আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের ভাবনা
- ডা: মো: তৌহিদ হোসাইন
- ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:৪৮
মানুষ যেখানেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন জীবন জীবিকার প্রয়োজনে অনেককেই ভিন্ন স্থানে যেতে এবং অবস্থান করতে হয়। সে ক্ষেত্রে মানুষের স্থানান্তর গমন ও অবস্থান সহজসাধ্য করার জন্য জাতিসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদ ২০০০ সালে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
এর পর থেকে প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর জাতিসঙ্ঘের সব সদস্য দেশে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। জাতিসঙ্ঘ বলছে, মানুষ স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে বের হয় না। বিশ্বের ২৮ কোটি আন্তর্জাতিক অভিবাসীর অধিকাংশই সংঘাত, নিপীড়ন, দারিদ্র্য এবং ক্রমবর্ধমান জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সরে যেতে বাধ্য হয়েছে।
তবে যথাযথ আইনি পদ্ধতির পরিবর্তে অনেক অভিবাসী আশ্রয়দাতা দেশে প্রবেশের জন্য বিপজ্জনক পথ গ্রহণ করে। অনেকে শোষিত হয়, নির্যাতিত হয় এমনকি মারা যায়। ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের হিসাবে, গত আট বছরে ৫০ হাজারেরও বেশি অভিবাসী মারা গেছে এবং আরো হাজার হাজার মানুষ নিখোঁজ হয়েছে।
প্রতি বছর ১৮ ডিসেম্বর, জাতিসঙ্ঘ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশনের মাধ্যমে চার কোটি ১০ লাখেরও বেশি অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুসহ প্রায় ২৭ কোটি ২০ লাখ অভিবাসীর অবদান তুলে ধরতে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন করে। আফগানিস্তান, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা থেকে আসা শরণার্থী এবং অর্থনৈতিক অভিবাসীদের জন্য ইউরোপীয় দেশগুলো যখন দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে তখনই চলতি বছরের অভিবাসী দিবস পালিত হয়।
অভিবাসী কাকে বলে : জাতিসঙ্ঘের মতে, ‘এক বা একাধিক বছরের জন্য বাসস্থানের পরিবর্তনকে অভিবাসন বলে।’ বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘বাসস্থানের স্থায়ী বা অস্থায়ী পরিবর্তনই হলো অভিবাসন।’
অভিবাসনের কারণ : অভিবাসনের বিভিন্ন কারণ থাকে। আত্মীয়স্বজন ও নিজ গোষ্ঠীভুক্ত জনগণের কাছে থাকা, কর্মসংস্থান ও অধিকতর আর্থিক সুযোগ সুবিধা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, গৃহসংস্থান ও সামাজিক নিরাপত্তাগত সুবিধা, বিয়ে ও সম্পত্তি লাভের মতো ব্যক্তিগত সুবিধা ইত্যাদির পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত ক্ষয়ক্ষতি, সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক বৈষম্য, অর্থনৈতিক মন্দা, ব্যবসায়-বাণিজ্যে ক্ষতি, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নিপীড়ন ইত্যাদিও অভিবাসনের কারণ।
অভিবাসনের রকমফের : অভিবাসন আন্তঃরাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক- এই দু’ভাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। নিজ দেশের সীমানার মধ্যে গ্রাম থেকে গ্রামে, শহর থেকে শহরে বা গ্রামে অভিবাসনের মাধ্যমে আন্তঃদেশীয় অভিবাসন হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক অভিবাসন হলো যখন মানুষ নিজ দেশ ছেড়ে অন্য দেশে ন্যূনতম এক বছর সময়ের জন্য অবস্থান করে।
অভিবাসন দু’ভাবে হতে পারে : অভিবাসন অবাধ কিংবা বলপূর্বক- দু’ভাবেই হতে পারে। মানুষ স্বেচ্ছায় আবাসস্থান ত্যাগ করে পছন্দের কোনো স্থানে নিজের অবাধ আবাসন গড়ে নিতে পারে। আবার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বা সামাজিক চাপের কারণে মানুষ অন্যত্র আবাস গড়তে বাধ্য হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ইরাক এবং সিরিয়ার যুদ্ধের ফলে লাখ লাখ লোক নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে পাশের দেশসহ বিভিন্ন দেশে যেতে বাধ্য হয়েছে। এদের কেউ বা হয় উদ্বাস্তু। আর যারা সাময়িকভাবে আশ্রয় গ্রহণ করে এবং সুবিধামতো সময়ে নিজ দেশে ফিরে যায় তাদের বলা হয় শরণার্থী। কেউ যদি যে কোনো কারণে নিজ দেশ বাদে অন্য দেশে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুরক্ষার জন্য আবেদন করেন তবে তাকে আশ্রয়প্রার্থী বলে। স্বেচ্ছায় স্থায়ীভাবে বিদেশে পাড়ি জমানো ব্যক্তিদের বলা হয় প্রবাসী।
স্থায়ী অভিবাসীরা নতুন দেশে তাদের স্থায়ী বাসস্থান প্রতিষ্ঠা করা এবং সম্ভবত সেই দেশের নাগরিকত্ব অর্জনের উদ্দেশ্যে আসেন। অস্থায়ী অভিবাসীরা কেবল সীমিত সময়ের জন্য অধ্যয়নের কোনো নির্দিষ্ট প্রোগ্রাম, তাদের কাজের চুক্তি বা নির্দিষ্ট কাজের জন্য আসেন। উভয় ধরনের অভিবাসী বিদেশ এবং স্বদেশের অর্থনীতি এবং সমাজে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। এসব অভিবাসীকে অস্থায়ী শ্রম অধিবাসী, অনিয়মিত অভিবাসী, অবৈধ বা অনিবন্ধিত অভিবাসী; অত্যন্ত দক্ষ এবং ব্যবসায়ী অভিবাসী; শরণার্থী; আশ্রয়প্রার্থী ইত্যাদি বিভিন্ন শ্রেণীতে ফেলা যায়।
আবার যেসব দেশ এই অভিবাসীদের গ্রহণ করে তাদেরও চারটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়: ঐতিহ্যবাহী বসতি দেশ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে শ্রম অভিবাসনকে উৎসাহিত করেছে এমন ইউরোপীয় দেশ, যারা তাদের পূর্ববর্তী উপনিবেশগুলো থেকে অভিবাসী জনগোষ্ঠীর একটি উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ করে এবং যে দেশগুলো থেকে পূর্বে অনেকে অন্য দেশে যেত তবে সম্প্রতি অভিবাসীরা সেই দেশে আসে।
অভিবাসন এবং বাস্তুচ্যুতি মানুষের শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। সাংস্কৃতিক ও ভাষাগত পার্থক্য, আর্থিক বাধা, কুসংস্কার এবং বৈষম্য সবই উদ্বাস্তু ও অভিবাসীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা পাওয়া বাধাগ্রস্ত করতে পারে।
জাতিসঙ্ঘের হিসেবে, বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে আগত শরণার্থীর সংখ্যা এখন ৯ লাখ ৩২ হাজার। নব্বইয়ের দশকে এই সংখ্যা এক লাখের কম ছিল। শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে আছে। শীর্ষে আছে পাকিস্তান। পাকিস্তানে প্রায় ১৪ লাখ শরণার্থী আছে।
অভিবাসনে বাংলাদেশের অবস্থান : অধিক জনসংখ্যা এখন আর বাংলাদেশের বোঝা নয়। দেশের জনসংখ্যা জনসম্পদে পরিণত হয়েছে। কারণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এখন বাংলাদেশী দক্ষ-অদক্ষ মানুষের পদচারণে মুখরিত। এই দেশ এখন পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম অভিবাসী প্রেরণকারী দেশ।
বাংলাদেশ বিশ্বের সেই স্বল্পসংখ্যক দেশের একটি যেখানে অভিবাসীদের পাঠানো অর্থ জিডিপির ১০% এর সমান। জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত (২০২১ সাল) কর্মসংস্থানের উদ্দেশে এক কোটি ৩৫ লাখের বেশি বাংলাদেশী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গেছেন। এর মধ্যে কতজন দেশে ফিরেছেন তার সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও বিদেশে বিভিন্নভাবে এখন কর্মরত রয়েছেন এক কোটিরও বেশি বাংলাদেশী। এর মধ্যে নারী অভিবাসীর সংখ্যা ১০ লাখ।
বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অভিবাসী গোষ্ঠী হলো বাংলাদেশের নাগরিকরা। অর্থাৎ অভিবাসীদের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম।
সবচেয়ে বেশি জনশক্তি রফতানি হয়েছে সৌদি আরবে। দেশটিতে ৪৫ লাখ ৮১ হাজার ৩৩০ জন অভিবাসী হয়ে আছেন। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৩ লাখ ৮৬ হাজার ৯০৩ জন, ওমানে ১৫ লাখ ৬২ হাজার, মালয়েশিয়ায় ১০ লাখ ৫৭ হাজার, সিঙ্গাপুরে আট লাখ ১৪ হাজার, কুয়েতে ছয় লাখ ৩১ হাজার এবং কানাডায় প্রায় এক লাখ বাংলাদেশী বসবাস করছেন। সাড়ে পাঁচ লাখ বাংলাদেশী বসবাস করছেন ব্রিটেনে যাদের মধ্যে ৯৫% অভিবাসী সিলেটি।
১৯৭৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী অভিবাসীর সংখ্যা ছিল মাত্র ১৫৪। ১৯৭৫ সালেই তা বেড়ে হয় ৪০৪ জনে। ২০০৪ সালের জরিপে দেখা যায়, ২০০২ সাল অবধি ৯৩ হাজার বাংলাদেশী যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশীরা আমেরিকার সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল এশীয় জনগোষ্ঠী। যেখানে ভারতীয়দের বৃদ্ধি ৮৫ শতাংশ, পাকিস্তানিদের ১০০ শতাংশ; সেখানে বাংলাদেশীদের বৃদ্ধি ১৫৭ শতাংশ। আদমশুমারিতে দেখা যাচ্ছে, ২০০০-১০ সালের মধ্যে আমেরিকায় বাংলাদেশী জনসংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
বাংলাদেশ বিশ্বে বৃহৎ অভিবাসী প্রেরণকারী ও রেমিটেন্স আহরণকারী দেশ। বিদেশে কষ্টার্জিত অর্থের একটি বড় অংশ দেশে পরিবারের কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছেন প্রবাসীরা। তাদের সেই অর্থে চাঙ্গা হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। সামগ্রিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার জন্য এটা একটা বড় ধরনের সুবিধা।
দাতা দেশগুলো বাংলাদেশকে যে ঋণ দেয় তার আট থেকে ১০ গুণ বেশি টাকা প্রবাসীরা পাঠান।
সরকার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় ৫ মিলিয়ন নতুন বৈদেশিক কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। এজন্য উপজেলা পর্যায়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনসহ বিশ্ব চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ কোর্স চালু, আন্তর্জাতিক সনদায়নের মতো নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতি বছর আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ লাখ কর্মী শ্রমবাজারে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতি বছর প্রায় সাত থেকে আট লাখ লোক বৈদেশিক কর্মসংস্থানের উদ্দেশ্যে বিভিন্ন দেশে যায়।
বাংলাদেশে অভিবাসনের প্রভাব : ১৯০১ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ৯০ বছরে বাংলাদেশে শহরের জনসংখ্যা ৩০ গুণ বেড়েছে। অন্যদিকে গ্রামাঞ্চলের জনসংখ্যা বেড়েছে মাত্র তিন গুণ। ব্রিটিশ আমলে শহরের লোকসংখ্যা ১-২% হারে এবং পাকিস্তান আমলে ৪% হারে বৃদ্ধি পায়। ব্রিটিশ আমলে অপেক্ষাকৃত শ্লথ নগরায়ণের কারণ ছিল শিল্পায়নের অভাব। ১৯৫১-১৯৬১ সালে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে পাট ও বস্ত্রশিল্প কারখানা গড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নগরায়ণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। স্বাধীনতার পর অতি দ্রুত নগরায়ণ ঘটে এবং পরবর্তী পর্যায়ে নগরকেন্দ্রগুলোতে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড ব্যাপকতা লাভ করে।
এ ছাড়া জলবায়ুর লক্ষণীয় পরিবর্তনও বাংলাদেশে অভিবাসনে প্রভাব ফেলবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের এক কোটি ৩৩ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে বলে আশঙ্কা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
১৯৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামে পোশাক শিল্প কারখানা বিকাশের সঙ্গে সঙ্গে মেয়েদের শহরে অভিবাসন বেড়ে যায়।
২০২২ সালের ২৮ নভেম্বর ঢাকায় পাঁচ দিনব্যাপী ‘তৃতীয় গ্লোবাল স্কুল অন রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেন্ট হেলথ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান উপলক্ষে ডব্লিউএইচও এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বর্তমান সময়ে সারা বিশ্বে প্রতি আটজনের মধ্যে একজন এবং এক বিলিয়ন লোকের মধ্যে ২৮১ মিলিয়ন অভিবাসী এবং কয়েক মিলিয়ন মানুষ রাষ্ট্রহীন হয়েছে।
কেবল মিয়ানমারকে কেন্দ্র করেই ১৯৭৮ সাল থেকে বাংলাদেশ তিনটি বড় ধরনের অভিবাসী সমস্যা প্রত্যক্ষ করেছে। যেখানে মিয়ানমারের নাগরিকদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে, যাদের প্রত্যেকের খাবার, চিকিৎসা ও বসবাসের ব্যবস্থার প্রয়োজন রয়েছে।
বর্তমান বিশ্বে অভিবাসনের হালচাল : বর্তমান বিশ্বের জনসংখা ৭৮৫ কোটি। এর সাড়ে তিন ভাগ লোক অর্থাৎ ২৭ কোটি ৪৭ লাখ অভিবাসী। বিশ্বের দেশজ উৎপাদনের মোট ৯.৪ অবদান রাখেন অভিবাসীরা। দক্ষতা বাড়ানো গেলে বিশ্ব জিডিপি ৮০ হাজার থেকে লাখ কোটি ডলারে উন্নীত হবে।
অভিবাসীর সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে ভারত। দেশটির অভিবাসীর সংখ্যা এক কোটি আশি লাখ। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে মেক্সিকো যার সংখ্যা এক কোটি ২০ লাখ। তৃতীয় দেশ চীন, যার সংখ্যা এক কোটি ১০ লাখ। এ ছাড়া রাশিয়ার আছে এক কোটিরও বেশি।
আর বাংলাদেশের পরের পাঁচটি দেশ হলো যথাক্রমে সিরিয়া (৮০ লাখ) ইউক্রেন, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও আফগানিস্তান। অভিবাসীদের ৫০ শতাংশই উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পাড়ি দিয়েছেন। মাত্র ৩৫ শতাংশ অভিবাসীর শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ পেশাগত উচ্চ দক্ষতা আছে।
গত ৫০ বছরে সারা বিশ্বে অভিবাসীদের সংখ্যা তিন গুণ হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের সবচেয়ে বেশি অভিবাসন গ্রহণকারী দেশ। সেখানে বর্তমানে পাঁচ কোটি দশ লক্ষ বাইরের দেশের লোক বসবাস করছে। অভিবাসীদের আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে জার্মানির অবস্থান দ্বিতীয়, যেখানে অভিবাসীর সংখ্যা এক কোটি ৩০ লাখ। সৌদি আরব হলো বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অভিবাসী গ্রহণকারী দেশ, যেখানে প্রায় এক কোটি ৩০ লাখ বিদেশী আছে।
অন্যদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো দেশগুলোর মধ্যে বিস্তৃত বহুসংস্কৃতি জনসংখ্যা রয়েছে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮৮% অভিবাসী। কেবল সংযুক্ত আরব আমিরাতই নয়, কাতারে ৮৫%, কুয়েতে ৬০% এবং বাহরাইনের ৫৫% জনসংখ্যা বিভিন্ন দেশ (যেমন, ভারত, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান) থেকে এসেছেন। সৌদি আরবের জনসংখ্যা সাড়ে তিন কোটির ওপর। সেখানে চাকরিজীবী হিসেবে কাজ করে এক কোটির বেশি বিদেশী।
লেখক : স্বাস্থ্যবিষয়ক নিবন্ধকার ও কলামিস্ট
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা