মাত্র ৩০০ কোটি টাকায় সম্ভব জালভোটমুক্ত নির্বাচন
- আবদুল মোনেম
- ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯:৪২, আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২২, ১৯:৫৩
গণতন্ত্রের প্রধানতম উপাদান নির্বাচন। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হওয়ার কারণেই একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও লাখো মানুষের আত্মত্যাগ। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচনেই জনগণের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের গলা টিপে ধরা হয়। সেই ধারাবাহিকতা চলে এরশাদের পতন না হওয়া পর্যন্ত। ’৯১-এর নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শুরু হয়ে ২০০৮-এর নির্বাচন পর্যন্ত মোটামুটি স্বচ্ছ গণতান্ত্রিক একটি নির্বাচন প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকে যা ছিল মন্দের ভালো। বাংলাদেশে আজ পর্যন্ত গড়ে ওঠা প্রায় সব আন্দোলন সংগ্রামই নির্বাচনকেন্দ্রিক। রাজনীতিতে যত মারামারি, হানাহানি, গুম, খুন, সহিংসতা, জেলজুলুম, মামলা মোকদ্দমা প্রায় সব কিছুই নির্বাচন ঘিরে। আমাদের সংবিধানে জনগণকে রাষ্ট্রের মালিক করা হয়েছে, গণতন্ত্রকে অন্যতম মূলনীতি হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। অথচ জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কিংবা গণতন্ত্র কার্যকর করার উদ্দেশ্যে কোনোরূপ সুযোগ রাখা হয়নি বরং জনগণের মালিকানা কেড়ে নেয়ার কিংবা গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে দেয়ার পাকাপোক্ত ব্যবস্থাই করে রাখা হয়েছে একপদ (রাষ্ট্রপতি/প্রধানমন্ত্রী) কেন্দ্রিক এই সংবিধানে। ফলশ্রুতিতে ক্ষমতাসীনরা আজ প্রকৃত ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়া প্রতিহত করতে পারছে। নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ সব প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কাজে লাগিয়ে ভোটের বাক্স ভরে দিতে পারছে। জনগণের সব ক্ষমতা কুক্ষিগত করেও তারাই নাকি দেশে গণতান্ত্রিক ধারা রেখেছেন এবং এর ফলে দেশে উন্নয়নের ধারাও নাকি অব্যাহত।
আবার গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং বিশ্ব প্রযুক্তির সাথে নিজেদের হালনাগাদ রাখতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন কারো কারো মতে ইলেকট্রনিক ভাঁওতাবাজি মেশিনই (ইভিএম) হচ্ছে সর্বাধিক কার্যকরী পন্থা। গত ’১৪ ও ’১৮-এর নির্বাচনে সব সরকারি মেশিনারিজকে কাজে লাগিয়ে ও আওয়ামী লীগের ঠ্যাংগারে বাহিনী দিয়ে ভোটারদেরকে ভোটকেন্দ্র থেকে যেভাবে দূরে রাখা সম্ভব হয়েছিল সামনের নির্বাচনে তা আর সম্ভব হবে না, এটা স্পষ্ট। তাছাড়া মোড়ল ও দাতা হিসাবে পরিচিত পশ্চিমা দেশগুলোকেও ভোটকেন্দ্রগুলোতে যথেষ্ট ভোটারের উপস্থিতি দেখাতে হবে। তাই ’১৪ ও ’১৮-এর নতুন সংস্করণ ইভিএম অ্যাসাইনমেন্ট দিয়ে বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। ‘সামনের নির্বাচন ৩০০ আসনেই ইভিএম হবে’ এরূপ মন্তব্যের মাধ্যমে ইসিকে প্রদত্ত প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট সর্বপ্রথম জনসমক্ষে আসে।
জনগণের আই ওয়াশের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন যতটা সম্ভব নিরপেক্ষতার ভান করে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে আলোচনায় বসে। একটি অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ফলপ্রসূ নির্বাচন কিভাবে সম্ভব হতে পারে সে বিষয়ে ইসির আগ্রহ তেমন একটা পরিলক্ষিত না হলেও ইভিএমের গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করাই যে আলোচনার একমাত্র লক্ষ্য, ইসির বিভিন্ন বক্তব্যে তাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
অসাংবিধানিক ও অগণতান্ত্রিক আইনের ভিত্তিতে আলোচনার বাইরে রাখা হয় অনিবন্ধিত দলগুলোকে। এই দলগুলোর প্রায় সবার অবস্থান প্রতারণা যন্ত্র ইভিএমের বিরুদ্ধে। নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্য থেকে বিএনপিসহ বেশ কিছু দল আলোচনায় অংশ নেয়নি যারা পূর্ব থেকেই এই ইভিএম সংস্করণের বিপক্ষে অবস্থান জানান দিয়েছে। আলোচনায় অংশগ্রহণকারী দলের মধ্যে আওয়ামী লীগ এবং আবারো ভোট ছাড়াই এমপিত্ব, মন্ত্রিত্বের ভাগীদার হতে ইচ্ছুক কয়েকটি দলের নেতারা ভোট জালিয়াতির মেশিন ইভিএমের পক্ষে মত দেয়। বেশির ভাগ দলের মত উপেক্ষা করে ইসি দেড়শ’ আসন ইভিএমে নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়। কমিশনার মো. আলমগীর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন যে, ‘কেউ যদি ইভিএমের কোনো ত্রুটি প্রমাণসহ দেখাতে পারেন তাহলে নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না।’
অবশ্য বিরোধীপক্ষকে কষ্ট করে ইভিএমের ত্রুটি বের করতে হয়নি। গোমর ফাঁস করে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারাই। এক মার্কায় প্রদত্ত ভোট আরেক মার্কায় চলে যাওয়ার ঘটনা জানিয়েছেন গাইবান্ধা উপনির্বাচনে জড়িত নেতারা। কে কাকে ভোট দিল তাও যে সাথে সাথে জেনে ফেলা যায় বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে জড়িত নেতারা।
ইউরোপ আমেরিকাসহ যেসব দেশে ইতোমধ্যে ইভিএম ব্যবহৃত হয়েছে এদের অধিকাংশ দেশেই তা আবার নিষিদ্ধও করা হয়েছে। আওয়ামী সরকারের বন্ধুদেশ ভারতেও এর বিরুদ্ধে ব্যাপক জনমত গড়ে উঠেছে। সুতরাং বাংলাদেশের নির্বাচনে এই যন্ত্র নিষিদ্ধ করার জন্য অন্য আর কোনো যুক্তির প্রয়োজন আছে বলে সচেতন মহল মনে করে না।
ইভিএমের অপারেটিং কন্ট্রোল যে নির্বাচন কমিশনের হাতে সে নির্বাচন কমিশনই ইতোমধ্যে নিজের কর্মকাণ্ড দিয়ে জনগণের আস্থার বিপরীতে অবস্থান পাকাপোক্ত করেছে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একজন অবৈধ এমপির অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যর্থ হওয়া ও ইভিএমে ফলাফল কারচুপি, ৮ অক্টোবর, ২০২২এ ডিসি-এসপিদের আপত্তিকর আচরণ সত্ত্বেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে না পারা, সর্বোপরি ইভিএম নিয়ে সীমাহীন বাড়াবাড়ি এরূপ নানাবিধ ঘটনা বর্তমান ইসিরও মেরুদণ্ডহীনতা ও অযোগ্যতার সাক্ষ্য বহন করে। গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচন বন্ধ করে দেওয়াও জনগণ ইসির বৃহৎ জালিয়াতির আশায় ক্ষুদ্র জালিয়াতি ত্যাগ হিসাবে দেখে।
ইসির ইভিএম রোগের কারণ যাই হোক না কেন, ইসির উদ্দেশ্য সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় নাগরিকদের মোবাইলে ইসির পাঠানো টেক্সট মেসেজ থেকে। ইসির তিনটি মেসেজ এখানে তুলে ধরছি। ১. ইভিএমের প্রকৃত উদ্দেশ্য জালভোট বন্ধ করে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। ২. ইভিএমের মাধ্যমে আঙুলের ছাপ যাচাই করা হয় বিধায় দ্বিতীয়বার ভোট প্রদান করা সম্ভব নয়। ৩. ইভিএমে আঙুলের ছাপ যাচাই করা হয় বিধায় একজনের পক্ষে আরেকজনের ভোট বা একাধিক ভোট প্রদান অসম্ভব।
এসব মেসেজে ইসি দেশবাসীকে যা বোঝাতে চায় তাহলো, ব্যালট পেপারে ভোট হলে কিংবা গতানুগতিকভাবে নির্বাচন হলে ভোটাররা জাল ভোট দিতে পারেন কিংবা একজনের ভোট আরেকজন দিয়ে দিতে পারেন এবং তা ঠেকানোর জন্য ইভিএম যন্ত্র অত্যাবশ্যক।
অনেকে মনে করেন, সকারের উন্নয়ন রোগের অবধারিত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে ইভিএম রোগ। পাঠক জানেন, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালে সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষ সম্পর্কে দেশবাসীকে আগাম সতর্কবাণী শোনাচ্ছেন। আবার দীর্ঘদিন যাবৎ সারা দেশে বিদ্যুতের সীমাহীন লোডশেডিং চলছে, তেল নেই, গ্যাস নেই, মানুষের কাজ নেই, খাদ্যপণ্যের মূল্য আকাশছোঁয়া এবং কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের বিপুলসংখ্যক মানুষ তিন বেলার খাবারের মধ্য থেকে এক বেলার খাবার বাদ দিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এতটাই কমে গেছে যে, রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহে বড় উল্লম্ফন না ঘটলে কিংবা বড় আকারে বৈদেশিক ঋণ/অনুদান না পেলে আগামী বছরে রিজার্ভের পরিমাণ শূন্যে নেমে আসা অস্বাভাবিক নয়। ডলার সঙ্কটের কারণে সরকার জ্বালানি তেল, সার, খাদ্য, আমদানি করতে পারছে না। ব্যবসায়ীরা এলসি খুলতে পারছেন না। পণ্যমূল্য হু হু করে বাড়ছে। মূল্যস্ফীতিতে দিশেহারা মানুষ খাদ্যগ্রহণ কমিয়ে দিয়েছে। বিভিন্ন সরকারি দফতরে কৃচ্ছ্রতা সাধনের সরকারি নির্দেশনা বলবৎ আছে। এরূপ সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে বিদেশী মুদ্রা ব্যবহার করে ৮৭৪১ কোটি টাকা মূল্যের ইভিএম ক্রয়ের প্রস্তাবনা আত্মঘাতী নয় কি?
আমরা ধরে নিতে চাই ইসির জালভোটমুক্ত নির্বাচন প্রয়াস আন্তরিক। এই জালভোটমুক্ত নির্বাচন প্রয়াসকে কার্যকর করতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ইভিএম নয়, মাত্র ৩০০ কোটি টাকার দেশীয় মুদ্রা ব্যয় এবং ইসি ও সরকারের সদিচ্ছাই যথেষ্ট। এ লক্ষ্যে আমাদের বিকল্প প্রস্তাব নিম্নরূপ :
বর্তমানে বাংলাদেশের সব প্রাপ্ত বয়স্ক নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্রের অধিকারী। এই জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে এর নম্বর, সংশ্লিষ্ট ভোটার এলাকায় ভোটার নম্বর এবং ভোটসংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য এক পৃষ্ঠায় এবং বোধগম্য সাইজের একটি ছবি অপর পৃষ্ঠায় যুক্ত করে সব নাগরিকের জন্য ভোটার কার্ড বানাতে হবে। ভোটের দিন ভোটকেন্দ্রে যে ভোটার তালিকা ব্যবহৃত হবে তাতেও একই সাইজের ছবি থাকবে। এক সপ্তাহ আগে তারিখ ঘোষণা দিয়ে নির্বাচনের ২-৩ দিন পূর্বে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার ও পুলিং অফিসারগণ বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে স্বাক্ষর/টিপসই রেখে নাগরিকদের হাতে ভোটার কার্ড হস্তান্তর করবেন। ঠিকানাস্থলে অনুপস্থিত ভোটারদের কোনো আত্মীয়স্বজন যদি দায়িত্ব নেন তাহলে মোবাইল কলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ভোটারকে কৌশলে যাচাই করে স্বাক্ষর/টিপসই নিয়ে আত্মীয়স্বজনের নিকট কার্ডটি হস্তান্তর করবেন। অবিতরণকৃত কার্ডগুলো সীলগালা করে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের তত্ত্বাবধানে রাখতে হবে। ভোটের দিনে ভোটাররা ভোটার কার্ড সাথে নিয়ে ভোট দিতে যাবেন। ভোটার তালিকার নম্বর ও ছবির সাথে কার্ডের তথ্য মিলিয়ে নেওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ভোটারকে ব্যালট পেপার প্রদান করবেন ও হাতের আঙুলে অমোছনীয় কালি লাগিয়ে দেবেন। ভোটার গোপন কক্ষে গিয়ে ভোটদান সম্পন্ন করে যথানিয়মে ব্যালটবাক্সে ঢুকিয়ে রেখে ভোটকক্ষ ত্যাগ করবেন। এর ফলে যতজন ভোটার ভোটদান করবেন তত সংখ্যক কার্ডও ঐ কেন্দ্রে জমা হবে এবং তত সংখ্যক ব্যালট পেপারও বাক্সে পাওয়া যাবে। সরকারি মেশিনারিজগুলো যদি জনগণের বিপক্ষে অবস্থান না নেয় তাহলে জাল ভোটের কলঙ্ক থেকে জাতি মুক্তি পাবে।
প্রতি ভোটারের ভোটার কার্ড বানাতে খরচ পড়তে পারে ১২-১৩ টাকা। ফলে প্রায় ১১ কোটি ভোটারের পেছনে খরচ পড়তে পারে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা। ভোটারের বোধগম্য বড় সাইজের ছবিসহ কেন্দ্রে ব্যবহারের ভোটার তালিকা প্রণয়নে চলতি ব্যয়ের সাথে আরো প্রায় ১৫-২০ কোটি অতিরিক্ত ব্যয় হতে পারে। ভোটার কার্ড বিতরণ বাবদ আরো প্রায় ১০০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে। সব মিলিয়ে সর্বোচ্চ ৩০০ কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে।
ইসি ১৫০ আসনে ইভিএমে নির্বাচন করতে চাইছে। এর প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ৭০-৭৫ আসনের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ইভিএম ১১শ’ জাতীয় নির্বাচনের আগেই প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সংগ্রহ করা হয়েছিল। বাকি ৭৫-৮০টি আসনের জন্য ৮৭৪১ কোটি অর্থাৎ প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ব্যয় প্রস্তাব করা হয়েছে। বাকি দেড়শ’ আসনেও যদি ইভিএমে নির্বাচন করতে হয় তাহলে আরো অন্তত ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে। সর্বসাকুল্যে ব্যয় দাঁড়াবে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা। অথচ প্রস্তাবিত ব্যবস্থায় ৩০০ আসনে সর্বোচ্চ ব্যয় হতে পারে মাত্র ৩০০ কোটি টাকা।
জালভোটমুক্ত নির্বাচনই যদি ইসির লক্ষ্য হয়ে থাকে তাহলে ইসির উচিত হবে অবিলম্বে ইভিএম প্রকল্প পরিত্যাগ করে ভোটার কার্ড প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। আর ইসির লক্ষ্য যদি হয় ’১৪ ও ’১৮ এর পুনরাবৃত্তি করে আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় বসানো তাহলে তাদের উচিত হবে অবিলম্বে পদত্যাগ করা। কারণ জনগণ ইসির ইভিএম রোগের কারণে গণতন্ত্র ও অর্থনীতি দুটোকেই ধ্বংস হতে দেবে না যেকোনো মূল্যে এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।
লেখক : সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ গণমুক্তি পার্টি
Email: [email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা