সিসিক্যামেরা ও গাইবান্ধা উপনির্বাচন
- আবু ইউসুফ
- ১৫ অক্টোবর ২০২২, ১৯:৫৯, আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২২, ০৬:১৫
চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্তে¡ অবদান রাখায় এ বছর নোবেল পেয়েছেন সুইডিশ বিজ্ঞানী সোয়ান্তে প্যাবো। বিলুপ্ত হোমিনিন জিনোম ও মানব বিবর্তন সম্পর্কিত গবেষণার জন্য প্যাবোকে এই পুরস্কার দেয় নোবেল কমিটি। ডিএনএ ও সিসিটিভি ক্যামেরা অপরাধ শনাক্তকরণে যুগান্তকারী অবদান রাখছে এই বিশ্বে। বর্তমান বিশ্বে অপরাধ শনাক্তকরণে প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি অবদান রাখছে প্রযুক্তির ব্যবহার। সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ডিএনএ পরীক্ষা যেমন ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং, ডিএনএ টাইপিং, ডিএনএ প্রোফাইলিং ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে খুব সহজেই নির্ভুলভাবে অপরাধ শনাক্ত করা যায়। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি সিসিটিভি ক্যামেরা ব্যবহার করে আমরা এখন কারো বাহ্যিক চৌর্যবৃত্তি, এমনকি মনের চৌর্যবৃত্তিও ধরে ফেলতে পারি। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশও কিছু কিছু ক্ষেত্রে তার পারদর্শিতা দেখাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় গাইবান্ধা উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে তথ্যপ্রযুক্তি তথা সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে নির্বাচন কমিশন যথোপযুক্ত কাজটিই করেছে। নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুযায়ী, প্রত্যেক ক্রিয়ারই একটি সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। গাইবান্ধার উপনির্বাচনে সিসিটিভি ব্যবহার ও এর প্রতিক্রিয়া ব্যবহারকারীদের জন্য বুমেরাং হবে কি না তা নিকট ভবিষ্যতেই জানা যাবে।
১২ অক্টোবর ২০২২-এ গাইবান্ধা উপনির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম, কেন্দ্র দখল, কারচুপি, প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, প্রিজাইডিং অফিসারের বিশেষ দলের পক্ষে ভোট প্রদান, ভোটডাকাতি, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের ভোটদানে বাধা প্রদান, ভোটের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া- ইত্যাদি কারণ দেখিয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন বন্ধ করেছেন। সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করে কমিশন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নির্বাচন স্থগিত করে আপাতদৃষ্টিতে গণতন্ত্রকামী সব দেশপ্রেমিকের প্রশংসা কুড়িয়েছে নির্বাচন কমিশন; যদিও এ নিয়ে নানা মহল থেকে নানা কথা উঠছে। পারিপার্শ্বিক বিবেচনায় নানারকম কথা ওঠাটাও স্বাভাবিক।
একটি মহল অনুমান করছে- গাইবান্ধা উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশন দেশের সব রাজনৈতিক দলকে বিশেষ করে বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপিকে আওয়ামী সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত বিতর্কিত এই কমিশনের অধীনে নির্বাচনে যাওয়ার টোপ হিসেবে ব্যবহার করবে। উল্লেখ্য, দেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপি বর্তমান সরকারের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় তারা সর্বশেষ ইউপি নির্বাচন, সিটি করপোরেশন নির্বাচন, বেশ কয়টি উপনির্বাচন বর্জন করেছে। গাইবান্ধা উপনির্বাচনও তারা বর্জন করেছে। তারা বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও সুষ্ঠু একটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন দাবিতে আন্দোলন করে আসছে দীর্ঘদিন থেকেই। তাদের এই দাবির প্রতি ধীরে ধীরে জনগণও একতাবদ্ধ হচ্ছে। বিএনপির সাম্প্রতিক পথসভা ও জনসভাগুলো বিশ্লেষণ করলেও এর সত্যতা পাওয়া যায়।
বিশেষ করে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, চরম লোডশেডিং, সরকারি দলের বিভিন্ন সংগঠনের প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, খুন, রাহাজানি, ধর্ষণ, জমি দখল, হল দখল, বিরোধী মতের কণ্ঠরোধ- ইত্যাদি কারণে সর্বসাধারণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাই দিন দিন এই সরকারের জনপ্রিয়তা মারাত্মকভাবে ধসে পড়েছে। তা ছাড়া সরকারি দলের বাইরের প্রায় সবাই এই সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতেও বীতশ্রদ্ধ। তারা মনে করছেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যু, বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের সাম্প্রতিক আস্ফালন, বাংলাদেশের নীরবতা, ভারতের সাথে বাণিজ্যিক বৈষম্য, সীমান্ত হত্যা, গঙ্গার পানির ন্যায্য হিস্যা ইতাদি সরকারের ভ্রান্ত ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণেই সমাধান করা যায়নি। দেশের জনগণ এখন বিশ্বাস করে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ ভারত সফর ও আমেরিকা সফরে তিনি তেমন কোনো কিছু তো বয়ে আনেননি; বরং দেশের সুনাম ক্ষুণ্ণ করেছেন।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী একাধিকবার বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, আমাদের রিজার্ভ তথা ডলার সঙ্কটের কারণে জ্বালানি আমদানি করতে পারছেন না। বিদ্যুৎ খাতে লাখো কোটি টাকা লুটপাট করে বিভিন্ন প্রকল্প চালু করেও জ্বালানি সরবরাহ না করার কারণে বেশির ভাগ প্রকল্পেই বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ রয়েছে, অথচ একই সময়ে হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে পূর্বাচলে ‘শেখ হাসিনা’ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নির্মাণচুক্তি হয়েছে। জনগণের দাবি উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন আরো আট-নয় হাজার কোটি খরচ করে ইভিএম কেনার পাঁয়তারা চালাচ্ছে। অথচ আগের কেনা ইভিএম সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হতে চলেছে। সাম্প্রতিককালে বিএনপি শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ ও আন্দোলনের মাধ্যমে এসব ইস্যু সাধারণ মানুষের মধ্যে পৌঁছাতে পেরেছে এবং সাধারণ মানুষ এগুলোত বিশ্বাস করছে ও সরকারের অপসারণ চাইছে। তা ছাড়া এ দেশের ভোটাররা ২০০৮-এর নির্বাচনের পর এযাবৎকাল তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের সেবক নিয়োগ করতে পারেনি। সব কিছু মিলিয়ে সরকার যখন দিশেহারা, এমনি সময় বিএনপির গণআন্দোলনে গণমানুষের সম্পৃক্ততা দেখে সরকার বিচলিত। তাই সরকারই হয়তো তার অনুগত নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য গাইবান্ধায় নির্বাচনের নামে পাতানো খেলার আয়োজন করেছে। এই নির্বাচনের মাধ্যমে সিইসি হয়তো প্রমাণ করতে চান যে, তারা তাদের অবস্থানে দৃঢ় ও সৎ। সে জন্যই তারা দ্রুত গাইবান্ধার উপনির্বাচন স্থগিত করেছে। তারা হয়তো বার্তা দিতে চাইছে- জাতীয় নির্বাচনে কোনো অনিয়ম হলে এভাবেই ত্বরিত গতিতে তারা ব্যবস্থা নেবেন।
আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, গত ৮ অক্টোবর ইসিতে ডিসি-এসপিদের নির্বাচনকালীন ভূমিকা সম্পর্কিত আলোচনায় নির্বাচন কমিশনের সাথে ডিসি-এসপিদের মতানৈক্য প্রকাশ্যে চলে আসে। ডয়েচে ভেলে ‘ইসিতে ডিসি-এসপিদের হইচই, নির্বাচনকালীন ভূমিকা নিয়ে সংশয়’ শীর্ষক রিপোর্ট করে। রিপোর্টে বলা হয়- ডিসি-এসপিদের হইচই ও প্রতিবাদের মুখে নির্বাচন কমিশনার মো: আনিছুর রহমানের বক্তব্য দিতে না পারাকে নির্বাচন কমিশন ভুল বোঝাবুঝি বলে মনে করে। তবে সাবেক এক নির্বাচন কমিশনার ও এক বিশ্লেষকের মত, এতে আইন ও সংবিধানের লঙ্ঘন হয়েছে।
দায়িত্ব নেয়ার পর শনিবার প্রথমবারের মতো মাঠপর্যায়ের প্রশাসনের সাথে ঢাকায় মতবিনিময় করে নতুন নির্বাচন কমিশন। ওই সভায় দেশের সব জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপাররা (এসপি) উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন ও নির্বাচন কমিশনের চাহিদামতো কাজ করার বার্তা দিতেই ওই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। জানা গেছে, মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান নির্বাচন ব্যবস্থা নিয়ে জনমনে আস্থাহীনতার জন্য ডিসি-এসপিদের ওপর দায় চাপান। তিনি জেলা পরিষদ নির্বাচনে স্থানীয় এমপিদের তরফে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কথা তুলে ধরেন। কোনো কোনো এমপি ইসি সদস্যদের প্রকাশ্যে গালি দিচ্ছেন বলেও জানান।
ইসির পক্ষ থেকে আয়োজিত রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন অংশীজন নিয়ে ধারাবাহিক ওই সংলাপে শনিবার বক্তব্য দিতে গিয়ে ডিসিদের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন আনিছুর রহমান। মাঠ প্রশাসনের কর্তাদের ‘নখদন্তহীন' এবং তারা ‘মন্ত্রী-এমপিদের ছাড়া চলতে পারেন না’ বলে মন্তব্য করেন তিনি। ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য বরাদ্দ, গাড়ির জন্য তেলের টাকাও ডিসিরা দেন না বলে উল্লেখ করেন তিনি। তার বক্তব্যের এ পর্যায়ে সভাকক্ষের মধ্যেই একযোগে ডিসি-এসপিরা হইচই শুরু করেন। এ পর্যায়ে কমিশনার আনিছুর রহমান বলেন, ‘তাহলে কি আপনারা আমার বক্তব্য শুনতে চান না?’ তখন সবাই একযোগে ‘না’ বললে নিজের বক্তব্য শেষ না করেই বসে পড়েন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশন রাশিদা সুলতানা ডয়েচে ভেলেকে বলেন, ‘এটি এমন কিছু নয়। এটি সামান্য একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তা বলাটাও দোষের হয়নি। ...ওরা একটু রিঅ্যাক্ট করেছেন। এর বেশি কিছু না। এ জন্য আমরা উদ্বিগ্ন নই। এটি একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা হয়ে গেছে। নানা কারণে সেটি হতে পারে।’ প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের আচরণের জন্য পরে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘...ওটা ওখানেই শেষ, আমরা কেউ কিছু মনে রাখিনি। ওনারাও একবাক্যে সবাই বলেছেন, আপনারা যেভাবে নির্দেশনা দেবেন আমরা সেভাবেই কাজ করব।’ এত সবের পরও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করবেন বলে আস্থা রাখছে ইসি। অন্যথায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তাদের স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে বলেও জানান রাশিদা সুলতানা।
তিনি বলেন, ‘যেখানে যেখানে নির্বাচন হচ্ছে সেখানে নির্বাচনকালীন সময়ে তারা ইসির অধীনে। এ ক্ষেত্রে কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে। কোনো ব্যত্যয় হলে ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানানো হয়েছে; কিন্তু তা না করে সাংবিধানিক সংস্থার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের এমন আচরণে উদ্বেগ প্রকাশ করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার রফিবুল ইসলাম। নির্বাচনকালীন সময়ে কর্মকর্তারা ইসির নির্দেশ অনুযায়ী আদৌ দায়িত্ব পালন করবেন কি না, ওই ঘটনা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘উনারা যে আচরণ করলেন তাতে তো ওনারা বাধ্য নন। তারা শুধু প্রতিবাদ করেই পিছপা হননি; বরং কমিশনকেই পেছনে চলে যেতে বাধ্য করেছেন।’ এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন ছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ থেকে স্পষ্ট- ‘ডিসি-এসপিরা নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করবেন’। গাইবান্ধার উপনির্বাচন তারই বাস্তব উদাহরণ। নির্বাচন কমিশন সেখানে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি।
গাইবান্ধার উপনির্বাচনে সিইসির ‘মিউ মিউ’ হস্তক্ষেপে কেউ কেউ আবেগাপ্লুত হয়েছেন। সেখানে খুঁজে পেয়েছেন তার সততার উদাহরণ। তর্কের খাতিরে তার সততার ব্যাপারটি মেনে নিলেও প্রশ্ন করা যায়, শুধু সততা থাকলেই কি দলনিরপেক্ষ নির্বাচন করা যায়? দলনিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য সততার পাশাপাশি যোগ্যতা, সাহস ও মেরুদণ্ডসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব থাকা লাগে; যা সরকারি দলের অনুগত এই কমিশনের নেই। ইতোমধ্যেই এর প্রমাণ তারা দিয়েছেন ৮ অক্টোবরের ডিসি-এসপিদের সাথে মতবিনিময় সভায় ও গাইবান্ধার নির্বাচনে। কুমিল্লা সিটি নির্বাচনেও একজন মাত্র এমপি মিস্টার বাহারকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি এই কমিশন। প্রায় দেড় সহস্র সিসিটিভি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করেছিল গাইবান্ধার নির্বাচন। তাও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি কমিশন। সেখানে ৩০০ আসনের জাতীয় নির্বাচন মনিটর করা ও নিয়ন্ত্রণে রাখার সক্ষমতা এই কমিশনের পক্ষে কিভাবে সম্ভব? সততার পরাকাষ্ঠায় আস্থাভাজন এই কমিশন তখন নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করে জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যুর মতো এই বলে পার পেয়ে যাবে যে- ‘সরকার চাইলে আমাদের কী করার আছে?’ মাঝপথে নির্বাচন বন্ধ করলে দেশের অবস্থা কী হবে সেটি কেউ ভাবতে পারছেন? ক্ষমতাসীনরা অরাজকতার অজুহাত তুলে হয়তো তৃতীয় কোনো শক্তির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে কেটে পড়বে, যাদের বদান্যতায় ২০০৮-এ ক্ষমতায় এসেছিল। নয়তো অর্ডিন্যান্স জারি করে বর্তমান সংসদকেই বহাল রাখবে আরো পাঁচ বছরের জন্য; যা বহন করার শক্তি এই জাতির নেই।
E-mail : [email protected]
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা