাঁড়িতে অতি সাধারণ খাবার হতো। একটা তরকারি, একটা ডাল, একটা সবজি। মন্ত্রীদের কেউ কেউ তার বাসায় খেতে বললে রাজি হতো না। কারণ এতটুকু খেয়ে তো তাদের পোষাবে না। রাষ্ট্রপতি জিয়া বলতেন, এর বেশি তো এফোর্ট করতে পারি না। ঢাকার বাইরে গেলে ডিসিরা খাবারের আয়োজন করত। সেখানেও কড়া নির্দেশ ছিল— একটা ভাজি, ডাল, একটা মাছ বা গোশত। বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরকালে প্রাপ্ত সব উপঢৌকন বা উপহারসামগ্রী তিনি রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি বলে গণ্য করতেন। সেসব তিনি বঙ্গভবনে তোষাখানায় পাঠিয়ে দিতেন। তার সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া যে অল্প কয়েকবার তার সফরসঙ্গী হন, তিনিও যেসব উপহারসামগ্রী পেয়েছেন, তা তোষাখানায় জমা দিতে হয়েছে। কেবল বিএনপি নয়, সকল রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর জন্যই জিয়ার ওই স্বভাব-বৈশিষ্ট্য পাঠ-পঠনে থাকলে নিশ্চিৎ বিশ্ব এক ভিন্ন বাংলাদেশ দেখতো।
বিদেশে তিনি বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন। তখনকার দুর্দান্ত শাসক যুগোস্লাভিয়ার রাষ্ট্রপতি মার্শাল টিটো, কিউবার রাষ্ট্রপতি ফিদেল ক্যাস্ট্রোর মতো নেতাদের সাথে ইক্যুয়াল লেভেলে কথা বলতেন। ইরান-ইরাক যুদ্ধে তিনি মধ্যস্থতা করেছেন, যা কেবল সুপার ডিপ্লোমেট ও ভিশনারী রাষ্ট্রনায়কের পক্ষেই সম্ভব। দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা ফোরাম— সার্ক, তারই ভিশন। তার ভিশনেই তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ ঘুচেছে বাংলাদেশের। দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করা যতো না ছিল রাজনীতি, তার চেয়ে বেশি ছিল তার উদার মানসিকতা। বাকশাল প্রতিষ্ঠার পর একদলীয় শাসন চলছিল। ওই মিলিটারি লোকটাই তো গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনলেন। সবাইকে এক ছাতায় আনতে বিকাশ ঘটালেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদের। মহলবিশেষে এ নিয়ে সমালোচনা ছিল। জিয়া বলতেন- আমরা বাঙালি তো বটেই, যেহেতু বাংলাদেশ হয়ে গেছে, সেখানে তো আমাকে দেশের পরিচয় দিতে হবে। সেটাই তো বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ। আমরা বাংলাদেশ করেছি, বাংলাদেশী পরিচয় দিতে অসুবিধা কোথায়?
হ্যাঁ, অসুবিধা অবশ্যই কারো কারো ছিল। যার জেরে ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে বিপথগামী কিছু সেনা সদস্যদের দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবকে হত্যার পর বাংলাদেশের তৎকালীন রাজনীতি ও সেনাবাহিনীতে নানা অঘটন এবং চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে ক্ষমতার কেন্দ্রে আসেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান ক্ষমতাসীন হবার পরে বাংলাদেশ একদলীয় শাসন ব্যবস্থা থেকে বহুদলীয় রাজনীতিতে ফেরে। বহুদলীয় রাজনীতির পুনপ্রবর্তনের ফলে তৎকালীন বাংলাদেশে একটি মৌলিক পরিবর্তন আসে। এর ফলে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির পথ উন্মুক্ত হয়। জেনারেল জিয়াউর রহমানের শাসনকালে বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং কূটনীতিতে মৌলিক বাঁক বদলে গেছে। এসব ঘটনা অনেকের দৃষ্টিতে ইতিবাচক আবার কারো দৃষ্টিকে নেতিবাচক।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রয়াত অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমদের বাংলাপিডিয়ায় লেখা বিশ্লেষণ হচ্ছে, ‘বাংলাদেশে বহুসংখ্যক বিভিন্ন মতের ও ধর্মের জাতিগোষ্ঠী বাস করে। তাদের সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার মাত্রা ও ধরণ বিভিন্ন। তাই জিয়া মনে করেন যে, শুধুমাত্র ভাষা বা সংস্কৃতির ভিত্তিতে নয়, বরং ভূখণ্ডের ভিত্তিতেই জাতীয়তাবাদকে গ্রহণ করা উচিত।
জিয়ার শাসনামলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি ভারত ও সোভিয়েত ইউনিয়ন বলয় থেকে বেরিয়ে আমেরিকা এবং চীনের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি হয়। ঘনিষ্ঠতা আসে মুসলিম বিশ্বের সাথে। এছাড়া জিয়াউর রহমানের শাসনামলে বাংলাদেশে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে অস্থায়ী সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়। এসবের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে ‘জিয়াউর রহমান’ শুধু একটি নাম নন; একটি অনবদ্য চরিত্র। গদ্য-পদ্যের সংমিশ্রণে সাহিত্য যেমন প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে; তেমনি জিয়াউর রহমানের সামরিক এবং রাজনৈতিক জীবনের গৌরবময় অংশগুলোর সংমিশ্রণে বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। সংক্ষিপ্ত জীবনের পুরোটাই একেকটি ইতিহাসের জন্ম দিয়ে নিজের জীবনকে বর্ণিল ইতিহাসের অংশ করে রেখেছেন। মহান তিনি জীবনাদর্শে, চিন্তা-চেতনায়, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, আর দূরদর্শিতায়। জীবনের সবটুকুই দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করে গেছেন।
স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের মানুষ মনে করেছিল রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিশেষ করে ওই সময়ের একচ্ছত্র নেতার হাতে তাদের ভাগ্যাকাশের পরিবর্তন ঘটবে। ব্রিটিশ, পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর দীর্ঘ শোষণ, বঞ্চনা, নিপীড়ন, নির্যাতনের অবসান ঘটবে। কিন্তু এর কোনোটিই হয়নি। উপরন্তু দেশের মানুষের অধিকার রহিত করার মানসে গণতন্ত্রকে হত্যা করে ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি দেশের সংবিধানের আমূল পরিবর্তন করে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সংসদীয় শাসনব্যবস্থার পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসনব্যবস্থা চালু করা হয় এবং এই সংশোধনীর মাধ্যমে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে ‘বাকশাল’ গঠন করা হয়। সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী মানুষের স্বাধীনতা ও সাম্যের অধিকারকে গলাটিপে ধরে। এর ধারাবাহিকতায় ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডি। ৮৩ দিনের মাথায় ৫ নভেম্বর খন্দকার মোশতাক ক্ষমতাচ্যুত্যির পরও পরিস্থিতি শান্ত হচ্ছিল না। খালেদ মোশাররফের ক্ষমতা দখলের সাথে সাথেই সাফায়াত জামিলের নেতৃত্বে ঢাকা ব্রিগেডের সহায়তায় ৩ নভেম্বর রাতে বেতার ও টেলিভিশনসহ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে সামরিক বাহিনীর স্টাফ প্রধান মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী করে তিনি নিজেই সামরিক বাহিনীর স্টাফ প্রধানের পদে উন্নীত হন। খন্দকার মোশতাকের পদত্যাগের পর বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সায়েম রাষ্ট্রপতি পদে নিযুক্ত হন। খালেদ মোশাররফ মন্ত্রিপরিষদ বাতিল করেন, জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন এবং দেশে সামরিক আইন জারি করেন। খালেদ মোশাররফ ক্ষমতা গ্রহণের পরই তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য সিপাহি-জনতার বিপ্লব সংঘটিত হয় এবং ৬ নভেম্বর প্রথম প্রহরেই তাকে হত্যা করে সিপাহি জনতার বিরাট অংশ এবং জনতা মিলে রাতেই ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দী অবস্থা থেকে উদ্ধার করে। মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে ঘটনাপ্রবাহে রাষ্ট্রক্ষমতাসীন জিয়া।
পৃথিবীর ইতিহাস বলে, এমন কোনো সামরিক শাসক নেই, যিনি জোর করে ক্ষমতা দখল করেননি এবং ক্ষমতায় গিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করেননি। সে ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একেবারেই বিপরীত। তিনি একদিকে যেমন জোর করে ক্ষমতা দখল করেননি; অন্যদিকে ক্ষমতায় গিয়ে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা এনেছেন। জনগণকেই করেছেন ’ক্ষমতার উৎস’। রাজনৈতিক ক্ষমতার পুরোটাই গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসার মতো মৌলিক বিষয়গুলোর ওপর জোর দিয়েছিলেন। অন্য মৌলিক বিষয়গুলোর পাশাপাশি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক মুক্তি। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর হাতে এসব অধিকার ভূলুণ্ঠিত হওয়ার কারণেই আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রয়োজন হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক সত্য, স্বাধীনতাযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া দলটির হাতেই গণতন্ত্রের কবর রচিত হয়। তাদের বহুধাবিভক্তি বঙ্গবন্ধুর জীবনকেও বিষময় করে তোলে। তাকে সপরিবারে হত্যা করে, লাশগুলো সিঁড়িতে রেখে নতুন কেবিনেট গড়তেও সময় নেয়নি তারা।
কেবল তা-ই নয়, নিজেদের নেতাকে ফেরাউনের পতন হয়েছে বলতেও ছাড়েনি। নিজেদের খাস পছন্দের সেনা প্রধানও হয়ে যান খুনি চক্রের সমর্থন ও রক্ষাকারী। খুনিচক্রের সদস্যরাও ছিল বঙ্গবন্ধু পরিবারের ঘনিষ্ঠ। সেনানিবাসে শৃঙ্খলিত দায়িত্ব পালন না করে ৩২ নম্বরে যাতায়াতে খাওয়া-দাওয়াসহ আথিতেয়তা পেত। আগস্টের ওই কালরাতে তাদের সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউল্লাহর সহায়তা চেয়ে পাননি বঙ্গবন্ধু। শফিউল্লাহ ৩২ নম্বরের পেছনের দেয়াল টপকে পালিয়ে যাওয়ার বুদ্ধি বাতলে দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকে। এই না সেনাপ্রধান! কোনো প্রফেশনাল বা সত্যিকারের মুজিবভক্ত হলে তিনিই রাষ্ট্রপতিকে বাঁচাতে ফৌজ নিয়ে ছুটে আসতেন। প্রয়োজনে নিজের প্রাণও বিসর্জন দিতেন। সেনাপতি জাদরেল হলে তো সেই পরিস্থিতিই হতো না।
লেখক : নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানের রূপকার, সাবেক ছাত্রনেতা ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা