চীনের ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রত্যাহার পরিকল্পনা
- মোহাম্মদ আজিজুল হক
- ১৪ মে ২০২৪, ০৫:৪১
বাংলাদেশ হয়ে মোট ৫৭টি আন্তর্জাতিক নদী প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশেছে; যার ৫৪টি ভারত হয়ে এসেছে। তাই আন্তর্জাতিক নদী ব্যবস্থাপনার কথা উঠলে বাংলাদেশের জন্য ভারতের নাম আসে সবার আগে।
ভারতের আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্প
ফারাক্কা বাঁধ পরীক্ষামূলকভাবে চালুর দুই বছর আগে ১৯৭২ সালে, ভারতের তৎকালীন পানিসম্পদমন্ত্রী ড. কে এল রাও, একটি পানি সরবরাহ গ্রিডের প্রস্তাব করেন। এর আট বছরের মাথায় ১৯৮০ সালে গঙ্গা, ব্রহ্মপুত্র, মেঘনা অববাহিকা থেকে পানি প্রত্যাহার করে ভারতের হরিয়ানা, রাজস্থান, গুজরাট ও দাক্ষিণাত্যে সরবরাহের একটি বৃহৎ পরিকল্পনা করা হয়।
২০০৩ সালের ১৫ আগস্ট, স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে ভারতের তৎকালীন প্রেডিডেন্ট ড. আব্দুল কালাম, এ পরিকল্পনা পরবর্তী ১৫ বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের তাগিদ দেন। এ ভাষণের সূত্র ধরে জনস্বার্থ সংরক্ষণবিষয়ক একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে, ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট আন্তঃনদী সংযোগ প্রকল্পটি, এরও দু’বছর আগে অর্থাৎ পরবর্তী ১৩ বছরের মধ্যে বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন। এ পরিকল্পনার আওতায়, হিমালয় পর্বতমালা নদী উন্নয়ন খাতে ১৪টি সংযোগ খাল এবং দাক্ষিণাত্য নদী উন্নয়ন খাতে, ১৬টি সংযোগ খাল খননের প্রস্তাব নেয়া হয়েছে।
ভারতের এ প্রকল্পের অধীনে মোট ৩৭টি নদীকে ৩০টি সংযোগ খালের মাধ্যমে যুক্ত করা হবে। ৩০টি সংযোগ খালের মোট দৈর্ঘ্য হবে আনুমানিক ১২ হাজার কিলোমিটার। পরিকল্পনানুযায়ী সংযোগ খালগুলো ৫০-১০০ মিটার প্রশস্ত ও প্রায় ছয় মিটার গভীর হবে। এ পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে :
১. ব্রহ্মপুত্র ও গঙ্গা, এ প্রধান নদী দু’টি সংযোগ খালের সাথে যুক্ত করা। এ জন্য সংযোগ-খালের সাহায্যে, পানি তিস্তা নদী দিয়ে প্রথমে ফারাক্কা পয়েন্টে আনা হবে। ফারাক্কা পয়েন্ট থেকে সংযোগ খাল কেটে উড়িষ্যার সুবর্ণরেখা ও মহানদী পর্যন্ত সংযোগ স্থাপন করা হবে। প্রকল্পের এ অংশটি পশ্চিম বাংলা ও আসাম রাজ্যে বাস্তবায়ন হবে। অনেকে বলে থাকেন, বারবার আশ্বাস দিয়েও ভারত বাংলাদেশের সাথে তিস্তা চুক্তি না করার, এটি প্রধানতম কারণ।
২. অন্য একটি প্রকল্পের আওতায় মহানদী, গোদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী ও ভাইগাই নদীগুলো সংযুক্ত করা হবে। প্রকল্পটি উড়িষ্যা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্নাটক প্রভৃতি রাজ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। ৩. অন্য একটি প্রকল্পে, গঙ্গা নদীর কয়েকটি উপনদী যথা- গণ্ডুক, ঘাগরা, সারদা ও যমুনা যুক্ত করা হবে। পরে যমুনা থেকে খাল কেটে, কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে। কিছু ড্যাম নির্মাণের মাধ্যমে ইতোমধ্যে গঙ্গার উপনদী; মহানন্দা, ব্রহ্মপুত্রের উপনদী; তিস্তা, মেঘনার উপনদী; মনু, খোয়াই ও গোমতি এবং পাহাড়ি পূর্বাঞ্চলীয় নদী মুহুরী থেকে পানি প্রত্যাহার শুরু হয়েছে। মনু বড় নদী নয়; কিন্তু বাংলাদেশের স্থানীয় অর্থনীতি ও পরিবেশের জন্য তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের নলখাটায় নব্বইয়ের দশকে একটি ব্যারেজ নির্মাণের পর থেকে ‘মনুর’ শুকনা মৌসুমে গড় প্রবাহ ১০ কিউসেক থেকে প্রায় শূন্যের কোঠায় এসে দাঁড়িয়েছে। ‘খোয়াই’ নদীর ও একই পরিণতি হয়েছে। ত্রিপুরার আথারপুরা পাহাড়ের পূর্বপাশে উৎপন্ন হয়ে এ নদী, বাল্লা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশের সিলেট জেলায় প্রবেশ করে। অতঃপর হবিগঞ্জ জেলা শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে, নবীগঞ্জের কাছে এ নদী পড়ে। ত্রিপুরার চাকমাখাটে একটি ড্যাম নির্মাণ করার পর থেকে, শুকনা মৌসুমে ‘খোয়াইর’ প্রবাহ অবশিষ্ট থাকে না বললে চলে।
গোমতি এবং মুহুরী
গোমতি পাহাড়ি নদী। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর-পূর্ব পাহাড় শ্রেণীতে উৎপন্ন এ নদীপ্রবাহ, তার উপরের অববাহিকায় বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভর করে পাঁচ কিউসেক থেকে ৫৭০ কিউসেক পর্যন্ত হয়ে থাকে। ত্রিপুরার ‘মহারানীতে’ ড্যাম তৈরি করে, একটি জলাধারে এর পানি জমা করা হয়। কুমিল্লার দুঃখ বলে খ্যাত এ নদী প্রায় তার পাড়ে নির্মিত ডাইক ভেঙে কিছু দিন পরপর ক্ষতিকর বন্যার সৃষ্টি করে। এর শাখা নদী ‘ডাকাতিয়া’, চাঁদপুরে এসে মেঘনার সাথে মেশে। গোমতির ভাটিতে বাংলাদেশের একটি অন্যতম বড় সেচ প্রকল্প (মেঘনা, ধনাগোদা সেচ প্রকল্প) এবং ডাকাতিয়ার ভাটিতে আরেকটি বড় সেচ প্রকল্প (চাঁদপুর সেচ প্রকল্প) অবস্থিত।অন্য পাহাড়ি নদী ‘মুহুরী’রও উৎস ত্রিপুরার পাহাড়ে। ফেনী জেলার পরশুরাম উপজেলা দিয়ে এ নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এখন নদীটির মৌসুমের দুই কিউসেক প্রবাহের, তিন-চতুর্থাংশ পানি ভারত প্রত্যাহার করছে। ত্রিপুরার কলোনিতে এ নদীর উপর নির্মাণ করা হয়েছে ড্যাম।
মেঘনা
বরাক নদীর (যা বাংলাদেশের মেঘনা নদীর ভারতীয় অংশের নাম) উপর একটি বহুমুখী ড্যাম মনিপুর রাজ্যের টিপাইমুখে নির্মাণসহ, এর মাধ্যমে জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন করার ফলে তথা ‘বরাক ও টুহভারী’ নদীর মিলনস্থল; টিপাইমুখে গৃহীত প্রকল্পের প্রভাবে, বাংলাদেশের সুরমা ও কুশিয়ারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হওয়ার বিষয় এখন প্রায় সর্বজন জ্ঞাত। এ দিকে ফেনী নদীর পানিও অবৈধভাবে ভারত পাম্প করে ত্রিপুরার ‘সাব্রোমে’ নিয়ে যাচ্ছে।
লক্ষণীয় যে, ব্রহ্মপুত্রের পানি গঙ্গায় গেলে, সেখান থেকে চুক্তি মোতাবেক পানি পেতে অসুবিধা হবে না। ভারত বলবে, আমি গঙ্গার পানি দেবো। কিন্তু ব্রহ্মপুত্র থেকে, যেখান থেকে ৭০ শতাংশ পানি আসে, সেখানে সমস্যাটা অনেক গভীর হবে। স্মরণযোগ্য যে, ব্রহ্মপুত্রের বিষয়ে, ভারতের সাথে বাংলাদেশের কোনো চুক্তি নেই।
এ ক্ষেত্রে চীনের সাম্প্রতিক কার্যক্রম
জানা যায়, চীন ব্রহ্মপুত্রের উৎসমুখে এ নদী থেকে পানি প্রত্যাহার করে, তা তার ‘গোবি অঞ্চলে’ নিতে চাইছে। এ পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশটি তার আওতাধীন তিব্বতের গিরিখাদে জন্ম নেয়া ওই ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রত্যাহারে উৎসমুখে পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তৈরি করা হবে সুড়ঙ্গ ও সংযোগ চ্যানেল বা খাল। আর সে খাল দিয়ে ব্রহ্মপুত্রের পানি যাবে চীনের খরাপীড়িত ‘গোবি অঞ্চলে’।
প্রকল্পটি ভারত ও বাংলাদেশ উভয় দেশের জন্য দুশ্চিন্তার। ব্রহ্মপুত্রের উৎস ধারায় চীন এমন কর্মপরিকল্পনা নিচ্ছে জেনে ভারত উদ্বিগ্ন। বিষয়টি সামনে নিয়ে এসে, বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে চীনকে কূটনৈতিকভাবে থামানোর লক্ষ্যে, ভারত ইতোমধ্যে বাংলাদেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে বিধায় এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ চাইলে ‘একই কারণে ভারতও বাংলাদেশের ওপর অনুরূপ কার্যক্রম চালাবে না’ মর্মে কূটনৈতিক চ্যানেলে নিশ্চয়তা চাইতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে চীন, নেপাল, ভারত, বাংলাদেশ যৌথভাবে বৃহত্তর পরিসরে পানি ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার কথা ভাবতে পারে।
জলবিদ্যুৎ আমদানির ফাঁদে, যমুনার পানি বিসর্জন দেয়ায় বাংলাদেশকে প্রলুব্ধ করা : বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্য অরুনাচল প্রদেশ থেকে, উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন স্থাপন করতে, সম্প্রতি প্রতিবেশী দেশ ভারত আগ্রহ প্রকাশের ধারাবাহিকতায়, ইতোমধ্যে বাংলাদেশের করিডোর ব্যবহার করে ছয় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, তথায় নিয়ে যওয়ার গ্রিড লাইনের রুটের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে, দু’দেশের সহযোগিতাবিষয়ক যৌথ পরিচালনা (জেএসসি) কমিটি। স্মরণযোগ্য যে, ২০১৪ সালে ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতাবিষয়ক যৌথ পরিচালনা কমিটির সপ্তম সভায় বলা হয়, ‘বাংলাদেশের দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া বা জামালপুরসহ তিনটি রুট ব্যবহার করে, ভারতের আসাম থেকে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুৎ প্রেরণ করতে পারে।’
বাংলাদেশের নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৩ হাজার মেগাওয়াটের বিপরীতে, বর্তমানে সর্বোচ্চ উৎপাদন সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। তথাপি বর্তমানে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বহরমপুর থেকে, ভেড়ামারা হয়ে প্রায় এক হাজার ১০০ মেগাওয়াট এবং উত্তর-পূর্ব ত্রিপুরা রাজ্য থেকে আখাউড়া হয়ে ১৪০ মেগাওয়াট ক্রস বর্ডার বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ। বস্তুত অরুনাচল প্রদেশ এবং এর সংলগ্ন উত্তর-পূর্ব ভারতীয় অঞ্চলগুলোর পরিকল্পিত ১৫৪টি জলবিদ্যুৎ বাঁধ, বহুবিধ পরিবেশ ও জলবায়ু ঝুঁকি এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি করবে। এগুলো চীনকে ব্রহ্মপুত্রের ওপর অতিবৃহৎ জলবিদ্যুৎ প্রকল্প করার বৈধতা দেবে। দিন শেষে ভারত ও চীন; উভয়ে জলবিদ্যুতের নামে ব্রহ্মপুত্রের পানি প্রত্যাহার করে, বাংলাদেশের স্বাদু পানির প্রধানতম উৎসটি একেবারে সঙ্কীর্ণ করে তুলবে।
তিব্বতের বিদ্যুৎ ঘাটতি কমাতে, ব্রহ্মপুত্রের পানি ব্যবহার করে চারটি বৃহৎ বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা আগে থেকে চীনের রয়েছে। তাই যেকোনো নতুন পরিকল্পনায় পানিপ্রাপ্তির গ্যারান্টি ক্লজ যুক্ত থাকা সমীচীন। লক্ষণীয় যে, ভারতে বৈশ্বিক নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের লক্ষ্য অর্জনে, সৌর ও বায়ুবিদ্যুতে বিপুল বিনিয়োগ করা হচ্ছে। তাই অরুনাচল প্রদেশের ‘অতি-খরুচে’ জলবিদ্যুৎ আসলে ভারতের প্রয়োজন নেই; দরকার মূলত পানি ঘাটতি অঞ্চলের দিকে, পানি প্রত্যাহার। ব্রহ্মপুত্র (যমুনা) নদী ও তার শাখা নদীর উপর পরিকল্পিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে, ভাটির ব্রহ্মপুত্র তথা যমুনা নদী ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হবে।
মোট কথা, নরায়নযোগ্য বিদ্যুৎ কিংবা জলবিদ্যুৎ আমদানির ফাঁদে পড়ে যাতে ‘ব্রহ্মপুত্র-যমুনার’ পানি বিসর্জন না দেয়া হয়, বাংলাদেশের জন্য, সেটি সর্বোচ্চ গুরুত্বের দাবি রাখে। প্রসঙ্গত, জেএসসির ১৯তম সভায়, ‘বারনগর-পার্বতীপুর-কাটিহাব’ সঞ্চালন করিডোর বাস্তবায়নের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের বিষয়ে বাংলাদেশ পাঁচটি প্রস্তাব উত্থাপন করে; যার প্রথমটি ছিল, সঞ্চালিত জলবিদ্যুৎ উৎসের, জলবিদ্যুৎ বাঁধে পানি ব্যবহার নীতিমালা এবং তথ্য, ভারত-বাংলাদেশের যৌথ নদী কমিশনকে (জেআরসি) অবহিত করা; যাতে আশ্চর্যজনকভাবে ভারত ভেটো দিয়ে বসে এবং বিকল্প নিম্নোক্ত দু’টি প্রস্তাব দেয় :
১. ‘ডিউ ডিডিজেন্স’ যাচাই করা; ২. দু’দেশের প্রতিনিধির সমন্বয়ে কমিটি করা; যারা হাই ভোল্টেজ সঞ্চালন লাইন-সংক্রান্ত আইনি এবং পরিচালনাগত বিষয়াদি দেখাশোনা করবে।
এর মাধ্যমে ভারত, বাংলাদেশের পানি নিরাপত্তা বিঘ্নিত না করার নিশ্চয়তা তৈরির যেকোনো গ্যারান্টি ক্লজকে পাশ কাটিয়ে যায়। আসল কথা হচ্ছে, ব্রহ্মপুত্রের পানির ব্যবহার নীতিপদ্ধতি, জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের জলাধার ভরাটে, ব্রহ্মপুত্রের পানি ব্যবহারের পরিমাণ ও সময় কিংবা অপরাপর পানি-সংক্রান্ত তথ্যাদি, ভারত যৌথ নদী কমিশনে পাঠাতে রাজি নয়।
এমতাবস্থায় জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নদী অববাহিকাগুলো পরস্পর আন্তঃসংযুক্ত বিধায়, ভবিষ্যৎ পানি ব্যবহারের তথ্য আদান-প্রদান, পানি বণ্টন, পরিবেশগত সুরক্ষা এবং জলবায়ু ঝুঁকির প্রশ্নে ‘চীন-ভারত-নেপাল-ভুটান-বাংলাদেশ’-এর মধ্যে সমন্বিত একটি আঞ্চলিক তথ্যপ্রবাহ এবং ‘উইন-উইন’ সমঝোতার ফ্রেমওয়ার্কের অধীনে বিদ্যুৎ বাণিজ্যের কাজ এগিয়ে নেয়া অধিকতর কল্যাণকর ও টেকসই হবে বলে অভিজ্ঞ মহলের অভিমত।
লেখক : নিরাপত্তা গবেষক
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা