২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

দেশভাগ, জিন্নাহ ও উপমহাদেশের রাজনীতিতে ধর্ম

দেশভাগ, জিন্নাহ ও উপমহাদেশের রাজনীতিতে ধর্ম - ফাইল ছবি

ভারতবর্ষে ব্রিটিশ আগ্রাসনের মুখে মুসলমানদের রাজনৈতিক পতনের পর থেকে ভারতীয় উপমহাদেশে মুসলমানদের বিরুদ্ধে বহুবিধ চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র শুরু হয়, যা আজ পর্যন্ত চলমান। এরপর উপমহাদেশের রাজনীতিতে বহু ঘটনাঘটনের ধারাবাহিকতায় ১৯৪৭ সালে এসে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বিবেচনায় ভারত ভাগ হয়ে সৃষ্টি হয় দুটো স্বাধীন দেশ : ভারত ও পাকিস্তান। দেশ ভাগের জন্য প্রধানত দায়ী করা হয় জিন্নাহকে। কিন্তু কংগ্রেসের হিন্দু নেতাদের বিতর্কিত ভূমিকা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আড়াল করা হয়।

এমনকি দ্বি-জাতিতত্ত্বের জনক হিন্দু মহাসভার নেতা বিনায়ক দামোদর সাভারকর হলেও জিন্নাহকে এর ‘প্রবক্তা’ হিসেবে প্রচার করে তাকে সাম্প্রদায়িকভাবে চিত্রিত করা হয়। অথচ ১৯২৯ সালের ২৮ মার্চ দিল্লিতে মুসলিম লীগের এক অধিবেশনে জিন্নাহ ফেডারেল পদ্ধতিতে অখণ্ড ভারতের অধীনে মুসলমানদের রাজনৈতিক অধিকারের পক্ষে ১৪ দফা দাবি পেশ করেন। কিন্তু সেটি প্রত্যাখ্যান করে কংগ্রেস। এর ফলে যে জিন্নাহ কিছু দিন আগেও ছিলেন অখণ্ড ভারতীয় জাতীয়তাবাদী, সেই জিন্নাহই শুধু মুসলমানদের রাজনৈতিক অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার্থে বাধ্য হন মুসলমানদের জন্য পাকিস্তান নামক পৃথক রাষ্ট্রের দাবি তুলতে। তখনকার পরিস্থিতি স্পষ্ট বোঝা যায় রবীন্দ্রনাথের জবানিতে। রবীন্দ্রনাথ তার ‘হিন্দু-বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রবন্ধে লিখেন, ‘মুসলমান যদি হিন্দুর গৌরব মানিয়া লইয়া নিজেরা চুপচাপ পড়িয়া থাকিত তবে হিন্দু খুব খুশি হইত সন্দেহ নাই, কিন্তু যে কারণে হিন্দুর হিন্দুত্ব উগ্র হইয়া উঠিল সেই কারণেই মুসলমানের মুসলমানি মাথা তুলিয়া উঠিল। এখন সে মুসলমানরূপেই প্রবল হইতে চায়, হিন্দুর সঙ্গে মিশিয়া গিয়া প্রবল হইতে চায় না।’ (রবীন্দ্র রচনাবলী)

সেক্যুলারিজমের মুখোশধারী কংগ্রেস নেতারা হিন্দু সম্প্রদায়ের স্বার্থ বুঝতেন ষোলআনা, কিন্তু মুসলমানদের বেলায় বিন্দুমাত্র ছাড় দিতে রাজি ছিলেন না; বরং ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত পর্যায়ে স্বাধীনতা-আন্দোলনের জন্য হিন্দু নেতারা মুসলমানদের সাময়িক সহায়ক হিসেবে ভেবেছিলেন। কিন্তু ব্যাপারটি এমন ছিল না যে, জাতিগত ঐক্যের চেতনা থেকেই কংগ্রেসে তারা কিছু মুসলিম নেতাকে স্থান দিয়েছিলেন কিংবা রাজনৈতিক অঙ্গনে মুসলমানদের অঙ্গীভূত করেছিলেন। খোদ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার স্বজাতির এ ধরনের স্বার্থপর মনোভাব সম্পর্কে একই প্রবন্ধে লিখেন, ‘আমরা মুসলমানকে যখন আহ্বান করিয়াছি, তখন তাহাকে কাজ উদ্ধারের সহায় বলিয়া ডাকিয়াছি; আপন বলিয়া ডাকি নাই। যদি কখনো দেখি তাহাকে কাজের জন্য আর দরকার নাই, তবে তাহাকে অনাবশ্যক বলিয়া পিছনে ঠেলিতে আমাদের বাধিবে না। তাহাকে যথার্থ আমাদের সঙ্গী বলিয়া অনুভব করি নাই, আনুষঙ্গিক বলিয়া মানিয়া লইয়াছি।’

এ ছাড়া, সরলীকরণভাবে বলা হয়ে থাকে, ব্রিটিশদের ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসির কারণেই নাকি দেশভাগ হয়েছিল। যদি তা-ই হয়, তাহলে শুধু দেশ ভাগ করে দিলেই তো যথেষ্ট হতো, ভারতবর্ষকে স্বাধীনতা না দিলেই কি হতো না? তাহলে স্বাধীনতা দেয়ার সিদ্ধান্ত কেন নিয়েছিল ব্রিটিশরা? স্বাধীনতা দেয়া ও দেশ ভাগের কারণ- দুটোকে আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করে দেখার জরুরত আছে।

দেশ ভাগের মূল কারণ ও ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসি
প্রায় ২০০ বছরের শাসনকালে ব্রিটিশরা উপলব্ধি করে, এই সুবিশাল ভারতবর্ষকে এককেন্দ্রিক সরকারব্যবস্থার অধীনে পরিচালনা করা অত্যন্ত দুরূহ। তাই তারা দেশ পরিচালনার সুবিধার্থে চেয়েছিল সরকারব্যবস্থার বিকেন্দ্রীকরণ (decentralisation)। এ জন্য দরকার হয়ে পড়ে ডিভাইড অ্যান্ড রুল পলিসির। ১৯০৫ সালে বাংলা ভাগ করার ব্রিটিশ গভর্নমেন্টের সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্যও ছিল সেটিই। যদিও পরে সাম্প্রদায়িক হিন্দু জাতিবাদীদের সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের মুখে তা রদ করা হয়।

ব্রিটিশরা মুসলমানদের কাছ থেকে ভারতবর্ষের শাসনক্ষমতা ছিনিয়ে নেয়ার পর হিন্দু-মুসলিম সাম্প্রদায়িক বিরোধ তীব্র হয়ে ওঠে; বিশেষত হিন্দু ঘরানার রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, পণ্ডিত ব্যক্তি, জমিদার, জোতদার ও মহাজনরা মুসলমানদের বিরুদ্ধে পরিচালিত সমস্ত চক্রান্তে ও ষড়যন্ত্রে ব্রিটিশদের কোলাবরেটরের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়। আর মুসলমানরা ইংরেজদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় কারণে নয় বরং ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার দরুন রাজনৈতিক কারণেই ইংরেজবিরোধী অবস্থান নেয়। ব্রিটিশরা যখন ভারতবর্ষকে স্বাধীনতা প্রদানের প্রাক-ইঙ্গিত দেয়, তখন মুসলমানরা দেখে যে, স্বাধীন হওয়ার পর ভারতবর্ষের মূল রাজনৈতিক কর্তৃত্ব চলে যাবে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ কংগ্রেস ও সাম্প্রদায়িক হিন্দু মহাসভার হাতে। তখনই জিন্নাহসহ মুসলিম লীগের নেতারা মিলে দ্বি-জাতিতত্ত্বের আলোকে মুসলমানদের জন্য পাকিস্তান নামে ভিন্ন আরেকটি দেশ গঠনের প্রস্তাব দেন।

স্বাধীনতাদানের নেপথ্য কারণ
ব্রিটিশরা ভারতবর্ষকে স্বাধীনতা দিতে এমনিতেই বাধ্য ছিল। কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক আগে আর্থিক দিক থেকে ব্রিটেনসহ ইউরোপের তীব্র নাজুক অবস্থার ফলে আসন্ন বিশ্বযুদ্ধে প্রতিপক্ষের মোকাবেলায় বিশেষত গ্রেট ব্রিটেনের রণপ্রস্তুতি ছিল অত্যন্ত দুর্বল। এমতাবস্থায় আমেরিকার কাছে যুদ্ধসহায়তা চায় ব্রিটেন। আমেরিকা প্রথমে না চাইলেও পরবর্তীতে নানাবিধ কারণে সেই যুদ্ধে অংশ নেয়। কিন্তু আমেরিকার লক্ষ্য ছিল দুনিয়া থেকে ভৌম-সাম্রাজ্যবাদ ও উপনিবেশবাদের অবমোচন। সেটি এ কারণেই যে, সে সময় আক্ষরিক উপনিবেশবাদ দুনিয়াব্যাপী মার্কিন পুঁজিবাদের সম্প্র্রসারণের প্রধান প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়ায়। ভারতবর্ষসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ব্রিটেনের উপনিবেশ হওয়ায় আমেরিকার পক্ষে সম্ভব ছিল না সেসব দেশ ও অঞ্চলে বিনিয়োগ বা পুঁজি স্থানান্তর করা। তখন আমেরিকা বিশেষ যে শর্তে ব্রিটেনকে যুদ্ধসহায়তা দেয়ার মাধ্যমে বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে সম্মত হয়, তা ছিল ব্রিটেন দুনিয়াব্যাপী বিস্তৃত তার ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব ছেড়ে দিয়ে দখলকৃত দেশগুলোকে স্বাধীনতা দেবে এবং আমেরিকার নেতৃত্বে জাতিসঙ্ঘ নামে এমন একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন গড়ে তোলার প্রয়াস নেবে, যার মাধ্যমে এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে পুঁজি ও বিনিয়োগের অনুপ্রবেশের পথ সুগম হবে। সুতরাং পুঁজিবাদের সম্প্রসারণের স্বার্থে এবং একই সাথে মার্কিন পুঁজিবাদের অন্যতম প্রকাশ্য প্রতিবন্ধক হিটলারের সা¤্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের মুখে আমেরিকা বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়। এরপর আমেরিকার নেতৃত্বে ও সহায়তায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জয় লাভ করার পরপরই আমেরিকার সাথে চুক্তির শর্তানুযায়ী ব্রিটেন তার সাম্রাজ্যবাদী ও ঔপনিবেশিক কর্তৃত্বের অবসান ঘটিয়ে দখলকৃত দেশগুলোকে স্বাধীনতা দিতে উদ্যোগী হয়। আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরপরই অর্থাৎ ১৯৪৫ সালে জাতিসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

জিন্নাহর পাকিস্তান ও উপমহাদেশের রাজনীতিতে ধর্মই মূল ফ্যাক্টর
দ্বি-জাতিতত্ত্ব প্রসূত হয় হিন্দুত্ববাদী নেতাদের মস্তিষ্ক থেকেই। উপরেও বলেছি, জিন্নাহ এটি প্রথমে গ্রহণ করতে চাননি। কারণ তিনি প্রথমদিকে ভারত ভাগের পক্ষে ছিলেন না। পরে পরিস্থিতির কারণে উপায়ান্তর না দেখে বাধ্য হন দ্বি-জাতিতত্ত্বকে অবলম্বন করে দেশ ভাগের আন্দোলনে নামতে। অথচ হিন্দুত্ববাদী ইতিহাস বয়ানে দেশ ভাগের জন্য জিন্নাহকে এককভাবে দায়ী করা হয়। এসব একপেশে অভিযোগ মূলত ভারতের উগ্র হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের মুসলিমবিদ্বেষী বয়ানের অংশ। এর উদ্দেশ্য, তাদের নিজেদের সাম্প্রদায়িক চেহারা লুকানো।

বস্তুতপক্ষে, জিন্নাহ কোনো ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন না। জিন্নাহ আপাদমস্তক সেক্যুলার ছিলেন। তিনি প্রথমে ভারতীয় কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন এবং বিগত শতকের প্রথম ভাগজুড়ে আপ্রাণ সেক্যুলার রাজনীতি করেছিলেন। কিন্তু একপর্যায়ে মুসলিম পরিচয়ের কারণে তিনি খোদ কংগ্রেসেই কোণঠাসা হয়ে পড়েন। আবার কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা করমচাঁদ গান্ধী তার অহিংস আন্দোলন ও সত্যাগ্রহ আন্দোলনের সাথে হিন্দু-চরমপন্থার সম্মিলন ঘটালে জিন্নাহ ১৯২০ সালে কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেন। বুঝতে পারেন, হিন্দু-মুসলমান ঐক্যের জন্য পণ্ডশ্রম করার চেয়ে মুসলমানদের অধিকার আদায়ের স্বার্থে লড়াই করাই সময়ের মূল দাবি। এটিও বুঝলেন যে, রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় কংগ্রেস তাকে বিশেষ একটি সুযোগ দেবে না। তাই উপায়ান্তর না দেখে তিনি দ্বি-জাতিতত্ত্বের পক্ষ অবলম্বন করেন।

এটি ঠিক যে, দেশ ভাগের পর পাকিস্তান রাষ্ট্রের গঠনতন্ত্র ছিল ধর্মভিত্তিক। কিন্তু দেশভাগ-পরবর্তী পাকিস্তান রাষ্ট্রের গঠনতন্ত্র ‘ধর্মভিত্তিক’ হোক সেটি তিনি চাননি। জিন্নাহ চেয়েছিলেন পাকিস্তানকে একটি সেক্যুলার রাষ্ট্রের আদলেই গঠন করতে। পাকিস্তানের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিপ্রাপ্তির তিন দিন আগে পাকিস্তান রাষ্ট্রের গঠনতন্ত্র ও রূপকল্প সম্পর্কে পাকিস্তানের কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলির উদ্দেশে দেয়া এক বিখ্যাত ভাষণে জিন্নাহ বলেছিলেন,

‘As you know, history shows that in England conditions, some time ago, were much worse than those prevailing in India today. The Roman Catholics and the Protestants persecuted each other. Even now there are some States in existence where there are discriminations made and bars imposed against a particular class. Thank God, we are not starting in those days. We are starting in the days where there is no discrimination, no distinction between one community and another, no discrimination between one caste or creed and another. We are starting with this fundamental principle: that we are all citizens, and equal citizens, of one State. The people of England in [the] course of time had to face the realities of the situation, and had to discharge the responsibilities and burdens placed upon them by the government of their country; and they went through that fire step by step. Today, you might say with justice that Roman Catholics and Protestants do not exist; what exists now is that every man is a citizen, an equal citizen of Great Britain, and they are all members of the Nation. Now I think we should keep that in front of us as our ideal, and you will find that in course of time Hindus would cease to be Hindus, and Muslims would cease to be Muslims, not in the religious sense, because that is the personal faith of each individual, but in the political sense as citizens of the State.’

আশা করি, ১৯৪৭ সালের ১১ আগস্ট প্রদত্ত ভাষণটির এই অংশটুকু কথায় কথায় জিন্নাহকে ‘সাম্প্রদায়িক’ বলে দোষারোপ করতে থাকা বামপন্থী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী কথিত সেক্যুলার গোষ্ঠীর কাছে বজ্রপাতের মতো মনে হবে। জিন্নাহর এই ভাষণ ছিল একটি সুস্পষ্ট সেক্যুলার মেনিফেস্টো। তবে আরো কথা আছে, এই ভাষণটি শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ হয়। তৎকালীন পাকিস্তানি আইনসভার অন্যান্য সদস্য তথা ধর্মীয় নেতা এটি মেনে নেননি। অবশেষে ১৯৪৯ সালে পাকিস্তানের আইনসভা কর্তৃক পাস হওয়া অবজেক্টিভ রেজুল্যুশন অনুযায়ী পাকিস্তান একটি মুসলিম জাতিভিত্তিক রাষ্ট্র হবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ অবস্থায় বলতে গেলে পাকিস্তানের রাজনীতিতে জিন্নাহ নিজেই একপ্রকার অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েন। জিন্নাহর দৃষ্টিতে ভারত ভাগই ছিল একমাত্র রাজনৈতিক সমাধান। ফলে বিবদমান হিন্দু জাতীয়তাবাদের বিপ্রতীপে রাজনৈতিক প্রয়োজনেই অনিবার্য হয়ে পড়েছিল মুসলিম জাতীয়তাবাদ। জিন্নাহ দ্বি-জাতিতত্ত্বের আশ্রয় না নিলে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটো আলাদা রাষ্ট্র হওয়ার রাজনৈতিক পরিণতি আসত না এবং পরবর্তীতে বাংলাদেশ নামে আরেকটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রেরও জন্ম হতো না।

একটি অনুপেক্ষণীয় বাস্তবতা হলো, ব্রিটিশ শাসনামল থেকে এখন পর্যন্ত উপমহাদেশের রাজনীতিতে ধর্ম বা ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ একটি অনিবার্য ও অপ্রতিরোধ্য ফ্যাক্টর হিসেবে বিদ্যমান। সুতরাং, ইসলাম প্রশ্নকে এড়িয়ে গিয়ে বিশেষ করে বাংলাদেশের সেক্যুলার বামপন্থীরা ইসলাম ও ইসলামপন্থীদের সাথে রাজনৈতিক বোঝাপড়া না করে সবসময় ভুল করে এসেছে।

লেখক : রাজনৈতিক বিশ্লেষক
Email: [email protected]


আরো সংবাদ



premium cement
ভারতীয় মিডিয়ার ভুল প্রচারণার বিরুদ্ধে সত্য দিয়ে লড়াই করুন : প্রেস সচিব আইনজীবী সাইফুল হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে পিরোজপুরে বিক্ষোভ অন্তর্বর্তী সরকার ২ বছর থাকবে তারপর পর নির্বাচন : ভিপি নূর ‘জিয়াউর রহমানের দর্শনে ফিরে গেলে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব’ উগ্রবাদীদের হামলায় আইআরজিসির সামরিক উপদেষ্টা নিহত বাংলাদেশে আটার কেজি ৪০০ টাকা হোক, চান বিজেপি নেতা আ’লীগের আর কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দিবো না : মাসুদ সাঈদী উগ্রবাদীদের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে : শফিকুল ইসলাম মাসুদ আইনজীবী হত্যায় হাসিনাকে আসামি করতে হবে : মামুনুল হক ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বান্দরবানে ইমাম-মুয়াজ্জিন ও মুসল্লিদের বিক্ষোভ সমাবেশ ‘লেবাননে যুদ্ধবিরতি চুক্তি গাজায় যুদ্ধবিরতির পথ দেখাতে পারে’

সকল