কিডনি রোগ নিয়ে সিজেডএমের উদ্যোগ
- ডা: মো: তৌহিদ হোসাইন
- ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:৫৩
মানুষের লাইফস্টাইল পরিবর্তনের কারণে বিশ্বব্যাপী উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস মহামারীর মতো বিস্তার লাভ করছে। বেড়ে চলছে ক্রনিক কিডনি ডিজিজ (সিকেডি)। এতে আস্তে আস্তে দু’টি কিডনিই স্থায়ীভাবে বিকল হওয়া রোগ। এটি এখন বিশ্বে ভয়ঙ্কর স্বাস্থ্য সমস্যা।
কিডনি হলো রক্ত পরিশোধনাগার যা রক্ত পরিষ্কার করার কর্মীর মতো কাজ করে। আমাদের দুই কিডনিতে ২০ লাখ ছাকনি বা নেফ্রন আছে। বিভিন্ন কারণে এই ছাকনির সংখ্যা কমে গেলে এই সংখা আর কোনোভাবেই পূরণ হয় না। দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো- কিডনিতে একবার স্থায়ী ড্যামেজ প্রক্রিয়া শুরু হলে তা ধীরে ধীরে এবং অব্যাহতভাবে আমৃত্যু চলতেই থাকবে। ওষুধ বা অন্য কোনো উপায়ে এই ড্যামেজ প্রক্রিয়া একেবারে বন্ধ করে দেয়ার কোনো উপায় নেই। তবে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসা-পরামর্শে ড্যামেজ প্রক্রিয়া ধীর করা যায়।
প্রকৃতপক্ষে কিডনি বিকল হওয়া রোগ ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের মতোই একটি নীরব ঘাতক রোগ যা ক্যান্সারের চেয়েও ভয়ঙ্কর। অনেক ক্যান্সারই সময়মতো চিকিৎসায় ভালো হয় কিন্তু সিকেডি রোগটি শুরু হয় অনেকটাই নীরবে যার শেষ রক্ষা হিসেবে করতে হয় ডায়ালাইসিস অথবা কিডনি বদল।
বিশ্বব্যাপী কিডনি রোগের ভয়াবহতা
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বে বর্তমানে প্রায় ৫৩ কোটি লোক ডায়াবেটিসে ও ১৫০ কোটি লোক উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। এ সব রোগীর প্রতি চার জনের তিন জনই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের দেশের অধিবাসী।
আর গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ স্টাডির তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান বিশ্বে ৮৫ কোটি মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত এবং সে হিসাবে বিশ্বে প্রতি ১০ জনের একজন কোনো না কোনো কিডনি রোগে আক্রান্ত। প্রতি বছর ১৭ লাখ মানুষ আকস্মিক কিডনি রোগে মারা যায়। বিশ্বে ১৯৯০ সালে কিডনি রোগে মৃত্যু ২৭তম কারণ হিসেবে গণ্য ছিল। ২০১৩ সালে এসে কিডনি রোগজনিত কারণে মৃত্যুহার এসে দাঁড়ায় ১৩তম পজিশনে। বর্তমানে এটি বিশ্বব্যাপী প্রতি বছরে মানুষ মৃত্যুর ছয় নম্বরে অবস্থান করছে।
বাংলাদেশে ভয়ঙ্কররূপে ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগ
২০১১ সালে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগী ছিল ৮০ লাখ এবং ২০১৮ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক কোটি ১০ লাখ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ২০৪৫ সালের মধ্যে এই সংখ্যা দ্বিগুণ হবে। তেমনি ২০২১ সালে উচ্চ রক্তচাপের রোগী ছিল এক কোটি ৮০ লাখ, বর্তমানে বেড়ে হয়েছে দুই কোটি ৫০ লাখ প্রায়।
বাংলাদেশের প্রাপ্তবয়স্কদের ২১ শতাংশ মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে অর্থাৎ প্রতি পাঁচজনে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছে। একটা সময় ছিল যখন বাংলাদেশের মানুষ ডায়াবেটিস রোগের নামের সাথেও তেমন একটা পরিচিত ছিল না। এখন বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি পরিবারের কোনো না কোনো সদস্য উচ্চ রক্তচাপ কিংবা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত। এ সব কারণেই আশঙ্কা করা হচ্ছে- সে সময় খুব বেশি দূরে নেই যখন দেখা যাবে পরিবারের কোনো না কোনো সদস্য ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বা সিকেডিতে আক্রান্ত।
বাংলাদেশে ১০ বছর আগে কিডনি রোগী ছিল ১২ শতাংশ; ২০২১ সালে তা বেড়ে হয়েছে প্রতি সাতজনে একজন। বর্তমানে বাংলাদেশে দুই কোটি লোক কোনো না কোনোভাবে কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত। প্রতি বছর চার লাখ করে মানুষ নতুন করে কিডনি রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে বছরে অন্তত ৪০ হাজার ডায়ালাইসিস ও ট্রান্সপ্লান্টযোগ্য কিডনি রোগী মারা যাচ্ছে। সে হিসাবে দেশে প্রতিদিন মারা যায় ১১০ জন এবং প্রতি ঘণ্টায় চারজন।
ক্রনিক কিডনি ডিজিজ বেড়ে যাওয়ার কারণ
এই রোগটির মহামারীরূপ ধারণ করার মূল কারণ চারটি- ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপ রোগের অস্বাভাবিক বিস্তার, রোগের উপস্থিতি থাকার পরও দীর্ঘ দিন রোগের উপসর্গ প্রকাশ না পাওয়া, কিডনি রোগ সম্পর্কে গণমানুষের অসচেতনতা ও জীবনযাত্রা বা লাইফস্টাইলের পরিবর্তন, যেমন- ফাস্টফুডে অভ্যস্ত হওয়া, শরীরচর্চা না করা, বদভ্যাস তথা ধূমপান, মদ্যপান ইত্যাদি। কিডনি রোগের ব্যয়বহুল ও আজীবন চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ এবং চিকিৎসাব্যবস্থার অপ্রতুলতাও এ রোগ এতটা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। গবেষণায় দেখা গেছে, ক্রমাগত পাঁচ বছর অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতি তিনজনে একজন এবং ১০ বছর উচ্চ রক্তচাপে ভোগা রোগীদের প্রতি ছয়জনে একজন ক্রনিক কিডনি ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। সুতরাং ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী যত বাড়বে, কিডনি ডায়ালাইসিসের রোগীও সে হারে বেড়ে যাবে।
ক্রনিক কিডনি ডিজিজ কেন নীরব ঘাতক
দেশের উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ৪০ শতাংশ এবং ডায়াবেটিস রোগীর ৬০ শতাংশ জানেই না, তারা ওই দু’টি রোগে ভুগছে। উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের মাত্র ৩৬ শতাংশ চিকিৎসা নিয়ে থাকে। তাদের মাত্র ১২ শতাংশ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়। ৯০ শতাংশ মানুষ জানে না তাদের প্রস্রাব দিয়ে আমিষ নির্গত হয়। ফলে নিজের অজান্তেই তারা মরণঘাতী দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়।
সিকেডি এমনই একটি নীরব ঘাতক রোগ যে, ৮৫ শতাংশ রোগী কিডনি নষ্ট হওয়ার আগে বুঝতেই পারে না, তারা কিডনিজনিত রোগে আক্রান্ত।
বিকল হওয়া কিডনির চিকিৎসা
আমাদের দেশে মোটামুটি চারটির যেকোনো একটি প্রক্রিয়ায় ক্রনিক কিডনি রোগীর চিকিৎসা করা হয়। এই চিকিৎসাগুলোর মধ্যে আছে- কনজারভেটিভ ম্যানেজমেন্ট, হাসপাতালভিত্তিক হিমোডায়ালাইসিস, হোমভিত্তিক কন্টিনিউয়াস অ্যাম্বুলেটরি পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস (সিএপিডি) ও রেনাল ট্রান্সপ্লান্টেশন। এর মধ্যে সবচেয়ে উত্তম ও মোটামুটি স্থায়ী চিকিৎসা হলো ট্রান্সপ্লান্টেশন। কিন্তু আইনগত জটিলতা ও উপযুক্ত ডোনারের অভাবে ৯৫ শতাংশ স্থায়ীভাবে কিডনি বিকল হওয়া রোগীর ট্রান্সপ্লান্ট করতে পারে না। ফলে আল্টিমেটলি নির্ভর করতে হয় হাসপাতালভিত্তিক হিমোডায়ালাইসিস (সপ্তাহে দু’-তিনবার) অথবা হোমভিত্তিক কন্টিনিউয়াস অ্যাম্বুলেটরি পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস (সিএপিডি) ব্যবস্থার ওপর। সিএপিডি অপেক্ষাকৃত সহজ ও বাড়িতে বসেই দিনে দুই-তিনবার ডায়ালাইসিস করতে হয়। এটি করতে কোনো মেশিন লাগে না বা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজন হয় না। প্রত্যন্ত অঞ্চলের ডায়ালাইসিস যোগ্য রোগীরা ঘরে বসেই ডায়ালাইসিস নিতে পারে। এটি একটি উত্তম ও সহজ ব্যবস্থা হলেও বিভিন্ন কারণে এটি এতটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি।
সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও আজীবন চিকিৎসা সিকেডির
বর্তমান পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল ও আজীবন চিকিৎসা হলো কিডনি ডায়ালাইসিস এবং কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট চিকিৎসা। আমাদের দেশে ডায়ালাইসিসযোগ্য একজন কিডনি রোগীর চিকিৎসা করতে মাসে ৪৫-৫০ হাজার টাকা, বছরে পাঁচ লাখ টাকা খরচ করতে হয়।
দেশে এখন লাখ লাখ ডায়ালাইসিসযোগ্য রোগী অর্থের অভাবে বিনাচিকিৎসায় মারা যাচ্ছে। দেশের হাসপাতালগুলোতে ডায়ালাইসিস সক্ষমতা আছে মাত্র ১৫-২০ হাজার কিডনি রোগীর। মাত্র ১০ শতাংশ ডায়ালাইসিসযোগ্য রোগী নিজ খরচে ডায়ালাইসিস চালাতে পারে। তবে টাকার অভাবে ছয় মাসের মধ্যে ডায়ালাইসিস বন্ধ করে দেয় ৭৫ শতাংশ রোগী।
এই ডায়ালাইসিস চালিয়ে যেতে জমিজমা ভিটেমাটি বিক্রি করে আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও মহাজনদের কাছ থেকে চড়াসুদে ঋণ নিয়ে একদম নিঃস্ব হয়ে যায়। স্বামীর চিকিৎসায় নিজের কলিজার টুকরা কোলের সন্তান বিক্রি করে টাকা জোগাড় করার মতো অঘটন ঘটছে অহরহ। ফলে চিকিৎসা ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে রোগী নিজেও মরে, মরে পুরো পরিবারও। অসহায় এসব মানুষের কষ্টের বোবাকান্না দেখার যেন কেউ নেই।
সরকারি ও বেসরকারি সব লেভেলে কিডনি ডায়ালাইসিস চিকিৎসা চলছে সারা দেশেই। কিন্তু ডায়ালাইসিস খরচ চালিয়ে যাওয়ার সামর্থ্য রাখে না ৯০ শতাংশের বেশি লোক। চিকিৎসা ব্যয়ভার বহন করতে ধনী রোগী গরিব হচ্ছে আর গরিব রোগী বিনাচিকিৎসায় মারা যাচ্ছে।
সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট (সিজেডএম) এর উদ্যোগ
‘সেন্টার ফর জাকাত ম্যানেজমেন্ট’ দেশব্যাপী সমাজের দরিদ্র ও অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের উন্নয়নে জাকাতের অর্থের কার্যকরী ব্যবহার, সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষদের স্বাবলম্বী করা, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যালের সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের মাসিক বৃত্তিদান, বেকার যুবকদের কারিগরি প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষা ও পুষ্টিকর খাদ্য সহায়তা এবং অসহায়দের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানসহ নানাবিধ মানবিক সহায়তামূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
তারই অংশ হিসেবে সিজেডএম ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ এবং ক্রনিক কিডনি রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি ও চিকিৎসার জন্য ঢাকার মিরপুরে এবং কেরানীগঞ্জের গুইটা কৃষ্ণনগর গ্রামে সীমিত পরিসরে পাইলট প্রকল্প হিসেবে প্রাথমিকভাবে ১৫০ জন রোগীকে ফ্রি হিমোডায়ালাইসিস ও বেশ কিছু রোগীর ফ্রি সিএপিডি চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া সংস্থাটি কেরানীগঞ্জে আন্তর্জাতিক মানের ফ্রি ডায়ালাইসিস ও ট্রান্সপ্লান্ট সেন্টার শুরুর উদ্যোগ নিয়েছে।
ইতোমধ্যে শতাধিক রোগী বিভিন্ন হাসপাতালে এ সুবিধার আওতায় চিকিৎসা নিচ্ছে। উল্লেখ্য, একদম বিনামূল্যে হতদরিদ্রদের জন্য ব্যয়বহুল কেন্দ্র চালু করার মতো সাহস দেখানোর উদ্যোগ বাংলাদেশ এই প্রথম।
বর্তমানে সরকারি লেভেলে ডায়ালাইসিসের চেয়ে বেসরকারি পর্যায়ে অনেক বেশি ডায়ালাইসিস হচ্ছে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি পুরোপুরি ব্যবসানির্ভর। বাকি ২০ শতাংশ স্বল্পমূল্যে (দেড় থেকে দুই হাজার টাকা) সার্ভিস দেয়ার চেষ্টা করছে।
সরকারি হাসপাতালগুলোতে ডায়ালাইসিস একদম ফ্রি না হলেও স্বল্পমূল্যে হওয়ার কারণে কিছুটা সুবিধা গরিবরা পাচ্ছে। কিন্তু সব গরিব রোগীর জন্য ওষুধসহ একদম ফ্রি কোনো ডায়ালাইসিস কিংবা ট্রান্সপ্লান্টেশন কালচার এখনো দেশে সরকারি কিংবা বেসরকারি কোনো পর্যায়েই গড়ে ওঠেনি। এখনো পর্যন্ত আমাদের দেশে গরিব রোগীদের ডায়ালাইসিস ও ট্রান্সপ্লান্টের জন্য যা করা হচ্ছে তা জীবন বাঁচার প্রয়োজনীয় এক সাগর পানি থেকে এক বিন্দু পানি দিয়ে বাঁচানোর সামান্য মানবিক প্রয়াস মাত্র। একজন হিমোডায়ালাসিস ও পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস রোগীর পেছনে মাসে ৪০ হাজার টাকা খরচ করলেই সে খেয়েপরে হালকা কাজ করে বেঁচে থাকতে পারে। এভাবে বছরে ৫০ কোটি খরচ করলেই সহস্র দরিদ্র অসহায় রোগীর জীবন বেঁচে যায়। আমরা মনে করি, বছরে এই পরিমাণ টাকা দেয়ার মতো শত-সহস্র ভাগ্যবান লোক বাংলাদেশে আছেন যাদের ব্যাপারটি বুঝিয়ে বললে সানন্দচিত্তে খরচ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত হবেন।
প্রকৃতপক্ষে ভবিষ্যতে খুব বেশি সঞ্চয় চিন্তা না থাকলে কেবল বেঁচে থাকার প্রয়োজনের অতিরিক্ত দান করলেই দেশের একজনও না খেয়ে বিনাচিকিৎসায় মারা যাবে না।
লেখক : সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান,
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজি।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা