বিপন্ন গণতন্ত্র, লাঞ্ছিত মানবতা- প্রেক্ষিত নয়া ঔপনিবেশিকতা
- ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
- ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:৫৫
ঔপনিবেশিক শক্তিগুলো কেবল অস্ত্রের জোরে শত শত বছর টিকে থাকেনি, তারা সাথে নিয়ে এসেছিল বিভিন্ন ধারণা ও মতবাদ। তাদের নিজস্ব প্রয়োজন অনুযায়ী উপনিবেশিত অঞ্চলে সৃষ্টি করেছিল একদল তথাকথিত সুবিধাভোগী শ্রেণী যারা শাসকদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করত। তারা শাসকদের তৈরি মতবাদ প্রচার করত, তাদের শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরত এবং উপনিবেশের জনগণের নিকৃষ্টতা প্রতিপন্ন করতে সচেষ্ট থাকত। যার ফলে ঔপনিবেশিক শিক্ষায় শিক্ষিত শ্রেণী শাসকদের বিরুদ্ধে কখনো মাথা তুলে দাঁড়ায়নি ও ঔপনিবেশিক বাস্তবতাকেই স্বাভাবিক বলে মেনে নিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার গুরু লর্ড মেকলের কথা উল্লেখ করা যায়। মেকলে যখন ঘোষণা করেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে, ভারতবর্ষ একটি অবাধ সরকার পেতে পারে না, কিন্তু ভারতবর্ষ ঠিক পরের শ্রেষ্ঠ জিনিসটি পেতে পারে- একটি সুদৃঢ় স্বৈরাচার।’ তখনো ‘ভদ্রলোক’ শ্রেণী কেঁপে ওঠেনি। রাজা রামমোহন রায়, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী, নওয়ার আবদুল লতিফ, সৈয়দ আহমদ খান, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহসহ ইংরেজসৃষ্ট রাজনৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক নেতারা ইংরেজ শাসনকে চ্যালেঞ্জ করার দুঃসাহস দেখাতে পারেননি। উদ্দেশ্য, সাফল্য-ব্যর্থতা যাই হোক না কেন, ইংরেজদের বিরুদ্ধে তীব্র আঘাত সবসময় এসেছিল তথাকথিত সুবিধাবঞ্চিত নিম্ন শ্রেণীর জনগণের কাছ থেকে। তিতুমীরের সংগ্রাম, ফরায়েজি আন্দোলন, নীল বিদ্রোহ থেকে ১৮৫৭ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে সংখ্যাগরিষ্ঠ উচ্চ শ্রেণীর সুবিধাভোগী হিন্দু সমাজের সমর্থন ছিল না। সুবিধাভোগী শ্রেণীর লোকেরা বরং ইংরেজদের সহযোগী হয়ে এসব ‘বিদ্রোহ’ দমনে ভূমিকা রাখে। কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ- দুই দলই ছিল মূলত সামন্ত ও বুর্জোয়া পরিচালিত। দু’দলের নেতারাই গণআন্দোলনকে ভয় পেত, কারণ সাধারণ জনগণ জেগে উঠলেই তাদের অস্তিত্বের সঙ্কট শুরু হয়ে যাবে। আজ উপনিবেশবাদ নেই কিন্তু রয়ে গেছে উপনিবেশী মন ও এসেছে নব্য উপনিবেশবাদ।
ঔপনিবেশিক শাসনের ধ্বংসাত্মক দিকগুলোকে খাটো করে দেখিয়ে আদতে এক নয়া সাম্রাজ্যবাদেরই প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে- এ রকম অভিযোগও উঠেছিল। প্রথিতযশা বামপন্থী ঐতিহাসিকদের কেউ কেউ, যেমন- ইরফান হাবিব এ ধরনের মত পোষণ করেন এখনো। এই দশকের গোড়াতেই ইরফান নির্দ্বিধায় ঘোষণা করেছিলেন- সাম্প্রতিক ইতিহাসচর্চা ইত্যাদি সম্পর্কে তার বিশেষ আগ্রহ নেই। সুমিত সরকার এই পথে হাঁটেননি, গভীর অভিনিবেশে তার যাত্রাপথের অংশীদার করে নিয়েছেন সাম্প্রতিক গবেষণার মাধ্যমে উন্মোচিত নব্য পথনির্দেশগুলোকে। ফলে তার নিজস্ব সিন্থেসিসে ধরা পড়েছে এক পরিব্যাপ্ত বীক্ষা, যেখানে সঙ্কীর্ণতা, একদেশদর্শিতা, অনমনীয়তার লক্ষণমাত্র নেই। গ্রহণ, বিশ্লেষণ ও ধারণের এই ব্যাপ্তি সুমিত সরকারের রচনাকে এমন এক মর্যাদা দিয়েছে, যার সমকক্ষ উদাহরণ ভারতের ইতিহাসচর্চার বিস্তীর্ণ বিশ্বে বেশি নেই বললেই চলে। এর ফলে লেখকের রচনায় স্বীকৃতি পেয়েছে অর্থনৈতিক ইতিহাসের এই সাম্প্রতিক ‘সংশোধনবাদী’ ধারা।
আমরা দেখি, ঔপনিবেশিক সরকারের ক্রমাগত রাজস্ব বাড়ানোর তাগিদ সম্পর্কে এক সময়ের জাতীয়তাবাদী ঐতিহাসিকরা যতই সোচ্চার হোন না কেন, উনিশ শতকের শেষ থেকেই সরকারের সামগ্রিক আয়ের শতাংশের পরিমাপে ভূমিরাজস্বের ভাগ ছিল ক্রমেই নিম্নগামী। আরো দেখি, ঔপনিবেশিক অর্থনীতিতে কৃষির বাণিজ্যিকীকরণের তত্ত্ব এককালে ঐতিহাসিকদের কাছে যতই ধ্বংসাত্মক বলে প্রতীয়মান হোক, সুমিত সরকার বলছেন, এই বাণিজ্যিকীকরণের সাথে আয়বৃদ্ধি, দারিদ্র্য, বেরোজগারি বা মন্দা, কোনো কিছুরই আত্মিক যোগাযোগ নেই। তা অনেকটাই স্থানীয় পরিস্থিতির ওপর। পরিবেশ, জনগোষ্ঠীর বিন্যাস, গ্রামসমাজের ক্ষমতাকাঠামো, ইত্যাদির বিভিন্নতা যে অঞ্চলভেদে উপনিবেশবাদের অভিঘাতকে ‘আমূল পরিবর্তন’ বনাম ‘সার্বিক ধারাবাহিকতা’র মোটাদাগের ছকের বাইরে অনিয়মিত ও বিশৃঙ্খলাময় এক তারতম্য দিয়েছিল, তার বহুবর্ণ চিত্র আমরা পাই।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে বাংলাদেশ। পৃথিবীর অন্যান্য অনেক দেশের মতো দীর্ঘকাল ঔপনিবেশিক শাসকদের হাতে শাসিত হওয়ার পর একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে অভ্যুদয় ঘটে এর। ঔপনিবেশিক পরিস্থিতিতে অন্যান্য অনেক কিছুর মতো সাহিত্য যে বৈশিষ্ট্য অর্জন করে, স্বাধীনতার পর তা অনেকটাই বদলে যায়। একটি সদ্যস্বাধীন দেশের সাহিত্য উপনিবেশের চিহ্ন যেমন তার শরীরে ধারণ করতে বাধ্য হয়, তেমনি উত্তর-ঔপনিবেশিক পরিবেশ পরিস্থিতিতেও প্রভাবিত হয়। সে জন্যই দেখা যায়, আধুনিক কালের উত্তর-ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রগুলোর সাহিত্যে তার নিজস্ব এমন কিছু লক্ষণ ফুটে ওঠে, যেসব লক্ষণ অন্যান্য রাষ্ট্রের সাহিত্য থেকে আলাদা। বাংলাদেশের সাহিত্যের ওই সব বৈশিষ্ট্য কমবেশি লক্ষ করা যাবে। এদিক থেকে বিবেচনা করলে বাংলাদেশের সাহিত্য বলে আমরা যে সাহিত্যের উল্লেখ করে থাকি, তা অনেকটাই রাজনীতিস্পৃষ্ট। তবে সরলরেখায় নয়, উত্তর-ঔপনিবেশিক বাংলাদেশের রাজনীতি যেমন আঁকাবাঁকা পথে অগ্রসর হয়েছে, বাংলাদেশের সাহিত্যের গতিপ্রকৃতিও তেমনি বিসর্পিল। উপনিবেশ-উত্তর সাহিত্যের এই লক্ষণগুলো শনাক্ত করতে হলে বাংলাদেশের রাজনীতির একটি রূপরেখা তুলে ধরা জরুরি বলে মনে করি।
এ কথা আমাদের আজ আর অজানা নেই যে, দু’-দুটো উপনিবেশের অধীন ছিল বাংলাদেশ- প্রথমে ব্রিটিশদের, পরে পাকিস্তানিদের। দীর্ঘ দিন ধরে উপনিবেশের অধীনে থাকলে যেমন হয়, বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ঠিক তেমনটিই ঘটেছে। স্বাধীনতার পর অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং জীবনযাপনের নানা ক্ষেত্রে যেমন নৈরাজ্য ও বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে, তেমনি এসব নৈরাজ্য কাটিয়ে এ দেশকে আত্মপ্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করতে হচ্ছে। লড়তে হচ্ছে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সাংস্কৃতিক আত্মস্বাতন্ত্র্য ও উন্নত জীবনমান অর্জনের জন্য।
এ সংগ্রাম যে খুব সহজে চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে, তা বলা যাবে না। কোনো কোনো সময়ে বিরোধের মাত্রা বেশ জটিল ও সঙ্ঘাতময় ছিল। তবে এত সব জটিলতার মধ্যেও বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছে। আগামী পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের ভবিষ্যদ্বাণী হিসেবে ‘মধ্য আয়ে’র দেশে পরিণত হবে আর তার পরের ধাপেই পৌঁছে যাবে উন্নত দেশের সারিতে।
তবে এখন বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত সমস্ত পৃথিবী। বাংলাদেশেও এই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে জীবনযাত্রা যেমন থমকে গেছে, তেমনি এর প্রভাবও অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে দিচ্ছে। এ থেকে মুক্তি কিভাবে ঘটবে, সা¤প্রতিক দুর্যোগ কেটে গেলেই কেবল তা বোঝা যাবে। তবে আমাদের জীবনযাপন যে বদলে যাবে, অর্থনীতি যে নতুন রূপ পাবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
স্বাধীনতার সময় যারা ঔপনিবেশিক পাকিস্তানি শাসকদের সমর্থন করেছে, বা যারা তাদের প্রতি সহানুভ‚তিশীল ছিল, তারা স্বাধীনতার পর মতাদর্শিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নৈরাজ্য তৈরি করে। এটি অবশ্য এক দিনে হয়নি, ধীরে ধীরে করা হয়েছে। এই গোষ্ঠী মতাদর্শিকভাবে আগের অবস্থানে স্থির থেকে একদিকে যেমন রাজনৈতিকভাবে নিজেদের সুসংহত করেছে, অন্য দিকে তেমনি সমভাবাপন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে হাত মিলিয়ে নিজেদের প্রভাববলয় বাড়িয়ে নিয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে যে দল বা দলগুলো নেতৃত্ব দিয়েছিল, তাদের নানা ভুলের সুযোগও তারা নিয়েছে। অবস্থা তখন এমন দাঁড়িয়েছিল যে, স্বাধীনতাবিরোধী গোষ্ঠী অনেক দিন বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতার ভাগীদার থাকতে পেরেছে, অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়েছে। নিজস্ব মতাদর্শের জাল বিস্তার করে তারা তরুণ সমাজকে প্রভাবিত করতে পেরেছে। ফলে স্বাধীনতার পর স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের শাসনকাঠামো কী হওয়া বাঞ্ছনীয়, তার সাংস্কৃতিক চরিত্র কী হওয়া জরুরি- এসব প্রশ্নে দেখা দিয়েছে দ্বিধাবিভক্তি। এরকম একটি পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সাহিত্য যে এক ধরনের ঘূর্ণাবর্তে পড়ে জটিল হয়ে উঠবে, এটিই স্বাভাবিক। বাস্তবে হয়েছেও তাই। বিস্ময়কর হলেও সত্যি, বাংলাদেশের লেখকরা কোনো বিভ্রান্তিকর মতাদর্শের চোরাবালিতে পা দেননি। ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়, বেশির ভাগ লেখক, তারা যে দেশেরই হোন না কেন, যে সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট থেকেই উঠে আসুন না কেন, সত্যনিষ্ঠ হয়ে থাকেন। নিঃসন্দেহে দেশ, সমাজ ও মানুষের প্রতি তাদের এক ধরনের কমিটমেন্ট থাকে। গণতান্ত্রিক আন্দোলন করে বাঙালি জাতিসত্তার বিকাশ ঘটান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
আধুনিক জাতিরাষ্ট্রের উদ্ভব সম্পর্কে যাদের ধারণা আছে তারা জানেন, উপনিবেশের অধীনে থাকার সময়ই কখনো কখনো রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে সঙ্ঘাতের বীজ প্রোথিত হয়ে যায়। ঔপনিবেশিক শাসকদের সাথে সংগ্রাম করার সময় সেই শাসকদের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করলেও স্বাধীনতার পর রাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক-রাজনৈতিক চরিত্র কী দাঁড়াবে, তা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে ঔপনিবেশিক শাসকদের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা সংগ্রাম করার সময় যদি সেই শাসকগোষ্ঠীকে কেউ মিত্র মনে করে সমর্থন করে থাকে, তাহলে স্বাধীনতা অর্জনের পর মুক্তস্বাধীন ওই জাতিরাষ্ট্রের মধ্যে রাজনৈতিক ও মতাদর্শিক দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হতে বাধ্য। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও ঠিক এ ব্যাপারটিই লক্ষ করেছি আমরা। চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগত এই দিকটির পরিবর্তনজনিত একটি সমাধান সূত্রের অনুসন্ধান ও গবেষণামূলক কাজের দিকে আমাদের এখন থেকেই সচেতন হতে হবে।
আমরা প্রায় ২০০ বছর পরাধীন ছিলাম। ১৮৫৮ থেকে ১৯৪৭, পর্যন্ত কোম্পানি শাসনের অবসান ও ব্রিটিশ সরকারের অধীনে ঔপনিবেশিক শাসনের পর্ব। তার আগে ১৬১২ থেকে ১৮৫৭ পর্যন্ত দু’টি পর্ব। তিনটি পর্বজুড়ে আসলে একটিই ভ্রমণ। এই তিনটি পর্বের প্রথম দিকে কিছুটা কৌশল ও কিছুটা শক্তির মিশেলে এরা নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় ও নিরঙ্কুশ করেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ধাপে ধাপে তারা রাষ্ট্রক্ষমতা কব্জা ও দখল করে আবার লুটপাট এবং চরম দমন-পীড়নের মাধ্যমে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে যা তাদেরকে অনেক বিদ্রোহের পথ বেয়ে ১৮৫৭-এর স্বাধীনতা যুদ্ধের মুখোমুখি হতে বাধ্য করেছে। তৃতীয় পর্বে ব্রিটিশ সরকার নিজে মঞ্চে প্রবেশ করেছে। শাসনতান্ত্রিক ও আইনের শাসন, শোষণ, দমন, পীড়নকে বৈধ করে নিয়েছে এবং এখানকার বশংবদদের আনুকূল্যে শাসন দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করেছে। বলা বাহুল্য, দীর্ঘ শাসন প্রক্রিয়ার শেষ পর্বের এই আইনি রূপটাই তাদের চূড়ান্ত ও পরিণত রূপ এবং এ ব্যবস্থাটিই তারা এখানে রেখে গেছে, যার মধ্যে আমরা আছি এবং যার দ্বারা আমরা শাসিত হচ্ছি।
বাংলাদেশের বর্তমান সঙ্কট এমন একটি পর্যায়ে উপনীত হয়েছে যে, সামান্য একটি নির্বাচন করতেও সংবিধান সংস্কার করতে হয়। বাংলাদেশ এখন পরিবর্তনের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে। যারা জনগণের রাজনীতি করেন, যারা জনগণের পক্ষে রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চান, তাদের প্রত্যেকের উচিত সম্ভাব্য সেই পরিবর্তনকে অনিবার্য করে তোলা। নব্য ঔপনিবেশিকতার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যাওয়া ছাড়া বাংলাদেশের সঙ্কট থেকে বের হওয়ার আর বিকল্প কোনো পথ নেই। অন্য যা কিছু করা হোক না কেন, তা সঙ্কটকে সাময়িক ধামাচাপা দিতে পারে, কিন্তু অচিরেই তা আরো বড় সঙ্কটের আকারে হাজির হতে পারে। তাই বাংলাদেশকে যদি রক্ষা করতে হয়, এখানকার প্রাণ- প্রকৃতি-পরিবেশ, ন্যূনতম মানবিক গুণাবলি, স্বাভাবিক জীবনপ্রবাহ, কর্মসংস্থান ও বিশ্বের অপরাপর দেশের সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য যদি রাষ্ট্রকে প্রস্তুত করতে হয়, তাহলে রাষ্ট্রের ক্ষমতাকাঠামো সংস্কার তথা রাষ্ট্র সংস্কারের রাজনীতি এগিয়ে নিতে হবে।
লেখক : কলামিস্ট ও গবেষক, সাবেক উপ-মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা