৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

শীতে স্বাস্থ্য সমস্যা ও প্রতিকার

-

শীত এসেছে। এ সময় স্বাস্থ্যগত কিছু সতর্কতার প্রয়োজন আছে। কিছু রোগ আছে যেগুলো শীতকালে বাড়ে। একটু সতর্ক থাকলে এগুলো যেমন প্রতিরোধ করা যায়, তেমনি আক্রান্ত হয়ে গেলে প্রতিকারও সহজ হয়। শীতের রোগ থেকে বাঁচতে চাই এ সময়ের বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে ন্যূনতম ধারণা।


যাদের বয়স ৬০-৭০ কিংবা তারও বেশি, তাদের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকার ফলে তারা আক্রান্ত হন বেশি। শিশুদের ক্ষেত্রেও এটি সত্য। শীতকালে ধুলাবালি, বায়ুবাহিত রোগ, ছোঁয়াচে রোগ, চর্মরোগ, শ্বাসতন্ত্রের অসুখ, অ্যালার্জি-জাতীয় অসুখ, নাক-কান-গলা রোগ, হাঁপানি, ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) ও আর্থ্রাইটিস জাতীয় রোগের প্রকোপ বাড়ে। আবহাওয়া পরিবর্তনের জন্য কিছু ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়ে ওঠে।

শ্বাসতন্ত্রের রোগ : শ্বাসতন্ত্রের রোগ প্রধানত দুই ধরনের। একটি হলো- নাক, কান, গলা ও শ্বাসতন্ত্রের উপরের অংশের রোগ যা সাধারণত ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। আরেকটি হলো- শ্বাসতন্ত্রের নিচের অংশ যেমন- ফুসফুস, ব্রনকাস, ব্রনকিউল ইত্যাদিতে নিউমোনিয়া, অ্যাজমাজাতীয় রোগ। এগুলো সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার কারণে হয়ে থাকে।

শীতকালে রোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় নবজাতক, শিশু, বৃদ্ধ, ধূমপায়ী ও মদ্যপায়ীর। শীতকালে নাকের দুই পাশের সাইনাসে ইনফেকশন দেখা দেয়, একে বলে সাইনোসাইটিস। কারো সাইনোসাইটিস দেখা দিলে নাকের দুই পাশে ব্যথা ও মাথাব্যথা হতে পারে। শীতের কারণে সব বয়সীদের সাধারণ সর্দি-কাশি, টনসিলে প্রদাহ হয়ে গলা ব্যথা হতে পারে। কানের ইনফেকশন, নাকে অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বেড়ে যাওয়ার কারণে প্রায় সবসময় নাক দিয়ে পানি পড়তে থাকে। এতে সব বয়সীদের স্বাভাবিক কাজকর্মে ব্যাঘাত ঘটায়। যাদের সাইনোসাইটিস আগে থেকেই বিদ্যমান তাদের সে রোগ বেড়ে যেতে পারে।

গলায় খুসখুসি : ঠাণ্ডার জন্য গলা খুসখুস করে ও কাশি হয়। অনেক সময় জীবাণুর সংক্রমণ হয়। তখন একটু জ্বরও হয়। হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে দিনে কয়েকবার গড়গড়া করলে উপকার পাওয়া যায়। গলায় যেন ঠাণ্ডা লাগতে না পারে, সে জন্য মাফলার জড়িয়ে রাখা ভালো। অ্যালার্জির কারণে কনজানটিভাইটিস, গলাব্যথা, সাইনোসাইটিস, অ্যাজমা, অ্যাকজিমা, কান পাকা অসুখ ও গ্রন্থি ফুলে যেতে পারে। এসব রোগীর দুই নাসারন্ধ্রের মধ্যবর্তী প্রাচীর অনেক ক্ষেত্রেই বাঁকা থাকে, নাকে পলিপ বা নাকের সম্মুখভাগের ওপর সমান্তরাল খাঁজ থাকে। অ্যালার্জিক রাইনাটিসে আক্রান্ত শিশুর প্রায় ৩০ শতাংশ পরবর্তীকালে অ্যাজমায় আক্রান্ত হয়।

চিকিৎসা : সপ্তাহখানেকের মধ্যে এই জাতীয় রোগ কোনো ওষুধ ছাড়াই ভালো হয়ে যায়। তবে অধিক মাত্রায় পানি পান তাড়াতাড়ি সেরে উঠতে সাহায্য করে। এ ছাড়া নাকের সর্দি নিয়মিত পরিষ্কার করে নাসারন্ধ্র খোলা রাখতে হবে। ঘরে সিগারেটের ধোঁয়া বা রান্নাবান্নার ধোঁয়া এই রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। নাক থেকে পানি ঝরা কমাতে প্রয়োজন অ্যান্টিহিস্টামিন-জাতীয় ওষুধ। আর ব্যথা ও জ্বরের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবন করা যেতে পারে। তবে শিশুদের ব্রংকিওলাইটিস, নিউমোনিয়াসহ যেকোনো জটিলতায় অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

প্রতিরোধ : নিয়মিত হাত ধুতে হবে, ঠাণ্ডা একেবারে এড়িয়ে চলতে হবে। গোসল বা হাত-মুখ ধুতে কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। খাবার পানিও হালকা গরম পানি মিশিয়ে খেতে পারলে ভালো। ঠাণ্ডা খাবার, আইসক্রিম, কোক ইত্যাদি এড়িয়ে চলা উচিত। বাইরে ধোঁয়া বা ধুলা এড়িয়ে চলার সমস্যা মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। মাঝে মধ্যে হালকা গরম পানি দিয়ে গড়গড়া করা বা হাত-মুখ গরম সাবান পানি দিয়ে ধোয়া খুবই ভালো একটি রোগ প্রতিরোধী অভ্যাস।

ব্রংকিওলাইটিস : শিশুদের ফুসফুসে ইনফেকশন হয়ে ব্রংকিওলাইটিস, নিউমোনিয়া হতে পারে। এই রোগে শিশুরা শ্বাসকষ্ট ও সর্দি-কাশির মতো সমস্যায় বেশি ভোগে। সাধারণত দুই মাস থেকে দুই বছর পর্যন্ত শিশুদের ক্ষেত্রে এ রোগ হয়। এ রোগ হলে প্রথমে আক্রান্ত শিশুর নাক দিয়ে পানি পড়ে। এরপর কাশি শুরু হয় ও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।

ইনফ্লুয়েঞ্জা : মৌসুমি ফ্লু বা ইনফ্লুয়েঞ্জা হলো ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের এক প্রকার তীব্র শ্বাস-প্রশ্বাসের সংক্রমণ। শীতকালে এ রোগের প্রকোপ বাড়ে। তবে সাধারণ সর্দি-কাশি থেকে আলাদা। ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণগুলোর মধ্যে আছে- জ্বর, নাক দিয়ে পানি পড়া, হাঁচি, খুসখুসে কাশি, শরীর ব্যথা, মাথাব্যথা, ক্ষুধামন্দা, বমি, দুর্বলতা ইত্যাদি। সাধারণ সর্দি-কাশির চেয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জার লক্ষণগুলো গুরুতর। বয়স্ক ও শিশুদের ক্ষেত্রে রোগটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এটি থেকে সাইনোসাইটিস, ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া ইত্যাদিও হতে পারে। উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা মানুষের মধ্যে ইনফ্লুয়েঞ্জা গুরুতর অসুস্থতা বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে। যেমন- গর্ভবতী নারী, পাঁচ বছর বা ৫৯ মাসের কম বয়সী শিশু, বয়স্ক, দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভোগা ব্যক্তি, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, দীর্ঘমেয়াদি ফুসফুসের রোগ, কিডনি, লিভার রোগ এবং এইডস বা ক্যান্সারাক্রান্ত রোগী।

প্রতিরোধ : ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধ করা জরুরি। সাধারণ সর্দি-কাশির মতোই স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে রোগটি প্রতিরোধ করা যেতে পারে অনেকাংশে। প্রতিরোধ করা যেতে পারে টিকার মাধ্যমেও। তবে টিকা দিতে হবে প্রতি বছরই। বিশেষ করে ইনফ্লুয়েঞ্জা জটিলতার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকা লোকদের সংস্পর্শে যারা থাকেন তাদের জন্য টিকা দেয়া বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ।

নিউমোনিয়া : নিউমোনিয়া ফুসফুসের প্রদাহজনিত রোগ। সাধারণত ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণে নিউমোনিয়া হয়। বয়স্ক ব্যক্তি, যারা দীর্ঘদিন নানা রোগে ভুগছেন অথবা যাদের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম, তারা নিউমোনিয়ায় বেশি আক্রান্ত হন। শীতকালে শিশুদের নিউমোনিয়া একটি বড় সমস্যা। নিউমোনিয়া হয় একটি মারাত্মক অসুখ। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বেই পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুমৃত্যুর অন্যতম কারণ নিউমোনিয়া। বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ২৫ হাজার শিশু মারা যায় এই রোগে। সবচেয়ে দরিদ্র ও বঞ্চিত শিশুরাই নিউমোনিয়ায় মারা যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকে সব থেকে বেশি।


নিউমোনিয়ায় শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ভোগে। তবে এটি প্রতিরোধযোগ্য ও চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময়যোগ্য একটি রোগ। এর প্রতিরোধে সুষম ও পুষ্টিকর, ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে পর্যাপ্ত ঘুম, নিয়মিত ব্যায়াম জরুরি। শীত উপযোগী হালকা ও নরম গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে। সহনীয় গরম পানিতে গোসল করে শরীর রোগমুক্ত রাখার একটি সহজ উপায়।

অ্যালার্জি ও অ্যাজমা : শীতকালের বেশ পরিচিত সমস্যা হচ্ছে অ্যালার্জি ও অ্যাজমা। অ্যালার্জি ও অ্যাজমা রোগ দু’টি অনেক ক্ষেত্রে একসাথে হয়, যদিও কোনোটির প্রকাশ আগে-পরে হতে পারে। বারবার সর্দি-হাঁচি-কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট বুকে চাপ সৃষ্টি করে ও আওয়াজ হয়। এ সময় ঠাণ্ডা লাগার প্রবণতা বেড়ে যায়। যেসব কারণে অ্যালার্জি হয় সেসব থেকে দূরে থাকা জরুরি। প্রয়োজনে অ্যালার্জির ওষুধ, নাকের স্প্রে ও বিশেষ ক্ষেত্রে ইনহেলারও ব্যবহার করতে হতে পারে।

প্রতিরোধ : বাড়িঘরের ধুলাবালি ঝেড়ে-মুছে পরিষ্কার রাখতে হবে। ঘরে আলো-বাতাস বইতে দিতে হবে। বাইরে চলাচলের সময় মুখোশ ব্যবহার করতে হবে। ঘন ঘন স্বাভাবিক পানি পান করতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কিছু ওষুধ সেবন করেও হাঁপানি সাময়িক প্রতিরোধ করা গেলেও মূলত উপরোক্ত নিয়মগুলো সর্বদা মেনে চললে স্থায়ীভাবে হাঁপানি প্রতিরোধ করা যেতে পারে।

শীতে চর্মরোগ : শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে। বাইরের শুষ্ক বাতাস মানুষের ত্বক থেকে পানি শুষে নেয়। ত্বকের ঘর্মগ্রন্থি ও তেলগ্রন্থি ঠিকমতো ঘাম বা তৈলাক্ত পদার্থ তৈরি করতে পারে না। শীতের সময় নানা ধরনের চর্মরোগ হতে পারে। বিশেষ করে ঠোঁট, হাত ও পায়ের ত্বকে দেখা দেয় ফাংগাল ইনফেকশন, চুলকানি, অ্যাকজিমা, স্ক্যাবিস, চর্মরোগ প্রভৃতি। এ ছাড়া মাথায় প্রচুর খুশকি দেখা যায়। প্রকৃতপক্ষে শীতকালে অসুখবিসুখ বাড়ে না; বরং কিছু রোগের উপসর্গ বৃদ্ধি পায়। শীতকালে সাধারণত ত্বক শুষ্ক ও বাতাসে আর্দ্রতার কারণে শরীরে ঘাম কম হয়। সে জন্য সবারই ত্বক অল্পবিস্তর ফাটতে পারে। যাদের ত্বক জন্মগত কোনো ত্রুটি বা অন্য কোনো কারণে শুষ্ক তারা শীতকালে আরো বেশি শুষ্কতায় আক্রান্ত হন। শীতে বিভিন্ন ভিটামিন বা অন্যান্য অভাবজনিত রোগ বেশি দেখা যায়। শীতে শিশুদের ভিটামিন ‘ডি’-এর অভাবে রিকেট, ভিটামিন ‘সি’-এর অভাবে স্কার্ভি, ভিটামিন ‘এ’-এর অভাবে রাতকানা ও ভিটামিন ‘বি’-এর অভাবে ঠোঁটের কোণে বা জিহ্বায় ঘা হতে পারে। এ ছাড়া সাথে শুষ্ক ও খসখসে গুটিযুক্ত ত্বক দেখা দিতে পারে।

চুলকানি (স্কেবিস) রোগটি শীতকালে খুব বেশি হয়। শীতের প্রকোপে ও আর্থসামাজিক কারণে একই লেপের তলায় অনেককে ঠাসাঠাসি করে শুতে হয়, যা স্কেবিসের সংক্রমণ বাড়িয়ে দেয়। আবার এই সময়ে ঠাণ্ডার প্রকোপে বিশেষত শীতকাতুরে লোকেরা নিয়মিত গোছল করা বা গা ধোয়ার ব্যাপারে অনেক কম যত্নবান হন। তাই অপরিচ্ছন্নতার কারণেও এই রোগ বাড়ে। সোরিয়াসিস নামক ক্রনিক চর্মরোগও শীতকালে বাড়ে। শীত পড়ার সাথে সাথেই এই রোগাক্রান্তদের কষ্ট ও উপসর্গ বাড়তে থাকে। ধূমপায়ী, মদ্যপায়ী, অত্যধিক মানসিক চাপে যারা ভোগেন এবং এই রোগের পারিবারিক ইতিহাসসমৃদ্ধ পরিবারে এই রোগ বেশি হয়। এই রোগে হাতে পায়ে বা মাথায় চাকা চাকা চামড়া ছাল উঠে আলগা হয়ে যায়, ছাল তুললে পিন পয়েন্ট ক্যাপিলারি বা ছোট ছোট রক্তবিন্দুর মতো দেখা যায়।

ইনফ্যানটাইল অ্যাকজিমাও শীতে বেড়ে যায়। পিটিরিয়াসিস অ্যালবা নামক একপ্রকার অ্যাকজিমা, শিশুদের গায়ে হয় যা শীতকালে বাড়তে দেখা যায়। তীব্র শীতে চিলব্রেন নামক চর্মরোগ দেখা দিতে পারে, এটি রক্তবাহী নালী বা শিরা-উপশিরার অসুখ। আঙুলের ডগা লাল হয়ে যায়। শেষে আলসারও হতে পারে। গৃহবধূদের এই রোগ বেশি হতে দেখা যায়। রেনডস ডিজিজও আরেকটি শীতকালের ত্বকরোগ। এতে অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় শিরা-উপশিরা অস্বাভাবিকভাবে সঙ্কুচিত হয়ে যায়। তার ফলে আঙুলের ডগায় ব্যথা, আঙুল প্রথমে সাদা ও পরে নীলাভ আকার ধারণ করে, শেষে কালচে ঘা হয়। এটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক চর্মরোগ।

অলিভ অয়েল ত্বকে আলাদা আস্তর তৈরি করে বলে ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়। শীতের সময় তাই অলিভ অয়েল বা লুব্রিকেন্ট-জাতীয় কিছু ব্যবহার করুন। খুশকি দূর করতে অন্য সময়ের চেয়ে শীতে বেশি করে চুল শ্যাম্পু করুন। হাত ও পায়ের তালু এবং ঠোঁটে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগাতে দিন। ত্বকের সুরক্ষায় ময়েশ্চারাইজার যেমন- ভ্যাসলিন, গ্লিসারিন, অলিভ অয়েল ও সরিষার তেল ব্যবহার করুন। বেশিক্ষণ রোদে থাকা যাবে না। কড়া আগুনে তাপ পোহাবেন না। এতে চামড়ায় সমস্যা তৈরি হতে পারে। ত্বকের বিশেষ সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ক্রিম বা মলম ব্যবহার করা উচিত।

সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার সংক্ষেপে এসএডি শীতকালের আরো একটি রোগ। বাংলায় মৌসুমি বিষণ্ণতা রোগ বলা যায়। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ঋতু পরিবর্তনে মানুষের শরীরে কিছু হরমোনের তীব্র পরিবর্তন ঘটে যা মেজাজকে প্রভাবিত করে। ফলে সময় বিশেষে মানুষ না চাইলেও বিষণ্ণ বোধ করেন, হতাশায় ভোগেন। শীতকালে সূর্যের আলো কম থাকায় মস্তিষ্কে সেরোটোনিন রাসায়নিক কমে যায়, এ কারণে মেজাজ ক্ষিপ্ত বা মন বিষণ্ণ হতে পারে।

লেখক : স্বাস্থ্যবিষয়ক নিবন্ধকার ও কলামিস্ট


আরো সংবাদ



premium cement
গাজার উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলের গভীরে ইসরাইলি ট্যাংক, নিহত ৪২ রাজধানীতে আসছে শীতের প্রচুর সবজি ওপারে রাতভর বোমার বিস্ফোরণ আতঙ্কে নির্ঘুম টেকনাফবাসী সীমান্তের ওপারে ফ্যাসিস্ট বসে নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করছে : মির্জা ফখরুল আওয়ামী শাসনামলের চেয়ে সংখ্যালঘুরা নিরাপদে আছে সেন্টমার্টিনে বছরে দেড় লাখের বেশি পর্যটক ভ্রমণ করে বিজেপি নির্দিষ্ট একটি ধর্মের প্রতি প্রতিহিংসাপ্রবণ : মমতা চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র চলছে, সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে : ডা: শফিক ৫২ সেকেন্ডের ভিডিওতে খুনে জড়িতদের চেহারা ভারতের দ্বিচারিতা নিন্দনীয় ও আপত্তিকর : আসিফ নজরুল কলকাতায় জাতীয় পতাকা পোড়ানোয় বাংলাদেশের নিন্দা

সকল