২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

বর্তমান শিক্ষাক্রম ও জাতিসত্তার স্বকীয়তা

বর্তমান শিক্ষাক্রম ও জাতিসত্তার স্বকীয়তা - ফাইল ছবি

শিক্ষা জাতির জাতিসত্তার রক্ষাকবচ। সুস্থ ও সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে শিক্ষাই জাতির মূলভিত্তি। আমরা মুসলিম জাতি, তাই আমাদের শিক্ষা কারিকুলামও হওয়া চাই আমাদের জাতিসত্তার মানদণ্ডের ভিত্তিতে। মুসলিম হিসেবে আমরা বিশ্বাস করি, মহান আল্লাহ সর্বপ্রথম হজরত আদম আ: ও বিবি হাওয়া আ:কে সৃষ্টি করেছেন। তাঁদের দু’জন থেকেই মানবজাতির বিস্তার ঘটেছে। তিনি কাউকে পুরুষ, কাউকে নারী রূপে সৃজন করেছেন। একই সাথে আমরা এও বিশ্বাস করি যে, দয়াময় আল্লাহই আমাদের জীবনদাতা, সুতরাং তিনিই আমাদের বিধানদাতা। তিনিই আমাদের জন্য ইসলাম ধর্মকে জীবনবিধান হিসেবে মনোনীত করেছেন। ইসলাম ধর্ম একদিকে যেমন পরিপূর্ণ, ঠিক সেভাবেই সব যুগে নারী-পুরুষ, ধনী-গরিব, মালিক-শ্রমিক নির্বিশেষে সব শ্রেণীর মানুষের জন্য বাস্তবতার সাথে শতভাগ সঙ্গতিপূর্ণ। শাশ্বত ও চিরন্তন এই ধর্মে দয়াময় আল্লাহ এমন কিছু রাখেননি যা কারো জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে। এমনকি তিনি পবিত্র কুরআনে ভিন্নমতাবলম্বীদের ভ্রান্ত উপাস্যদেরকে গালি দিতেও নিষেধ করেছেন। কারণ গালির প্রতিশোধ নিতে গিয়ে তারাও তো প্রকৃত উপাস্য আল্লাহকে মন্দ বলবে। (সূরা আল-আনআম, আয়াত-১০৮)

ঈমানী আকিদা-বিশ্বাস, এবাদত-বন্দেগি, পারিবারিক ও সামাজিক রীতিনীতি, উপার্জন ও উৎপাদনের নিয়ম-কানুন এবং রাষ্ট্র পরিচালনাসহ প্রতিটি অঙ্গনে ইসলাম প্রদত্ত নির্দেশনায় কোনো রকম অস্পষ্টতা নেই, নেই কোনো বৈষম্য ও জটিলতা। সঙ্গতকারণে আদর্শ সন্তান এবং দক্ষ ও বিশ্বস্ত জনশক্তি তৈরি নিশ্চিত করতে ইসলামী শিক্ষা গোটা পৃথিবীতে এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী শিক্ষাব্যবস্থা। এ ক্ষেত্রে বলা বাহুল্য যে, মুসলিম শিক্ষার্থীরা যদি ইসলামের মৌলিকত্ব, বোধ-বিশ্বাস ও বিধিবিধান অক্ষুণœ রেখে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে চায় তাহলে তা দোষের কিছু নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রে তা প্রয়োজনীয়ও। কিন্তু শিক্ষার আড়ালে যদি মুসলিম শিক্ষার্থীদেরকে ভিনদেশী ভাবধারা ও অনৈসলামিক পথে আকৃষ্ট করার নীলনকশা তৈরি করা হয় তাহলে তা নিঃসন্দেহে মুসলিম জাতিসত্তা বিপন্ন করার ষড়যন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু নয়।

আমরা যদি তদানীন্তন ব্রিটিশ শাসনামলের দিকে দৃষ্টি দিই তাহলে এমনই এক ভয়াবহ ষড়যন্ত্র দেখতে পাই। এই উপমহাদেশ থেকে মুসলিম জাতির অস্তিত্ব ধ্বংস নিশ্চিত করতে ব্রিটিশরা স্থির করল যে, প্রথমে মুসলমানদের ইসলামী শিক্ষা-সংস্কৃতি ও কৃষ্টি-সভ্যতা মুছে ফেলতে হবে। তাই লর্ড ম্যাকলে এমন এক শিক্ষা কারিকুলাম সামনে আনার পদক্ষেপ নেন যার প্রভাবে মুসলিম শিক্ষার্থীরা চেহারায় ভারতীয় থাকলেও কার্যত মনে মননে তারা যেন হয় ইউরোপীয় ও আমেরিকান মতাদর্শের মানুষ। লর্ড ম্যাকলের এই সর্বনাশী পরিকল্পনা বুঝতে পেরে হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা কাসেম নানুতুবী রহ: কাউন্টার পরিকল্পনা স্বরূপ তাৎক্ষণিক দারুল উলুম দেওবন্দ প্রতিষ্ঠা করেন। সেদিন তিনি যুগান্তকারী এই পদক্ষেপ না নিলে আজ এই উপমহাদেশের মুসলমানদের কী করুণ দশা হতো তা চিন্তা করলে গা শিউরে ওঠাই স্বাভাবিক। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশেও আজ আমরা দুর্ভাগ্যবশত ইংরেজদের নেয়া সেই পরিকল্পনার পুনরাবৃত্তি লক্ষ্য করছি। তাই যদি না হয় তাহলে কেন একটি মুসলিম দেশের জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যবইয়ে এমন আমূল পরিবর্তন আনা হলো, যেগুলো একদিকে যেমন ঈমানবিরোধী, তেমনি ইসলামী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যবিরোধী। ঈমান ও ইসলামী ভাবধারা পরিপন্থী এসব পরিবর্তন কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। এর মধ্যে ট্রান্সজেন্ডার ও বিবর্তনবাদ ইস্যু দু’টি সবথেকে জঘন্য। ঈমান ও ইসলামী ভাবধারাপরিপন্থী বিষয়গুলোর আংশিক চিত্র তুলে ধরছি।

ট্রান্সজেন্ডার প্রসঙ্গ : ২০২৩ শিক্ষবর্ষের সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান নামক বইয়ের ‘শরীফার গল্প’ আলোচনাটি নিয়ে ব্যাপক প্রতিবাদ হওয়ার পরও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড গল্পটি ২০২৪ সালের সপ্তম শ্রেণীর নতুন বইয়ে ৩৯ পৃষ্ঠা থেকে ৪৫ পৃষ্ঠা পর্যন্ত অংশে বহাল রেখেছে। এর অর্থ হচ্ছে কর্তৃপক্ষের কাছে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আপত্তি ও প্রতিবাদের কোনো মূল্য নেই। ‘শরীফার গল্প’ নামের এই আলোচনাটি নিঃসন্দেহে পশ্চিমা দুনিয়া থেকে আমদানিকৃত প্রকৃতিবিরুদ্ধ দীক্ষানির্ভর একটি আলোচনা। শরীফ আহমেদ থেকে শরীফা আকতার হওয়ার এই গল্প এবং গল্পপরবর্তী আলোচনার বিভিন্ন অংশে আপত্তি করার মতো এমন কিছু আলাপচারিতা রয়েছে, যেগুলোর মধ্যে একজন মুসলিম কিশোরের মন-মস্তিষ্ক বিকৃত হওয়ার যথেষ্ট উপাদান আছে বলে আমরা মনে করি।

বিবর্তনবাদ প্রসঙ্গ : ব্যাপক প্রতিবাদের ফলে গত শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুশীলন বইয়ে থাকা ‘খুঁজে দেখি মানুষের বিবর্তনের ইতিহাস’ আলোচনাটি বাদ দেয়া হলেও ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের সপ্তম শ্রেণীর ‘বিজ্ঞান অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়ের ৪র্থ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে- ‘যে জীবগুলো সময়ের সাথে বিবর্তিত ও অভিযোজিত হয়ে একে অপরের থেকে এতটাই আলাদা হয়ে গেছে যে, সেগুলো আর একে অপরের সাথে প্রজননে অংশ নিতে পারে না, সেগুলোকে আলাদা প্রজাতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।’ এটাই হচ্ছে বিবর্তনবাদের মূল কথা। বিবর্তনবাদ ঈমানবিরোধী একটি কুফরি মতবাদ। ন্যায়নিষ্ঠ বিজ্ঞানীরাও এই ভ্রান্ত মতবাদ প্রত্যাখ্যান করেছেন। পৃথিবীর অনেক দেশেই এই মতবাদ বাতিল করা হয়েছে, তাই বিজ্ঞানের নামে অবৈজ্ঞানিক ও ঈমানবিরোধী এই মতবাদের মূল কথা একটি মুসলিম দেশের পাঠ্যবইয়ে কিছুতেই থাকতে পারে না।

স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও বিজ্ঞান শিক্ষার নামে যৌন শিক্ষা : ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের ষষ্ঠ শ্রেণীর ৪৭ থেকে ৪৯ পৃষ্ঠায় বয়ঃসন্ধিকালে নারী-পুরুষের শারীরিক পরিবর্তন, নারী-পুরুষের শরীর থেকে কী নির্গত হয়, কোন অঙ্গের আকার কেমন হয় এবং বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কী রকম আকর্ষণ হয়, এসব নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয়েছে। একই শ্রেণীর ‘বিজ্ঞান ও অনুসন্ধানী পাঠ’ বইয়ের ‘মানব শরীর’ শিরোনামে ১১১ ও ১১২ পৃষ্ঠায় ১২/১৩ বছর বয়সের শিক্ষার্থীদের জন্য নারী-পুরুষের গোপন অঙ্গগুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা হয়েছে, যা উদ্বেগজনক। স্পর্শকাতর এই বিষয়গুলো এভাবে প্রকাশ্যে আলোচনার ফলে কেমলমতি শিক্ষার্থীদের লজ্জাহীন ও বিপথগামী হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়েছে।

২০২৪ শিক্ষাবর্ষের নবম শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের ১১০ পৃষ্ঠায় বহুবিবাহকে অন্ধকার প্রথা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আমরা মনে করি, ইসলামে একাধিক বিয়ে বৈধ করার বিষয়টিকে অন্ধকার প্রথা বলা হয়েছে, আরেক দিকে বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ সা:-এর বহু বিবাহকেও অন্ধকার প্রথা বলা হয়েছে, যা ঈমানী আকিদা-বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক।

২০২৪ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় শ্রেণীর ‘বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়’ বইয়ের ৩৯ পৃষ্ঠায় দেশীয় সংস্কৃতির নামে মঙ্গল শোভাযাত্রা ও ঢোল-তবলাকে প্রমোট করা হয়েছে।

সপ্তম শ্রেণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ে অতুল এবং নিরা, অন্তর এবং ফাহিমা গল্পগুলোতে বলা হয়েছে, অবৈধ সম্পর্কে গেলে কোনো অভিভাবকের শাসন করা উচিত নয়।
ষষ্ঠ শ্রেণীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইয়ে ছেলমেয়ের হাত ধরে চলাফেরা ও ঘোরাফেরাকে নিরাপদ স্পর্শ বলা হয়েছে। ২০২২ শিক্ষাবর্ষের আলিয়া মাদরাসার এবতেদায়ি প্রথম শ্রেণীর ইংরেজি বইয়ের ২য় পৃষ্ঠায় শিক্ষার্থীদের পারস্পরিক কথোপকথনে সালাম বিনিময় থাকলেও ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে এসে উক্ত কথোপকথনে সালাম বাদ দিয়ে তদস্থলে গুড মর্নিং যুক্ত করা হয়েছে এবং ২০২৪ শিক্ষাবর্ষেও তা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। একই বইয়ে মাদরাসা শিক্ষার বই হিসেবে শিক্ষিকার মাথায় হিজাব ও শিক্ষার্থীদের মাথায় টুপি ছিল, এ বছর তাও বাদ দেয়া হয়েছে। নবম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা বইয়ে জিহাদ তুলে দেয়া হয়েছে। জিহাদ আর সন্ত্রাস তো কখনোই এক জিনিস নয়।

একই শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে ভারতবর্ষের স্বাধীনতায় বিভিন্ন সংগঠনের কথা উল্লেখ করা হলেও ঐতিহাসিক সংগঠন জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দ ও মুসলমানদের অবদান একেবারেই সামনে আনা হয়নি, এটা ইতিহাস বিকৃতির শামিল। আলিয়া মাদরাসার বিভিন্ন শ্রেণীর বইয়ের প্রচ্ছদে বিজাতীয় সংস্কৃতিকে প্রমোট করা হয়েছে। অবস্থাদৃষ্টে এমনটা মনে করাই খুব স্বাভাবিক যে, গোটা শিক্ষা কারিকুলামেই যেন শিক্ষার্থীদেরকে হিন্দুয়ানি সংস্কৃতির দিকে আকৃষ্ট করার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। নইলে মাদরাসা শিক্ষার একাধিক বইয়ের প্রচ্ছদ এমন হবে কেন? এ রকম প্রচ্ছদ তো কোনো অবস্থাতেই আমাদের কৃষ্টি-সংস্কৃতির প্রতিনিধিত্ব করে না!

সংক্ষেপে বলা যায়, একটি মুসলিম দেশের শিক্ষা কারিকুলামে ইসলাম ধর্মশিক্ষাকে সুনির্দিষ্ট চক্রান্তের আওতায় চরমভাবে উপেক্ষা করা হয়েছে। অথচ ধর্মশিক্ষার মাধ্যমেই আদর্শ ও নীতি-নৈতিকতাসম্পন্ন প্রজন্ম গড়ে ওঠে। এই বাস্তবতায় যেখানে শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মশিক্ষাকে প্রাধান্য দেয়ার কথা ছিল, সেখানে উল্টো সঙ্কুচিত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এমনকি মাধ্যমিক স্তরের পাবলিক পরীক্ষা থেকে ধর্মশিক্ষাকে বাদ দেয়া হয়েছে।

এ রকম অশুভ পরিকল্পনা ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিণাম স্বরূপ আগামী প্রজন্মের ধর্মহীন হওয়ার সম্ভাবনা যারা অস্বীকার করবে তাদের মানসিক সুস্থতা নিয়েই প্রশ্ন তোলা যায়।

পরিশেষে দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ চিন্তা থেকে এবং আমাদের মুসলিম জাতিসত্তার স্বকীয়তা সমুন্নত রাখার অপরিহার্যতা উপলব্ধি করে ক্ষমতাসীন সরকারের কাছে কিছু প্রস্তাবনা পেশ করছি :

১. যেহেতু ২০১০ সালের প্রণীত জাতীয় শিক্ষানীতির প্রভাবেই আজকের এই বিতর্কিত শিক্ষা কারিকুলাম, তাই উক্ত শিক্ষানীতি বাতিল করে একটি মুসলিম দেশের ধর্মীয় ভাবধারার আলোকে নতুন রূপে জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন করতে হবে।
২. বর্তমান পাঠ্যপুস্তক থেকে বিতর্কিত ও ইসলামবিরোধী সব বিষয় ও আলোচনা বাদ দিতে হবে।

৩. জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে একাধিক বিশেষজ্ঞ আলেম ও ইসলামী স্কলারকে যুক্ত করতে হবে।
৪. শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মশিক্ষা বাধ্যতামূলক করা এবং মাধ্যমিক স্তরে পাবলিক পরীক্ষায় ধর্মশিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫. পাঠ্যপুস্তকে ভিনদেশী সংস্কৃতি প্রমোট করার মানসিকতা পরিপূর্ণ রূপে পরিহার করতে হবে।
৬. শিক্ষার্থীদের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে বিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ ব্যক্তিবর্গ দ্বারা শিক্ষক প্রশিক্ষণকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে।

৭. শিশু ও কিশোর শিক্ষার্থীদের অনলাইনমুখী না করে পাঠ্যবইমুখী করা।
৮. সরকারি-বেসরকারি সব স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম নারী শিক্ষার্থীদের পর্দার সাথে শিক্ষা গ্রহণে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করা।

(নিবন্ধটি জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সেমিনারে উপস্থাপিত)
লেখক : মহাসচিব, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ


আরো সংবাদ



premium cement