২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

গাজায় গণহত্যা বন্ধে আইসিজের অন্তর্বর্তীকালীন সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর?

গাজায় গণহত্যা বন্ধে আইসিজের অন্তর্বর্তীকালীন সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর? - ফাইল ছবি

ইসরাইলের বিরুদ্ধে গাজায় গণহত্যার অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলাটির এক অন্তর্বর্তীকালীন সিদ্ধান্ত ঘোষিত হলো ২৬ জানুয়ারি ২০২৪। ১৭ সদস্যের বিচারক প্যানেল এক উন্মুক্ত অধিবেশনে ১৫:২ সংখ্যাগরিষ্ঠ সিদ্ধান্তে জানালেন, মামলাটি আদালতের এখতিয়ারভুক্ত এবং অভিযোগগুলো বিশ্বাসযোগ্য। লক্ষণীয় বিষয় হলো, এটি আদালতের চূড়ান্ত রায় নয়। এতে ইসরাইলকে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়নি কিংবা বাদিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নির্দেশও দেয়া হয়নি। বলা চলে, আদালত শুধু মেরিট বিবেচনা করে অভিযোগটি আমলে নিয়েছেন এবং বিচারকাজ চালিয়ে যেতে সম্মত হয়েছেন। তবে, গণহত্যার মতো গুরুতর একটি অভিযোগের তদন্ত, শুনানি এবং রায় ঘোষণা যেহেতু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার, তাই অবিলম্বে গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে আদালত ছয়টি অন্তর্বর্তীকালীন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।

সিদ্ধান্ত ছয়টি হলো : এক. ইসরাইলকে অবশ্যই জেনোসাইড (গণহত্যা) কনভেনশনের ধারা ২ এ উল্লিখিত সব (গণহত্যামূলক) কার্যক্রম প্রতিরোধে সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিতে হবে; দুই. ইসরাইলকে অবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে যেন তাদের সামরিক বাহিনী গণহত্যা কনভেনশনের ধারা ২ এ উল্লিখিত কোনো কর্মকাণ্ডে অংশ না নেয়; তিন. ইসরাইলকে অবশ্যই গাজার ফিলিস্তিনিদের গণহত্যায় সরাসরি এবং জ্বালাময়ী উসকানি বন্ধে এবং শাস্তি প্রদানে তার সাধ্যের মধ্যে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে; চার. ইসরাইলকে অবশ্যই গাজার ফিলিস্তিনিদের মানবিক সহায়তা দিতে হবে; পাঁচ. ইসরাইলকে অবশ্যই গণহত্যা কনভেনশনের কথিত লঙ্ঘনের প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে; ছয়. ইসরাইলকে অবশ্যই এই আদেশের এক মাসের মধ্যে নির্দেশসমূহ পালনে গৃহীত সব ব্যবস্থার প্রতিবেদন আইসিজেতে দাখিল করতে হবে।

আইসিজের স্থায়ী বিচারক ১৫ জন, যাদের প্রত্যেকেই জাতিসঙ্ঘের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দু’টি অঙ্গ সাধারণ সভা এবং নিরাপত্তা পরিষদের পৃথক পৃথক নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে ৯ বছর মেয়াদে সারা পৃথিবী থেকে নির্বাচিত হয়ে থাকেন। কাজেই, এই প্যানেলটি আক্ষরিক অর্থেই বৈশ্বিক পর্যায়ে পক্ষপাতহীন ন্যায়বিচারের শেষ রক্ষাকবচ হিসেবে বিবেচিত। এই মামলার শুনানির জন্য প্রথা অনুযায়ী বিবদমান দু’টি পক্ষ- দক্ষিণ আফ্রিকা ও ইসরাইল মনোনীত অতিরিক্ত আরো দু’জন বিচারককে অস্থায়ী নিয়োগ দেয়া হয়। সাকুল্যে এই ১৭ জন বিচারকের মধ্যে ১৫ জনই সব ক’টি সিদ্ধান্তের সাথে একমত পোষণ করেছেন। শুধু উগান্ডার বিচারক সব ক’টি সিদ্ধান্তের সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন। পক্ষান্তরে, ইসরাইলি বিচারক তৃতীয় ও চতুর্থ সিদ্ধান্তের সাথে একমত এবং বাকিগুলোর সাথে দ্বিমত পোষণ করেছেন।

উগান্ডার বিচারক বাদিপক্ষের উত্থাপিত অভিযোগগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি। দ্বিমত পোষণের কারণ হিসেবে তিনি যুক্তি দিয়েছেন, যেহেতু ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুটির একটি দীর্ঘ ঐতিহাসিক এবং রাজনৈতিক পটভূমি রয়েছে, কাজেই কূটনৈতিক সমঝোতার মধ্য দিয়েই এর সমাধান হওয়া উচিত, আদালতের মাধ্যমে নয়। সুতরাং প্যানেলের সাথে তার মতবিরোধের কারণটি মূলত আদালতের এখতিয়ার সংক্রান্ত, অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে নয়।

অপর দিকে, শুধু বিরোধিতার স্বার্থে বিরোধিতা করলেও তৃতীয় সিদ্ধান্তটির সাথে একমত পোষণ করে ইসরাইলি বিচারক পরোক্ষভাবে স্বীকার করে নিলেন যে, ইসরাইলের বিভিন্ন মহল থেকে গণহত্যায় সরাসরি উৎসাহ জোগায় এমন উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার অব্যাহত রয়েছে, যা বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ। কারণ, গণহত্যা কনভেনশনের ধারা ৩ অনুযায়ী, এ ধরনের উসকানিও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বস্তুত, ইসরাইলি সরকারের উঁচু মহল থেকে এ ধরনের বক্তব্য প্রচারের ভূরি ভূরি নজির রয়েছে। ইউরোপভিত্তিক একটি এনজিও ‘ল ফর প্যালেস্টাইন’ এ ধরনের অন্তত ৫০০ প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। স্বয়ং ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট বলেছেন, গাজায় নির্দোষ সিভিলিয়ান বলে কিছু নেই। এ ধরনের বক্তব্য নিঃসন্দেহে ইসরাইলি সেনাদের গণহত্যায় উৎসাহিত করছে। উদাহরণস্বরূপ, এক ইসরাইলি সৈনিক একটি আর্টিলারি শেলের ছবি তুলেছে যার গায়ে হিব্রুতে লেখা, ঈশ্বর চাহেন তো এটা নির্দোষ জনগণকে আঘাত করুক।

স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু গাজার যুদ্ধকে হিব্রু বাইবেলে বর্ণিত আমালেকের যুদ্ধের সাথে তুলনা করেছেন, যেখানে ইহুদিদেরকে আমালেক সম্প্রদায়ের ওপর গণহত্যা চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি গাজাকে শয়তানের শহর আখ্যা দিয়ে গাজাবাসীকে হুমকি দিয়েছেন যেন তারা সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। গাজাবাসী সম্পর্কে ইসরাইলের শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ওরা সব পশু, ওদের টিকে থাকার অধিকার নেই। ওদের নির্মূল করে দিতে হবে। নেসেট সদস্য গটলিয়েব বলছেন, গাজাকে (বোমা মেরে) সমতল করে দাও, এটি অনুকম্পা দেখানোর সময় নয়। এ ধরনের প্রতিটি বক্তব্যের নেপথ্যেই যে, ‘জেনোসাইডাল ইনটেন্ট’ বা গণহত্যার উদ্দেশ্য রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। সর্বোপরি, আদালত বিষয়টি আমলে নিয়েছেন এবং ইসরাইলকে গণহত্যা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, এটিই ইসরাইল এবং তার কট্টর সমর্থকদের বিরুদ্ধে সভ্যতা, মানবতা ও নৈতিকতার প্রাথমিক বিজয়।

আইসিজের সিদ্ধান্তে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নির্দেশ না থাকায় বিভিন্ন মহল থেকে হতাশা ব্যক্ত করা হয়েছে। বস্তুত, এ ধরনের নির্দেশ দেয়ার ক্ষেত্রে আইসিজের কিছু নীতিগত বাধা রয়েছে। স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নির্দেশ দেয়া হবে ইসরাইলের ‘রাইট টু ডিফেন্ড’ বা প্রতিরক্ষার অধিকারকে অস্বীকার করারই নামান্তর। ইসরাইল অবশ্যই তার নিজ দেশকে রক্ষা করার অধিকার রাখে, কিন্তু নিরস্ত্র, সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালানোর অধিকার রাখে না। তাই, আইসিজের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যাটা এ রকম- যুদ্ধ করো, কিন্তু গণহত্যা চালিয়ো না। তবে, একটু গভীরভাবে লক্ষ করলেই দেখা যাবে, আইসিজের সিদ্ধান্ত বস্তুত স্থায়ী যুদ্ধবিরতিরই একটি পরিমার্জিত, কুশলী ও পরোক্ষ নির্দেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছেন। আইসিজের ছয়টি নির্দেশ পরিপূর্ণভাবে পালন করলে ইসরাইলের পক্ষে গণহত্যা তো বটেই, এমনকি যুদ্ধটাও আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।

প্রশ্ন উঠেছে, আইসিজে ইসরাইলকে তার নির্দেশ পালনে বাধ্য করতে পারে কি না। ঠিক যেদিন আইসিজে সিদ্ধান্তগুলো ঘোষণা করছে সে দিনও ইসরাইল গাজায় নির্বিচারে বোমাবর্ষণ করেছে, হত্যা করেছে আরো ১৮৩ জন মানুষ। সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় নেতানিয়াহুর দেয়া বিবৃতিতে অবাধ্যতার ইঙ্গিত স্পষ্ট। তাই প্রশ্ন উঠেছে, ইসরাইলকে সোজা পথে হাঁটতে বাধ্য করবে কে? আইসিজের সিদ্ধান্ত শিরোধার্য হলেও অমান্যকারীকে শাস্তি দেয়ার বা নির্দেশ মানতে বাধ্য করার জন্য কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তার অধীনে নেই। বৈশ্বিক পর্যায়ে আন্তর্জাতিক আইন অমান্যকারীদের শাস্তি দেয়ার যেটুকু ক্ষমতা আছে, তা ওই নিরাপত্তা পরিষদের হাতেই। আর সেখানে দোর্দণ্ড প্রতাপে ছড়ি ঘোরাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র- ইসরাইলের ঘনিষ্ঠতম মিত্র। এর আগে নিরাপত্তা পরিষদে ইসরাইলের বিরুদ্ধে উত্থাপিত দু-দুটো প্রস্তাবেই ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাই অনেকেই আশঙ্কা করছেন, ইসরাইলের এই প্রচণ্ড ক্ষমতাধর মিত্র দেশটির একগুঁয়েমির কাছে এবারো হয়তো হেরে যাবে বিশ্ববিবেক। আইসিজে সিদ্ধান্ত দেবে, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সেটি কার্যকর হতে দেবে না। তবে ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা বলছে, বিষয়টির এমন সরলীকরণ সম্ভবত ঠিক হবে না।

স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী একমেরুবিশিষ্ট বিশ্ব ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের যে একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল, সেটি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে। বস্তুত মার্কিন সাম্রাজ্যের পতন শুরু হয়েছে উত্থানের সময় থেকেই। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম দুটো অক্ষশক্তি- জাপান ও জার্মানিকে চিরদিনের জন্য দুর্বল করে রাখতে মার্কিনিরা দুটো পদক্ষেপ নেয়। জাপানি সংবিধান থেকে ‘রাইট অফ বিলিজারেন্স’ বা যুদ্ধ করার অধিকার বিলুপ্ত করা হয়। অপর দিকে, জার্মানি যেন কখনোই তার ইস্পাত শিল্পকে সামরিক অস্ত্র-সরঞ্জাম তৈরির কাজে ব্যবহার করতে না পারে, সেটি নজরদারি করতে ইউরোপের আরো পাঁচটি দেশের সাথে জার্মানিকে জুড়ে দিয়ে গঠন করা হয় ‘ইউরোপিয়ান কোল অ্যান্ড স্টিল কমিউনিটি’। জাপানের সামরিক অক্ষমতার সুযোগ নিয়ে ধীরে ধীরে শক্তিশালী হয়ে ওঠে গণচীন। বলাই বাহুল্য, গণচীন আজ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম সামরিক শক্তি। ওদিকে জার্মানির নেতৃত্বে একসময়ের কোল অ্যান্ড স্টিল কমিউনিটিই হয়ে পড়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। চলতি শতকের শুরুতেই তারা মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাজারে ছাড়ে বিকল্প আন্তর্জাতিক মুদ্রা ইউরো। এ কথা বললে অত্যুক্তি হবে না, ইউরোপ আজ মার্কিন প্রভাব বলয় থেকে অনেকটাই বেরিয়ে এসেছে। উল্লেখ করা যেতে পারে, ইইউ পার্লামেন্ট এরই মধ্যে ইসরাইলকে আইসিজের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

ওদিকে বিশ্ব রাজনীতিতে উদীয়মান আরেকটি বলয় ‘ব্রিকস’ও মার্কিন নেতৃত্বের বিরুদ্ধে শক্তিশালী চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। তারাও ইউরোর মতো নিজস্ব একটি মুদ্রা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। লক্ষণীয় বিষয় হলো- ব্রিকসের বর্তমান নেতৃত্বে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, যে দেশটি গাজার গণহত্যা মামলা জয়ের অবিসংবাদিত রূপকার। আদালতের এই রায় একদিকে যেমন দক্ষিণ আফ্রিকার নেতৃত্বে ব্রিকসের সপক্ষে বিশ্ব জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, তেমনি গণহত্যার সপক্ষের শক্তি হিসেবে সারা বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের নৈতিক অবস্থানকে বেশ নড়বড়ে করে ফেলবে বলে ধারণা করা যায়। বিশেষ করে, যদি চূড়ান্ত রায়ে ইসরাইল গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়, তাহলে কনভেনশনের ধারা ৩ অনুযায়ী, গণহত্যায় আর্থিক ও সামরিক সহায়তা দেয়ার দায়ে যুক্তরাষ্ট্রও অভিযুক্ত হবে। হয়তো প্রচণ্ড শক্তিধর যুক্তরাষ্ট্রকে শাস্তি দেয়া যাবে না, তবে দেশটি বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার নৈতিক অধিকার পুরোপুরিই হারিয়ে ফেলবে।

গাজাকে ঘিরে চলমান বৃহত্তর স্নায়ুযুদ্ধটিকে প্রাথমিকভাবে ‘ওয়েস্ট ভার্সেস দ্য রেস্ট’ বা ‘পশ্চিমা বনাম বাকি দুনিয়ার’ যুদ্ধ মনে হলেও ধীরে ধীরে এটি ইঙ্গ-মার্কিন-ইসরাইল বলয় বনাম পুরো পৃথিবীর যুদ্ধে রূপ নিচ্ছে। পশ্চিমা বিশ্বের বাকি দেশগুলো গণহত্যা সংঘটনের মতো ঘৃণ্য অপরাধের দায় থেকে ধীরে ধীরে হাত গুটিয়ে নিচ্ছে। একা হয়ে পড়ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি মার্কিন মুলুকের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও গণহত্যাবিরোধী জনমত গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। এর পরও মার্কিনিরা ইসরাইলকে সামরিক এবং অর্থনৈতিক সমর্থন দেয়া অব্যাহত রাখবে কি না, সেটি নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। আর মার্কিন সমর্থন ছাড়া আইসিজের নির্দেশ অমান্য করার সাহস বা শক্তি কোনোটাই ইসরাইলের নেই।

লেখক : আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, শান্তি এবং
সঙ্ঘাত বিশ্লেষক
Email : [email protected]


আরো সংবাদ



premium cement