চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রাসূল সা:-এর আদর্শ-২
- মো: নূরুন্নবী হাওলাদার
- ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:৪২
মার্কিন ছত্রছায়ায় ইহুদি ষড়যন্ত্র
আমেরিকা নিজেই এমন এক ইহুদি ষড়যন্ত্রে জড়িয়ে পড়েছে যার লক্ষ্য হচ্ছে বৃহত্তর ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ও গোটা মানবজাতিকে তাদের দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা। ইহুদিরা কেবল মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে নিয়েই শঙ্কিত। তারা মনে করে, তাদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ানোর শক্তি কেবল মুসলমানদেরই আছে। ইহুদিদের ধর্মগ্রন্থ তালমুদের বিধান মতে, বিশ্বের সমস্ত ধর্ম ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে সব রাষ্ট্রের ওপর প্রভাব বিস্তার করার জন্য বিশ্ব ইহুদিসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। রাষ্ট্রগুলোর ওপর ইহুদি আধিপত্য ও প্রভাব বিস্তারের জন্য প্রয়োজনে প্রতারণা, আক্রমণ, বিশ্বাসঘাতকতা ও মিথ্যাচারের আশ্রয় নেয়া হবে। এ জন্য অ-ইহুদি মানুষের রক্তপাত ও পশুদের মতো দমন করাকে তালমুদ ন্যায়সঙ্গত গণ্য করে।
মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ উল্লিখিত ইহুদিবাদীদের কবলে মুসলিম বিশ্বের চ্যালেঞ্জ। অর্থনীতি, সমরশক্তি, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি সব কিছুই বলতে গেলে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির হাতে। তারা ইসলামকে হুমকি হিসেবে গণ্য করছে।
পাশ্চাত্যের রাজনীতিবিদরা মনে করে, Islam is a growing power. শাসকগোষ্ঠীর নিপীড়ন, অমানবিক নির্যাতন মধ্যপ্রাচ্যের কিছু যুবককে সশস্ত্র পথে ঠেলে দিচ্ছে আর এসব ক্ষুদ্র গ্রুপের তৎপরতাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে চিহ্নিত করে ইসলামকে Terrorism, Extremism, Violence ইত্যাদি নানা তকমা দিয়ে দেশে দেশে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
আধুনিক জাহেলিয়াত
জাহেলিয়াত হচ্ছে আল্লাহর দেয়া হেদায়াত অবলম্বন ও অনুসরণে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন। এটা মূলত এমন এক মানসিক অবস্থা যা আল্লাহর বিধানের পরিপন্থী রীতিনীতি ও আদর্শ গ্রহণে অভ্যস্ত হয়ে ওঠে। কুরআন তাদের বলেছে ‘জাহিল’ কেননা, ওরা নিজেদের কামনা-বাসনা, ধারণা, চিন্তাকেই নিজেদের শাসক ও নিয়ন্ত্রকরূপে প্রতিষ্ঠা করেছে এবং আল্লাহর হুকুম ও বিধান মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
বর্তমানের এই যুগ ১৪ শ’ বছর আগের আরব জাহেলিয়াতের চেয়েও বেশি বীভৎস ও জঘন্য জাহেলিয়াতের মধ্যে নিমজ্জিত। সত্যকথা হচ্ছে, পৃথিবীর ইতিহাসে বর্তমান শতাব্দীই হচ্ছে সর্বাধিক অন্ধকারাচ্ছন্ন যুগ। তদানীন্তন আরবে জাহেলিয়াত ছিল খুবই সাদাসিধা, হালকা ও পাত্রের গায়ে লেগে থাকা আবর্জনার মতো। তখনকার লোকেরা মূর্তিপূজা করত। তাদের সেই আদর্শ থেকে বিচ্যুতি ও বিভ্রান্তি ছিল অত্যন্ত সরল এবং অগভীর। আধুনিক জাহেলিয়াত অত্যন্ত জটিল, অধিক বীভৎস, রূঢ় ও জঘন্য। কেননা, এটি জ্ঞান-বিজ্ঞানের জাহেলিয়াত। গবেষণা অধ্যয়ন ও মতাদর্শের জাহেলিয়াত। প্রকৃতির গভীরে নিহিত সুসংবদ্ধ জাহেলিয়াত। তার দিগন্ত বিস্তারকারী প্রভাবে পৃথিবীর মানুষ আজ দিশেহারা। বস্তুগত অগ্রগতির এ জাহেলিয়াত বিশ্বমানবতাকে চূড়ান্তভাবে ধ্বংস করতে উদ্যত।
প্রতিষ্ঠিত স্বৈরতন্ত্র
বর্তমান সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ হলো সৎ শক্তিকে প্রত্যাহারের মাধ্যমে জঘন্য স্বৈরতন্ত্র কায়েমের পথ প্রশস্ত করা। স্বাধীন জাতিগুলো যখন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিত্যাগ করে তখন তারা স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা ও স্বাধীনতা সংরক্ষণের যোগ্যতাই হারিয়ে ফেলে। রাষ্ট্র থেকে ধর্ম আলাদা করার স্লোগান দিয়ে অত্যন্ত চতুরতার সাথে এ কাজটি করা হয়। এর মাধ্যমে সৎ ও ধার্মিক লোকদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রেখে স্বার্থপর, সুবিধাভোগী শ্রেণীর বিকাশ ঘটাতে উৎসাহ দেয়া হয়। তখন নির্ভেজাল তাঁবেদার, পাশ্চাত্যের দাস ও স্বৈরতন্ত্র ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকে না।
ইহুদিবাদ, খ্রিষ্টবাদ ও উগ্র হিন্দু ব্রাহ্মণ্যবাদ
ইউরোপের বুকে বসনিয়ায় মুসলিম নিধন, ফিলিস্তিনের জনগণের বিরুদ্ধে ইহুদি নিপীড়ন এবং ভারতে মুসলিম গণহত্যা, কাশ্মিরের মুক্তি সংগ্রামীদের বিরুদ্ধে ভারতীয় সশস্ত্রবাহিনীর বর্বরোচিত অভিযান এক সূত্রে গাথা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, ইসরাইল ও ভারতের অবস্থান ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে। পাশ্চাত্য একটি বিভ্রান্তি ছড়ায় এই বলে যে, তারা ইসলাম ও তার অনুসারীদের শ্রদ্ধা করে। ইসলাম ও মুসলমানদের নিয়ে তাদের কোনো সমস্যা নেই। সমস্যা তাদের নিয়ে, যারা ধর্মীয় জাতীয়তা বা গোষ্ঠীগত উৎস নির্বিশেষে সহিংসতা ও সন্ত্রাসে লিপ্ত হচ্ছে। Political Islam তথা ধর্মকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার কারণেই অনেক দেশে সহিংসতা ও বিয়োগান্তক ঘটনা ঘটছে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ফিলিস্তিনি মুসলমানদের কোনো সন্ত্রাসবাদী তৎপরতার কারণে নিজস্ব ভিটেমাটি থেকে উৎখাত করে ইসরাইল রাষ্ট্র কায়েম করা হয়? মিসরীয় মুসলমানদের কোনো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য ইখওয়ানুল মুসলিমিনের হাজার হাজার নেতাকর্মীর ওপর ইতিহাসের বর্বরতম নির্যাতন চালানো হয়? কাশ্মিরের মুসলিমরা জাতিসঙ্ঘ প্রস্তাব অনুযায়ী আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার দাবি করে কোন সন্ত্রাস করেছিল যার কারণে তাদের ওপর প্রায় পাঁচ যুগ ধরে জুলুম চলছে? আফগানিস্তানের মুসলমানরা কী অপরাধ করেছিল যে কারণে ২০টি বছর সংগ্রাম করে ১০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে তাদের স্বাধীনতা অর্জন করতে হলো। আলজেরিয়ার মুসলমানরা ইসলামিক স্যালভেশন ফ্রন্টকে ভোট দিয়ে কী সন্ত্রাস করেছিল; যার কারণে তাদের নির্বাচনী বিজয় নস্যাৎ করে দিয়ে পশ্চিমাদের পদলেহী, গোলাম শাসকগোষ্ঠী তাদের ওপর জুলুম নির্যাতন চালাচ্ছে? বিশ্বব্যাপী মুসলিম নিধনে ইহুদি খ্রিষ্টান আর হিন্দুত্ববাদীরা যে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে, রাসূলুল্লাহ সা:-এর আদর্শ কায়েমের মাধ্যমে তার সমুচিত জবাব দেয়ার জন্য নিরলস কাজ করতে হবে।
অপবাদ, অপপ্রচার ও ইতিহাস বিকৃতি
স্বৈরশাসকরা মানবরচিত কোনো মতবাদ দিয়ে ইসলামী আদর্শের মোকাবেলা করতে না পেরে মুসলমানদের বিরুদ্ধে নানা অপবাদ দিচ্ছে এবং ইসলামের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। তথ্য সন্ত্রাস, অপবাদ, অপপ্রচার করে ইসলামকে নির্মূল করার ব্যর্থ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে ইহুদি খ্রিষ্টানদের প্রতারণামূলক প্রচার ও ইতিহাস বিকৃতকরণ আধুনিক বিশ্বের একটি বড় সমস্যা। জেহাদ ও ইজতেহাদের মতো ফরজ ইবাদতকে সন্ত্রাসের কালিমা লাগিয়ে তা থেকে মুসলিম উম্মাহকে দূরে রাখার ষড়যন্ত্র দেশীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রকৃত ইসলামকে প্রমোট না করে বিকৃত ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতা
বর্তমান বিশ্বে প্রকৃত ইসলামের চর্চা যতটা না হচ্ছে তার চেয়ে বিকৃত ইসলামের পৃষ্ঠপোষকতা বেশি করা হয়। প্রকৃত ইসলামকে, ইসলামের নামে রাজনীতি (Politicial Islam) বলে চালিয়ে দেয়া হয় এবং ধর্মের নামে যারা বিভিন্ন কুসংস্কারে লিপ্ত তাদের ইসলামের বন্ধু বানিয়ে ইসলামী আদর্শের শিকড় কাটা হয়। যেমন- মাজার পূজা, মিলাদ মাহফিল, জলসা, ওরস, জশনে জুলুস, ঘটা করে দিবস পালন, দরবার, খানকাহ, ছয় উসুল ইত্যাদি কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত রাষ্ট্র থেকে তাদের সাহায্য করা হয়। কিন্তু ইসলামকে যারা আদর্শ বানাতে চায়, মানুষের ওপর মানুষের প্রভুত্ব জুলুম, নিপীড়ন বন্ধ করে আল্লাহ ও রাসূলের সা: দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাদেরকে জঙ্গি, মৌলবাদী, সন্ত্রাসী, চরমপন্থী, সেকেলে ইত্যাদি বলে দমিয়ে রাখার চেষ্টা করা হয়।
চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রাসূল সা:-এর আদর্শ
বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ সা: সর্বকালের আদর্শ মহামানব। মানবীয় চরিত্রে যত মহৎ গুণ বৈশিষ্ট্য থাকতে পারে, বিশ্বনবীর মধ্যে তার পূর্ণ সমাবেশ ঘটেছিল। আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জগুলো রাসূলের সা: আদর্শ দিয়েই মোকাবেলা করা সম্ভব। আধুনিক সভ্যতা যখন ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে, দুনিয়ার মানুষ সম্ভাব্য সব ক’টি ব্যবস্থা ও বিধানের বাস্তব পরীক্ষা প্রায় শেষ করে ফেলেছে। বস্তুবাদ, পুঁজিবাদ, কমিউনিজম, সমাজতন্ত্র, রাজতন্ত্র, তথাকথিত গণতন্ত্র প্রভৃতি মানব রচিত মতবাদের যাঁতাকলে স্পৃষ্ট হতে হতে মানুষ যেন পশুর স্তরে নেমে গেছে। এখন পরীক্ষার বাকি শুধু হজরত মুহাম্মদ সা:-এর আদর্শের বাস্তবায়ন। মহানবী সা:-এর আদর্শের নাম হলো আল্লাহ প্রদত্ত জীবনব্যবস্থা ‘ইসলাম’। কুরআন ঘোষণা করেছে- ‘নিঃসন্দেহে আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য একমাত্র জীবনবিধান হলো ‘ইসলাম’। (সূরা আল ইমরান-১৯)
রাসূল সা:-এর আদর্শ এমন ছিল যে, সমাজ ব্যবস্থায় তিনি আংশিক পরিবর্তন চাইতেন না। তিনি চাইতেন সর্বাত্মক পরিবর্তন। মানব সমাজের আমূল পরিবর্তন সাধন করাই রাসূল সা:-এর আদর্শ। তাঁর দাওয়াতের ফলে মানুষের মন মগজ বদলে গেল, চিন্তাধারা পাল্টে গেল, দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেল, রীতিপ্রথা, আদত-অভ্যাস পরিবর্তন হয়ে গেল। ন্যায়-অন্যায় এবং হালাল-হারামের মানদণ্ড বদলে গেল। আইন ও সংবিধানের পরিবর্তন ঘটল। প্রকৃতপক্ষে মহানবীর হাতে সাধিত হয়েছিল মানব জাতির সর্বাত্মক বিপ্লব। পৃথিবীর ইতিহাসে এটি বড় কীর্তি ও কৃতিত্বের আর কোনো নজির খুঁজে পাওয়া যায় না।
ইসলামী জীবনব্যবস্থা কোনো সাময়িক ব্যবস্থা নয়। ইতিহাসের কোনো এক অধ্যায়ের জন্য তা অবতীর্ণ হয়নি, কোনো বিশেষ পরিবেশ বা জেনারেশনের জন্যও তা নির্দিষ্ট হয়নি। প্রকৃতপক্ষে এটি হচ্ছে মানবজাতির জন্য একটি গতিশীল মৌলিক বিধান। মানবসভ্যতার সর্বশেষ অধ্যায় পর্যন্ত মানুষ তার জীবনকে অবতীর্ণ বিধানের আলোকে পরিচালিত করতে পারে এমনই এক বৈশিষ্ট্য দিয়ে ইসলামকে পাঠানো হয়েছে।
ইসলামী আদর্শ পুনরুজ্জীবনের সংগ্রাম সফল করতে দরকার পরিবেশ-পরিস্থিতির সঠিক মূল্যায়ন, সংস্কারের পরিকল্পনা প্রণয়ন, চিন্তার রাজ্যে বিপ্লব সৃষ্টি, ইসলামী নেতৃত্বদানের মতো লোক তৈরি, দ্বীন ইসলামের গবেষণা, ইজতেহাদ, ইসলামের প্রসার ও বিকাশ তথা বিশ্বজনীন বিপ্লব সৃষ্টির জন্য নিরলস প্রচেষ্টা।
উপসংহার
মানবতার বন্ধু মুহাম্মদ সা: যে কর্মসূচির আলোকে সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে মানবসমাজকে ভেতর থেকে বদলে দিতে সক্ষম হন সে কর্মসূচির ঘোষণাপত্র আল-কুরআন আজো অবিকৃত অবস্থায় আমাদের মধ্যে বিদ্যমান। আধুনিক জাহেলিয়াতের এ পর্যায়ে মানুষ কোথাও শান্তি খুঁজে পায়নি বরং মানবতাকে পশুর স্তরে নামিয়ে দিয়েছে।
এখন আধুনিক বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে শান্তির সমাজ বিনির্মাণের জন্য রাসূলের সা: আদর্শই একমাত্র পথ। সময় যতই যাচ্ছে ততই মানব রচিত ব্যবস্থার অন্তঃসারশূন্যতা, দুর্বলতা, অবাস্তবতা, সুস্পষ্ট হয়ে উঠেছে এবং মানবসভ্যতার হেফাজত ও বিকাশের জন্য ইসলামের শাশ্বত এবং চিরন্তন মূল্যবোধের প্রয়োজনীয়তাই যেন তীব্রতর হচ্ছে। জর্জ বার্নাড শ’ যথার্থই বলেছেন, I believe that, if a man like him were to assume the dictatorship of the modern world he would succeed in solving it`s problem in a way that world being it the much needed peace and happiness.
অর্থাৎ আমি বিশ্বাস করি, তাঁর (মুহাম্মদ) মতো ব্যক্তির কাছে যদি আধুনিক বিশ্বের একনায়কতন্ত্র অর্পণ করা হতো, তবে এর সমস্ত সমস্যা এমনভাবে সফলতার সাথে সমাধান করতেন যা বহু প্রতীক্ষিত সুখ ও শান্তি আনয়ন করত।
সুতরাং রাসূল সা:-এর আদর্শ সর্বকালের ও সর্বযুগের জন্য প্রযোজ্য। নানা ষড়যন্ত্র ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই দ্বীনের বার্তা সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে হবে।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা