৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ন ১৪৩১, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬
`

সুবিধাবঞ্চিতদের চিকিৎসা সঙ্কট

সুবিধাবঞ্চিতদের চিকিৎসা সঙ্কট - ছবি : সংগৃহীত

পৃথিবীবাসী মূলত সুবিধাবঞ্চিত ও সুবিধাভোগী এই দুই ভাগে বিভক্ত। মানবসমাজ বিভিন্ন শ্রেণীপেশা, ধনী-গরিব, ইত্যাদি সব ধরনের মানুষ নিয়েই প্রতিষ্ঠিত। সবার যোগ্যতা, মেধা, শারীরিক সক্ষমতা, জন্মগত সুযোগ-সুবিধা এক নয়। একটি শ্রেণী সুবিধাবঞ্চিত আরেকটি সুবিধাভোগী। সুবিধাবঞ্চিত বলতে তাদেরকেই বুঝানো হয় যারা বিভিন্ন কারণে সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ থেকে বঞ্চিত।

দেশবাসী চিকিৎসার মৌলিক অধিকারবঞ্চিত
চিকিৎসা একটি অত্যাবশ্যকীয় চাহিদা যা ছাড়া মানুষ কোনোভাবেই সুস্থ ও সক্রিয় থাকতে পারে না। আমরা জানি, মানুষের বেঁচে থাকা, জীবনের বিকাশ এবং সভ্য-সামাজিক জীবনের জন্য যেসব উপকরণ একান্তই অপরিহার্য যার কোনো বিকল্প নেই তাদের সমষ্টিকেই মৌলিক মানবিক চাহিদা বলে। অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা এবং চিকিৎসা- এই পাঁচটি হলো মানুষের মৌলিক মানবিক চাহিদা।

এই মৌলিক চাহিদা পূরণে বাংলাদেশ সঙ্কটের আবর্তে হাবুডুবু খাচ্ছে। বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ মানুষ প্রাথমিক স্বাস্থ্য সুবিধার ন্যূনতম সুযোগ থেকে বঞ্চিত। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৪৩ শতাংশ পরিবার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে, ধার-কর্জ করে বা নিকটাত্মীয়দের সহায়তা নিয়ে এবং প্রয়োজনে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে চিকিৎসার খরচ মেটায়। বাংলাদেশী নাগরিকদের মোট চিকিৎসা ব্যয়ের ৬৮.৫০ শতাংশ নিজেকেই বহন করতে হয়।

দেশের টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে
ভারতের বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বিদেশীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে দেশটি যে ৮৮ কোটি ৯৩ লাখ ডলার আয় করেছে তার মধ্যে বাংলাদেশীদের অংশ ৩৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার অর্থাৎ প্রায় দুই হাজার ৮০০ কোটি টাকা। প্রতিবেদনে প্রকাশ, গত অর্থবছরে চার লাখ ৬০ হাজার বিদেশী রোগী ভারতে চিকিৎসা নিয়েছেন, এর মধ্যে এক লাখ ৬৫ হাজার বাংলাদেশী। অর্থাৎ ভারতে চিকিৎসা নেয়া বিদেশীদের প্রতি তিনজনের একজন ছিলেন বাংলাদেশী।
সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, গড়ে প্রতি বছর পাঁচ লাখ মানুষ বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাচ্ছে। এতে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে। এর বড় অংশই যায় ভারতে। এ ছাড়া প্রতিটি রোগীর ভ্রমণ, থাকা, খাওয়া ও আনুষঙ্গিক ব্যয় রয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে অদক্ষতা ও আস্থার সঙ্কটে বিদেশে যাচ্ছে রোগীরা। ভারত ছাড়া মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও সিঙ্গাপুরে যাচ্ছে চিকিৎসার জন্য।

সরকারি, বেসরকারি সর্বত্রই চিকিৎসা সঙ্কট
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের প্রতিবেদনের তথ্য মতে, খরচের কথা ভেবে দেশের ১৬.৪ শতাংশ পরিবার, অর্থাৎ তিন কোটির বেশি মানুষ চিকিৎসা নেন না। প্রয়োজন থাকলেও তারা সেবা নেন না। বাংলাদেশে স্বাস্থ্যসেবার জন্য মোট যে অর্থ ব্যয় হয় তার প্রায় ৭০ শতাংশই আসে নাগরিকদের নিজের পকেট থেকে। এটা সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি। গত কয়েক দশকের ব্যবধানে স্বাস্থ্য ব্যয়ে ব্যক্তিগত ব্যয় দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে।

এ বছর (২০২২-২০২৩) স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ ৩৬ হাজার ৮৬৩ যা গত বছরের তুলনায় মাত্র চার হাজার ১৩২ কোটি টাকা বেশি। স্বাস্থ্য খাতে মোট বাজেটের ৫.৪ শতাংশ পাওয়া গেছে, যা গত বছরের বাজেটে ছিল ৫.২ শতাংশ। প্রকৃতপক্ষে চাহিদা এবং মুদ্রাস্ফীতির কথা বিবেচনায় নিলে এবারের স্বাস্থ্য বাজেট গত বছরের তুলনায় কম।

আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী স্বাস্থ্যখাতে মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপির বরাদ্দ কমপক্ষে ৫ শতাংশ থাকা প্রয়োজন হলেও, বাংলাদেশে তা শূন্য দশমিক ৯২ শতাংশ মাত্র। আমাদের দেশে রোগীর সংখ্যা বেশি, চিকিৎসার সরঞ্জামাদি ও ওষুধপত্র সীমিত, ডাক্তারসহ অন্যান্য লোকবলও সীমিত। ফলে সত্যিকারের সেবাদান সম্ভব হচ্ছে না।

রাজধানী ঢাকা এবং বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের হাসপাতালগুলোর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রসহ (আইসিইউ) সাধারণ ওয়ার্ডে মারাত্মক শয্যা সঙ্কট দেখা দিয়েছে। শেরেবাংলা নগরের সরকারি কিডনি হাসপাতাল এখন অসংখ্য কিডনি রোগীর ভারে ন্যুব্জ। অনেক রোগীই পাঁচ-ছয় হাসপাতাল ঘুরে শেষ হাসপাতালের দরজায় মারা যাচ্ছেন। এতসব সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও সরকারি হাসপাতালেই রোগীরা কম টাকায় কিছুটা ভালো চিকিৎসাটা পান।

এ দেশের দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত মানুষ সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন। তাদের সংসারের ব্যয় মিটিয়ে চিকিৎসা খরচ চালানোর কোনো উপায় থাকে না। আবার তাদেরই অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। অসুস্থতার কারণে সাধারণ মানুষের জমা টাকা খরচ হয়, আয় কমে যায়, উৎপাদন কমে যায় আর অভাব বাড়ে।

আমাদের দেশে প্রতি বছর গড়ে ১০ লাখ লোক মারা যাচ্ছে, যার ৭০ শতাংশই অসংক্রামক রোগের কারণে। সে হিসেবে প্রতিদিন এক হাজার ৯০০ লোক মারা যান অসংক্রামক রোগে। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সারের (আইএআরসি) অনুমিত হিসাব সূত্রে, প্রতি বছর বাংলাদেশে নতুন করে এক লাখ ৫০ হাজার মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। আর মারা যান এক লাখ আট হাজার মানুষ।

চিকিৎসার খরচ দিতে গিয়ে গরিব হচ্ছে মানুষ
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) এবং পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) জরিপে জানা গেছে, দেশে গত বছর মার্চে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত ১৮ মাসে নতুন করে তিন কোটি ২৪ লাখ মানুষ দরিদ্র হয়েছে। এই দরিদ্র জনগোষ্ঠী, যারা দু’বেলা ভাতই জোগাড় করতে পারে না তারা কিভাবে চিকিৎসার খরচ মিটাবে। বর্তমানে যত লোক গরিব হচ্ছে তার এক তৃতীয়াংশই হচ্ছে ব্যয়বহুল চিকিৎসা করতে গিয়ে।

একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, গত কয়েক বছরে হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যয় বিপর্যয়কর হয়ে দেখা দেয় দেশের ২৬.১ শতাংশ পরিবারের জন্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বাস্থ্য ব্যয়কে বিপর্যয়কর হিসেবে তখনই চিহ্নিত করে যখন একটি পরিবারে খাবারের চাহিদা মেটানোর পর চিকিৎসার জন্য তাদের মোট উপার্জনের ৪০ শতাংশ খরচ করতে হয়। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত ওই গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ৫৮ শতাংশ পরিবার হাসপাতালের খরচ মেটাতে গিয়ে দুর্দশার সম্মুখীন হয়।

মাত্র ৩ শতাংশ রোগী সরকারি হাসপাতাল থেকে ওষুধ পান এবং ১৪.৯ শতাংশ রোগী রোগ নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় সেবা পান। বেশির ভাগ রোগীকে প্রাইভেট ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনতে হয় এবং প্রাইভেট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে হয়। এতে পরিবারের খরচ বেড়ে যায় এবং তাদেরকে আর্থিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়।

জটিল ও ব্যয়বহুল রোগ বলতে কি বুঝায়
ক্যান্সার, হৃদরোগ, কিডনি-ব্যাধি, হেপাটাইটিস, ডায়াবেটিস-মেলিটাস রোগজনিত জটিলতা, পক্ষাঘাত, বক্ষব্যাধি, কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গ-সংযোজন সংক্রান্ত রোগ ও দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হওয়া এবং এ সংক্রান্ত মেডিক্যাল বোর্ড কর্তৃক জটিল ও ব্যয়বহুল রোগ বলে চিহ্নিত যেকোনো রোগও এর অন্তর্ভুক্ত হবে।

চিকিৎসা নিতে গিয়ে দরিদ্র হওয়া প্রতিরোধের উপায়
প্রথমত, দেশের সব মানুষকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষিত ‘সর্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজ ২০৩০’ এর আওতায় নিয়ে আসা। এটি হলো, সব লোকের তাদের প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবাগুলোতে প্রবেশাধিকার রয়েছে, যখন এবং যেথায় তাদের প্রয়োজন, আর্থিক অসুবিধা ছাড়াই। স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বাড়িয়ে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে। দ্বিতীয়ত, প্রত্যেক নাগরিকের স্বাস্থ্যবীমা নিশ্চিত করা। উন্নত বিশ্বে নাগরিকদের স্বাস্থ্যবীমা ব্যবস্থা চালু আছে। এ ব্যাপারে আমাদের কাছাকাছি দেশ ভিয়েতনাম জ্বলন্ত উদাহরণ। সে দেশে মাত্র ৪ শতাংশ স্বাস্থ্য বীমা সুবিধা নিয়ে যাত্রা শুরু করে বর্তমানে ৮৭ শতাংশ মানুষকে এর আওতায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

ভিয়েতনামে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে জিডিপির ১০ ভাগই স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করা হয়। সে দেশে স্বাস্থ্য বীমার সুবিধা পেতে দেশের সচ্ছল মানুষের মোট আয়ের ৪ দশমিক ৫ ভাগ হারে প্রিমিয়াম পরিশোধ করতে হয়। তবে দরিদ্রদের প্রিমিয়ামের টাকা সরকার দিয়ে থাকে। এ ছাড়া স্বল্প আয়ের লোকদের প্রিমিয়ামের ৭০ ভাগ এবং শিক্ষার্থীদের ৩০ ভাগ সরকার দিয়ে থাকে। রোগ এবং রোগীর অবস্থান বিবেচনায় ৮০ থেকে ১০০ ভাগ কভারেজ দেয়া হয়। বাংলাদেশ সরকার পরীক্ষামূলকভাবে কিছু এলাকায় স্বাস্থ্য বীমা চালু করেছে।

সারা দেশে এই সুবিধা সম্প্রসারণের পরিকল্পনা রয়েছে। তৃতীয়ত, সরকারি এবং বেসরকারি সব পর্যায়ে কর্মচারী কল্যাণ তহবিল এবং যৌথ বীমার তৎপরতা বৃদ্ধি করা। চতুর্থত, ব্যক্তিগত-যৌথ মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি ইত্যাদি সব মহলের লাভের একটা অংশ (১-৫%) দুস্থ রোগীদের জন্য নির্ধারণ করা যা দিয়ে সুবিধাবঞ্চিতদের মানবিক সহায়তা করা যায়। পঞ্চমত, জাকাত, দান বা কর্জে হাসানা ফান্ড গঠন করে দুস্থ রোগীদের সহায়তা করা। ষষ্ঠত, খরচের বোঝা কমানোর জন্য জাতীয় স্তরের সামাজিক স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প প্রণয়ন করা যাতে স্বল্প আয়ের পরিবারগুলোর ওপর বিশেষ নজর, বেসরকারি খাতের স্বাস্থ্য খরচ নিয়ন্ত্রণ এবং ক্যান্সার, হার্ট, লিভার এবং কিডনি রোগীদের জন্য ভর্তুকিযুক্ত স্বাস্থ্যসেবা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

দামি ওষুধ এবং ল্যাবরেটরি টেস্ট মানুষের জন্য ভর্তুকি দিয়ে হলেও সহজলভ্য করার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিত। সপ্তমত, প্রত্যেক বেসরকারি হাসপাতালেই দরিদ্র কোটায় ফ্রি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

আমরা জানি, এ দেশে এমনও শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে, যারা চাইলে দেশের স্বাস্থ্য খাতকে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে। চিকিৎসা করাতে গিয়ে একজন দরিদ্র মানুষকে যে টাকা খরচ করতে হয়, একটি শিল্প প্রতিষ্ঠান অনুদান দেওয়ার মাধ্যমে খুব সহজেই সেই খরচ বহন করতে পারে। বিত্তবানরা চাইলে সরকারি হাসপাতালগুলোর আইসিইউ ইউনিট সাজিয়ে দিতে পারেন। শিল্পপতিরা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিনামূল্যে কিংবা স্বল্পমূল্যে বড় বড় হাসপাতাল গড়ে তুলতে পারেন, যেখানে গরিব মানুষ চিকিৎসা পাবেন বিনা টাকায়। অথবা শিল্পপতিরা বিভিন্ন হাসপাতালে এভাবে চুক্তিবদ্ধ হতে পারেন যে, নির্ধারিত গরিব রোগীরা বিভিন্ন হাসপাতালে ফ্রি সার্ভিস পাবেন এবং তার বিল দিয়ে দেবে ওই শিল্পপতির প্রতিষ্ঠান। পবিত্র কুরআনে অন্যকে দান জাকাত বা দান করাকে বঞ্চিতদের অধিকার হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সুতরাং অন্যকে দান করা তাদের প্রতি অনুগ্রহ হিসেবে দেখা যাবে না বরং দেখতে হবে তাদের প্রাপ্য হিসেবে।

সরকারি পর্যায়ে যে উদ্যোগের গতি বাড়াতে হবে
সম্প্রতি সমাজসেবা অধিদফতর একটি প্রকল্পের আওতায় ৩৭টি হাসপাতাল/সংস্থা থেকে ৩০% গরিব রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারি হিসাব মতে, এ সব হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠানে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট ১৪ লাখ ৯৫ হাজার ৪৪৮ জন দুস্থ রোগীর চিকিৎসা বিনামূল্যে কিংবা স্বল্পমূল্যে হয়েছে। এটা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই নগণ্য হলেও প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্টের উদ্যোগ
অতি সম্প্রতি দেশের একটি মানবিক প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট’ দেশের লাখ লাখ ডায়ালাইসিস এবং কিডনি ট্রান্সপ্লান্টযোগ্য রোগী যারা গরিব ও সুবিধাবঞ্চিত তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসার জন্য ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে একটি বিশ্বমানের সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে।

লেখক : স্বাস্থ্যবিষয়ক নিবন্ধকার ও কলামিস্ট


আরো সংবাদ



premium cement

সকল