৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাই এখন রাজনীতি

ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাই এখন রাজনীতি - প্রতীকী ছবি

এক.
বাংলাদেশের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে শ্রমজীবী মানুষের শ্রম ও ঘামের ওপর। কৃষি উৎপাদন, রেমিট্যান্স এবং গার্মেন্ট শ্রমিকরাই সচল রেখেছেন অর্থনীতি। অর্থাৎ স্বল্পশিক্ষিত মেহনতি মানুষরাই বাংলাদেশের আর্থিক খাতের প্রাণশক্তি। আর মধ্য ও উচ্চ শিক্ষিত বিরাট এক জেনারেশন এ দেশে বেকার! কিন্তু দুর্ভাগ্য, যাদের পরিশ্রমে রক্ত আর ঘামে বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে তারা আজ অধিকার থেকে বঞ্চিত।

ব্রিটিশ, ভারত, পাকিস্তান-পরবর্তী বাংলাদেশে এখনো শ্রমিক আন্দোলনের ইতিহাস অনেক উজ্জ্বল। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং একাত্তরের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে শ্রমিক আন্দোলন বড় ভূমিকা রেখেছে। ঐতিহাসিকভাবে শ্রমিক শ্রেণী শুধু নিজের জন্য নয় সামগ্রিকভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই সংগ্রাম করে থাকে।
উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানেও শ্রমিক-কর্মচারীরা জোটবদ্ধ হয়ে (স্কপ) ছাত্র-জনতার সাথে মিলে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রক্ত ঝরিয়েছে। স্বৈরাচারের পতন, গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শ্রমিক-কর্মচারীরা বারবার রক্ত ঝরিয়েছে। কলকারখানা ও অফিস ছেড়ে শ্রমিকরা রাজপথে নেমে এসেছে। সত্তরের দশকে গাজীপুরের টঙ্গী, নারায়ণগঞ্জের আদমজী, খুলনার খালিশপুর, যশোরের নোয়াপাড়া আর চট্টগ্রামের শ্রমিক আন্দোলন এ দেশের রাজনীতির গতিপথ পাল্টে দিয়েছিল।

জনগণের অতীত ত্যাগকে কালিমালিপ্ত করে আওয়ামী লীগ তার প্রভুদের সহায়তায় বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগ ও তার দোষররা অবাধ লুটপাট ও ভোগদখল টিকিয়ে রাখার জন্য সুস্থধারার রাজনীতিকে কলঙ্কিত করেছে। বিশেষ করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গবেষণা, বিজ্ঞান, জ্ঞানচর্চা ও চিরাচরিত সহাবস্থানের ধারা বিনাশ করেছে এবং অফিস, প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানায় শ্রমিক অন্দোলনের টুঁটি চেপে ধরে রেখেছে। বাংলাদেশের বাস্তবতায় শ্রমিক শ্রেণী এবং ছাত্রসমাজ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকর শক্তি। ছাত্রসমাজ ও শ্রমিক শ্রেণী জেগে উঠলে বাংলাদেশের নতুন ইতিহাস লেখা সম্ভব। ইতিমধ্যে শ্রমিকরা নতুন উদ্যমে সংগঠিত ও স্বোচ্চার হয়েছে। গার্মেন্ট, পরিবহনসহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রতিষ্ঠানিক শ্রমিকরা অধিকারের দাবিতে মাঠে নামছে।

দুই.
বাংলাদেশে প্রায় ১৮ কোটি মানুষের মধ্য প্রায় ১২ কোটি ভোটার এবং বিবিএসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা সাত কোটি ৩৫ লাখ। সাত কোটি ৩৫ লাখ শ্রমিক-কর্মচারীর মধ্য নিবন্ধিত শ্রমিক-কর্মচারীর সংখ্যা ৭০ লাখ এবং অনিবন্ধিত শ্রমিকের সংখ্যা ছয় কোটি ৬৫ লাখ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও শ্রম সংস্থার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, বাংলাদেশে শ্রমিক শোষণ ও নির্যাতনের ঘটনা উদ্বেগজনক। শ্রম আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিক-কর্মচারীদের সংগঠন করার অধিকারের স্বীকৃতি দেয়া হলেও পুলিশ ও আওয়ামী লীগ দলীয় ক্যাডারদের সহায়তায় সরকার ভিন্নমতসহ বিএনপি সমর্থক ট্রেড ইউনিয়নের অফিসগুলোর বেশির ভাগই দখল করে নিয়েছে। সরকার-সমর্থক শ্রমিক লীগ বিরোধী দল সমর্থক শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রম পেশিশক্তি ও প্রসাশনিক হস্তক্ষেপে বন্ধ করে দিয়েছে।

আওয়ামী লীগ ক্ষমতা হাতে পেয়ে বিরোধী পক্ষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রমে অংশ নিতে বাধা দিয়ে আসছে। ফলে সরকারি-বেসরকারি প্রায় সব প্রতিষ্ঠানে একতরফাভাবে শ্রমিক লীগ সিবিএ নির্বাচিত হয়।

আওয়ামী লীগ-সমর্থক শ্রমিক লীগ সরকারি ক্ষমতা ও পেশিশক্তির জোরে অবৈধ ও অনৈতিকভাবে সিবিএ নির্বাচিত হয়ে শ্রমিকদলের অন্তর্ভুক্ত বেসিক ইউনিয়নের নেতাকর্মীদের গণহারে দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে হয়রানিমূলক বদলি শুরু করে। আওয়ামী লীগ সরকার বিরোধীদল সমর্থক শ্রমিক-কর্মচারীদের বরাদ্দকৃত আবাসন বাতিল করে তাদের বাস্তুচ্যুত করে। বিরোধীদলীয় সমর্থক শ্রমিক কর্মচারীদের ঘন ঘন হয়রানিমূলক বদলি করে শ্রমিক নেতাদের সন্তানদের লেখাপড়া বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে।

হয়রানিমূলক বদলিই শুধু নয়, মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে অনেককে চাকরিচ্যুত, বেতন-ইনক্রিমেন্ট বন্ধ, এমনকি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে অনেককে সর্বস্বান্ত করে দেয়া হয়েছে। ফলে নিয়মতান্ত্রিক ও স্বাভাবিক শ্রমিক আন্দোলন হুমকির মুখে পড়েছে। জুলুম নির্যাতনের মাধ্যমে ভিন্নমত স্তব্ধ করে দেয়ার এ এক জঘন্য আওয়ামী চক্রান্ত যা খালি চোখে ধরা পড়ছে খুব কম। এতদসত্ত্বেও মিরপুর, গাজীপুর, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ আর চট্টগ্রামের শ্রমিক শ্রেণী জেগে উঠলে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সময়ের ব্যাপার মাত্র। আকাশচুম্বী দ্রব্যমূল্যের বাজারে শ্রমিকদের বর্তমান বেতনে জীবন যাপন বড়ই কঠিন হয়ে গেছে। এ অবস্থার অবসানের জন্য লড়াই করে তারা চাকরি হারাচ্ছে, নির্যাতিত হচ্ছে, মার খাচ্ছে। এই ভয়াবহ শোষণ যন্ত্রণার বিরুদ্ধে শ্রমিক শ্রেণী বিদ্রোহ, বিপ্লবের মাধ্যমে মুক্তির সংগ্রামে বৃহৎ ইতিহাস হয়ে দাঁড়াবে। সেদিকেই যাচ্ছে পরিস্থিতি।

তিন.
বাংলাদেশে শ্রম আইন অনুযায়ী, ট্রেড ইউনিয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও সভা-সমাবেশে অংশগ্রহণের অধিকার থাকলেও শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অংশগ্রহণের কারণে ট্রেড ইউনিয়ন শ্রমিকদের অনেক নেতাকে পুলিশ সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলার ফলে তারা চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। শ্রমিক আন্দোলন এবং শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কথা বলা আওয়ামী জামানায় এখন অপরাধের পর্যায়ে চলে গেছে। গ্রেফতারের পরের চিত্র আরো ভয়াবহ। গ্রেফতারকৃতদের পুলিশি হেফাজতে থানায় শারীরিক নির্যাতন করা হয়। বিনাবিচারে মাসের পর মাস জেলখানায় আটক রাখা হয়। বিরোধী মতের ট্রেড ইউনিয়ন ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের জেলখানায় প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে তাদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। প্রয়োজনীয় খাদ্য, অসুস্থ হলে জরুরি চিকিৎসা এমনকি ওষুধ পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে না। যার সর্বশেষ উদাহরণ কারাগারে আটক বিচারধীন শ্রমিকদল নেতা ফজলুর রহমান কাজলের বিনাচিকিৎসায় করুণ মৃত্যু।

বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বানচাল করার লক্ষে ২৬ অক্টোবর বিনা ওয়ারেন্টে শ্রমিকদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের মুগদা থানা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুর রহমান কাজলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশের দেয়া মিথ্যা মামলায় আদালত কাজলকে জামিন না দিয়ে কারাগারে প্রেরণ করে। আটকাবস্থায় কাশিমপুর কারা কর্তৃপক্ষের মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনে কাজল অসুস্থ হয়ে পড়েন। কারা কর্তৃপক্ষ হাতে হ্যান্ডকাপ ও পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে ২৬ ডিসেম্বর ঢাকা মেডিক্যালে পরবর্তীতে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। বিনা বেডে হাসপাতালের ফ্লোরে দু’হাতে হ্যান্ডকাপ ও পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি পরা অবস্থায় ২৮ ডিসেম্বর রাতে শ্রমিকদল নেতা ফজলুর রহমান কাজল বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেন। শ্রমিকনেতা কাজলের হাতে-পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি পরানো অবসস্থায় মৃত্যুতে সচেতন সব মহল থেকে প্রতিবাদ হলেও সরকার ও কারাকর্তৃপক্ষ একেবারে চুপ। প্রকৃতপক্ষে কাজলের স্বাভাবিক মৃত্যু হয়নি। এটি একটি হত্যার শামিল। এই হত্যার তদন্ত ও বিচার হতে হবে।

চার.
গার্মেন্ট খাতের শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে আঞ্জুয়ারা খাতুন, রাসেল হাওলাদার, জালাল উদ্দীন ও ইমরান রাজপথে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। গার্মেন্টস মালিকদের পক্ষ নিয়ে পুলিশের পাশাপাশি সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা কারখানায় হামলা করে হাজার হাজার শ্রমিককে আহত ও অনেককে চিরতরে পঙ্গু করে। শুধু হামলাই নয়, উল্টো পুলিশ ও গার্মেন্ট মালিকপক্ষ আন্দোলনরত শ্রমিকদের নামে মামলা করে হাজার হাজার শ্রমিককে হয়রানি করছে এবং অনেককে চাকরি থেকে ছাঁটাই করেছে।

ন্যায়বিচার, সুশাসন ও গণতন্ত্র হত্যা করে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করে ৭ জানুয়ারি আবারও একটি পাতানো ও একতরফা ডামি নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করেছে। দেশের সচেতন মানুষের পাশাপাশি শ্রমিক সমাজ পাতানো ও একতরফা ডামি নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। শ্রমিক সমাজের প্রতিবাদী কণ্ঠ স্তব্ধ করতে শুধু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিকদলের প্রায় সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। তারা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছেন না। বাসায় রাত যাপন করতে পারছেন না। পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত তাদের কর্মস্থল ও বাসাবাড়িতে হানা দিচ্ছে। নেতাকর্মীদের বাসায় না পেয়ে পুলিশ তাদের স্ত্রী, সন্তানদের হয়রানি করে এক ভীতিকর ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে।

পাঁচ.
এত স্বপ্নভঙ্গ আর হতাশার মধ্যে আশার দিক হচ্ছে- গণতন্ত্রকামী জনতার পাশাপাশি শ্রমিকরা আবার সংগঠিত হচ্ছে। শ্রমিক শ্রেণী নতুন ইতিহাস লেখার রসদ জোগাচ্ছে। নবউদ্যমে আন্দোলন ও সংগ্রামের ভিত্তি তৈরি করছে। শ্রমিকদের পক্ষে সোচ্চার হয়েছে দেশ ও বিদেশের গণতান্তিক শক্তি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শ্রমিক অধিকারের পক্ষে কথা বলছেন। শ্রমিকদেরকে অধিকারবঞ্চিত করলে, নির্যাতন করলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওয়াজ উঠছে। বাংলাদেশের শ্রমিক আন্দোলনের কর্মী কল্পনা আক্তারের নাম উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও বিদেশ সচিব এন্টনি ব্লিংকেন কথা বলছেন। এসব পদক্ষেপ বাংলাদেশের অধিকারবঞ্চিত শ্রমিক আন্দোলনে নতুন আশার দিক। শ্রমিক শ্রেণীর সাংগঠনিক ও সমষ্টিগত লড়াই সমাজে ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য। শ্রমিকরা সাহস পাচ্ছে, সংগঠিত হচ্ছে, রাস্তায় নামছে শুধু বেতনের জন্য নয়, দেশ ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যও।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১টি শ্রমিক সংগঠন ৪০ বছর পর ‘জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী কনভেনশনে’ মিলিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় ঘোষণা করেছে।

আওয়ামী ফ্যাসিবাদ নিজেদের ভোগদখলের উদ্দেশ্যে রাজনীতি ও রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে জাতিসত্তার বিকাশের মূলে আঘাত করেছে।
এই ঘোর দুঃসময়ে দরদি রাজনীতির পাশাপাশি কৃষক, শ্রমিক আর ছাত্র আন্দোলনই পারে বাংলাদেশকে মুক্তির পথ দেখাতে। দেশে এখন কৃষক আন্দোলন নেই, এই সুযোগে সরকার অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিলের মাধ্যমে শ্রমিক আন্দোলনের হাতে পায়ে বেড়ি পরাতে চায়। আওয়ামী লীগ দেশে ফ্যাসিবাদ ও লুটতন্ত্র বহাল রাখার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে শ্রমিক আন্দোলন নিয়ন্ত্রণের সাথে সাথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভিন্ন মতের ছাত্রদের সহাবস্থান, ছাত্র সংসদ গঠন ও সুস্থ ধারার ছাত্র রাজনীতির প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবে বৃহত্তর গণআন্দোলন গড়ে উঠতে পারছে না।

দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে শ্রমিক অধিকার নিয়ে সোচ্চার হওয়ার ঘটনা আমাদের নতুন স্বপ্ন দেখায়। নিজেদের অধিকার এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনেও শ্রমিক আন্দোলন অনেক বেশি প্রয়োজন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন পদক্ষেপ শ্রমিকদের প্রাপ্য অধিকার পেতে সহায়ক হবে। শ্রমিকদের মুক্তি ও বাংলাদেশের মুক্তির জন্য শ্রমিক আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল সেই লড়াইয়ের একটি শক্ত ভিত্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। আশা রাখছি মুক্তির এই সংগ্রামে মানুষ বিজয়ী হবে ইনশাআল্লাহ।

লেখক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী


আরো সংবাদ



premium cement