কওমি সনদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি ও উলামায়ে কেরামের দায়বৃদ্ধি
- মাওলানা লিয়াকত আলী
- ২৩ মার্চ ২০২২, ২০:০৭
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের দশম জাতীয় সংসদে কওমি মাদরাসার সর্বোচ্চ স্তর দাওরায়ে হাদিসকে সাধারণ শিক্ষাক্রমের মাস্টার্সের (আরবি ও ইসলামী শিক্ষা) সমমান দিয়ে একটি বিল পাস হওয়ার পর এই আইন অনুযায়ী ‘আল হাইয়াতুল উলয়া লিল জামিআতিল কওমিয়া’ নামে গঠিত বাংলাদেশের কওমি মাদরাসাগুলোর সর্বোচ্চ সংস্থার অধীনে চতুর্থবারের মতো কেন্দ্রীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
নতুন প্রজন্মকে ইসলামী জ্ঞানে সমৃদ্ধ ও ইসলামী আদর্শে দীক্ষিত সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার কাজ আরো বেগবান হবে বলে আশা করছে সরকার ও কওমি মাদরাসার দায়িত্বশীলরা। জনগণের চাহিদা অনুযায়ী সরকার এ স্বীকৃতি দিয়েছে। অবশ্য একই সাথে উলামায়ে কেরামের দায় ও কর্তব্য শুধু বহাল থাকেনি, বরং তাতে মাত্রা ও পরিধির সংযোজন ঘটেছে। দারুল উলুম দেওবন্দের নীতি ও আদর্শ অক্ষুণ্ণ রাখতে গিয়ে তাদেরকে আগের চেয়ে বেশি কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হবে এবং তাতে উত্তীর্ণ হতে হবে। তেমনি পরিবর্তনশীল দেশীয়, বিশ্ব সমাজ, পরিবেশে জটিলতা ও প্রতিক‚লতার মধ্যে ইসলামের সেবা, প্রতিষ্ঠা ও প্রসারে সক্ষম আলেম তৈরির লক্ষ্যে বিদ্যমান শিক্ষাক্রম ও শিক্ষা ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করতে হবে। আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের ভারসাম্যপূর্ণ আকিদা সংরক্ষণ, নববী শিক্ষার সাথে বাস্তব দীক্ষার সম্মিলন, কুরআন-সুন্নাহর ভিত্তিতে প্রণীত নীতিমালার আলোকে ফিকাহর অধ্যয়ন ও শরিয়তের সাথে তরিকতের অভিন্নতা প্রদর্শন এবং বৈরাগ্য ও ভোগবাদিতার মাঝখানে ভারসাম্যপূর্ণ জীবনাচারের অনুশীলনকে দারুল উলুম দেওবন্দের শিক্ষাপ্রাপ্তরা এত দিন বাস্তবে পরিণত করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় কোনোরূপ ব্যত্যয় ঘটতে না দেয়ার চ্যালেঞ্জ এখন আগের চেয়ে বেশি জোরালোভাবে মোকাবেলা করতে হবে। এ দিকে দেশ ও অঞ্চলের ভাষায় দ্বীন ও শরিয়তকে উপস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা ও গুরুত্বের প্রতি উপেক্ষা, বিশ্ব পরিমণ্ডলে দাপট সৃষ্টিকারী ভাষা ইংরেজির সাথে সম্পর্কহীনতা এবং নির্দোষ বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও ব্যবহারিক বিদ্যাগুলোর প্রতি উদাসীনতার অবসান ঘটাতে হবে। যুগ ও কালের বিবর্তনে সৃষ্ট নতুন নতুন মতবাদ ও ভাবধারার আগ্রাসন থেকে ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতিরক্ষার পাশাপাশি ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব ও চিরন্তনতা প্রমাণের শাস্ত্রাদি কওমি পাঠ্যক্রমে সংযোজনের অপরিহার্যতা আরো তীব্রভাবে অনুভূত হবে এখন। সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে হবে উলামায়ে কেরামকে। বিষয়টি আরেকটু বিশ্লেষণ করা যেতে পারে।
প্রথমেই আসে দারুল উলুম দেওবন্দের নীতি ও আদর্শ অক্ষুণ্ণ রাখার প্রশ্ন। কওমি সনদের স্বীকৃতির প্রসঙ্গ উঠলে উলামায়ে কেরাম এই প্রশ্নে অনড় অবস্থান নেন এবং শেষ পর্যন্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ও সংসদ আলেমদের এই দাবি এবং শর্ত মেনে নিয়ে দাওরায়ে হাদিসের মান ঘোষণা করেছে। কিন্তু দারুল উলুম দেওবন্দের নীতিমালা ও আদর্শ বজায় রাখার দায়িত্ব আলেমদের ওপরই বর্তায়। সরকারের কর্তব্য হবে এতে ব্যাঘাত সৃষ্টি না করা এবং এমন কোনো পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত না নেয়া যাতে এই নীতিমালা ও আদর্শ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এখানে দারুল উলুমের নীতিমালা ও আদর্শ স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। দারুল উলুম প্রতিষ্ঠার সময়ে এ প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার জন্য হজরত মাওলানা কাসেম নানুতবী রহ: আট দফা নীতিমালা প্রণয়ন করেছিলেন, যা ‘উসুলে হাশতগানা’ নামে পরিচিত। এই নীতিমালায় সংযোজন-বিয়োজনের প্রয়োজনীয়তা অপ্রয়োজনীয়তা নিয়ে নেতৃস্থানীয় ও চিন্তাশীল উলামায়ে কেরামেরই মতদ্বৈততা রয়েছে এবং পরিবেশ ও প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের কারণে তাদের চিন্তায় ভিন্নতা আসা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু আরো কিছু মূলনীতি ও আদর্শ রয়েছে, যেগুলো দারুল উলুম ও এই ধারায় প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত মাদরাসাগুলো কঠোরভাবে অনুসরণ করে আসছে। আমরা এ ধরনের প্রধান পাঁচটি নীতি বা আদর্শ চিহ্নিত করতে পারি।
প্রথমত, আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামায়াতের ভারসাম্যপূর্ণ আকায়েদ সংরক্ষণ। খোলাফায়ে রাশেদ হজরত আলী রা:-এর সময়ে জন্ম নেয়া শিয়া ও খারেজি, পরে উমাইয়াদের যুগে আত্মপ্রকাশ করা মুতাজিলা, মুরজিয়া ইত্যাদি ফেরকার ভ্রান্ত আকায়েদ খণ্ডন করে ইসলামের বিশুদ্ধ ও সঠিক আকায়েদ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ: (ইন্তেকাল ২৪১ হিজরি), ইমাম আবুল হাসান আশআরি রহ: (ইন্তেকাল ৩২৪ হিজরি), ইমাম আবুল মনসুর মাতুরিদি রহ: (ইন্তেকাল ৩৩৩ হিজরি) প্রমুখের সূচিত আন্দোলন এবং এই তিন ইমামের নেতৃত্বের সুবাদে আখ্যায়িত ইলমুল কালামের সালাফি-আশআরি-মাতুরিদি তিন ধারারই উত্তরাধিকার লালন ও পোষণ করেন উলামায়ে দেওবন্দ। এই তিন সত্যনিষ্ঠ ধারার বর্ণিত ও লালিত মৌলিক আকায়েদের অভিন্নতা স্বীকার করা এবং উপধারাগত ও গৌণ কয়েকটি বিষয়ে মতপার্থক্য উপেক্ষা করা এবং বিদ্যায়তনিক আলোচনায় সীমাবদ্ধ রাখা উলামায়ে দেওবন্দের নীতি। উল্লেখ্য, ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ: ও মুহাদ্দিসিনে কেরামের ইলমুল কালাম ও ইলমুল ফিকাহ-ই প্রকৃত সালাফি ধারা। সাম্প্রতিককালের একটি শ্রেণীর সালাফি ও আহলে হাদিস পরিচয় ধারণ উলামায়ে দেওবন্দের মতে অশুদ্ধ।
দ্বিতীয়ত, তালিমের সাথে তারবিয়াত বা শিক্ষার সাথে নৈতিক দীক্ষার সম্মিলন এসব মাদরাসার গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠ্যগ্রন্থের কীটে পরিণত করা নয়, বরং অধীত বিষয়ের বাস্তব অনুশীলনে অভ্যস্ত করে তোলার প্রতি সার্বক্ষণিক কর্মসূচি প্রতিটি কওমি মাদরাসার অবিচ্ছেদ্য অংশ। আকায়েদ, ইবাদত, মুয়ামালাত, মুয়াশারাত ও আখলাকিয়াতে শিক্ষার্থীরা যেন নববী শিক্ষার বাস্তব নমুনা হয়ে ওঠে, এ জন্য আপসহীন থাকে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।
তৃতীয়ত, ফিকহি ভারসাম্য রক্ষা দারুল উলুম দেওবন্দের ধারার আলেমদের একটি বৈশিষ্ট্য। সারা বিশ্বে প্রচলিত ও সমাদৃত চার মাজহাবের মতৈক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ইলমুল ফিকাহ বা ইসলামী আইনশাস্ত্রের উৎস হিসেবে কিতাবুল্লাহ, সুন্নাহ, ইজমা ও কিয়াসের ওপর। এ চারটিকেই তারা ইসলামী আইনের উৎস বলে মানেন ও অনুসরণ করেন। দারুল উলুম দেওবন্দের প্রতিষ্ঠাতারা ও শুভানুধ্যায়ীরা সবাই ছিলেন হানাফি মাজহাবের অনুসারী এবং এ ধারার মাদরাসাগুলোর উস্তাদ ও ছাত্রদের প্রায় সবাই হানাফি মাজহাবের অনুসারী। তারা অন্যান্য মাজহাবের আলেমদের মতোই ইসলামী বিধানের চার উৎসে বিশ্বাস করেন। হাদিস অস্বীকারকারী ও ইজমা-কিয়াস অস্বীকারকারী- এই উভয় গোষ্ঠীকে সত্যবিচ্যুত বলে মনে করেন চার মাজহাবের সব আলেম।
তেমনি হানাফি মাজহাবের অনুসারী হলেও অন্যান্য মাজহাবের প্রতি সম্মান পোষণ করা এবং মতপার্থক্য বর্ণনার সময়ে অন্য ইমামদের মর্যাদা সামান্যতম মাত্রায়ও ক্ষুণ্ণ না করা দেওবন্দি আলেমদের বৈশিষ্ট্য। মাসয়ালাগুলোর তুলনামূলক আলোচনার সময়ে অন্যান্য মাজহাবকে ভুল সাব্যস্ত করা নয়, নিজেদের মাজহাবের পক্ষে অগ্রাধিকারের যুক্তি তুলে ধরাই এই আলেমদের নীতি। এমন নজির কম নয়, যেখানে অন্য কোনো বা অন্যান্য মাজহাবের যুক্তিকে অগ্রাধিকারযোগ্য বলে নির্দ্বিধায় স্বীকার করেন তারা। এই সত্যনিষ্ঠা ও নিরপেক্ষতার কারণেই দেওবন্দি আলেমরা সারা বিশ্বে সমাদৃত।
দারুল উলুম দেওবন্দ ও এই ধারার প্রতিষ্ঠানগুলোর চতুর্থ, বড় বৈশিষ্ট্য গ্রন্থগত বিদ্যার সাথে তাজকিয়া বা আধ্যাত্মিক সাধনার সমন্বয়। নিরেট বিদ্যাচর্চা ও নিরেট আধ্যাত্মিকতায় মগ্নতা দু’টিই তাদের কাছে অশুদ্ধ। উলামায়ে দেওবন্দ হাদিস-তাফসির-ফিকাহ চর্চায় মশগুল হয়েও আধ্যাত্মিক সাধনায় অবহেলা করেন না।
পঞ্চমত, ধার্মিকতা ও বৈষয়িক জীবনের সমন্বয় ইসলামের অন্যতম প্রধান শিক্ষা এবং বিশ্ব সংস্কৃতিতে অনন্য সংযোজন। রাসূলুল্লাহ সা:-এর কাছে দীক্ষাপ্রাপ্ত হয়ে সাহাবায়ে কেরাম এবং তাদের পরে তাবেয়িন, তাবে তাবেয়িন থেকে শুরু করে সব যুগে হক্কানি আলেমরা ইসলামের এই নীতির বাস্তব নমুনা উপস্থাপন করেছেন। হজরত শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভী রহ:-এর দর্শন ও হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মক্কি রহ:-এর আধ্যাত্মিক সাধনার অনুসারী দেওবন্দি আলেমরা এই নীতি অনুযায়ী জনসাধারণকে শিক্ষা দেন যে, পার্থিব ও বৈষয়িক জীবনের কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হওয়া ধার্মিকতার পরিপন্থী নয়। বরং ইখলাসের সাথে ও সুন্নত অনুযায়ী এসব দায়িত্ব পরিচালনায় রয়েছে আখিরাতের অশেষ প্রতিদান।
এখানে উল্লিখিত পাঁচটি বৈশিষ্ট্য থেকে সরে আসার বা এগুলোর কোনোটিতে বিন্দুমাত্র শিথিলতা করার সুযোগ নেই কওমি আলেমদের। সনদের সরকারি স্বীকৃতির পর এই নীতিমালা অক্ষুণ্ণ রাখার প্রতি যত্নবান থাকা তাদের জন্য আরো জরুরি হয়ে পড়েছে। সনদের স্বীকৃতির কারণে বৈষয়িক সুযোগ-সুবিধার দ্বার উন্মোচিত হওয়ায় এসব নীতিতে সামান্যতম শিথিলতা প্রবেশের বিরুদ্ধে সর্বক্ষণ সচেতন থাকা অপরিহার্য।
নীতিগত বিষয়গুলো সংরক্ষণ প্রসঙ্গে আরেকটি বিষয় উল্লেখ না করলেও চলে। তা হলো- এখন যেন কওমি মাদরাসার শিক্ষা-দীক্ষা পরীক্ষাকেন্দ্রিক বা সনদভিত্তিক না হয়ে পড়ে; বরং শিক্ষা-দীক্ষার মান যেন কিছুতেই অবনতির দিকে না যায়, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব উলামায়ে কেরামের। বিশেষ করে ফজিলত স্তর পর্যন্ত তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে বিদ্যমান বোর্ডগুলোর ওপর। প্রাথমিক, নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও ফজিলত বা স্নাতক স্তরগুলোর পরীক্ষা যথানিয়মে পরিচালনা করে যাওয়া এবং এসব স্তরের মান নিশ্চিত করার দায়িত্ব আলেমদের ওপরই ছেড়ে দিয়েছে সরকার। এটি একটি আমানত, যা রক্ষায় অবহেলা বা অযত্ন শরিয়তের দৃষ্টিতেই গুরুতর অপরাধ। দাওরায়ে হাদিসের নিচের এসব স্তরের তত্ত্বাবধানে আন্তঃবেফাক পরামর্শ ও মতবিনিময়, বিশেষ করে অভিন্ন সিলেবাস অনুসরণ করা ফলপ্রসূ হবে বলে আশা করা যায়। দারুল উলুম দেওবন্দের অনুসারী বলে দাবি করলেও অনেক মাদরাসা নিজস্ব নিয়মে শ্রেণীগুলোর বিন্যাস ও পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করে, যা অন্যান্য মাদরাসা থেকে ভিন্ন। এমনকি একই বোর্ডের অধীনস্থ মাদরাসাগুলোর মধ্যেও শ্রেণীগুলোর বিন্যাস ও পাঠ্যক্রমে ভিন্নতা নজিরবিহীন নয়। সব ক’টি বোর্ডকে একত্র করে একটি বোর্ডে পরিণত করা জরুরি নয়। কিন্তু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর মতো কার্যক্রম ভিন্নভাবে পরিচালনা করেও পাঠ্যক্রম, শ্রেণিবিন্যাস, পাঠদান ও পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সময় এবং নিয়মকানুন একই রকমের করা শুধু ভালো নয়, প্রয়োজন বটে। এসব বিষয়ে সম্মিলিত সিদ্ধান্তে আসা ও ঐক্যবদ্ধ অবস্থান তৈরির জন্য হাইয়াতুল উলয়া উপযুক্ত প্লাটফর্ম হতে পারে। হাইয়াতুল উলয়ার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটি সব বোর্ড অনুসরণ করতে পারে।
কওমি মাদরাসাগুলোর পরিচালনাগত কিছু বিষয়ের প্রতিও মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন। অত্যন্ত তিক্ত হলেও সত্য যে, সাধারণভাবে আমাদের কওমি মাদরাসাগুলোতে বিধিবদ্ধ ও লিখিত কোনো চাকরিবিধি নেই। জনবল কাঠামো, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ, পদায়ন, পদোন্নতি, বদলি, বেতনভাতা বা সুযোগ-সুবিধার কাঠামো, শাস্তি, অবসর, অব্যাহতি ইত্যাদির লিখিত বিধিমালা নেই। প্রতিষ্ঠানগুলোর শৃঙ্খলার স্বার্থে এসব ঘাটতি পূরণের প্রতি মনোযোগ দেয়া জরুরি। এ ব্যাপারেও হাইয়াতুল উলয়াকে কাজে লাগানো যায়। হাইয়াতুল উলয়ার মাধ্যমে একটি চাকরিবিধি প্রণয়ন করে তা সব মাদরাসার জন্য অনুসরণীয় করা হলে সবারই উপকার হবে ইনশা আল্লাহ তায়ালা।
আরো সংবাদ
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা
-
- ৫ঃ ৪০
- খেলা