বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি
- অধ্যাপক এ বি এম ফজলুল করীম
- ২০ অক্টোবর ২০২২, ২০:০০
পাকিস্তান আমলে এ জনপদের শিক্ষার্থীরা মানুষের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক বিশেষ করে তৎকালীন পূর্বপাকিস্তানের ১৯৫২ সালের জনগণের ভাষার অধিকার আদায়ে, ঊনসত্তরে গণঅভ্যুথান, একাত্তরের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং নব্বইয়ের গণআন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বাংলাদেশের অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলো ছাত্রদের দলীয় স্বার্থে ব্যবহার করতে শুরু করে। ফলে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ধীরে ধীরে অরাজক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেভেন মার্ডারের মতো ঘটনাসহ অসংখ্য অনৈতিক ঘটনা ঘটে যা অনাকাক্সিক্ষত ও দুঃখজনক। ফলে স্বাধীনতার পর থেকে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবনতি, সেশনজট, চাঁদাবাজি, হত্যা, সন্ত্রাস, দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজি, ছাত্রী নির্যাতসহ নানা অনৈতিক ঘটনা ঘটতে থাকে।
এ পরিস্থিতিতে দেশের অবস্থাপন্ন অভিভাবকদের মেধাবী সন্তানরা উচ্চ শিক্ষায় বিদেশে পাড়ি জমাতে শুরু করেন। ফলে দেশ আস্তে আস্তে মেধাশূন্য হতে থাকে। এ পর্যায়ে দেশের চিন্তাশীল ধনাঢ্য ব্যক্তি ও শিক্ষাবিদদের উদ্যোগে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়। ১৯৯২ সাল থেকে দেশে এখন পর্যন্ত উল্লেখযোগ্যে সংখ্যক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। এ সব উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু থেকে ছাত্ররাজনীতি না থাকায় সেশনজটমুক্ত অবস্থায় শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পেয়েছেন। শিক্ষার সুন্দর পরিবেশে বর্তমানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উচ্চশিক্ষা শেষ করার সুযোগ পাচ্ছেন। তারা যথাসময়ে উত্তীর্ণ হয়ে দেশ ও জাতীর উন্নয়নে ভূমিকা পালনের অবকাশ পাচ্ছেন।
তবে ২০২২ সালের ১৭ জুলাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ও মালিকদের সাথে বৈঠকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে ছাত্ররাজনীতির দাবি জানানো হয়। এর কিছু দিন পর রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বার্ষিক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতি হওয়ায় সচেতন মহলে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। সম্প্রতি মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ড ভেঙে দিয়ে সরকারের পছন্দ মতো ব্যক্তিদের দিয়ে পুনর্গঠন করায় এ উদ্বেগের মাত্রা আরো বেড়েছে। একইভাবে এর আগে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের ট্রাস্টি বোর্ড ভেঙে পুনর্গঠন করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতির কার্যক্রম শুরু হওয়ার ঘোষণায় ভীতি প্রকাশ করেছেন এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি শুরু হওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ শিক্ষাবিদরা অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির কারণে হিংসা-প্রতিহিংসা, হামলা, খুন, চাঁদাবাজি, ছাত্রী নির্যাতসহ এসব নিত্যদিনের ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এতে করে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ব্যাহত হচ্ছে। সুতরাং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি চালু হলে অনুরূপ পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যদি ছাত্ররাজনীতি চালু হয় তাহলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেও শিক্ষার পরিবেশ ব্যাহত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবকরা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির সুযাগ না দেয়ার অনুরোধ জানিয়ে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট ভিসিদের ইমেইল করেছেন। এমন অভিভাবকের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে বলে জানিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতাদের সংগঠন বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। শুরুতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯২ অনুযায়ী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হতো। ২০১০ সালে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করা হয়। দেশে মোট বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন রয়েছে ১০৯টির। এর মধ্যে ১০৩টির কার্যক্রম বর্তমানে চলমান ও বাকিগুলো নতুন। এ প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১০ সালের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনের অধীনে চলে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০-এর ১৪ (১) ধারায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট, সিন্ডিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের কমিটি গঠনের বিষয়ে বলা আছে। এ আইনের ১৪ (২) ধারা অনুসারে, আইনে উল্লিখিত কমিটিগুলোর বাইরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্য যেকোনো কমিটি গঠন করতে গেলে চ্যান্সেলরের অনুমতি নিতে বলা হয়েছে। তবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতির পক্ষেও মত আছে। তাদের বক্তব্য- পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে সুস্থ ও আদর্শ অনুকরণীয় ছাত্ররাজনীতি থাকতে অসুবিধা কোথায়? শিক্ষার্থীদের ও মেধার নেতৃত্বের গুণাবলি বিকাশ, তাদের যুক্তিসঙ্গত দাবি আদায় ইত্যাদি এবং সংগঠন করার দক্ষতা, একাডেমিক মেধার বিকাশ হলে তা পরবর্তী জীবনে ব্যাপকভাবে কাজে লাগে। গণমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কখনো রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি। তিনি বলেছেন, ছাত্ররাজনীতি করা ছাত্রদের অধিকার। কিন্তু আমাদের প্রশ্ন- দলীয় ছাত্ররাজনীতি কীভাবে হবে? আর হলে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কি থাকবে না? এ দুটি প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়া সত্যেও বলা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররাজনীতি যারা করবেন, সেসব শিক্ষার্থীর সাথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকা উচিত। তবে দলীয় রাজনীতির নামে যেন কোনো বিশৃঙ্খলা, অরাজকতা না হয়। যদি ইতিবাচক রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকে, আমাদের কাছে মনে হয় না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিক থেকে কোনো আপত্তি থাকার কথা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাজনীতির লক্ষ্য যদি হয় ছাত্রদের স্বার্থরক্ষা করা, প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ভূমিকা রাখা এবং নৈতিক মূল্যবোধের ভিত্তিতে ছাত্র নেতারা নিজেদের এবং শিক্ষার্থীদের মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন আদর্শ মানুষরূপে গড়ে তোলা, তবে সে ধরনের ছাত্ররাজনীতি অবশ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকা দরকার। আশা করা যায়, এমন ছাত্ররাজনীতিতে কল্যাণ বয়ে আনবে। এ রকম ছাত্ররাজনীতি চর্চা সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হলে শিক্ষার্থীরা যেমন রাজনীতি সচেতন হবেন, অন্য দিকে অভিভাবকদের মধ্যে থাকা শঙ্কা দূর হবে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিবেশ ও শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে কোনো অছাত্র যেন ছাত্রসংগঠনের নেতৃত্বে ও কর্মী হিসেবে আসতে না পারেন সেটি নিশ্চিত করতে হবে।
বর্তমান ছাত্ররাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন অনুপ্রবেশ করায় অনৈতিক ও অবৈধ কর্মকাণ্ড অনেক ক্ষেত্রে ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে হয়। তা ছাড়া তারা যদি লেজুড়বৃত্তির রাজনীতির চর্চা করেন, তাহলে ওই ছাত্ররাজনীতি কখনো কল্যাণকর হবে না। তা সরকারি বা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, যেখানেই হোক না কেন। কারণ সঙ্ঘাত, সহিংসতা ও সন্ত্রাসের রাজনীতিতে রক্ত ঝরে, লাশ পড়ে, মায়ের বুক খালি হয়। এ ধরনের ছাত্ররাজনীতি দেশ ও জাতীর জন্য এখনো কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ একটি ছাত্র সংগঠনের কমিটি ঘোষণা করায় যে বেশির ভাগ ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক সবাই ক্ষুব্ধ, হতাশ ও মনঃক্ষুণ্ণ হয়েছেন তা সহজে অনুমেয়। এতে করে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মিছিল, মিটিং, হানাহানি, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, মারামারি, খুনখারাবি, ছাত্রী নির্যাতন ইত্যাদি শুরু হওয়ার আশঙ্কা শতভাগ। ক্লাস ঠিকমতো হবে না, সময়মতো পরীক্ষা নিতে পারবে না, সেশনজট শুরু হবে এবং উচ্চশিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, অভিভাবকরাও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাই এমনটি হওয়া মোটেই ঠিক নয় বলে একটি জনমত রয়েছে। তা কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যায় না।
স্মরণযোগ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী ধর্ষণের সেঞ্চুরি করে এক ছাত্র নেতার উল্লাস- তার বিচার না হওয়া ও সাম্প্রতিককালে ইডেন মহিলা কলেজের ঘটনা, সিলেটের এমসি কলেজের ঘটনাসহ দেশের বেশির ভাগ কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে ছাত্ররাজনীতির নামে অপরাজনীতি। যা দেশের ও জাতীর জন্য ধ্বংস ডেকে আনবে। তাই এমন ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করা দরকার। প্রশ্ন হলো- ছাত্ররাজনীতিবিহীন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কি দেশের রাজনীতির ব্যাপারে অজ্ঞ-উদাসীন থাকবেন? এর জবাব এককথায় দেয়া সম্ভব নয়। তবে বলা যায়, এতদিন ধরে কি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশ-বিদেশের রাজনীতির ব্যাপারে সম্পূর্ণ বেখবর ছিলেন? বাস্তবতা মোটেই তা কিন্তু নয়। তারা তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম সচল রেখে ব্যক্তিগত পর্যায়ে রাজনীতির চর্চা করে আসছেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ ইচ্ছা করলে বর্ষভিত্তিক ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে তাদের জন্য কমিটি প্রণয়ন করে শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধান করতে পারেন। প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনে শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় ছাত্র প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনাও করা যেতে পারে। তবে রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠন হিসেবে ছাত্র সংগঠন করার অনুমতি দেয়া আদৌ ঠিক হবে কিনা তা নিয়ে শতবার ভাবতে হবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্ররাজনীতির অনুমতি দিলে সেখানেও যে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হবে না, অরাজকতার সৃষ্টি হবে না, সেই গ্যারান্টি কে দেবে। তবে ছাত্র সংগঠনগুলো যদি মেধার বিকাশ, শিক্ষার্থীদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট দাবি আদায় ও আদর্শ মানুষ হওয়ার কর্মসূচিসহ ছাত্ররাজনীতি করে, তাহলে জাতি ও দেশের জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে। এমন ছাত্ররাজনীতিকে নিরুৎসাহিত করার কিছু নেই।
তাই দলীয়ভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্র সংগঠন গড়ে তোলার ব্যাপারে একটি সুচিন্তিত নীতিমালা জাতীয়ভাবে গৃহীত হওয়া প্রয়োজন। যাতে করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকে, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম ধ্বংস থেকে রক্ষা পায়। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীরা নৈতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের আলোকে মেধার বিকাশ ঘটিয়ে আদর্শ মানুষ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে পারবেন। ছাত্ররাজনীতি নয়; বরং অপছাত্ররাজনীতি চিরতরে বন্ধ হয়। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে আসুক আদর্শিক ছাত্ররাজনীতি এবং শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ। আবরার হত্যার পর আবেগের প্রবল ঢেউয়ে বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সেই আবেগের ঢেউ থেমে গেলে, বুয়েটেও সুস্থ ও আদর্শিক ছাত্ররাজনীতি করার অধিকার ফিরিয়ে দেয়া হোক। সবশেষে বলা যায়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়েও আদর্শিক ও সুস্থ গণতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি শুরু করা যেতে পারে। তাতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়।
লেখক : সাবেক সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা